আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে কয়েকটি ছোট ও মাঝারি মানের ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব । আপনার হাতে যদি কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা পুঁজি থাকে এবং সে টাকা দিয়ে যদি একটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা গড়ে তুলতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক সাহায্য করবে ।
মাত্র ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কি কি ব্যবসা শুরু করা যায় তা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানতে পারবেন । আমাদের মধ্যে অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে চায় কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি ও মূলধনের অভাবে কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হয় না ।
যার ফলে বন্ধুরা আপনাদের কথা মাথায় রেখে আজকে কিছু লাভজনক ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হলাম । আজকের তালিকায় দেওয়া প্রতিটি ব্যবসার আইডিয়া আপনি খুবই অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন ।
অল্প পুঁজিতে ব্যবসাগুলো শুরু করলেও অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে তুলনামূলক লাভের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি । যার ফলে বর্তমানে অনেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করার বিপরীতে ছোট করে হলেও একটি ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করছে ।
এর কারণ চাকরিতে অন্যের অধীনে থেকে যে পরিমাণ সেলারি পাওয়া যায় তা দিয়ে বর্তমানে চলা খুব কষ্টকর হয়ে উঠছে । এছাড়াও একটি ব্যবসা উদ্যোগ ব্যক্তির নিজের যেমন উন্নতি সাধন করে তেমনি অন্যদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং দেশের বেকার সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখে ।
আমাদের সবারই উচিত নিজেদের মধ্যে উদ্যোক্তা মন মানসিকতা গড়ে তোলা । তবেই আমরা বাংলাদেশকে একটি বেকারমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন ।
কয়েকটি লাভজনক ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া
আজকের আমাদের এই ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে কয়েকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করা হবে । আপনি পড়াশোনা করেছেন নাকি চাকরি করছেন তা আপনার ব্যবসার উপর কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না ।
এর কারণ হচ্ছে ব্যবসা করতে কোন ধরনের নিদিষ্ট শিক্ষাগত ডিগ্রী এর প্রয়োজন হয় না । তবে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার নিদিষ্ট জ্ঞান থাকলে সেক্ষেত্রে আপনি দ্রুতই আপনার ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন ।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যে ব্যবসার আইডিয়াগুলো শেয়ার করেছি তা শুরু করতে আপনার কোন ধরনের শিক্ষাগত ডিগ্রী এর প্রয়োজন হবে না ।
শুধুমাত্র প্রয়োজন আপনার উপস্থিত বুদ্ধি এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা । এছাড়াও একটি ব্যবসাকে সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য নানান জনের সাথে যোগাযোগ করতে হয় । যার ফলে যোগাযোগ দক্ষতা যার ভালো সে ব্যবসা পরিচালনায় তত দ্রুত সফল হতে পারবে ।
তাহলে চলুন বন্ধুরা এবার দেখে নেয়া যাক লাভজনক কয়েকটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া সমূহ ।
১/ স্টক লটের ১ লাখ টাকায় ব্যবসা
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প সারাবিশ্বে জনপ্রিয় । বর্তমানে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সারাবিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে । দক্ষকর্মী ও স্বল্পশ্রমের কারণে আমাদের বাংলাদেশে দিন দিন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ।
গার্মেন্টশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে । বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আয় হয়ে থাকে এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে । এছাড়াও গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নারী ও পুরুষ ।
তাই আপনি চাইলে বাংলাদেশে এই গার্মেন্টসের সহজলভ্যতা ও জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক স্টক লটের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । আমরা প্রায়ই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের স্টক লট হয়ে থাকতে দেখি ।
বিশেষ করে শিপমেন্ট দেরি হওয়া এবং কোনো কারণবশত শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন ধরনের এলসি ( LC ) জটিলতা, কন্টিনিউয়াস রিচেক ইত্যাদি সমস্যার কারণে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্টক লট হয়ে থাকে ।
বর্তমানে এই স্টক লটের ব্যবসাটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । আপনি বিভিন্ন প্রকার ও সাইজের টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট, জিন্স প্যান্ট, ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন কাপড় শহরে বিক্রি করতে পারেন ।
আপনি এই কাপড়গুলো বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় গার্মেন্টস ও বায়িং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ।
আপনি মাত্র ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন । এই ব্যবসায় নির্দিষ্টভাবে লাভের কোন ধরা বাধা নেই ।
এটি সম্পূর্ণভাবে বাজারের চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে কি পরিমান লাভ আপনি করতে পারবেন ।
আপনি একটি টি-শার্ট ৯০ থেকে ১০০ টাকায় ক্রয় করে তা ১২০ থেকে ১৬০ টাকা দামে বাজারে বিক্রি করতে পারেন । স্টক লটের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বায়িং হাউজ ও ছোট ছোট লোকাল ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে ।
২/ মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা ২০২২
বর্তমানে ছোট বড় সকলের কাছে এই মোবাইল ফোন রয়েছে । মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হয়ে উঠেছে । যোগাযোগের জন্য বর্তমানে আমরা সবাই এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি ।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার পাশাপাশি আরো নানান ধরনের কাজকর্ম করা যায় । যেমন : মোবাইলের মাধ্যমে গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা, সময় দেখা, ক্যালেন্ডার দেখা, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি এখন হাতে থাকা মোবাইলটির সাহায্যে সহজে করা যায় ।
যার ফলে বর্তমানে মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে । আপনি আপনার এলাকার জনসমাগম রয়েছে ও বাজারে মধ্যে একটি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
আপনি মাত্র ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে এই ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে আপনার ছোট একটি দোকান, একটি টেবিল ও চেয়ার প্রয়োজন হবে ।
এতটুকু হলেই আপনি ছোট আকারে একটি ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন । অন্যদিকে আপনার কাছে যদি আরেকটু বেশি মূলধন থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি মোবাইলের বিভিন্ন ধরনের অ্যাক্সেসরিজও বিক্রি করে অধিক আয় করতে পারেন ।
মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এক্সেসরিজ হলো : চার্জার, হেডফোন, মেমোরি কার্ড, ব্যাটারি, সিম কার্ড, ডাটা কেবল, মোবাইল ফোনের প্রটেকশন কভার ইত্যাদি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসার পাশাপাশি বিক্রি করতে পারেন ।
মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার জন্য ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা একটি উপযুক্ত ও লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ।
৩/ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা – Mobile Banking business
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার কারণে অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকিং ব্যবস্থা ততটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি । এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার জটিলতা ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষ সবসময় ব্যাংকে হিসাব খোলার জন্য নিরুৎসাহিত হয়ে এসেছে ।
এবং এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বাজারে ইতিমধ্যে অনেকগুলো মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্টান জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে । তাদের মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হল : বিকাশ , নগদ , রকেট ইত্যাদি ।
আপনি এই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে পার্টনার হয়ে একটি ছোট ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । এই মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা পরিচালনা ও প্রসারতার জন্য এজেন্সি নিয়োগ করে থাকে ।
আপনি একটি জনবহুল স্থানে , শিল্প-কারখানা এলাকায় অথবা যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এমন স্থানে একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
বিকাশ, রকেট ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি একজন এজেন্ট হিসাবে মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ।
৪/ ফলের ব্যবসা ১ লাখ টাকায় ব্যবসা
বর্তমানে ফলের ব্যবসা ও অত্যন্ত লাভজনক একটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া । বিশেষ করে এটি একটি মৌসুমি ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। আপনি এই ফলের ব্যবসাটি খুবই অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন ।
যেখানে মানুষের জনসমাগম বেশি এবং যাতায়াত বেশি সেই সব স্থানে আপনি এই ধরনের ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । ফলের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সব সময় আপনার কাস্টমারদের সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করবেন তাহলেই দ্রুত এই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন ।
গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করলে পরবর্তীতে কখনো সে গ্রাহক আপনার নিকট থেকে ফল ক্রয় করতে আসবে না । ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশেষ করে ফলের ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে থাকে ।
অনেক ফল বিক্রেতা ভালো ফল দেখিয়ে নষ্ট ফলগুলো কাস্টমারদের কৌশলে বিক্রি করে থাকে । যা একটি জঘন্য কাজ । ব্যবসা হচ্ছে একটি পবিত্র জিনিস তাই এই ব্যবসাকে পবিত্র রাখতে আপনাকে হালালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে ।
এই ব্যবসায় গ্রাহকের সাথে ভালো আচরণ ও প্রতারণার সুযোগ না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে দ্রুত এই সেক্টরে লাভজনক অবস্থানে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব । আপনি মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকলে ফলের ব্যবসা আইডিয়াটি আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে ।
৫/ আইটি ব্যবসার আইডিয়া – It Business
আপনি যদি পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবেন নাকি ব্যবসা করবেন এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আইটি সেক্টরের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
আইটি ব্যবসা অত্যন্ত স্মার্ট এবং প্রফিটেবল একটি ব্যবসা । বিশেষ করে তরুণদের জন্য একটি উপযুক্ত ও লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে আইটি ব্যবসা । আইটি ব্যবসা মূলত একটি সেবামূলক ব্যবসা হওয়ার কারণে আপনি এই ব্যবসা থেকে আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
সঠিকভাবে একটি আইটি ব্যবসা প্রতিষ্টিত করে পরিচালনা করতে পারলে অল্প দিনেই আপনি অনেক টাকার মালিক হয়ে যেতে পারবেন । তবে আইটি ব্যবসায় সফল হতে হলে আপনার অবশ্যই আইটি সেক্টরের উপর দক্ষতা থাকতে হবে ।
আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন : ওয়েব ডিজাইন ( web design ) , গ্রাফিক্স ডিজাইন ( Graphic Design ), ডিজিটাল মার্কেটিং ( Digital marketing ), ভিডিও এডিটিং ( video editing ) ইত্যাদি সার্ভিস আপনার প্রতিষ্ঠানে দিতে পারেন ।
আপনি এই কাজের উপর বিভিন্ন কর্মীদের ভাড়া করে একটি আইটি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । এবং বিভিন্ন ইন্টার্নেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে কাজ নিয়ে তা ডেলিভারি দিতে পারেন ।
৬/ ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের ব্যবসা – Domain and Hosting
বর্তমানে ডোমেইন ও হোস্টিং এর ব্যবসা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল স্থানেই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হয়ে উঠেছে । ডোমেইন ও হোস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান একটি ওয়েবসাইটের জন্য ।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে অবশ্যই এই দুটি উপাদানের প্রয়োজন হয় । একটি ডোমেইন ও হোস্টিং ছাড়া কখনও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব নয় ।
একটি ডোমেইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের নাম । যেমন : facebook.com , google.com , amazon.com , mhona.com , Goafta.com ইত্যাদি হচ্ছে এক একটি ওয়েবসাইটের নাম ।
অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে তার জন্য একটি ইউনিক স্বতন্ত্র নাম প্রয়োজন এবং এই নামকে বলা হয় ডোমেইন । অন্যদিকে,
হোস্টিং বলতে বুঝায় একটি ওয়েবসাইটের মেমোরিকে বা স্টোরেজকে । অর্থাৎ ওয়েবসাইটের ছবি, অডিও, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি যা আমরা দেখতে পাই সবকিছুই স্টোর থাকে একটি হোস্টিং এর মধ্যে ।
তাই একটি হোস্টিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান একটি ওয়েবসাইটের জন্য । এই দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছাড়া কখনো কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব নয় । যার ফলে এই ডোমেইন ও হোস্টিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।
প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটে হাজার হাজার নতুন ওয়েবসাইট যুক্ত হচ্ছে । এবং এই ওয়েবসাইটগুলোর জন্যে প্রয়োজন হচ্ছে ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের । আপনি ডোমেইন ও হোস্টিং এর একটি ব্যবসা মাত্র ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেই গড়ে তুলতে পারবেন ।
১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে হলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন ও হোস্টিং কোম্পানি থেকে একজন রিসেলার হিসেবে ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
কয়েকটি লাভজনক ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রি ওয়েবসাইট হল : namecheap.com , godaddy.com , bluehost.com ইত্যাদি ।
৭/ মোবাইল ও কম্পিউটার মেরামতের ব্যবসায়
মোবাইল এবং কম্পিউটার বর্তমান এই আধুনিক যুগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস । মোবাইল ও কম্পিউটার ছাড়া বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবন চলেই না ।
যোগাযোগ এবং নানান ধরনের গবেষণা ও হিসাব কাজের জন্য মোবাইলফোন ও কম্পিউটারের প্রচুর ব্যবহার করা হয় ।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বর্তমানে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি । হাতে থাকা মোবাইলফোনের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে নানান বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছি ।
এছাড়াও : সময় দেখা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা ইত্যাদি আমরা এখন হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারছি ।
অন্যদিকে কম্পিউটার পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিয়েছে । গবেষণা থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব স্থানেই এখন কম্পিউটার এর ব্যবহার করা হয় ।
শুরুতে এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি হিসাব করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়ে থাকলেও বর্তমানে এর মাধ্যমে নানান ধরনের কাজকর্ম করা যায় ।
কম্পিউটারের সাহায্যে মানুষ পৃথিবীতে বসেই পৃথিবীর বাইরের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে গবেষণা করতে পারছে ।
কম্পিউটারের সাহায্যে মানুষ সাগরের গভীরে বিভিন্ন অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারছে । এছাড়াও কম্পিউটার প্রতিনিয়ত গবেষণারক্ষেত্রে এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে অসম্ভব অবদান রেখে যাচ্ছে ।
যার ফলে এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর চাহিদা ও ব্যবহার দিন দিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । বর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠান চাকরি করতে হলে কম্পিউটার দক্ষতা থাকা আবশ্যক ।
তাহলে বুঝতেই পারছেন কম্পিউটার এবং এই মোবাইল ফোনের কি পরিমান চাহিদা বাজারে রয়েছে ।
আপনি যদি নিজেকে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি এই ডিভাইসগুলোর মেরামত করেও অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো প্রতিনিয়ত নানান কারণে নষ্ট হয়ে পড়ে যা মেরামতের প্রয়োজন পড়ে । তাই নিজেকে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের উপর একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলুন । এবং বাজারেও যেসব স্থানে মানুষের জনসমাগম বেশি সেখানে একটি মেরামতের দোকান দিন ।
তাহলেই আপনি মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । এছাড়াও আপনি কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন মেরামত করার পাশাপাশি এর এক্সেসরিজ পণ্যগুলোও বিক্রি করতে পারেন ।
যেমন : মোবাইল ফোনের চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোন, ডাটা কেবল, কম্পিউটার কিবোর্ড, মাউস, হার্ডডিক্স, সফটওয়্যার ইত্যাদি বিক্রি করে মেরামতের পাশাপাশি অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
৮/ ব্লগিং ব্যবসা – Blogging Business
বর্তমানে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার হাজার হাজার উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ব্লগিং ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করা ।
আপনারা বর্তমানে আমাদের এই ১ লাখ টাকায় ব্যবসা আর্টিকেলটি পড়তেছেন । এবং আমরাও এই ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছি ।
আমাদের মত আপনিও চাইলে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন । ব্লগিং আপনি প্রধানত দুটি উপায় অবলম্বন করে করতে পারেন । যেমন : ভিডিও ব্লগিং ( video blogging ) এবং ওয়েবসাইটে লেখালেখির মাধ্যমে ব্লগিং করা ।
দুটি উপায় বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় ব্লগিং করার জন্য । এবং দুটি উপায় অবলম্বন করে আপনি অনেক ভাল অর্থ আয় করতে পারবেন । ভিডিও ব্লগিং আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবকে ব্যবহার করে করতে পারেন ।
অন্যদিকে লেখালেখি করে ব্লগিং করতে চাইলে আপনার অবশ্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে । ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন ।
৯/ আর্টিকেল লিখে আয় করা
অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় উপায় হল আর্টিকেল লিখে আয় করা । বর্তমানে ইন্টারনেটে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট রয়েছে এবং এই ওয়েবসাইটগুলোর জন্যে প্রতিনিয়ত শত শত আর্টিকেল এর প্রয়োজন হয় ।
তাই আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন অথবা আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের নিউজ পোর্টাল ও ব্লগ সাইটগুলোতে কাজ করতে পারেন ।
এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো প্রতিনিয়ত আর্টিকেল রাইটারদের হায়ার করে থাকে । এছাড়াও আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন । ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই ধরনের প্রচুর কাজ পাওয়া যায় ।
একটি ১০০ থেকে ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে দেওয়ার বিপরীতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় ।
আজকের আর্টিকেলটি যদিও ” ১ লাখ টাকায় ব্যবসা “ করার উপর লেখা হয়েছে । তবে আপনি আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার এই ব্যবসাটি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার তেমন মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে না ।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার প্রয়োজন হবে এবং সাথে ইন্টারনেট যুক্ত থাকতে হবে । এতটুকু হলেই আপনি একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন ।
তবে আর্টিকেলগুলোকে কোয়ালিটিফুল করতে হলে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড বা SEO Optimized আর্টিকেল লিখতে হবে । অর্থাৎ এমনভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে আপনার আর্টিকেলটি গুগলে সার্চ করলে সবার উপরের দিকে অবস্থান করে ।
১০/ বিউটি পার্লারের ১ লাখ টাকায় ব্যবসা
বর্তমানে বিউটি পার্লার ব্যবসাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হয়ে উঠেছে । বিউটি পার্লার এই ব্যবসাটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া । পূর্বে মানুষ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কখনো এই ধরনের ব্যবসা শুরু করেনি ।
তবে বর্তমানে মানুষ নিজেদের পরিপাটি ও সুন্দর করে তুলতে শুরু করেছে যার কারণে এই ব্যবসার প্রচলন ঘটছে । বর্তমানে বেশিরভাগ নারীদেরকেই এই ধরনের ব্যবসা করতে লক্ষ করা যায় । এবং এই ধরনের ব্যবসার গ্রাহকও বেশি হয়ে থাকে নারীরা ।
এই ব্যবসাটি আপনি আপনার মনমত একটি স্থানে শুরু করতে পারেন । তবে যেখানে মানুষের যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেসব স্থানে ব্যবসাটি শুরু করার চেষ্টা করবেন ।
আপনি যদি মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করার কথা চিন্তা করে থাকেন সেক্ষেত্রে বিউটি পার্লারের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি উপযুক্ত ও দারুন লাভবান একটি লাখ টাকার ব্যবসার আইডিয়া ।
কিছুদিন বিউটি পার্লার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে অথবা এই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজেকে এই সেক্টরে দক্ষ করে তুলতে পারেন । এবং পরবর্তীতে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন ।
১১/ অনলাইনে শাড়ি ও টি শার্ট বিক্রির ব্যবসা ।
বর্তমানে মানুষ দিন দিন অনলাইনমুখী হয়ে উঠছে । অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ যেমন যোগাযোগ করছে তেমনি অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমানে মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যও করছে । উন্নত দেশগুলোতে ইতিমধ্যে ই-কমার্স বাণিজ্য অথবা অনলাইন বাণিজ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
কিন্তু বাংলাদেশ এখনো উন্নত দেশগুলোর মতো অনলাইন বাণিজ্য বা ইকমার্স বাণিজ্য ততটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি । এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনো সততা ও প্রফেশনালিজম এর অভাব রয়েছে ।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক নারী উদ্যোক্তাদের ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে ব্যবহার করে শাড়ি ও টি শার্ট বিক্রির ব্যবসা করতে লক্ষ করা যায় । অনেক তরুণ-তরুণীরা অনলাইনের মাধ্যমে টি-শার্ট ও শাড়ি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে ।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তেমন কোন পুঁজি বা মূলধন এর প্রয়োজন হবে না । আপনি ফ্রিতেই ফেইসবুক ও ইউটিউবকে ব্যবহার করে এই অনলাইন বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন ।
বিভিন্ন ধরনের পাইকারি ব্যবসায়ীদের থেকে টি-শার্ট ও শাড়ি পাইকারি দামে সংগ্রহ করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে কাস্টমারদের নিকট বিক্রি করতে পারেন । এবং বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাদের ঠিকানায় পন্যগুলো পৌঁছে দিতে পারবেন ।
পরবর্তীতে আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবসাটিকে আরো বড় করে নিতে পারবেন ।
১২/ব্যায়ামগার বা জিমনেসিয়ামের ব্যবসা
বর্তমানে ছোট-বড় ও বৃদ্ধ সবাই এখন নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক সচেতন । পূর্বের সময় মানুষ নানান ধরনের কৃষি কাজ ও কায়িক শ্রম করতো যার ফলে শারীরিক ব্যায়াম হত ।
কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির কারণে এই ধরনের অনেক পরিশ্রমের কাজ মানুষকে এখন করতে হয় না । বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্যে এখন সহজেই এই ধরনের কাজগুলো সম্পন্ন করা যাচ্ছে । যার ফলে বর্তমানে মানুষ অনেক অলস হয়ে উঠেছে ।
তাই বিভিন্ন সময় ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকে নিয়মিত ব্যায়াম করার জন্য । যার ফলে এই ব্যায়ামাগার বা জিমনেশিয়ামের ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
আপনিও চাইলে আপনার এলাকায় বা বাজারের মধ্যে পরিপাটি করে একটি জিমনেসিয়াম ও ব্যায়ামাগারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
১৩/ লন্ড্রী ,আয়রন এবং ক্লিনিং সার্ভিস ব্যবসা
অল্প টাকা বিনিয়োগ করে একটি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে লন্ড্রী আয়রন এবং ক্লিনিং সার্ভিস ব্যবসা অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া । আপনি মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন ।
এই ধরনের লন্ড্রি ও আয়রনের ব্যবসা কমবেশি সব জায়গায় চলে থাকে । তবে বিশেষ করে শহরের দিকে এই ধরনের ব্যবসায় প্রচুর ভালো চলে ।
এই ধরনের লন্ড্রী ও আয়রনের ব্যবসা অন্যান্য ব্যবসায়গুলোর তুলনায় প্রতিযোগিতাও কম হয়ে থাকে । তাই সহজেই এককভাবে আপনি লন্ড্রী ও আয়রনের সার্ভিস ব্যবসাটি করে যেতে পারবেন ।
আপনি যদি ক্লিনিং এবং আয়রনের সার্ভিসটি ভালোভাবে প্রদান করতে পারেন সেক্ষেত্রে নিয়মিত মানুষজন আপনার নিকট থেকে এই সেবাটি নিবে । তাই যদি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন সেক্ষেত্রে লন্ড্রী ও আয়রনের সার্ভিস ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ।
১৪/ যানবাহন ক্লিনিং ব্যবসা
বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও পরিবহন ক্লিনিং বা পরিষ্কার করার ব্যবসায়াটি বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে । যানবাহন ও পরিবহন ক্লিনিং ব্যবসাটি বর্তমানে নতুন একটি ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে ।
বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল, ট্রাক এবং কার গাড়ি পরিষ্কার করে দেওয়ার মাধ্যমে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করতে পারেন । যত্নসহকারে কাস্টমারের যানবাহনগুলো পরিষ্কার করে দিতে পারলে নিয়মিত তারা আপনার থেকে সার্ভিস গ্রহণ করবে ।
পরিবহনগুলো এমনভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে যাতে করে যানবাহনের কোন পার্টসের ক্ষতি না হয় । এছাড়াও আপনি যানবাহন ও পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের এক্সেসরিজ পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।
১৫/ সিংগারা – সমুচার সাপ্লাই ব্যবসা
বর্তমানে সিংগারা – সমুচার সাপ্লাই ব্যবসাটি অত্যন্ত প্রফিটেবল একটি ব্যবসা হয়ে উঠেছে । সিংগারা – সমুচা আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সকালের নাস্তা । আমরা বাঙালিরা প্রতিদিন সকালে এই সিংগারা-সমুচা নাস্তা হিসেবে খেয়ে থাকি ।
এবং এই ধরনের সিঙ্গারা-সমুচা নাস্তাগুলো বিভিন্ন ধরনের চায়ের দোকান ও কুলিংকর্নার দোকানগুলো তৈরি হয়ে থাকে । তবে কারিগরি সমস্যার কারণে এই ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করতে সমস্যায় ভুগে থাকেন ।
তাই আপনি চাইলে একজন দক্ষ কারিগর রেখে নিজের বাড়িতেই সিঙ্গারা সমুচা তৈরি করতে পারেন । এবং পরবর্তীতে তা বিভিন্ন ধরনের কুলিং কর্ণার ও চায়ের দোকানগুলোতে সিঙ্গারা সমুচা সাপ্লাই দিতে পারেন । আপনি মাত্র ১ লাখ টাকায় ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ।
পরিশেষে – Conclusions
বন্ধুরা আজকের এই “ ১ লাখ টাকায় ব্যবসা “ আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে লাভজনক ১৫টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ।
আমাদের আজকের এই ১ লাখ টাকায় ব্যবসা আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করতে পারেন ।
এবং আজকের আর্টিকেলের কোন আইডিয়াটি আপনার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । এবং ব্লগিং সম্পর্কে সাহায্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
Pingback: ১০টি সেরা ঘরোয়া ব্যবসা যা বাড়িতে বসে ব্যবসা করা সম্ভব 2022 - Goafta.com
Pingback: ১২টি সেরা ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা - 12 Best small business idea - Goafta.com
Pingback: ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া জানুন – Trickbd.com – ABC News BD24
Pingback: ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া জানুন – Techipe.Info
Pingback: ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া জানুন – Trickbd.com | Litan Molla – Litan Molla