একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা-প্রথম পত্র অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

Table of Contents

১. কোম্পানির সংগঠন বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী সীমিত দায়বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি সংগঠন বলে ।

কোম্পানি সংগঠন আইনের অধীনে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় বিধায় এ ব্যবসায় সহজে ভাঙ্গে না এবং তা চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা লাভ করে । এটি নিজ নামে পরিচিত ও পরিচালিত হয় বিধায় ব্যক্তিক স্বার্থ ও কর্তৃত্ব এখানে মুখ্য হতে পারে না । সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ ও বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ হয় ।

২. কোম্পানির কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা বুঝিয়ে লেখ ।

উত্তর: কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা বলতে ব্যক্তি না হয়েও কোনো কিছুর ব্যক্তির ন্যায় মর্যাদা ও অধিকার লাভকে বুঝায় ।

কোম্পানি সংগঠন ব্যক্তি না হলেও এটি আইন অনুযায়ী কৃত্রিম ও স্বাধীন ব্যক্তিসত্তার মর্যাদা ভোগ করে । ফলে এরূপ প্রতিষ্ঠান নিজ নামে অন্যের সাথে চুক্তি করতে, লেনদেন করতে এবং প্রয়োজনে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে । অন্যরাও একইভাবে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে ।

৩. ব্যবসায়ের আইনগত সত্তা কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: আইনগত সত্তা বলতে আইনের দ্বারা সৃষ্ট ব্যবসায়ের এমন অস্তিত্বকে বুঝায় যার ফলে প্রতিষ্ঠান নিজ নামে অন্যের সাথে পরিচিত হতে, লেনদেন করতে ও সকল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ।

একটা ব্যবসায়ের পৃথক আইনগত সত্তা না থাকলে সর্বত্রই মালিকদেরকে ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে । তাদের দায় অনেক বেশি হয়। মালিক বা মালিকদের অনুপস্থিতি, অসুস্থতা, বিরোধ, ইচ্ছা-অনিচ্ছার কারণে সহজেই প্রতিষ্ঠানের বিলোপ ঘটে। ব্যবসায়ের পৃথক আইনগত সত্তা থাকলে এ সকল সমস্যা সহজেই এড়ানো যায় । তাই ব্যবসায়ের আইনগত সত্তা প্রয়োজন ।

৪. কোম্পানির অস্তিত্ব কোন প্রকৃতির? ব্যাখ্যা কর অথবা, কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: চিরন্তন প্রকৃতির ।

চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে সহজে বিলুপ্ত হয় না এমন অস্তিত্বকে বুঝায় । কোম্পানি সংগঠন অন্যান্য ব্যবসায়ের ন্যায় সহজে বিলুপ্ত হয় না বিধায় আইন অনুযায়ী এ ব্যবসায় চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা ভোগ করে । পৃথক ও স্বাধীন সত্তার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের মৃত্যু, দেউলিয়াত্ব, শেয়ার হস্তান্তর ইত্যাদি এ ব্যবসায়ের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে না । আইনগত আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই এরূপ ব্যবসায়ের বিলোপ ঘটে । যা বাস্তবায়ন জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

৫. কোম্পানি সংগঠনে নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দ ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর: কোম্পানির নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দের ব্যবহার এর শেয়ারহোল্ডারগণের ‘সীমিত দায়’ নির্দেশ করে ।

মালিকদের অসীম দায়- এর অসুবিধা থেকে বের করে আনতেই কোম্পানি সংগঠনের উদ্ভব । এরূপ সংগঠন পৃথক ও স্বাধীন সত্তার অধিকারী। ফলে সকল দায়-সম্পত্তির মালিক কোম্পানি। তাই শেয়ারহোল্ডারদের দায় যে সীমিত সেটি বুঝাতেই কোম্পানির নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দ ব্যবহৃত হয় ।

৬. বাংলাদেশ বিমান কোন ধরনের কোম্পানি? ব্যাখ্যা কর অথবা, বিধিবদ্ধ কোম্পানি বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: বাংলাদেশ বিমান বিধিবদ্ধ কোম্পানি ।

দেশের আইনসভা, সংসদ বা প্রেসিডেন্টের বিশেষ অধ্যাদেশবলে গঠিত ও নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিকে বিধিবদ্ধ কোম্পানি বলে। দেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বা জনকল্যাণমূলক কার্য সাধনের লক্ষ্যে এরূপ কোম্পানি গঠন করা হয় । আমাদের দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বিআরটিএ, বিসিআইসি, ওয়াসা ইত্যাদি এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ ।

৭. হোল্ডিং কোম্পানি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান কেন? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর : যদি কোনো কোম্পানি অন্য কোনো কোম্পানির ৫০ ভাগ এর অতিরিক্ত ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হয় বা অধিকাংশ পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা ভোগ করে তবে তাকে হোল্ডিং কোম্পানি বলে ।

এরূপ কোম্পানির অধীনে কতকগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি থাকে। উক্ত কোম্পানিসমূহের ৫০% এর অধিক শেয়ারের মালিক হয় হোল্ডিং কোম্পানি। ফলে পরিচালক নির্বাচন ও পরিচালনায় কোম্পানিটির একক কর্তৃত্ব বজায় থাকে । তাই মূলধন ও পরিচালনা সামর্থ্যের দিক বিবেচনায় হোল্ডিং কোম্পানি অনেক বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান ।

৮. মাত্র দু’জন সদস্য নিয়ে কোন ধরনের কোম্পানি গঠন করা যায়? ধারণা দাও। অথবা, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করা যায় ।

যে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ এবং সর্বোচ্চ ৫০ জনে সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের আহ্বান জানানো যায় না তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে । সাধারণত পরিচিতজনদের নিয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূলধন সম্বলিত এরূপ ব্যবসায় গঠিত হলেও এটি আইনসৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী ব্যবসায় সংগঠন।

৯. প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পরিচালনা সহজ কেন? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর : যে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম দুই এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশজনে সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং আইন অনুযায়ী জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের আহ্বান জানাতে পারে না তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে ।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ছোট প্রতিষ্ঠান । এখানে জনগণের শেয়ার কেনার সুযোগ না থাকায় আইনগত বাধ্যবাধকতা পালনে এ কোম্পানিকে আইনে কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ গঠন, হিসাব- পত্রাদি সংরক্ষণ, হিসাব নিরীক্ষণ, নিরীক্ষা রিপোর্ট জমাদান ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কোম্পানি কিছুটা আইনগত সুবিধা পায় । তাই এ কোম্পানির পরিচালনা সহজ ।

১০. প্রইভেট লিমিটেড কোম্পানি তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কেন? 

উত্তর : যে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম দুই এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশজনে সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং আইন অনুযায়ী জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের আহ্বান জানাতে পারে না তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে ।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির তুলনায় কম থাকে । এই কোম্পানি জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ও ঋণপত্র ইস্যু করতে পারে না। তাই তুলনামূলকভাবে এটি ক্ষুদ্রায়তন প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকে ।

১১. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কেন? 

উত্তর: যে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ন্যূনতম সাত এবং সর্বোচ্চ শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য এবং জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের আহবান জানাতে পারে তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে ।পাবলিক লিমেটেড কোম্পানিতে সদস্য সংখ্যা বেশি থাকে । এ ছাড়া এ কোম্পানি ইচ্ছা করলে প্রয়োজনীয় থাকার কাররণে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এরূপ কোম্পানিকে ঋণ দিতেও আগ্রহী থাকে। তাই এরূপ আনুষ্ঠানিকতা মেনে বাজারে নতুন শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করতে পারে । কোম্পানির আর্থিক সামর্থ্য বেশি

প্রতিষ্ঠান বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠে ।

১২. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য কোন দলিল সংগ্রহ বাধ্যতামূলক? ব্যাখ্যা করঅথবা, কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র বলতে কী বুঝায় ?

উত্তর : কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র ।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠনের বেলায় নিবন্ধনপত্র সংগ্রহের পর প্রবর্তকদের কার্যশুরুর জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংগ্রহ করতে হয় তাকেই কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র বলে। এরূপ পত্র সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হয়েছে- এ মর্মে সকল দলিল নিবন্ধকের নিকট দাখিল করতে হয় । নিবন্ধক এতে সন্তুষ্ট হলেই কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র প্রদান করেন। যারপর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাজ শুরু করতে পারে । তাই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য এরূপ দলিল সংগ্রহ বাধ্যতামূলক ।

১৩. পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয় কেন? ব্যাখ্যা কর

উত্তর: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠনের বেলায় নিবন্ধনপত্র সংগ্রহের পর প্রবর্তকদের কার্যশুরুর জন্য নিবন্ধকের নিকট হতে যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংগ্রহ করতে হয় তাকেই কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র বলে । কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র প্রাপ্তি আইনগত আনুষ্ঠানিকতা পালনসাপেক্ষ বিষয়। 

কোম্পানিটি প্রতারণার উদ্দেশ্যে গড়া হয়নি এবং পরিচালকগণ শেয়ারহোল্ডারগণের স্বার্থ রক্ষায় সমর্থ- এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই সরকার এ কোম্পানিকে কাজ করার অনুমতি দেয় । এজন্যই কাজ শুরুতে পাবলিক কোম্পাানিকে এ ধরনের দলিল সংগ্রহ করতে হয় ।

১৪. কোন দলিলকে কোম্পানির সনদ বলা হয় এবং কেন?অথবা, স্মারকলিপিকে কোম্পানির সনদ বা মুখ্য দলিল বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: স্মারকলিপি বা সংঘস্মারককে কোম্পানির সনদ বলা হয় ।

স্মারকলিপি হলো কোম্পানির মূল দলিল, সনদ বা সংবিধান । এতে কোম্পানির নাম, ঠিকানা, উদ্দেশ্য, মূলধন, দায় ও সম্মতির বিষয় সংক্ষেপে লেখা থাকে । এটি কোম্পানির কার্যক্ষেত্র ও ক্ষমতার সীমা নির্দেশ করে । এতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কাজ কোম্পানি সম্পাদন করতে পারে না । করলে তা ক্ষমতা বহির্ভূত কাজ (Ultra vires) হিসেবে গণ্য হয় । সে কারণে একে কোম্পানির সনদ বলে ।

১৫. কোম্পানি পরিচালনার নিয়ম-নীতি সম্পর্কিত দলিলকে কী বলে? ব্যাখ্যা কর । অথবা, সংঘবিধিকে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতির দলিল বলা হয় কেন? 

উত্তর: এরূপ দলিল হলো পরিমেল নিয়মাবলি বা সংঘবিধি ।

কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতির দলিলকেই পরিমেল নিয়মাবলি বা সংঘবিধি বলে ।এতে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-নীতি বিশদ আকারে লিপিবদ্ধ করা হয় । এটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নিয়োজিত পরিচালক ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পর্কের দিক নির্দেশ করে । সেজন্যই একে অভ্যন্তরীণ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতির দলিল বলে ।

১৬. কোন দলিলকে কোম্পানির জন্মসনদ বলা হয় এবং কেন? অথবা, নিবন্ধন পত্রকে কোম্পানির জন্মসনদ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: নিবন্ধন পত্রকে কোম্পানির জন্মসনদ নামে অভিহিত করা হয় ।

কোম্পানি আইনের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করে কোম্পানির উদ্যোক্তাগণ কোম্পানি নিবন্ধকের নিকট হতে নিবন্ধনের প্রমাণ হিসেবে যে সনদ প্রাপ্ত হয় তাকেই নিবন্ধনপত্র বলে । এরূপ পত্র কোম্পানির আইনগত সত্তা নির্দেশ করে। এরূপ দলিল পাওয়ার পর আইনগত সত্তার জন্মলাভ ঘটায় একে কোম্পানির জন্মসনদ বলা হয়ে থাকে । প্রাইভেট লিঃ কোম্পানি এটি পাওয়ার পরই কাজ শুরু করতে পারে ।

১৭. কোম্পানিতে যোগ্যতাসূচক শেয়ার কারা ক্রয় করে এবং কেন? অথবা, পরিচালকদের যোগ্যতাসূচক শেয়ার বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর: কোম্পানির পরিচালকগণ যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয় করেন ।

কোম্পানি পরিচালক হতে কারও কোম্পানির ন্যূনতম যে পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করতে হয় তাকে পরিচালকদের যোগ্যতাসূচক শেয়ার বলে ।

কোম্পানি আইনে উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি কোম্পানির পরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবে না যদি সংঘবিধিতে বর্ণিত যোগ্যতাসূচক শেয়ারের কম পরিমাণ শেয়ার তার থাকে । অর্থাৎ সংঘবিধিতে যোগ্যতাসূচক শেয়ার থাকার বিধান থাকলে কাউকে কোম্পানির পরিচালক হতে ন্যূনতম উক্ত পরিমাণ শেয়ার তাকে ক্রয় করতে বা থাকতে হয় ।

১৮. কোম্পানির প্রাথমিক প্রয়োজন পূরণের জন্য সংগৃহীত মূলধনকে কী বলে? ধারণা দাও অথবা, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম মূলধন বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: এরূপ মূলধনকে ন্যূনতম মূলধন বলে।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সংঘবিধি ও বিবরণপত্রে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ, চলতি মূলধন ও প্রাথমিক প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে যে নির্দিষ্ট ন্যূনতম পরিমাণ মূলধন সংগ্রহের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ থাকে তাকে ন্যূনতম মূলধন বলে। এরূপ মূলধন সংগৃহীত না হলে কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না এবং কাজও শুরু করতে পারে না । তাই এই কোম্পানিতে এরূপ মূলধন সংগ্রহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

১৯. তফসিল- ১ কখন ব্যবহার করা হয়? ব্যাখ্যা কর?

উত্তর: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলির আদর্শ নমুনা কোম্পানি আইনের পরিশিষ্টে তফসিলে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে তফসিল-১ বলে ।

একটা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিচালনায় যে সকল নিয়ম-বিধির প্রয়োজন তা এই তফসিলে সন্নিবেশিত হয়েছে । নতুন কোনো কোম্পানি তার গঠনকালে এরূপ নমুনার আলোকে নিজেদের মতো করে সংঘবিধি তৈরি করতে পারে বা হুবুহু তফসিল-১ কেই সংঘবিধি হিসেবে গ্রহণ করতে পারে । তাই কোনো পাবলিক কোম্পানি স্বতন্ত্র সংঘবিধি তৈরি না করলে সেক্ষেত্রে তফসিল-১ এর ব্যবহার করা হয় । 

 

২০. বিবরণপত্র কেন তৈরি করা হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তার শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের নিমিত্তে জনগণ বরাবর আহ্বান জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ তাকে কোম্পানির বিবরণপত্র বলে ।

বিবরণপত্র প্রচারের উদ্দেশ্য হলো জনগণকে কোম্পানি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে কোম্পানি সম্বন্ধে অবহিত করা এবং শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা । এজন্য বিবরণপত্রে কোনোরূপ মিথ্যা তথ্য প্রদান কোম্পানি আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ । অর্থাৎ কোম্পানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য তুলে ধরে শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে মূলধন সংগ্রহের জন্য এরূপ পত্র তৈরি করা হয় ।

২১. কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের প্রচারপত্রকে কী বলে? বুঝিয়ে লেখ। অথবা, বিবরণপত্র বলতে কী বুঝায় ?

উত্তর: এরূপ প্রচারপত্রকে বিবরণপত্র বলে ।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি তার শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের নিমিত্তে জনগণ বরাবর আহ্বান জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ তাকে কোম্পানির বিবরণপত্র বলে । এরূপ পত্রের মধ্যে কোম্পানির প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে; যাতে শেয়ার ক্রয়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গ এথেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে । প্রচারের পূর্বে এরূপ পত্র নিবন্ধকের নিকট জমাদান বাধ্যতামূলক ।

২২. বিবরণপত্রের বিকল্প বিবৃতি কখন ও কেন তৈরি করা হয়? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর: শুধুমাত্র নিবন্ধকের নিকট জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে বিবরণপত্রের অনুরূপ প্রস্তুতকৃত বিবৃতিকেই বিবরণপত্রের বিকল্প বিবৃতি বলে ।

নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর পাবলিক লিমিটেড মূলধন জোগাড় করে । সেজন্য বিবরণপত্র প্রস্তুত ও নিবন্ধকের নিকট তা জমা দিতে হয়। কোনো কোম্পানি যদি উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকেই প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করতে পারে তখন আর তাকে বিবরণপত্র তৈরি করতে হয় না । সেক্ষেত্রে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র পাওয়ার জন্য বিবরণপত্রের অনুরূপ বিকল্প বিবৃতি তৈরি করে নিবন্ধকের নিকট জমা দিতে হয় ।

২৩. কোম্পানি সংগঠন কিভাবে মূলধন গঠনে ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা কর । 

উত্তর: কোম্পানি হলো আইনসৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী এমন একটা ব্যবসায় সংগঠন যা আইনের [DB 2016, JB 2015] অধীনে গঠিত ও পরিচালিত হয় এবং যেখানে শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে এর মালিকগণ অর্থ বিনিয়োগ করে ।কোম্পানি সংগঠনে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে শেয়ারমূলধন সংগৃহীত হয়। যা কোম্পানি বিশেষত পাবলিক লি. কোম্পানির নিজস্ব মূলধন সংস্থানে মুখ্য ভূমিকা রাখে । শেয়ার মূল্য কম হওয়ায় এবং শেয়ারবাজারে তা সহজেই বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষ এরূপ বিনিয়োগে সহজে অংশ নেয় । ফলে কোম্পানি সংগঠন মূলধন গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে । 

২৪. ঋণপত্র অপেক্ষা শেয়ার বিক্রয় কোম্পানিতে উত্তম কেন? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর: কোম্পানির শেয়ার মূলধনের সমান ও ক্ষুদ্র একককেই শেয়ার বলে ।

শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার মূলধন সংগৃহীত হয়। যা কোম্পানির নিজস্ব মূলধন হিসেবে thah গণ্য । ঋণপত্র হলো কোম্পানির ঋণ গ্রহণের স্বীকৃতিপত্র । এর বিক্রয়ের মাধ্যমে ঋণ সংগৃহীত হয়। ফলে এরূপ অর্থ পরিশোধের প্রশ্ন জড়িত থাকে । এছাড়া প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে এর ওপর সুদ দিতে হয় । যে কারণে ঋণপত্র বিক্রয় অপেক্ষা শেয়ার বিক্রয় কোম্পানিতে উত্তম ।

২৫. একজন বিনিয়োগকারীর জন্য সাধারণ শেয়ার ক্রয় উত্তম কেন? ব্যাখ্যা কর? 

উত্তর: আইনানুযায়ী যে শেয়ারের মালিকগণ অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিভিন্ন দিক বিচারে অধিক সুবিধা ও মর্যাদাভোগ করলেও লভ্যাংশ বণ্টনে ও কোম্পানি বিলোপের সময় মূলধন প্রত্যাবর্তনে অগ্রাধিকার পায় না তাকেই সাধারণ শেয়ার বলে ।

কোম্পানির শেয়ার মূলধন বলতে সাধারণ শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থকেই বুঝায় । এই শেয়ারের মালিকগণ বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেয় । নিজে পরিচালক হতে পারে । মুনাফা বেশি হলে মুনাফা বেশি পায় । কোম্পানির মালিক হিসেবে তারাই কার্যত সামাজিক মর্যাদা ভোগ করে । যা মূলত অগ্রাধিকার শেয়ারের মালিক পায় না । তাই একজন বিনয়োগকারীর জন্য সাধারণ শেয়ার ক্রয় উত্তম ।

২৬. সকল ধরনের শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন না- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কোম্পানির শেয়ার মূলধনের ক্ষুদ্র ও সমান একককে শেয়ার বলে । এরূপ শেয়ার ক্রয়কারী বা অধিকারীকে শেয়ারহোল্ডার বলা হয়ে থাকে ।

এর মধ্যে সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ার মুখ্য। কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের শেয়ার থাকে অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডারগণ লভ্যাংশ বণ্টনে অগ্রাধিকার লাভ করলেও কোম্পানি পরিচালনায় সাধারণ শেয়ারহোল্ডারগণই শুধুমাত্র অংশ নিতে পারে । তাই বলা হয়, সকল ধরনের শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন না ।

২৭. রাইট শেয়ার কখন প্রদান করা হয়? (What is right share issued?)

উত্তর: কোনো কোম্পানি নতুন শেয়ার বিলির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তা ক্রয়ের অধিকার আনুপাতিক হারে পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সংরক্ষণ করলে তাকে অধিকারযোগ্য শেয়ার বলে ।

কোনো কোম্পানি যখন ভালো অবস্থায় থাকে তখন শেয়ার বাজারে তার শেয়ারের দামও বেশি থাকে । সে অবস্থায় নতুন ইস্যুকৃত শেয়ারে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ তাদের স্বার্থ দাবি করতে পারেন । এরূপ দাবি পূরণের জন্যই কার্যত এ ধরনের শেয়ার বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় ।

২৮. কোম্পানি কখন বোনাস শেয়ার ইস্যু করে? (When is a company issued bonus share ? )

উত্তর: শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে নগদে লভ্যাংশ না দিয়ে লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ার বণ্টন করা হলে ঐ শেয়ারকে বোনাস শেয়ার বলে ।

কোম্পানির অর্জিত মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে অংশবিশেষ এর সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখা হয়। এরূপ তহবিলে সঞ্চিতির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেলে পরিচালকদের সভার সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত তহবিলের অর্থকে মূলধনে পরিণত করার লক্ষ্যে বোনাস শেয়ার বণ্টন করা হয়ে থাকে । 

২৯. কোম্পানি বিলোপসাধন বলতে কী? বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোম্পানির আইনগত সত্তার বিলোপ ঘটে তাকেই কোম্পানির বিলোপসাধনবলে ।

কোম্পানি আইনসৃষ্ট, কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানি আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কোম্পানির নিবন্ধন নিতে হয়। তাই কোম্পানি বিলোপের ক্ষেত্রে আইনানুগ প্রক্রিয়ার অনুসরণ এবং নিবন্ধকের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে । কোম্পানির বিলোপ কিভাবে ঘটছে তা কোম্পানির অবস্থার ওপর নির্ভর করে ।

৩০. বায়িং হাউজ গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: কমিশনের ভিত্তিতে বায়ারের পক্ষে ক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বায়িং হাউজ নামে পরিচিতি ।

বাংলাদেশে গার্মেন্টস খাত অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ খাতের বিদেশী ক্রেতারা ফরমায়েশ প্রদান থেকে শুরু করে যথাসময়ে পণ্য শীপমেন্ট পর্যন্ত কাজে বায়িং হাউজগুলোর ওপর নির্ভর করে । এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর দক্ষতার ওপর আমদানিকারকগণের আস্থা নির্ভরশীল বিধায় বায়িং হাউজ গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ।

৩১. দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: যে সুসংহত বাজারে বা স্থানে এর তালিকাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানির শেয়ার- সিকিউরিটিজ নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত বিধি অনুযায়ী ক্রয়-বিক্রয় করা হয়ে থাকে তাকেই স্টক এক্সচেঞ্জ বলে ।

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির উন্নয়নের সাথে দেশের শেয়ার বাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ ওতপ্রোতভাবে জড়িত । কারণ এখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের শেয়ার ও ঋণপত্র সহজে বিক্রয় হয় । দাম হ্রাস- বৃদ্ধির কারণেও লাভের সুযোগ থাকে। এ কারণেই সবধরনের বিনিয়োগকারীরা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করে । তাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ । 

৩২. দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: জামানত দেয়ার সামর্থ্য রাখে না এমন দরিদ্র মানুষদের গ্রুপ তৈরি করে ঋণ দেয়ার বিশেষ ব্যবস্থা ক্ষুদ্র ঋণ নামে পরিচিতি ।

উন্নয়নশীল দেশসমূহে দারিদ্র্য দূরীকরণ একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দরিদ্র মানুষের আয় কম হওয়ায় সঞ্চয় থাকে না । ফলে তারা পুঁজির অভাবে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে অসমর্থ হয় । এমতাবস্থায় ক্ষুদ্র ঋণ এমন কর্মসূচি যা তাদেরকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে ও পুঁজি সবরাহ করে আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে । তাই দারিদ্র্য দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ।

৩৩. মার্চেন্ডাইজিং ব্যবসায়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর । 

কোনো প্রতিষ্ঠান বা প্রতিনিধি কর্তৃক পণ্য বিক্রয় ও বিক্রয়ের উন্নতি সাধনের কাজকেই মার্চেন্ডাইজিং বলে 1 মার্চেন্ডাইজিং বর্তমানে একটা বিশেষ ব্যবসায়। এরূপ ব্যবসায়ীরা উৎপাদকের নিকট থেকে পণ্য সংগ্রহ করে তাদের অপূর্ব কৌশলে তা ক্রেতাদের নিকট উপস্থাপন করে। গার্মেন্টস শিল্পে মার্চেন্ডাইজিং অফিসারগণের কাজ হলো উৎপাদিত পণ্য বিদেশী ক্রেতা বা বায়িং হাউজগুলোর নিকট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। যাতে বিক্রয় চুক্তি সম্পাদন করা যায়। এ কারণে ব্যবসায়ের উন্নয়নে মার্চেন্ডাইজিং গুরুত্বপূর্ণ ।

৩৪. বিকাশ বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ কেন? (Why is bkash important in Bangladesh?)

উত্তর: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় গ্রাহকের অর্থ এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও এজেন্টের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের ব্রাক ব্যাংক প্রচলিত ব্যবস্থা বিকাশ নামে পরিচিত ।

শুধুমাত্র একটা মোবাইল নম্বর থাকলেই একে হিসাব নম্বর হিসেবে ব্যবহার করে অন্য মোবাইল হিসাব নম্বরে দ্রুত অর্থ প্রেরণে বিকাশ একটা উন্নত সেবা পদ্ধতি। এতে গ্রামীণ জীবনে অর্থের সঞ্চালনে এক ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মানুষের ভোগ বেড়েছে। বিকাশ এজেন্ট হিসেবে নতুন ব্যবসায়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান ঘটেছে । তাই বাংলাদেশে বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ ।

৩৫. আউটসোর্সিং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? (Why is outsourching business important?) 

উত্তর: চুক্তির ভিত্তিতে অন্যের কাজ করে দেয়ার ব্যবসায়কে আউটসোর্সিং ব্যবসায় বলে । একক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সব কাজ নিজের ব্যবস্থাপনার আওতায় লোক নিয়োগ দিয়ে করানো সম্ভব নয় । এতে খরচ ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়ে । অথচ অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজটি করিয়ে নেয়া সম্ভব হলে তা অনেক সহজ হয়। এ উদ্দেশ্য পূরণে এখন সমাজে অনেক আউটসোর্সিং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে । তাই স্বল্পখরচে ও সহজে কাজ পেতে আউটসোর্সিং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ।

 

আরো পড়ুন..

➡️ একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা ও বৈশিষ্ট্য

➡️ একমালিকানা ব্যবসায়ের জনপ্রিয়তার কারণ কি?

➡️ সমিতির প্রকারভেদ

➡️একমালিকানা ব্যবসায়ের গুরুত্ব

নিয়মিত এডুকেশন সম্পর্কিত তথ্য পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের ফেইসবুক পেইজের সাথে ।

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *