টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা হল একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া । আপনি যদি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া খোঁজ করে থাকেন এক্ষেত্রে টি-শার্ট ডিজাইন বা টি-শার্ট প্রিন্টিং করে ব্যবসা করতে পারেন ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন শুধুমাত্র একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন এবং কম্পিউটারের সাহায্যে ।
বর্তমানে ছোট-বড় বয়সের সকল মানুষ এই প্রিন্টেড টি-শার্ট পরিধান করতে অধিক পছন্দ করে থাকে । যার ফলে প্রিন্টিং টি-শার্ট এর চাহিদা দিন দিন বাজারে বেড়েছে চলছে ।
আজকালকার মর্ডান জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা নিজেদের অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে উপাস্থাপন করার জন্য কাস্টম ডিজাইন তৈরি করে টি শার্ট প্রিন্ট করে থাকে ।
এছাড়াও স্কুল – কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্পোরেট অফিস, শিক্ষা সফর , ভ্রমণ ইত্যাদির উদ্দেশ্যে মানুষ এখন নিজেদের তৈরি ডিজাইনের টি-শার্ট পরতে আগ্রহী ।
তবে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটিতেও দিন দিন কম্পিটিশন বেড়ে চলেছে । তাই যে যত বেশি ট্রেন্ডিং ও নতুন নতুন সুন্দর কালেকশন মার্কেটে আনতে পারবে তার টি শার্ট বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি হয়ে থাকবে ।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা হল একটি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া তাই এই স্মার্ট ব্যবসাটি শুরু করার জন্য ব্যবসায়ীদের সৃজনশীল মন-মানসিক হতে হবে এবং স্মার্ট উপায়ে কাজ করতে হবে ।
তাই আজকের আর্টিকেলটিতে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি কিভাবে স্মার্ট এবং সৃজনশীল উপায়ে করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আইডিয়া পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ?
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা বলতে বুঝায় যেকোনো প্লেইন বা এক রংয়ের টি-শার্টের উপর প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন বা লিখা প্রিন্ট করাকে ।
যেমন : বন্ধুর জন্মদিনের গিফট হিসেবে বিশেষ ডিজাইনের একটি টি-শার্ট অথবা কোন নায়ক-নায়িকার ফেইস থাকা টি-শার্ট, নিজের নাম লেখা টি-শার্ট , কোন কোম্পানির লোগো, অথবা সেই বন্ধুর প্রেমিকার ছবি দিয়ে টি শার্ট প্রিন্ট করা ।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং মেশিনসমূহ
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কাঁচামাল প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো :
- টেফলোন সিট – ৩০০mm x ৩০০mm সাইজের টেফলোন সিট ৪০০ – ৪৫০ টাকায় পাবেন বাজারে ।
- সাবলিমেশন পেপার – যা কিনতে প্রায় আপনার ৩০০ – ৩৫০ টাকা খরচ হতে পারে । যেখানে আপনি প্রায় ১০০টি পেপার পাবেন ।
- সাবলিমেশন ট্যাপ ।
- প্লেইন টি-শার্ট অথবা এক রঙের টি-শার্ট – আপনি পাইকারি বাজারে ৯০ – ১২০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ।
- সাবলিমেশন কালি ।
এছাড়াও টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য কিছু ইলেকট্রিক মেশিন প্রয়োজন হবে যেমন :
- একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে ।
- একটি সাবলিমেশন প্রিন্টার দরকার হবে – যা আপনি ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ।
- একটি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার যেমন : এডোবি ফটোশপ / এডোবি ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি ।
- টি-শার্ট হিট প্রেস মেশিন – যা আপনি ১৩,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বাজারে কিনতে পারবেন ।
এখানে দেওয়া দামগুলো সম্পূর্ণ বর্তমান দামের উপর বলা হয়েছে । আপনার সময় , কোয়ালিটি এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি মেশিন এবং কাঁচামালের দাম আলাদা আলাদা হতে পারে ।
তাই আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন এইসব কাঁচামাল এবং মেশিনের দাম সম্পর্কে বাজার পর্যবেক্ষণ করে জেনে নিবেন ।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধন প্রয়োজন ?
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি আপনি যদি ঘরে বসেই পরিচালনায় করতে চান সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে ।
আপনাকে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন : প্লেইন টি-শার্ট , টেফলোন সিট , সাবলিমেশন প্রিন্টার , সাবলিমেশন পেপার , একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং টি-শার্ট প্রিন্টিং এর জন্য হিট প্রেস মেশিন ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।
অন্যদিকে আপনি যদি বড় পরিসরে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কমপক্ষে ৪ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ।
তখন আপনাকে অতিরিক্ত কম্পিউটার , প্রিন্টিং মেশিন , হিট প্রেস মেশিন , সাবলিমেশন পেপার , অধিক প্লেইন টি – শার্ট কেনার জন্য টাকা বিনিয়োগ করতে হবে । এছাড়াও কারখানা বিল , বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদিও যুক্ত হবে ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং করতে কি ধরনের মেশিন লাগে ?
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনার একটি টি শার্ট প্রিন্টিং হিট মেশিন , একটি কম্পিউটার , এবং সাবলিমেশন প্রিন্টার এর প্রয়োজন হবে ।
টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন দাম কত বাংলাদেশে ?
টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন আপনি বাংলাদেশে ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন । আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিনের দাম নিচে দেওয়া হল :
হিট প্রেস মেশিনের দাম ২০২২ – printing machine price in Bangladesh
প্রিন্টিং মেশিনের নাম | প্রিন্টিং মেশিনের দাম |
---|---|
Combo 6-in-1 Heat Press Machine | ১৪,৫০০ টাকা |
T-Shirt Sublimation Heat Press Machine | ২৩,৯০০ টাকা |
Stainless Steel 5-in-1 Heat Press Machine | ১৩,৫০০ টাকা |
Heat Press Machine 5-in-1 Multi Function | ১৩,৫০০ টাকা |
Note : এখানে দেওয়া মেশিনগুলোর দাম বিডিস্টল ডটকম থেকে দেওয়া হয়েছে । তাই যেকোনো সময় এর দাম কমবেশি হতে পারে । আপনি যখন মেশিনগুলো ক্রয় করবে তখন বাজার মূল্য যাচাই করেই মেশিনগুলো কেনার চেষ্টা করবেন ।
টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন কোথায় থেকে কেনা যায় ?
টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিনগুলো আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি উপায়ে ক্রয় করতে পারবেন ।
যেমন: অনলাইনে দারাজ ডটকম , বিডিস্টল ডটকম এই ই-কমার্স সাইটগুলো থেকেও মেশিনগুলো কিনতে পারবেন ।
অন্যদিকে অফলাইনেও এই মেশিনগুলো কিনতে পাওয়া যায় । বিভিন্ন জেলার বড় বড় ইলেকট্রনিক্স বাজারগুলোতে এইসব মেশিন পাওয়া যায় ।
বাংলাদেশি ভাইদের জন্য একজন টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন বিক্রেতার নাম্বার দেওয়া হল :
- মাল্টি ফাংশান ৫” ১ হিট প্রেস মেশিন কিনতে যোগাযোগ করুন : ০১৮১৯৮৯৭৫৫৯
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন ?
ঘরোয়াভাবে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে আপনার কোন ধরনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না । তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি ঘরোয়াভাবে ব্যবসা করলেও ট্রেড লাইসেন্স করে ব্যবসা করুন ।
এতে করে কাস্টমাররা আপনার প্রতি বেশি আস্থা রাখবে । এবং মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি প্রচার করতে পারবেন আপনি লাইসেন্স করেই ব্যবসা করছেন ।
অন্যদিকে, আপনি যদি ফ্যাক্টরি খুলে নিজের ব্র্যান্ড এর নামে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স বানিয়ে ব্যবসাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে । এবং সকল ধরনের সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে ।
এছাড়াও আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে যেমন : জাতীয় পরিচয় পত্র , ইলেকট্রিক বিল , কারখানার চুক্তিপত্র , ব্যাংক একাউন্ট ইনফর্মেশন ইত্যাদি ।
আরো পড়ুন,,
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য কি ইন্সুরেন্স করা দরকার ?
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনাকে যে অবশ্যই ইন্সুরেন্স করতে হবে এমন কোন শর্ত নেই । তবে আপনি যদি কারখানা খুলে টি-শার্ট ব্যবসা শুরু করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমার পরামর্শ হলো ইন্সুরেন্স বা বীমা করুন ।
আপনি টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার জন্য অগ্নিবীমা করতে পারেন । যেহেতু আপনার কারখানায় প্রচুর কাপড় থাকবে তাই দুর্ঘটনা ক্রমে যদি কখনো আগুন লেগে যায় সেক্ষেত্রে বীমা কোম্পানী আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকবে ।
তাই একজন সচেতন এবং স্মার্ট ব্যবসায়ী হিসেবে আপনার উচিত আপনার ব্যবসার জন্য ইন্সুরেন্স করে রাখা ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় ?
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার মার্কেটিং আপনি সাধারণত দুটি উপায়ে করতে পারবেন যেমন : অনলাইন এবং অফলাইন পদ্ধতিতে ।
অনলাইনে কিভাবে টি-শার্ট বিক্রির মার্কেটিং করতে হয় ?
অনলাইনের মাধ্যমে টি শার্ট বিক্রি করতে হলে আপনি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলো যেমন : ফেইসবুক , ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম , লিংকডইন ব্যবহার করতে পারেন ।
এছাড়াও নিজের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে আপনার সকল টি-শার্টগুলোকে লিস্ট করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন এবং সরাসরি কাস্টমার থেকে অর্ডার নিতে পারবেন ।
নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট থাকলে কাস্টমাররা অনলাইনে অর্ডার করতে বেশি আস্থা পায় । এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বৃদ্ধি পায় যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে ।
তবে টি শার্ট বিক্রি করার জন্য ফেইসবুক মারকেটিং খুবই কার্যকরী একটি উপায় । এর কারণ হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি বুস্ট করতে পারবেন যার ফলে অল্পদিনেই আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্টগুলো পৌছে দিতে পারবেন ।
অল্প কিছু টাকা মার্কেটিং এর জন্য বিনিয়োগ করে আপনি সহজেই অনেকগুলো সেল জেনারেট করতে পারবেন । ফেসবুককে নিদিষ্ট করে বলার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের ৮৯.৮৫% মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে । তাই বাংলাদেশকে টার্গেট করে যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং করতেই হবে ।
অফলাইনে টি শার্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন ?
অফলাইনে মার্কেটিং করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের লিফলেট , ব্যানার এবং পোস্টার তৈরি করে জনবহুল স্থানে ঝুলিয়ে দিতে পারেন । এছাড়াও বন্ধু বান্ধবীদের কাছে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করতে পারেন ।
প্রতিবছর বিভিন্ন স্কুল – কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান ও বিদায়ী প্রোগ্রাম হয়ে থাকে যেখানে ছাত্রছাত্রীরা টি-শার্ট প্রিন্টিং করে থাকে ।
তাই স্কুল- কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারলে প্রচুর টি-শার্ট প্রিন্টিং করা অর্ডার পাবেন । এভাবেই ধীরে ধীরে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারবেন ।
অল্প দামে কোথায় থেকে টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ?
চট্টগ্রাম এবং ঢাকাসহ সকল জেলা ও বিভাগের পাইকারি বাজার গুলোতে অল্প দামে টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার । ঢাকার গুলিস্তান পাইকারি বাজার , মিরপুর শাহ আলী কলেজ মার্কেট , চকবাজার , কারওয়ান বাজারসহ সকল পাইকারি বাজরেই প্রায় অল্প দামের টি-শার্ট কিনতে পাওয়া যায় ।
তবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে টি-শার্ট ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক কম মূল্যে টি-শার্ট ক্রয় করতে পারবেন ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় লাভ কেমন ?
বর্তমানে বাজারে একেকটি প্রিন্টিং টি-শার্ট প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে । তবে টি-শার্টের দাম সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রিন্টিং ডিজাইন , কোয়ালিটি এবং কাপড়ের কোয়ালিটির উপর ।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কাপড়ের কোয়ালিটি মোটামুটি হলেও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে ভালো মূল্য পাওয়া যায় ।
অন্যদিকে আপনি যদি অনলাইনে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে টি-শার্ট বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০০ – ৪০০ টাকা দামে টি-শার্টগুলো বিক্রি করতে পারবেন ।
তাই টি-শার্ট ব্যবসাটি যদি মনোযোগ সহকারে ভালোভাবে করা যায় তা হলে ভালই লাভ রয়েছে ।
আপনি যদি একদম ছোট পরিসরে ঘরে বসেই এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে প্রতি মাসে আপনি টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করে ৩০ থেকে ৪০হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
উদাহরণস্বরূপ : একটি প্লেইন টি-শার্ট পাইকারি বাজার থেকে যদি ৮০টাকায় কিনেন এবং প্রিন্টিং খরচ বাবদ কমপক্ষে যদি ২০ টাকা খরচ হয় তাহলে টি-শার্ট বাজারে সেটি যদি ২০০ টাকাও বিক্রি করেন তখনও আপনার ১০০ টাকা লাভ থাকবে ।
এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিমাসে ৫০০পিস টি-শার্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে সকল খরচ বাদ দিয়েও মাস শেষে প্রায় ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে ?
অন্যান্য ব্যবসার মতো টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে । যেমন :
- মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে ।
- শুরুর দিকে আশানুরূপ বিক্রয় বা সেলস নাও হতে পারে ।
- টি-শার্টের কোয়ালিটির উপর এবং ডিজাইনের উপর কড়া নজর রাখতে হবে ।
- পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করার সময় কম মূল্যে ভালো মানের কাপড় সিলেক্ট করতে হবে ।
- প্রতিযোগীদের সাথে কম্পিটিশন করার জন্য কাপড়ের কোয়ালিটি , ডিজাইন এবং সাবলীলভাবে মার্কেটিং করতে হবে । অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা হলে প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
- সঠিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে । যেমন : কারা আপনার টি-শার্ট পড়বে , টি শার্টের দাম কত রাখা উচিত , কি ধরনের ডিজাইন টিশার্টে ব্যবহার করা উচিত , কোথায় টি-শার্টের মার্কেটিং করা উচিত ইত্যাদি উপায়ে ব্যবসার বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে ।
পরিশেষে
আজকের আর্টিকেলটিতে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে A To Z নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।
এবং টি-শার্ট বিক্রির জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে ।