টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করে মাসে ইনকাম 50 হাজার টাকা

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা হল একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।  আপনি যদি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া খোঁজ করে থাকেন এক্ষেত্রে টি-শার্ট ডিজাইন বা টি-শার্ট প্রিন্টিং করে ব্যবসা করতে পারেন ।

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন শুধুমাত্র একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন এবং কম্পিউটারের সাহায্যে ।

 

বর্তমানে ছোট-বড় বয়সের সকল মানুষ এই প্রিন্টেড টি-শার্ট পরিধান করতে অধিক পছন্দ করে থাকে ।  যার ফলে  প্রিন্টিং টি-শার্ট এর চাহিদা দিন দিন বাজারে বেড়েছে চলছে ।

 

আজকালকার মর্ডান জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা নিজেদের অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে উপাস্থাপন করার জন্য কাস্টম ডিজাইন তৈরি করে টি শার্ট প্রিন্ট করে থাকে । 

 

এছাড়াও স্কুল – কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্পোরেট অফিস, শিক্ষা সফর ,  ভ্রমণ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে মানুষ এখন নিজেদের তৈরি ডিজাইনের টি-শার্ট পরতে আগ্রহী ।

 

তবে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটিতেও  দিন দিন কম্পিটিশন বেড়ে চলেছে ।  তাই যে যত বেশি ট্রেন্ডিং ও নতুন নতুন সুন্দর কালেকশন মার্কেটে আনতে পারবে তার টি শার্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি হয়ে থাকবে ।

 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা হল একটি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া তাই এই স্মার্ট ব্যবসাটি শুরু করার জন্য ব্যবসায়ীদের সৃজনশীল মন-মানসিক হতে হবে এবং স্মার্ট উপায়ে কাজ করতে হবে ।

 

তাই আজকের আর্টিকেলটিতে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি কিভাবে স্মার্ট এবং সৃজনশীল উপায়ে করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আইডিয়া পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

 

Table of Contents

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ?

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা বলতে বুঝায় যেকোনো প্লেইন বা এক রংয়ের টি-শার্টের উপর প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন বা লিখা প্রিন্ট করাকে ।

 

যেমন :  বন্ধুর জন্মদিনের গিফট হিসেবে বিশেষ ডিজাইনের একটি টি-শার্ট অথবা কোন নায়ক-নায়িকার ফেইস থাকা টি-শার্ট, নিজের নাম লেখা টি-শার্ট , কোন কোম্পানির লোগো, অথবা সেই বন্ধুর প্রেমিকার ছবি দিয়ে টি শার্ট প্রিন্ট করা ।

 

 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং মেশিনসমূহ 

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কাঁচামাল প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো  

  • টেফলোন সিট – ৩০০mm x ৩০০mm  সাইজের টেফলোন সিট ৪০০ – ৪৫০ টাকায় পাবেন বাজারে ।
  • সাবলিমেশন পেপার – যা কিনতে প্রায় আপনার ৩০০ – ৩৫০ টাকা খরচ হতে পারে । যেখানে আপনি প্রায় ১০০টি পেপার পাবেন ।
  • সাবলিমেশন ট্যাপ ।
  • প্লেইন টি-শার্ট অথবা এক রঙের টি-শার্ট – আপনি পাইকারি বাজারে ৯০ – ১২০  টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ।
  • সাবলিমেশন কালি ।

 

এছাড়াও টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য কিছু ইলেকট্রিক মেশিন প্রয়োজন হবে যেমন :

  • একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে ।
  • একটি সাবলিমেশন প্রিন্টার দরকার হবে – যা আপনি ১২ হাজার থেকে ২০  হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ।
  • একটি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার যেমন :  এডোবি ফটোশপ  /  এডোবি ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি । 
  • টি-শার্ট হিট প্রেস মেশিন – যা আপনি ১৩,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বাজারে কিনতে পারবেন ।

 

এখানে দেওয়া দামগুলো সম্পূর্ণ বর্তমান দামের উপর বলা হয়েছে ।  আপনার সময় , কোয়ালিটি এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি মেশিন এবং কাঁচামালের দাম আলাদা আলাদা হতে পারে ।

 

তাই আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন এইসব কাঁচামাল এবং মেশিনের দাম সম্পর্কে বাজার পর্যবেক্ষণ করে জেনে নিবেন ।

 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা  মূলধন প্রয়োজন ?

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি আপনি যদি ঘরে বসেই পরিচালনায় করতে চান সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে । 

 

আপনাকে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন :  প্লেইন টি-শার্ট , টেফলোন সিট ,  সাবলিমেশন প্রিন্টার ,  সাবলিমেশন পেপার ,  একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ  এবং টি-শার্ট প্রিন্টিং এর জন্য হিট প্রেস মেশিন  ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

 

অন্যদিকে আপনি যদি বড় পরিসরে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কমপক্ষে ৪ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ।

 

তখন আপনাকে অতিরিক্ত কম্পিউটার , প্রিন্টিং মেশিন ,  হিট প্রেস মেশিন ,  সাবলিমেশন পেপার ,  অধিক প্লেইন টি – শার্ট কেনার জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ।  এছাড়াও কারখানা বিল ,  বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদিও যুক্ত হবে ।

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং করতে কি ধরনের মেশিন লাগে ?

 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনার একটি টি শার্ট প্রিন্টিং হিট মেশিনএকটি কম্পিউটার , এবং সাবলিমেশন প্রিন্টার এর প্রয়োজন হবে ।

 

টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন দাম কত বাংলাদেশে ?

 

টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন আপনি বাংলাদেশে ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার মধ্যেই  কিনতে পারবেন ।  আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিনের দাম নিচে দেওয়া হল :

 

হিট প্রেস মেশিনের দাম ২০২২  – printing machine price in Bangladesh 

প্রিন্টিং মেশিনের নামপ্রিন্টিং মেশিনের দাম
Combo 6-in-1 Heat Press Machine ১৪,৫০০ টাকা
T-Shirt Sublimation Heat Press Machine২৩,৯০০ টাকা
Stainless Steel 5-in-1 Heat Press Machine১৩,৫০০ টাকা 
Heat Press Machine 5-in-1 Multi Function১৩,৫০০ টাকা

 

Note : এখানে দেওয়া মেশিনগুলোর দাম বিডিস্টল ডটকম থেকে দেওয়া হয়েছে ।  তাই যেকোনো সময় এর দাম কমবেশি হতে পারে । আপনি যখন মেশিনগুলো ক্রয় করবে তখন বাজার মূল্য যাচাই করেই মেশিনগুলো কেনার চেষ্টা করবেন ।

 

টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন কোথায় থেকে কেনা যায় ?

 

টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিনগুলো আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি উপায়ে ক্রয় করতে পারবেন ।  

যেমন: অনলাইনে দারাজ ডটকম , বিডিস্টল ডটকম এই ই-কমার্স সাইটগুলো থেকেও মেশিনগুলো কিনতে পারবেন ।

 

অন্যদিকে অফলাইনেও এই মেশিনগুলো কিনতে পাওয়া যায় ।  বিভিন্ন জেলার বড় বড় ইলেকট্রনিক্স বাজারগুলোতে এইসব মেশিন পাওয়া যায় ।

 

বাংলাদেশি ভাইদের জন্য একজন টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন বিক্রেতার নাম্বার দেওয়া হল :

 

  •  মাল্টি ফাংশান ৫” ১ হিট প্রেস মেশিন কিনতে যোগাযোগ করুন : ০১৮১৯৮৯৭৫৫৯ 

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন ?

 

ঘরোয়াভাবে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে আপনার কোন ধরনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না ।  তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি ঘরোয়াভাবে ব্যবসা করলেও ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যবসা করুন ।

 

এতে করে কাস্টমাররা আপনার প্রতি বেশি আস্থা রাখবে । এবং মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি প্রচার করতে পারবেন আপনি লাইসেন্স করেই ব্যবসা করছেন ।

 

অন্যদিকে, আপনি যদি ফ্যাক্টরি খুলে নিজের ব্র্যান্ড এর নামে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে ব্যবসাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । এবং সকল ধরনের সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে ।

 

এছাড়াও আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে  যেমন :  জাতীয় পরিচয় পত্র ,  ইলেকট্রিক বিল ,  কারখানার চুক্তিপত্র ,  ব্যাংক একাউন্ট  ইনফর্মেশন  ইত্যাদি । 

 

আরো পড়ুন,,

 


 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য কি ইন্সুরেন্স করা দরকার ?

 

টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনাকে যে অবশ্যই ইন্সুরেন্স করতে হবে এমন কোন শর্ত নেই ।  তবে আপনি যদি কারখানা খুলে টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমার পরামর্শ হলো ইন্সুরেন্স বা বীমা করুন ।

 

আপনি টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য অগ্নিবীমা করতে পারেন ।  যেহেতু আপনার কারখানায় প্রচুর কাপড় থাকবে তাই দুর্ঘটনা ক্রমে যদি কখনো আগুন লেগে যায় সেক্ষেত্রে বীমা কোম্পানী আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকবে । 

 

 

তাই একজন সচেতন এবং স্মার্ট ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার উচিত আপনার ব্যবসার জন্য ইন্সুরেন্স করে রাখা । 

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় ?

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার মার্কেটিং আপনি সাধারণত দুটি উপায়ে করতে পারবেন যেমন : অনলাইন  এবং অফলাইন পদ্ধতিতে ।

 

অনলাইনে কিভাবে  টি-শার্ট বিক্রির মার্কেটিং করতে হয় ?

 

অনলাইনের মাধ্যমে টি শার্ট বিক্রি করতে হলে আপনি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলো যেমন :  ফেইসবুক , ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম ,  লিংকডইন  ব্যবহার করতে পারেন ।  

 

এছাড়াও নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে আপনার সকল টি-শার্টগুলোকে লিস্ট করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন এবং সরাসরি কাস্টমার থেকে অর্ডার নিতে পারবেন ।

 

নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট থাকলে কাস্টমাররা অনলাইনে অর্ডার করতে বেশি আস্থা পায় । এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বৃদ্ধি পায় যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে  ।

 

তবে টি শার্ট বিক্রি করার জন্য ফেইসবুক মারকেটিং খুবই কার্যকরী একটি উপায় । এর কারণ হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি বুস্ট করতে পারবেন যার ফলে অল্পদিনেই আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্টগুলো পৌছে দিতে পারবেন ।

 

অল্প কিছু টাকা মার্কেটিং এর জন্য বিনিয়োগ করে আপনি সহজেই অনেকগুলো সেল জেনারেট করতে পারবেন  । ফেসবুককে নিদিষ্ট করে বলার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ৮৯.৮৫% মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে । তাই বাংলাদেশকে টার্গেট করে যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং করতেই হবে ।

 

অফলাইনে টি শার্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন ?

 

অফলাইনে মার্কেটিং করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের লিফলেট , ব্যানার এবং পোস্টার তৈরি করে জনবহুল স্থানে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ।  এছাড়াও বন্ধু বান্ধবীদের কাছে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করতে পারেন ।

 

প্রতিবছর বিভিন্ন স্কুল –  কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  অনেক ধরনের অনুষ্ঠান ও বিদায়ী প্রোগ্রাম হয়ে থাকে যেখানে ছাত্রছাত্রীরা টি-শার্ট প্রিন্টিং করে থাকে ।  

 

তাই স্কুল-  কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারলে প্রচুর টি-শার্ট প্রিন্টিং করা অর্ডার পাবেন । এভাবেই ধীরে ধীরে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারবেন ।

 

অল্প দামে কোথায় থেকে টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ?

 

চট্টগ্রাম এবং ঢাকাসহ  সকল জেলা ও বিভাগের  পাইকারি বাজার গুলোতে অল্প দামে টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ।

 

বিশেষ করে চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার ।  ঢাকার গুলিস্তান পাইকারি বাজার , মিরপুর  শাহ আলী কলেজ মার্কেট , চকবাজার , কারওয়ান বাজারসহ সকল পাইকারি বাজরেই প্রায় অল্প দামের টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ।

 

তবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে টি-শার্ট ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক কম মূল্যে টি-শার্ট ক্রয় করতে পারবেন । 

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় লাভ কেমন ?

 

বর্তমানে বাজারে একেকটি প্রিন্টিং টি-শার্ট প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে ।  তবে  টি-শার্টের দাম সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রিন্টিং ডিজাইন , কোয়ালিটি এবং কাপড়ের কোয়ালিটির উপর ।

 

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কাপড়ের কোয়ালিটি মোটামুটি হলেও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে ভালো মূল্য পাওয়া যায় ।

 

অন্যদিকে আপনি যদি অনলাইনে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে টি-শার্ট বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০০ – ৪০০ টাকা দামে  টি-শার্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন ।

 

তাই টি-শার্ট ব্যবসাটি যদি মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে করা যায় তা হলে ভালই লাভ রয়েছে । 

 

আপনি যদি একদম ছোট পরিসরে ঘরে বসেই এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে প্রতি মাসে আপনি টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করে ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

 

উদাহরণস্বরূপ : একটি প্লেইন টি-শার্ট পাইকারি বাজার থেকে যদি ৮০টাকায় কিনেন এবং প্রিন্টিং খরচ বাবদ কমপক্ষে যদি ২০ টাকা খরচ হয় তাহলে টি-শার্ট বাজারে সেটি যদি ২০০ টাকাও বিক্রি করেন তখনও আপনার ১০০ টাকা লাভ থাকবে । 

 

এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিমাসে ৫০০পিস টি-শার্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে সকল খরচ বাদ দিয়েও মাস শেষে প্রায় ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন ।

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে ?

 

অন্যান্য ব্যবসার মতো টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । যেমন :

  •  মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে ।
  •  শুরুর দিকে আশানুরূপ বিক্রয় বা সেলস নাও হতে পারে ।
  •  টি-শার্টের কোয়ালিটির উপর এবং ডিজাইনের উপর কড়া নজর রাখতে হবে ।
  •  পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করার সময় কম মূল্যে ভালো মানের কাপড় সিলেক্ট করতে হবে ।
  • প্রতিযোগীদের সাথে কম্পিটিশন করার জন্য কাপড়ের কোয়ালিটি , ডিজাইন এবং সাবলীলভাবে মার্কেটিং করতে হবে ।  অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা হলে প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
  • সঠিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে । যেমন : কারা আপনার টি-শার্ট পড়বে , টি শার্টের দাম কত রাখা উচিত , কি ধরনের ডিজাইন টিশার্টে ব্যবহার করা উচিত , কোথায় টি-শার্টের মার্কেটিং করা উচিত ইত্যাদি উপায়ে ব্যবসার বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে ।

 

পরিশেষে 

 

আজকের আর্টিকেলটিতে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে A To Z নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।  

 

টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । 

 

এবং টি-শার্ট বিক্রির জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে ।

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *