মূলধনের আভিধানিক অর্থ হলো ব্যবসায়ে নিয়োজিত অর্থ বা সম্পদ । এই মূলধনের মধ্যে যেমনি মালিক বা শেয়ারহোল্ডারদের প্রদত্ত অর্থ বা মূলধন থাকে তেমনি অন্যান্য উৎস থেকেও মূলধন সংগৃহীত হতে পারে । তাই কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডার ও অন্যান্যদের নিকট থেকে যে মূলধন সংগ্রহ করে তাকেই যৌথ মূলধনী কোম্পানির মূলধন বলে। উৎস বিচারে কোম্পানির মূলধন দু’ধরনের হয়ে থাকে ।
১. শেয়ার মূলধন (Share capital) : জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রয় করে যৌথ মূলধনী ব্যবসায় যে পুঁজি সংগ্রহ করে তাকে কোম্পানির শেয়ার মূলধন বলে। সাধারণ শেয়ার বিক্রয় করে যে মূলধন সংগৃহীত হয় তাকে সাধারণ শেয়ার মূলধন বলে। আমাদের দেশের কোম্পানিসমূহ সাধারণত সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে এরূপ মূলধন সপ্তগ্রহ করে । তবে অগ্রাধিকার শেয়ার বিক্রয় করেও ক্ষেত্রবিশেষে এ ধরনের মূলধন সংগ্রহ করা হয় ।
২. ঋণ মূলধন (Debt capital): (কোম্পানি তার শেয়ারমালিকদের বাইরে অন্য উৎস থেকে যে অর্থ বা মূলধন সংগ্রহ করে তাকে ঋণ মূলধন বলে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ঋণপত্র বা বগু বিক্রয় করে ঋণ মূলধন সংগ্রহ করে । এর বাইরে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত ঋণ, ব্যবসায় উদ ইত্যাদি কোম্পানির ঋণ মূলধনের উল্লেখযোগ্য উৎস বিবেচিত হয় ।
আরো পড়ুন,,,,,,
➡️যৌথ মূলধনী কোম্পানির বৈশিষ্ট্য ।
➡️যেীথ মূলধনী ব্যবসা কাকে বলে ?
নিয়মিত পড়াশুনার সম্পর্কিত আপডেট পেতে ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ ।