১২টি সেরা মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া

আপনি কি মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া অথবা মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান ? যদি মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।বর্তমান এই যুগে নারী-পুরুষ সবাই এক সমান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের চেয়েও অনেক বেশি এগিয়ে । যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য,পড়াশোনা, চাকরি – বাকরি ইত্যাদি সব জায়গায় নারীরা সমান তালে এগোচ্ছে।

 

অনেক নারীরা রয়েছে যে ব্যবসা করার জন্য মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতেছেন। কিন্তু সঠিক আইডিয়া না পাওয়ার কারনে ব্যবসা করার বা ব্যবসা শুরু করার সাহস পাচ্ছে না ।তাই আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে মেয়েদের ব্যবসা করার দারুন ১২ টি আইডিয়া শেয়ার করব। যে আইডিয়াগুলো ফলো করে যেকোনো মেয়েরা ব্যবসা শুরু করে সফল হতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক মেয়েদের ব্যবসার অত্যন্ত লাভজনক জনপ্রিয় ১২টি আইডিয়া।

 

১/ ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসা

বর্তমান সময়ের মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অনেক জনপ্রিয় একটি আইডিয়া হল ঘরে তৈরি খাবারের ব্যবসা। আপনার রান্নার হাত যদি ভালো থাকে তবে এই ব্যবসাটি হতে পারে আপনার ভাগ্য পরিবর্তনের একটি উপায় ।

 

কারণ বর্তমান সময়ের মানুষজন রুচিশীল খাবার খেতে পছন্দ করে। এবং আগের তুলনায় বর্তমানে রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে ঘরোয়া খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে । বিভিন্ন কারণে যেমন: চাকরি, পড়াশোনা, ব্যবসা ইত্যাদি ব্যস্ততার কারণে নিজের পরিবারের সাথে বাড়িতে থাকা যায় নাহ। দূর-দূরান্তে তাদের থাকতে হয় ।

তাই প্রতিদিন মানুষকে রেস্টুরেন্টের খাবার অথবা মেচের খাবার খেতে ভালো লাগে না। এজন্য অনেকেই ঘরোয়া পরিবেশের খাবার খেতে পছন্দ করে।

আপনি চাইলে রুচিশীল, মানসম্মত খাবার তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমানে হাতে তৈরি খাবার বিক্রি করার অনেক মাধ্যম রয়েছে । সবচেয়ে মজার কথা হল আপনি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অথবা গ্রুপের মাধ্যমে কোন ধরনের কমিশন ছাড়াই খাবার বিক্রি করতে পারবেন। 

তাছাড়া অনেক ধরনের ফুড ডেলিভারি অ্যাপ রয়েছে যাদের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার হাতে তৈরি খাবারগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

উল্লেখযোগ্য খাবার ডেলিভারি অ্যাপসগুলো হল:

  • Foodpanda
  • Foodpeon
  • Cookups
  • Foodtong

 

ইত্যাদি এই ধরনের আরো অনেকগুলো অ্যাপ রয়েছে। এসব ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলোর মাধ্যমে কাস্টমাররা আপনার খাবারগুলো অর্ডার করবে। এবং ডেলিভারি ম্যান এসে আপনার খাবার নিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে আপনি ফুড ডেলিভারি অ্যাপস কোম্পানি থেকে টাকাগুলো পেয়ে যাবেন। 

 

২/ অনলাইন কোর্স বিক্রি – Course selling business

 

বর্তমানে পড়াশোনা – স্কিলড ডেভলপমেন্ট কোনো কিছু শিখার জন্য অনলাইন কোর্স ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

অন্যান্য দেশের সাথে সাথে আমাদের দেশেও অনলাইন কোর্স এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস এর পর থেকে বাংলাদেশে অনলাইন কোর্স এর চাহিদা দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

যদিও অনেক পূর্ব থেকেই অনলাইন কোর্স এর উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। অতএব আপনি নিশ্চিন্তে ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন কোর্স চালু করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স আপনি দুভাবে করতে পারেন যেমন:

  • প্রি রেকর্ডেড ভিডিও ( Pre recorded video )
  • লাইভ ক্লাস ( Live class )

 

একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে অনলাইন ক্লাস বা অনলাইন কোর্স এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া। আর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে হলে আপনার প্রতিভা অথবা যে বিষয়ের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে তা মানুষের সামনে প্রকাশ করতে হবে ।

 

আপনি যে বিষয়ে কোর্স করাতে চান সে বিষয়ের উপর ফ্রি ক্লাস নিতে পারেন যার ফলে মানুষ আপনার সম্পর্কে জানবে এবং আপনার কোর্স করতে আগ্রহী হবে। মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়ার ক্ষেত্রে এটি দারুন একটি ব্যবসা ।

 

৩/ ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম – Freelancing

 

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত কাজের পেশা। ছেলে-মেয়ে যে কেউ অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আমাদের বাংলাদেশে অনেক মেয়ে রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো অর্থ উপার্জন করছেন। মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত দারুণ একটি আইডিয়া। 

ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এখানে নির্ধারিত কোন সময় ও নির্ধারিত কোন বেতন নেই । আপনার যখন ইচ্ছা কাজ করবেন যখন ইচ্ছা কাজ করবেন না অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণ আপনার উপর র্নিভর করছে সবকিছু । তাই ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা বলা হয়।

 

 ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ অথবা স্কিল হল:

  • প্রোগ্রামিং ( programming )


  • ওয়েব ডিজাইন ( Web design )


  • ওয়েব ডেভলপমেন্ট ( Web development )


  • ডিজিটাল মার্কেটিং ( Digital Marketing )


  • এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing )


  • এসইও ( seo )


  • গ্রাফিক ডিজাইন ( Graphic design )


  • কনটেন্ট রাইটার ( Content writer )


  • ভিডিও এডিটিং ( Video editing ) ইত্যাদি 

 

ফ্রিল্যান্সিং এই কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করার জন্য বর্তমানে জনপ্রিয় বেশকিছু ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখানে নিয়মিত কাজ করে আপনি অনলাইন থেকে ডলার ও টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

 

উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল:

  • Fiverr.com
  • Upwork.com
  • Freelancer.com
  • Enavato.com
  • Guru.com
  • 99deigns.com
  • Peopleperhour.com
  • Toptal.com
  • Codementor.com
  • Designcrowd.com

 

এইসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি আপনার যেকোনো কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে আপনি আপনার প্রোফাইল তৈরি করবেন ।

 

আপনি যে কাজের উপর পারদর্শী সেই বিষয়ে বিস্তারিত লিখে প্রোফাইলটি সাজান । পরবর্তীতে কোন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে ভালো লাগলে কাজের অর্ডার দিবে। তখন আপনি কত টাকার বিনিময়ে এবং কত সময়ের মধ্যে কাজটি করে দিতে পারবেন তা ক্লায়েন্টকে অবগত করবেন । 

 

৪/ কুটির শিল্প – Cottage industry

 

কুটির শিল্প এই নামের মধ্যেই একটি ঘরোয়া ভাব রয়েছে। যেমন কুটির অর্থ হল ঘর আর ঘরের মধ্যে যে শিল্প তাকেই বলা হয় কুটির শিল্প । কুটির শিল্পের চাহিদা যুগ যুগ ধরে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সাধারণত কুটির শিল্পের ধারক এবং বাহক হলো মেয়েরা।

 

আপনি চাইলে ঘরে বসেই লাভজনক এই ব্যবসাটি করতে পারেন। মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে কুটির শিল্প ব্যবসাটি লাভজনক একটি ব্যবসা। যে মেয়েগুলো কুটির শিল্পের কাজ জানেন তারা চাইলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। 

 

আরো পড়ুন : ১৫টি সেরা ১লাখ টাকায় ব্যবসার আইডিয়া ।

 

কুটির শিল্প গুলি হল:

নকশি কাঁথা: আমাদের বাংলাদেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে নকশি কাঁথার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কেননা অধিকাংশ মানুষ নকশি কাঁথা পছন্দ করেন। অতএব আপনি চাইলে নকশি কাঁথা তৈরি করে অনলাইনে অথবা অফলাইনে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন।

 

নকশি রুমাল: মানুষ নকশাকৃত রুমাল অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাই আপনি বিভিন্ন ডিজাইনের হাত দিয়ে রুমাল তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন।

 

বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করা: বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করা যায় যেমন: ঢাকনা, ফুলদানি, কলমদানি, কুলা , ধামা , ঝাড়ু, তুর্কি, ইত্যাদি এই জিনিসগুলো কুটির শিল্পের মধ্যে পড়ে । অতএব আপনি যদি এই ধরনের বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারদর্শী হন তাহলে এগুলো তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। 

 

৫/ ফটোগ্রাফি ব্যবসা – Photography business

 

আপনি কি ছবি তুলতে ভালোবাসেন ? যদি ছবি তোলা আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে এই শখটাকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অবাক হচ্ছেন ? অবাক হওয়ারই কথা। 

বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা শখের বসে নিজেদের ছবি, প্রাকৃতিক ছবি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি তুলে থাকেন। শখের ছবি তোলাকে কিভাবে একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত করবেন তা আজকে আপনাদের জানাবো।

আপনার হাতে যদি একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ( DSLR camera ) থাকে অথবা একটি যদি উন্নত মানের স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারবেন। নতুন কোনো ডিভাইজের  প্রয়োজন হবে না।

আপনি অনলাইনের বিভিন্ন জায়গায় ছবি বিক্রি করতে পারবেন । বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ছবি ,পশু পাখির ছবি, ব্যক্তিগত ছবি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি দিয়ে টাকা আয় করা যায় ।

 

যেসব ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি ছবি বিক্রি করতে পারবেন সেগুলো দেওয়া হল:

  • Alamy
  • 500px
  • Shutterstock
  • iStock photo
  • Etsy
  • Stocksy ETC

 

৬/ মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া হলো ব্লগিং ব্যবসা – Blogging Business

 

এই মুহূর্তে goafta.comয়ে যে লেখাটি পড়ছেন এটাও একটা ব্লগ। ব্লগ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন:

 

  • ব্যক্তিগত ব্লগ ।
  • কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ব্লগ ।

 

ব্যক্তিগত ব্লগে স্বাধীনতা ব্যক্তিগত দিনলিপি কিংবা যে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লিখা পাবলিশ করা হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে যেমন: প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ, রেসিপি, খেলাধুলা, পড়াশোনা সংক্রান্ত ইত্যাদি। 

অপরদিকে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান ব্লগে কোম্পানিগুলোর নিয়মিত আপডেট গ্রাহকদের জানানোর জন্য, বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে জানার জন্য, যে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় গ্রাহকদের জানানোর জন্য একজন ব্লগার দরকার হয়ে থাকে।

এখন আপনি চাইলে ব্যক্তিগত ব্লগ সাইট খুলে টাকা আয় করতে পারেন অথবা কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ব্লগার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

 

ব্লগিং থেকে আয় করার চারটি সহজ উপায়:

 

  • ব্লগকে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন । 

 

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। অর্থাৎ বর্তমানে অনেক ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি সে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পন্যগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি অ্যামাজনে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে একাউন্ট খুলে তারপর আপনার ওয়েবসাইটে অ্যামাজনের বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ দিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আয় করতে পাবেন।

 

  • রিভিউ, স্পন্সর, প্রমোশনাল পোস্ট লিখে টাকা আয় করতে পারবেন।

 

  • নিজে পণ্য বিক্রি: আপনার নিজের যদি কোন পণ্য সামগ্রী থাকে তবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আপনার ব্লগ সাইটে লিখে পাঠককে অবহিত করতে হবে। পাঠকের কাছে যদি পণ্যটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তাহলে ক্রয় করতে পারে। 

 

মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ব্লগিং ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে । দিনদিন বাংলাদেশের মেয়েরা এই সেক্টরের প্রতি মনোযোগি হচ্ছে ।

 

৭/ কনটেন্ট রাইটার – Content Writing

 

আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং কাজটি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন  ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কনটেন্ট রাইটারদের ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে।

আপনি যদি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভালো বুঝেন এবং লিখতে পারেন তাহলে তোহ আর কোন কথাই নেই কেননা আমরা যখন ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভিজিট করি তখন দেখতে পাই কনটেন্ট রাইটারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে যারা ইংলিশে কনটেন্ট লিখতে পারে তাদের।

এখন আপনি চাইলে আপনার অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

বর্তমানে এটি মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা মেয়েদের তেমন কোনো কাজ থাকে না তারা ঘরের কাজ শেষ করে অনেক অবসর সময় অযথা নষ্ট করে তাকে। 

তাই যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তারা অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে দারুন মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া কনটেন্ট রাইটিং এই কাজটিকে কাজে লাগাতে পারেন।

 

আরো পড়ুন : ১০টি সেরা ঘরোয়া ব্যবসার আইডিয়া ।

 

৮/ ইউটিউব – Youtube

 

ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু ইউটিউব দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কারণ বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হল ইউটিউব। ইউটিউব ব্যবহার করে আমাদের বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

আপনিও চাইলে ইউটিউবে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পড়াশোনা, ইনফর্মেশন, কমেডি, প্রযুক্তি রিলেটেড ভিডিও তৈরী করে আপলোড করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

 

ইউটিউবের রিকুটমেন্ট হল ১ বছরের মধ্যে আপনাকে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ করতে হবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। 

 

ইউটিউব এর রিকুটমেন্ট পূর্ণ হলে আপনি চ্যানেলটি মনিটাইজ করতে পারবেন এবং তারপর থেকে আপনার ইউটিউবে ইনকাম শুরু হবে । যত বেশি ভিডিও ওয়াচ হবে ততো বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

 

৯/ ফ্যাশন ডিজাইনার – Fashion Design

পৃথিবীতে মানুষ যতদিন থাকবে জামাকাপড়ের চাহিদাও ততদিন থাকবে । আর আমাদের জামা কাপড়ের চাহিদা মেটাচ্ছে গার্মেন্টস শিল্পগুলো। যুগের সাথে মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে।  

দেশের সংস্কৃতি এবং পরিবেশের উপর ভিত্তি করে বর্তমানে মানুষজনের পোশাকের বিভিন্ন চাহিদা তৈরী হয়েছে । এবং  মানুষের এই বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে ফ্যাশন ডিজাইনাররা ।

আপনার যদি ফ্যাশন ডিজাইনার সম্পর্কে পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন গার্মেন্টসগুলোতে মোটা অংকের বেতনে চাকরি করতে পারবেন। অথবা নিজেই একটা ফ্যাশন ডিজাইন হাউস তৈরি করতে পারবেন। 

আর যদি  ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে থেকে বিভিন্ন কোর্স করে একজন প্রফেশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারবেন।

বিশেষ করে মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইন ব্যবসাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে। তাই আপনি চাইলে ফ্যাশন ডিজাইন এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন বিভিন্ন কোর্স করে একজন প্রফেশনাল ফ্যাশন ডিজাইনার হতে পারেন। 

 

আরো পড়ুন : বিউটি পার্লারের ব্যবসা করবেন যেভাবে ।

 

১০/ বুটিক হাউস – Boutique House

 

আপনাদের আগেই বলেছিলাম যে মানুষের পোশাকের চাহিদা যুগ যুগ ধরে রয়েছে এবং পৃথিবীর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা থাকবে। বুটিক একটি সৃজনশীল কাজ আর বুটিক হাউসের মাধ্যমে আপনি এই সৃজনশীল কাজের বা পেশায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। 

মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বুটিক হাউজ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করা। মাত্র ৪০-৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারেন বুটিক হাউজের ব্যবসা।

 

আপনার যদি বুটিক ব্যবসা সম্পর্কে পূর্বের কোন ধারনা না থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স ট্রেনিং করতে পারবেন।

 

 উল্লেখযোগ্য বুটিক ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিম্নরূপ:

  • বিসিক
  • ঘরকন্যা
  • বাংলাদেশ মহিলা সমিতি
  • প্রতিবেশী ট্রেনিং সেন্টার ইত্যাদি 

 

১১/ টেলারিং ব্যবসা – Tailoring business

 

মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অন্যতম ঘরে বসে একটি ব্যাবসা হল ট্রেইলারিং ব্যবসা। টেইলারিং বা টেইলার্সের এই ব্যবসাটি অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন। 

মহিলারা বিভিন্ন সময় সেলাই জামা কাপড় পরে। তাই আপনি আপনার আশেপাশের সকলকে যদি বলতে পারেন যে আপনি টেইলার্সের ব্যবসা শুরু করছেন। তাহলে অনেক ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

কেননা আপনি নিজেকে হয়তো অনেক দূর দূরান্ত গিয়ে জামাকাপর সেলাই করতে হয়। তাই আপনি যদি টেইলারিং ব্যবসায় শুরু করেন সেক্ষেক্রে প্রতিবেশিরা সহজেই আপনার দ্বারা কাপড় সেলাই করে নিতে পারবে ।

আপনি টেইলার্সের ব্যবসার পাশাপাশি মেয়েদের বিভিন্ন জামা কাপড়ও বিক্রি করতে পারবেন। এটি করে আপনি বাড়তি আয় করতে পারবেন ।

 

১২/ গৃহশিক্ষক – Tutor

 

আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ঘরে বসে আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো প্রাইভেট টিউটর হওয়া বা টিউশনি করা । কারণ বর্তমানে একজন প্রাইভেট টিউটরের অনেক ডিমান্ড রয়েছে । একজন স্টুডেন্টকে পরিয়ে প্রতিমাসে ৩-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী পাওয়া যায় ।

বিশেষ করে গার্ডিয়ানরা মেয়ে স্টুডেন্টের জন্য মেয়ে টিচার খুঁজে থাকেন। যেহেতু আপনি একজন মেয়ে সেহেতু আপনি আপনার নিম্নশ্রেণির স্টুডেন্টদের পরিয়ে প্রতিমাসের ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন। 

সবচেয়ে দারুন একটি আইডিয়া হলো প্রাইভেট টিউটর হয়ে আয় করা এটি মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অন্যতম একটি।

 

আরো পড়ুন : ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরির আইডিয়া দ।

 

পরিশেষে – Finally

 

আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে মেয়েদের ব্যবসা আইডিয়া মধ্যে দারুন ১২ টি আইডিয়া শেয়ার করেছি। এখান থেকে যে কোন একটি আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আজকের মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া এই লেখাটি পড়ে আপনার মনে যদি কোন প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে দয়া করে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানানোর অনুরোধ রইলো।

এই ধরনের নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের উপর নজরে রাখুন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবীদের কাছে শেয়ার করুন ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুকে ধন্যবাদ। 

 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *