অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটসহ হাজার হাজার উপায় রয়েছে তবে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও র্কাযকরী একটি উপায় হচ্ছে ওয়েবসাইটে কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা ।
আজকের আর্টিকেলে বন্ধুরা আপনাদের সাথে এমন ১৫টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এর সাথে পরিচয় করে দিব যেখান থেকে আপনি লাইফটাইম ডলার ও টাকা আয় করতে পারবেন ।
আজকের আর্টিকেলে আমরা কিছু বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট এবং কিছু ইন্টারন্যাশনাল অর্থাৎ ডলার ইনকাম করার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করব ।
আজকের আর্টিকেলটি শুরু করার পূর্বে আপনাকে বলে দিতে চাই ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোনো নিদিষ্ট কাজের উপর নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে হবে ।
মূলত আপনি যে কাজটি সম্পর্কে দক্ষ সেই সার্ভিস ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে প্রদান করতে পারেন । এবং সার্ভিস চার্জ হিসেবে আপনি ডলার বা টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই ওয়েবসাইটগুলো থেকে ।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডলার ও টাকা ইনকাম করতে যা যা প্রয়োজন :
- ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন ।
- বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীলভাবে কমিউনিকেশন করার মতো দক্ষতা ।
- নির্দিষ্ট কোনো একটি কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে ।
যেমন : ওয়েব ডিজাইন , গ্রাফিক ডিজাইন , ডিজিটাল মার্কেটিং , এসইও , টাইপিং স্কিল , ডাটা এন্ট্রি কাজ , ডাটা এনালাইসিস ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে আপনি এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
- ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করার পূর্বে নিজের একটি ইমেইল অথবা জি-মেইল এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে । পরবর্তীতে সার্ভিসগুলোকে সুন্দরভাবে প্রোফাইলে সাজিয়ে রাখতে হবে ।
এবার চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক কিছু বিশ্বস্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইট যেখানে আপনি সার্ভিস প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ডলার ইনকাম করার ওয়েবসাইট ২০২২
ডলার হচ্ছে একটি ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি । এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা । আমাদের বাংলাদেশের মুদ্রাকে বলা হয় টাকা । ডলারের প্রতি আমাদের এত বেশি আগ্রহের কারণ হচ্ছে টাকার তুলনায় ডলারের মূল্য অনেক বেশি ।
তাই অল্প ডলার আয় করলেও তা টাকাতে কনভার্ট হয়ে আমাদের জন্য ভালো একটি এমাউন্ট হিসেবে তৈরি হয় । যার কারণে আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে ডলার আয় করা অনেক বড় একটা স্বপ্নের মত ।
আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আপনাদের সাথে বিশ্বস্ত কিছু ডলার আয় করার ওয়েবসাইট এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব । তাহলে চলুন বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক ।
১/ ফাইবার – Fiverr

ফাইবার হচ্ছে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস । বিশেষত এটিকে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে বলা হয়ে থাকে । ২০১০ সালে ইসরাইলের একটি কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে ।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ফাইবার তাদের যাত্রা শুরু করার দু’বছরের মধ্যেই প্রায় ৩০ লক্ষ সার্ভিস বা ডিল সম্পাদন করেন ।
ফাইবার ডটকম এই ওয়েবসাইটে আপনি অনলাইনে বিক্রি করা যায় বা সার্ভিস দেওয়া যায় এমন যেকোন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে ফাইবার সবচেয়ে জনপ্রিয় অবস্থানে রয়েছে । Similarweb এর তথ্য মতে বর্তমানে ফাইবার ডটকম প্রতি মাসে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন ট্রাফিক পাচ্ছে ।
ফাইবার ডট কমে আপনি যে যে সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন তা হল :
- ভিডিও এডিটিং ।
- গ্রাফিক ডিজাইন ।
- ওয়েব ডিজাইন ।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ।
- ডাটা এন্ট্রি কাজ ।
- এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ।
- কনটেন্ট রাইটিং ।
- বিজনেস কনসাল্টিং ও অ্যানালিটিকস ।
- প্রোগ্রামার ।
- লাইফস্টাইল পরামর্শক ও প্ল্যানার ।
ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে আপনি এই বিশাল বড় মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটটি থেকে ডলার আয় করতে পারবেন । ফাইবারের তথ্যমতে প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ৪টি ডিল বা লেনদেন সম্পন্ন হয় ।
তাহলে বন্ধুরা নিশ্চয় ধারণা করতে পারছেন ফাইবার ডটকম ওয়েবসাইটটি অনলাইন থেকে ডলার বা টাকা আয় করার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেটপ্লেস ।
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসাবে আমার কাছে সেরা একটি উপায় হলো ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করা ।
আমাদের বাংলাদেশের বিশাল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সাথে জড়িত একটা অংশ এই ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করছে ।
তবে ফাইবার ডটকম থেকে ডলার আয় করার পূর্বে অবশ্যই আপনার নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে । ইতিমধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রচুর মানুষ যুক্ত হচ্ছে যার কারণে দিন দিন এর প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছে ।
নিজেকে একটি নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ করার পাশাপাশি আপনাকে ফাইবার ডটকম মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও খুঁটিনাটি ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে । ফাইবার ডটকম এই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি জানতে আপনি এই ফাইবার সাকসেস কোর্সটি করতে পারেন ।
২/ আপওয়ার্ক – Upwork

ফাইবার ডটকমের মত আপওয়ার্কও হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং ওয়েবসাইট ।
যেখানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভিস যেমন : ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন , ওয়ার্ডপ্রেস, এসইও অপটিমাইজেশন, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
এটিও অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসাবে দারুন একটি উপায় ও প্লাটফর্ম ।
ফাইবারের তুলনায় আপওয়ার্কে প্রফেশনাল বায়ার পাওয়া যায় । যার ফলে এখানে কাজ করে বা সার্ভিসিং দিয়ে ফাইবারের তুলনায় অধিক অর্থ উপার্জন করা যায় ।
আপওয়ার্কে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য বায়ার আপনাকে ঘণ্টাপ্রতি অথবা ফিক্সড প্রাইসে কাজ করাতে পারে । এর পূর্ব নাম ছিল ওডেস্ক ডটকম যা বর্তমানে আপওয়ার্ক ডটকম হিসেবে পরিচিত ।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে আমরা জানতে পেরেছি আপওয়ার্কে বর্তমানে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় এক কোটি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে । এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালে ক্যাম্পবেল ক্যালিফোর্নিয়াতে ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে । তাই আপনি নির্দ্বিধায় অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাইলে আপওয়ার্কে একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন ।
৩/ ফ্রিল্যান্সার – Freelancer

ফ্রিল্যান্সার ডটকমও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট । এখানেও আপনি উপরে দেওয়া ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মত সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন ।
ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এই সাইটটি অত্যন্ত জনপ্রিয় । এটি ফাইবারের তুলনায় কম চার্জ কেটে থাকে । সাধারণত ফ্রিল্যান্সার ডটকম ফ্রিল্যান্সারদের থেকে ১০% করে কমিশন নেয় ।
তাই একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসাবে পারফেক্ট ।
আরো পড়ুন,,
এই মার্কেটপ্লেসে আপনি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার তৈরি , ওয়েবসাইট ডিজাইন , গ্রাফিক ডিজাইন , কনটেন্ট রাইটিং , এসইও অপটিমাইজেশন , ডিজিটাল মার্কেটিং , ভিডিও এডিটিং , বিজনেস কনসাল্টিং ইত্যাদি সার্ভিস দিতে পারবেন ।
ফ্রিল্যান্সার ডটকম ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তাদের যাত্রা শুরু করেন ।
তাই অনলাইন থেকে ডলার বা টাকা ইনকাম করার চিন্তা করে থাকলে শুরুতে কোনো একটি কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন । এইসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর কাজ রয়েছে কিন্তু যথাযথ দক্ষতা না থাকলে সফল হওয়াটা প্রায় স্বপ্নের মত ।
৪/ ইউটিউব – Youtube

ইউটিউব ডটকম হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি ওয়েবসাইট ও সেরা টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট । এবং সবচেয়ে বড় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম । ইউটিউব আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে ২০০৫ সালের ১৪ তারিখ তাদের যাত্রা শুরু করে ।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করলেও বর্তমানে এটির মালিক গুগোল । ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে গুগোল ১.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ইউটিউব ক্রয় করে নেয় ।
এই ইউটিউব ওয়েবসাইট টিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব ।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে কি করতে হবে ?
- একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে ।
- চ্যানেলটি থেকে ইনকাম এর জন্য ইউটিউবে মনিটাইজেশন পলিসি ফলো করতে হবে । ইউটিউব এর বর্তমান শর্ত অনুযায়ী মনিটাইজেশন পেতে হলে আপনাকে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১,০০০ সাবস্ক্রাইব অর্জন করতে হবে ।
- এরপর আপনি আপনার চ্যানেলটিকে মনিটাইজেশন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
- এছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি , স্পনসর করেও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন ।
একটি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় তার সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ভিডিওটি দেখুন ।
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যায় ?
একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে কেউ প্রতিমাসে ১,০০০ ডলার আয় করছে আবার অন্য কেউ ১০,০০০ ডলারও আয় করছে । অর্থাৎ ইউটিউব চ্যানেল থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলো কি পরিমান মানুষ দেখছে এবং কোথায় থেকে দেখছে তার ওপর ।
যত বেশি পরিমাণ মানুষ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখবে আপনার ইনকাম ততবেশি হবে ।
ইউটিউব প্রায় ৬৮% টাকা বা ডলার ভিডিও পাবলিশারদের দিয়ে থাকে এবং বাকি ৩২% ইউটিউব নিয়ে থাকে ।
তবে আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় এবং ইউরোপ ও আমেরিকান দেশগুলোকে টার্গেট করে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে আপনি অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ফোর্বস এর তথ্য মতে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোকে টার্গেট করে ভিডিও তৈরি করলে প্রতি ১মিলিয়ন ভিউজ থেকে আপনি প্রায় $৫,০০০ ডলার র্পযন্তও ইনকাম করতে পারবেন ।
অন্যদিকে আপনি যদি বাংলায় ইউটিউব চ্যানেল করে থাকেন সেক্ষেত্রে ইংরেজি চ্যানেলের চেয়ে তুলনামূলক খুবই কম ইনকাম করতে পারবেন ।
বি: দ্র: ইউটিউব ভিউজ এর উপর নির্ভর করে কোন অর্থ প্রদান করে না । ইউটিউব অর্থ প্রদান করে তাদের বিজ্ঞাপন কতজন দেখেছে এবং আগ্রহ প্রকাশ করে ক্লিক করছে তার ওপর ।
৫/ ফেসবুক – Facebook

ফেইসবুক ডটকম হচ্ছে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্যাটাগরির মধ্যে facebook.com সবার শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে ।
এবং ইউটিউবের মতো ফেসবুকও সেরা একটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ।
ফেইসবুক তাদের ব্যবহারকারীদের টাকা ইনকাম করার সুযোগ করে দিয়েছে । বর্তমানে যে কেউ চাইলে একটি ফেইসবুক পেইজ তৈরি করে সেই পেইজে মনিটাইজেশন অন করে অর্থোপার্জন করতে পারবে ।
ফেইসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ?
1.একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে ।
2.পেইজটিতে মিনিমাম ৫টি অরিজিনাল অ্যাক্টিভ ভিডিও থাকতে হবে ।
3.পেইজে কোন ধরনের পলিসি প্রবলেম থাকা যাবে না ।
4.পেইজটিকে ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করার পূর্বে দুই মাসের মধ্যে ৬ লক্ষ মিনিট ওয়াচটাইম পূরণ করতে হবে ।
5.পেইজে অবশ্যই ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে ।
তাহলেই ফেসবুক মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করা যাবে । এবং মনিটাইজেশন অ্যাপ্রুভ হলে সেই ফেসবুক পেইজ থেকে ভিডিও পাবলিশ করে টাকা ইনকাম করা যাবে ।
একটি ফেসবুক পেইজ কিভাবে তৈরি করতে হয় তার সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখুন ।
৬/ থিমফরেস্ট – Themeforest.net

থিমফরেস্ট ডট নেট হচ্ছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় টেমপ্লেট ও সফটওয়্যার বিক্রির মার্কেটপ্লেস ও ওয়েবসাইট । এই মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করার সফটওয়্যার পাবেন ।
ওয়েবসাইট তৈরি করার অত্যন্ত জনপ্রিয় সফটওয়্যার wordpress-এর হাজার হাজার থিমস ও প্লাগইন এই মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায় ।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অডিও, ভিডিও, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন টেমপ্লেট এই মার্কেটপ্লেসে ক্রয়-বিক্রয় করা হয় ।
আপনি অনলাইন থেকে স্থায়ী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট খুজেঁ থাকেন তাহলে থিমফরেস্ট বেস্ট অপশন আপনার জন্য ।
থিমফরেস্ট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ?
1.নিজের তৈরিকৃত সফটওয়্যার , টেমপ্লেট , ও অডিও – ভিডিও বিক্রি করা ।
2.একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে থিমফরেস্টর প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করে দিয়ে কমিশন লাভ করা ।
থিমফরেস্টকে কাজে লাগিয়ে ফখরুল ভাই কিভাবে ৫০ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তা জানতে এই ভিডিওটি দেখুন ।
৭/ Teespring
টিস্প্রিং হল একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার ডিজাইনকৃত টি-শার্ট আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন ।
আমার কাছে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে এই সাইটটি খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে ।
টিস্প্রিং মূলত আপনার ডিজাইনকৃত টিশার্টটি তাদের স্টরে বা শপে প্রদর্শন করে থাকে এবং কেউ যদি আপনার ডিজাইনকৃত টি-শার্টটি অর্ডার করে তখন টিস্প্রিং সেটি তৈরি করে কাস্টমারকে ডেলিভারি দিয়ে থাকে ।
আরো পড়ুন,,
এবং সেই সাথে টিস্প্রিং আপনাকে একটি কমিশন দিয়ে থাকে । টিস্প্রিং কি পরিমাণ কমিশন দিয়ে থাকে তার একটি স্ক্রীনশট দেওয়া হল ।

৮/ Amazon

Amazon.com হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জায়ান্ট এবং বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান । অ্যামাজন ডটকমে বর্তমানে প্রায় এক কোটির উপর প্রডাক্ট রয়েছে ।
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পণ্য ও সেবা তারা ক্রয়-বিক্রয় করছে । বৃহৎ এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি সকলের জন্য একটি আয়ের উপায়ও তৈরি করে দিয়েছে ।
অর্থ্যাৎ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসেবে আপনি বিশ্বের সেরা ইকর্মাস প্রতিষ্টানকে কাজে লাগাতে পারবেন । [ ব্যাপারটা আসলেই দারুন ]
বর্তমানে যে কেউ চাইলে পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে একটি ইন্টারনেট কানেকশনযুক্ত কম্পিউটার ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজনের সাথে পার্টনারশিপে ব্যবসা করতে পারবে ।
অ্যামাজন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় ?
1.অ্যামাজনে নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারবেন ।
2.অ্যামাজনের প্রোডাক্টগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও কমিশন লাভ করতে পারবেন ।
বর্তমানে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বিষয় । এটি সারাবিশ্বে বর্তমানে একটি ট্রেন্ডিং ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে । অ্যামাজনের প্রচুর জনপ্রিয়তার কারণে সহজেই তাদের পণ্যগুলো মার্কেটিং করে বিক্রি করা যায় ।
অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন হতে কি কি প্রয়োজন ?
- অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে । এবং
- সেই ওয়েবসাইটে যে প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তা নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে ।
- ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমাণ আর্টিকেল পাবলিশ ও ডিজিটাল আসতে থাকলে তখন আপনি অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন ।
- পরবর্তীতে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিকে ফলোআপ করে অ্যাপ্রভাল দিলে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন ।
Amazon.com বর্তমানে তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সর্বোচ্চ ১০% কমিশন দিচ্ছে । তবে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর উপর নির্ভর করে কমিশনের পার্সেন্ট । তুলনামূলক দামি প্রোডাক্টগুলোতে বেশি কমিশন পাওয়া যায় ।
৯/ Bluehost

Bluehost .com ওয়েবসাইটটি হচ্ছে একটি হোস্টিং সেলার সাইট । ইন্টারনেটে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নতুন ওয়েবসাইট যুক্ত হচ্ছে ।
ছোট – বড় সকল প্রতিষ্ঠানে এখন তাদের সেবা ও পরিষেবাগুলোকে অনলাইনমুখী করার চেষ্টা করছে । তাই সকলেই এখন নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছে ।
আর একটি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো হোস্টিং । হোস্টিং ছাড়া কখনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব নয় । হোস্টিং হচ্ছে আমাদের মোবাইলে থাকা মেমোরি বা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর মত ।
যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছবি , অডিও , ভিডিও , লিখা ইত্যাদি মজুত থাকে । একটি ওয়েবসাইটে যেসকল ডিজাইন , ছবি , লিখা , অডিও , ভিডিও আমরা দেখতে পাই তার সবকিছুই হোস্টিংয়ে মজুত
থাকে ।
তাই একটি ভালো হোস্টিং ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন । Bluehost হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি হোস্টিং কোম্পানি ।
তাই টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট খুজেঁ থাকলে এখুনি Bluehost এর অ্যাফিলেয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে নিন ।
Bluehost থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ?
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে Bluehost থেকে টাকা ইনকাম করা যায় ।
- Bluehost থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে যেখানে হোস্টিং সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা বা আর্টিকেল থাকবে । ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে ।
- পরবর্তীতে তাদের একটি প্রোগ্রামের যুক্ত হতে হবে ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা করা হয়েছে । আপনারা ইতিমধ্যে মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আমরা অনেকেই অনেক ধরনের প্রোডাক্ট সিলেক্ট করে থাকি । তবে আমার কাছে সবসময় আফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল প্রোডাক্টগুলোকেই লাভজনক মনে হয় ।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলোতে ডেলিভারি করার কোন ঝামেলা থাকেনা ।
পেমেন্ট করার সাথে সাথেই কাস্টমার তার ডিজিটাল প্রোডাক্টটি ডাউনলোড করে নিতে পারে ।
এছাড়াও ডিজিটাল প্রডাক্টে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এর তুলনায় অনেক বেশি কমিশন পাওয়া যায় । এর কারণ হচ্ছে এখানে বারবার প্রোডাক্ট তৈরি করতে হচ্ছে না ।
কারণ ডিজিটাল প্রোডাক্ট একবার তৈরি করলে সেটিকে বারবার ব্যবহার করা যায় ।
আরো পড়ুন,,
এছাড়াও এটি ডেলিভারি করার জন্য কোন ধরনের খরচ পোহাতে হয় না । যার ফলে এই ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলো থেকে প্রোডাক্টের মালিকরা যেমন অধিক লভ্যাংশ পায় তেমনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রচুর কমিশন পায় ।
১১/ নিজের ব্লগ সাইট
বন্ধুরা এতক্ষণ পর্যন্ত যতগুলো ওয়েবসাইট নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো তার সবকটি হলো অন্যান্যদের ওয়েবসাইটকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা পদ্ধতি ।
কিন্তু নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারলে কেমন হয় ?
জি,বন্ধুরা আপনি চাইলে নিজের একটি ব্লগ ও ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । আর টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট না খুজেঁ নিজেই নিজের বস হয়ে যান ।
নিজের ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
1.বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ককে ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করে ।
2.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ।
3.প্রোডাক্ট বিক্রি করে ।
4.বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্র্যান্ড প্রমোশন করে ।
5.ব্যাকলিংক বিক্রি করে ।
আরো নানান উপায় অবলম্বন করে নিজের ব্লগ সাইট থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন । কিভাবে ফ্রিতে প্রফেশনাল একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা জানতে এই ভিডিওটি দেখুন ।
ইউটিউব , ফেইসবুক বা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেয়ে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করাই সবচেয়ে বেস্ট আমি মনে করি ।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে , ইউটিউব , ফেইসবুক ও মার্কেটপ্লেসগুলো অন্যদের ওয়েবসাইট হওয়ার কারণে যেকোন সময় ব্লক খাওয়া বা রেস্ট্রিকশন এর মত ঝামেলায় পড়তে হয় ।
তাই আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী ইনকামের উপায় গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং করুন ।
ব্লগিংয়ে সফল হতে হলে আপনাকে এসইও ( SEO ) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে । ইউটিউবে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর উপর প্রচুর ভিডিও রয়েছে ।
এছাড়াও একটি আর্টিকেলকে রেঙ্ক করাতে কি কি ফ্যাক্টর কাজ করে থাকে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ব্যাকলিংকোর এই আর্টিকেলটি পড়ুন ।
বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ২০২২
বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার অন্যতম ২টি ব্লগ ওয়েবসাইট হলো : Goafta.com এবং Ordinaryit.com । উপরে এতক্ষণ বন্ধুরা আপনাদের সাথে অনেকগুলো ইন্টারন্যাশনাল টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করলাম ।
কিন্তু আপনাদের মধ্যে অনেকেই টাকা আয় করার বাংলাদেশী ওয়েবসাইট সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন ।
এছাড়াও অনেকেই পেমেন্ট মেথড জটিলতার কারণে বাংলাদেশী টাকা ইনকার করার সাইট খোজঁ করছিলেন ।
আর তাদের জন্যই ২টি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট নিচে দেওয়া হল । তাহলে চলুন বাংলাদেশী টাকা আয় করার ওয়েবসাইটগুলো দেখে নেওয়া যাক ।
১২/ অর্ডিনারী আইটি

অর্ডিনারি আইটি হল একটি বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইট যেখানে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
তারা প্রায়ই তাদের ওয়েবসাইটের জন্য বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটারদের ভাড়া করে থাকে । তারা মূলত মাসিক হিসেবে কনটেন্ট রাইটারদের বেতন দিয়ে থাকে ।
আপনি যদি ভালো লিখালিখি করে থাকেন বা লেখালেখি করা যদি আপনার শখের কাজ হয়ে থাকে তাহলে এই শখের কাজটিকে কাজে লাগিয়ে অর্ডিনারী আইটি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
বাংলাদেশী টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট হিসাবে এটি খুবই বিশ্বস্ত ।
১৩/ Goafta.Com

Goafta.Com হচ্ছে একটি বাংলাদেশী অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট । এই ওয়েবসাইটে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
এই ওয়েবসাইটটি প্রতি ২টি আর্টিকেল লেখার পর পর টাকা দিয়ে থাকে । আপনি যদি লেখালিখিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন বা একজন লেখক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে Goafta.Com ওয়েবসাইটে ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
বিশেষ করে আপনি যদি ব্যবসার আইডিয়া, টেকনোলজি ও জব টিপস সম্পর্কে ভালো লেখালিখি করতে পারেন তাহলে আপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।
এই ওয়েবসাইটটি থেকে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট নিতে পারবেন । আর্টিকেল রাইটার হিসাবে কাজ করতে যোগাযোগ করুন এই পেইজ থেকে ।
পরিশেষে – Conclusions
বন্ধুরা , আজকের “ টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ” আর্টিকেলটিতে ১৩টি দারুন ওয়েবসাইটের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে । আজকের লিস্টে দেওয়া প্রতিটি ওয়েবসাইট অত্যন্ত বিশ্বস্ত যেখান থেকে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
আমাদের আজকের লিস্ট এর মধ্য থেকে আপনার কাছে কোন ওয়েবসাইটটি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য সেরা মনে হয়েছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ।
এছাড়াও আপনার জানা বিশ্বস্ত কোন ওয়েবসাইট থাকলে সেটিও কমেন্ট করতে পারেন । আমরা আমাদের আর্টিকেলটিকে আপডেট করার চেষ্টা করব ।