ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসার ব্যবসায় আইডিয়া

আপনি যদি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ইলেকট্রনিক্স পণ্য সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। এবং পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ব্যবসার আইডিয়া নিয়েই আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে ।

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সমূহগুলো হল যেমন: টিভি, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক পাখা, বৈদ্যুতিক বাল্ব, কম্পিউটার, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার মেশিন, আয়রন, ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস এখন বাজারে অনেক জনপ্রিয়।

 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রনিক্স জিনিস ছাড়া কল্পনা করতে পারিনা।যদিও আমাদের চারপাশের বাজারে অনেক প্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ।

 

তবুও নিজে যদি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি হতে পারে আপনার জন্য দারুন একটি আইডিয়া ।

 

তবে এই ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনাকে ভাল ধারণা রাখতে হবে তা আমরা আজ আলোচনা করব। 

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত:

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার নিয়মসমূহ:

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা সাধারণত আপনি দুইভাবেই করতে পারবেন। 

 

  • ডিলারশিপ ব্যবসা
  • খুচরা পণ্য বিক্রির ব্যবসা

 

ডিলারশিপ ব্যবসা বলতে বোঝায় কোন একটা নির্দিষ্ট কোম্পানির পণ্যের বিক্রি ও বন্টন এর দায়িত্ব গ্রহণ। এবং এর জন্য সে নির্দিষ্ট কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।

 

তবে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে খুচরা পণ্য বিক্রির ব্যবসাটি শুরু করাই উত্তম। খুচরা  ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে।

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার ধাপ সূমহ:

 

 ১/ ব্যবসায় পরিকল্পনা ( Business plan )

 

আমরা জানি যে কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকান দেওয়ার আগে সুযোগ-সুবিধা এবং সবদিক দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

 

লাভ-ক্ষতির বিষয় মাথায় রাখতে হবে আর সবচেয়ে বড় কথা ইলেকট্রনিক্স জিনিস সম্পর্কে আপনাকে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। বলা হয়ে থাকে একটি সুষ্ট পরিকল্পনা একটি কাজের ৬০% সম্পন্ন করে থাকে ।

 

 ২/ ইলেকট্রনিক ব্যবসার জন্য কত টাকা মূলধন প্রয়োজন

 

শুরুতে স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রথমে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে।

 

তবে এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টাকার ব্যবস্থা পূর্বেই করে রাখতে হবে ।

 

দোকান ভাড়া থেকে শুরু করে পাইকারিভাবে পণ্য ক্রয়, দোকান সাজানো, স্টোররুম রাখা, মার্কেটিং করা এবং যদি কোন কর্মচারী নিযুক্ত করা হয় এসব কিছুর জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত অর্থ মজুদ রাখতে হবে।

 

তবে যদি নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভব না হয় তাহলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিজনেস লোন নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। যেমন: গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ইত্যাদি বিজনেস লোন দিয়ে থাকে। 

 

৩/ দক্ষতা ( ‍Skill )

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে ইলেকট্রনিক্স জিনিসগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। গ্রাহকরা যখন আপনার দোকানে যে কোন ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে আসবে।

 

সেই পণ্য সম্পর্কে তাদের একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে না পারলে গ্রাহক এই পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে না। তাই ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখতে হবে। 

 

৪/  ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা এর নাম

 

যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে সে ব্যবসার একটি সুন্দর নাম বাছাই করতে হবে। এবং নামটি হতে হবে ছোট ও আকর্ষণীয়। 

 

যাতে করে আপনার দোকানের নাম শুনলেই যেন বোঝা যায় দোকানটিতে কি ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হতে পারে। তাই অবশ্যই ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সুন্দর একটি নাম নির্ধারণ করুন। 

 

 ৫/ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ( License )

 

যেকোনো ব্যবসার শুরুতেই লাইসেন্স করা জরুরি। লাইসেন্স করা থাকলে একটা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সবদিক থেকে সুরক্ষিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত ১৮ বছর বয়সি যে কেউ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে।

 

এক্ষেত্রে শহরের অবস্থান হলে সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়াও জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও লাইসেন্স সংগ্রহ করা যায়।

 

Read More ,,


 

এবং এলাকাভিত্তিক আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে।

 

৬/ ইলেক্ট্রনিকস ব্যবসার জন্য জায়গা নির্বাচন 

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার আগে একটি উপযুক্ত জায়গা বা স্থান বাছাই করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। আপনি যদি উপযুক্ত স্থানে দোকান দিতে পারেন তাহলে ব্যবসায় দ্রুত উন্নতি হয়।

 

স্থান বাছাই করতে হবে এমন জায়গায় যেখানে বাজার রয়েছে এবং মানুষজনের আনাগোনা বেশি ও যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে । 

 

৭/ ইলেকট্রনিক ব্যবসার জন্য পণ্য সোর্স ও পাইকারি মার্কেট

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট হল ঢাকার নবাবপুর এলাকায়। সেখানে কয়েক হাজার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পাইকারি দোকান রয়েছে এবং তারা পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে।

 

ঢাকার নবাবপুর এলাকায় ইলেকট্রনিক্স এর পাইকারি মার্কেটে তুলনামূলক কম দামে পণ্য পাওয়া যায়।

 

এছাড়াও অন্যান্য বড় বড় যেসব মার্কেটগুলো রয়েছে যেমন: গুলসান ডিসিসি মার্কেট, মোহাম্মদপুর এলাকার টাউন হল মার্কেট এসব জায়গায়ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পাইকারি দোকান রয়েছে।

 

আপনি যদি সরাসরি যেসব কোম্পানিগুলো ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রীগুলো তৈরি করে তাদের কাছ থেকে ক্রয় করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে।

 

৮/  ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ে টার্গেট গ্রাহক খোজাঁ

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে গ্রাহকদের পছন্দ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। একজন ব্যবসায়ী যদি সঠিকভাবে গ্রাহককে বুঝতে পারে তাহলে তার সাথে লেনদেন করা খুব সহজ হবে ।

 

কাস্টমাররা যদি একটি বিশেষ বয়সের হয়ে থাকে তাহলে সে বয়সের কাস্টমারদের কোন কোন পণ্য সামগ্রীগুলো পছন্দ সেই সব পণ্য দিয়ে আপনার দোকানটিকে সাজাতে হবে।

 

তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক ধরনের পণ্য সামগ্রী দিয়ে দোকান না সাজিয়ে সবধরনের পণ্য দিয়ে দোকান সাজালে কাস্টমাররা বেশি আকৃষ্ট হবে।

 

অনেক সময় দেখা যায় কাস্টমাররা একটি পণ্য কিনতে এসে অন্য আরেকটি পণ্য পছন্দ করে পরবর্তীতে সেটিও ক্রয় করে নিয়ে যায়।

 

আপনাকে মনে রাখতে হবে ইলেকট্রনিক্স সব ধরনের পণ্যগুলো দিন দিন আপডেট হয়। তাই সব ধরনের আধুনিক ও উন্নত মানের পণ্যসামগ্রী দিয়ে আপনার দোকানটিকে সাজাতে হবে।

 

একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্য যেটির মধ্যে সবগুলো সুবিধা রয়েছে এবং যেটি অনেকদিন স্থায়ী হবে এমন ধরনের পণ্য সামগ্রীগুলো কাস্টমাররা বেশ পছন্দ করে থাকে।

 

তাই আপনাকে কাস্টমারদের এসব পছন্দ মাথায় রাখতে হবে সাথে সাথে গ্রাহকদের বাজেট সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।

 

আপনার ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসায় পরিচিতি বৃদ্ধি করুন

 

ব্যবসা শুরু করার পর অবশ্যই আপনার ব্যবসায়ের পরিচিতি ও পরিধি বাড়াতে হবে। যত বেশি প্রচার হবে পণ্য সামগ্রীগুলো ততো বেশি বিক্রি হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পত্র-পত্রিকায় মার্কেটিং করে থাকেন। 

 

এবং অনেকে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট ও পোস্টার দিয়ে ব্যবসার প্রচারণা করে থাকে। নতুন ব্যবসা শুরু করার পর বিভিন্ন অফারের বা ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

 

এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসা বা যেকোনো  কিছুরই প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি করা ব্যাপক সহজ হয়ে উঠেছে। 

 

তাই আপনি চাইলে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে অথবা সুন্দর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে  আপনার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ছবি ও বিবরণী তুলে ধরতে পারেন। 

 

Read More ,,

 

 

 

বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে এবং সময়ে স্বল্পতার কারণে অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করা বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ অনুভব করছে।

 

তাই আপনি ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসায়ের পরিধি এবং পরিচিতি খুব সহজে  বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

 

শোরুম দিয়ে টিভি ফ্রিজের ব্যবসা ২০২২

 

বিভিন্ন বড় বড় ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্টান ও কোম্পানী থেকে ডিলারে বা খুচরা আকারে টিভি ফ্রিজ নিয়ে এসে ব্যবসা করতে পারেন । 

 

শোরুম দিয়ে ওয়ালটন , যমুনা , ভিশন , স্কয়ার ইলেকট্রনিক্সের প্রোডাক্টগুরো বিক্রি করতে পারেন । এবং এর পাশাপাশি বাহিরের দেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করতে পারেন ।

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা মুনাফা কেমন?

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রীগুলোর দাম বাজারে উঠানামা করে। আপনি যদি সঠিক উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে যতবেশি ইনভেস্ট করতে পারবেন ততো বেশি মুনাফা করা সম্ভব হবে।

 

এক্ষেত্রে আপনি যদি ৫-১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেন তাহলেই অনায়াসে মাসে ৩০-৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এবং আয় বা লাভ অবশ্যই আপনার বিক্রির উপর নির্ভর করবে।

 

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তালিকা

 

  • এনার্জি বাল্ব, 
  • চার্জার লাইট, 
  • সিলিং ফ্যান, 
  • টেলিভিশন ,
  • ফ্রিজ, রাইস কুকার, 
  • ব্লেন্ডার মেশিন, আইরন ,
  • ওয়াশিং মেশিন, হিটার, 
  • এয়ার কন্ডিশনার, 
  • এয়ার কুলার, 
  • পানির ফিল্টার, 
  • আইপিএস, 
  • মাইক্রোওয়েভ, 
  • ক্যামেরা, 
  • রুম হিটার,  
  • স্পিকার, 
  • কম্পিউটার সেট, ইত্যাদি।

 

শেষ কথা – Conclusions

 

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত একটি আলোচনা। আমরা আমাদের জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমানে ইলেকট্রনিক্সের পণ্য সামগ্রী অধিকহারে ব্যবহার করে থাকি।

 

তাই এদিক থেকে বিবেচনা করে বলা যায় যে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের  ব্যবসাটি  বর্তমানে অধিক চাহিদাযোগ্য ও লাভজনক একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে।

 

তাই যাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন রয়েছে বিনিয়োগ করার মতো তারা চাইলে এই লাভজনক ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের ঘরে আমাদের জানাবেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ। 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

One thought on “ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করার দারুন আইডিয়া ২০২৩”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *