স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়ার খোঁজ করছেন কারণ আপনি বাকি ১০ জনের মতো গাধার খাটুনি না করে সঠিকভাবে কম পরিশ্রম করে অধিক অর্থ উপার্জন করতে চান ।
বর্তমানে ব্যবসার বাজারে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াগুলোকে ফলো করতে হবে । এর প্রধান কারণ দিন দিন প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিযোগিতা বেড়ে চলছে ।
তাই উদ্যোক্তাদেরকে সবসময় নতুন এবং স্মার্ট আইডিয়া খাটিয়ে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় । আমাদের Goafta.com ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং ব্যবসায়িক আইডিয়া শেয়ার করে থাকি ।
আমাদের এই ওয়েবসাইটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণ তরুণদের মাঝে উদ্যোক্তার বীজ বপন করে দেওয়া । অধিক জনসংখ্যার এই দেশে বেকারত্ব নিরসনের সবচেয়ে স্মার্ট এবং সঠিক একটি উপায় হল নতুন নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলা ।
এই কারণেই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়মিত শেয়ার করে থাকি । স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়ার পাশাপাশি আরোও নানান ধরনের বিজনেস আইডিয়া পেতে সব সময় আমাদের ওয়েবসাইটের উপর নজর রাখুন ।
স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া কি ? What is smart business idea ?
সাধারণ অর্থে স্মার্ট ব্যবসা বা স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া বলতে বুঝায় যেখানে কম পরিশ্রমে অধিক লাভ বা ফলাফল ব্যবসা থেকে পাওয়া যায় তাকে স্মার্ট ব্যবসা বলা হয় । বর্তমানের কয়েকটি লাভজনক স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া হলো : ব্লগিং , আফিলিয়েট মারকেটিং , ফ্রিল্যান্সিং , ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা , কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা , কনটেন্ট রাইটিং , অনলাইন টিচিং – কোর্স বিক্রি , টি-শার্ট প্রিন্টিং , ফেসবুক – ইউটিউবিং এবং ইকমার্স ব্যবসা ।
স্মার্ট ব্যবসার জন্য কি প্রয়োজন ? What is required for smart business?
আজকের আর্টিকেলটির হেডলাইন দেখেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন স্মার্ট ব্যবসা করতে হলে ব্যবসাটিকে অবশ্যই স্মার্টভাবে পরিচালনা করতে হবে । বাংলাদেশে একটা সময় ছিল যখন সবাই মনে করত হার্ডওয়ার্ক করার মাধ্যমেই শুধুমাত্র সফলতা অর্জন করা সম্ভব ।
কিন্তু বর্তমানে সময় পরিবর্তন হয়েছে এবং সেই মতবাদও পুরনো হয়ে গিয়েছে । এখন শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না সাথে স্মার্টলি ব্যবসাটিকে পরিচালনাও করতে হবে ।
উদাহরণস্বরূপ : পূর্বে পুরাতন রিকশাগুলো প্রচুর চলত । তখন রিক্সাওয়ালা মামারা প্রচুর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করতো । কিন্তু বর্তমানে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার কারণে পুরাতন রিকশাগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে ।
অন্যদিকে আমাদের সবার পরিচিত একটি মোবাইলফোন কোম্পানি হলো নোকিয়া । নোকিয়ার সেলুলার ফোন অর্থাৎ ছোট মোবাইল ফোনে অনেক জনপ্রিয় ছিল । কিন্তু তারা সময়ের সাথে নিজেদের স্মার্ট এবং আপডেট না করার কারণে বর্তমানে বাজার থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছে ।
বন্ধুরা এই উদাহরণগুলো দেওয়া হলো আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে । আপনি যে ব্যবসা করেন না কেন আপনাকে নিয়মিত নতুন নতুন স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া যুক্ত করতে হবে । অন্যথায় বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ ব্যবসার বাজারে টিকে থাকা মুশকিল ।
স্মার্ট ব্যবসা করতে আপনার বর্তমানে যা যা প্রয়োজন হতে পারে :
- একটি স্বচ্ছ সঠিক ব্যবসা পরিকল্পনা ।
- ব্যবসা শুরুর পূর্বে প্রাথমিক খরচ এবং মূলধনের পরিমাণ নির্ণয় ।
- ব্যবসায়ের অবস্থান এবং পণ্যের বাজার বিশ্লেষণ ।
- নিয়মিত ব্যবসার প্রচার প্রচারণা
- আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত থাকবে বিভিন্ন কাগজপত্র ও লাইসেন্স সংগ্রহ করা ইত্যাদি ।
এছাড়াও কমিউনিকেশন করার দক্ষতা , ধৈর্য , একাগ্রতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে আপনার স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াটিকে ধীরেধীরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ।
১০টি সেরা স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া ২০২২
স্মার্ট ব্যবসা কি এবং স্মার্ট ব্যবসা করতে কি কি উপকরণ ও দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে তার সম্পর্কে উপরে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো । এবার চলুন স্মার্ট ব্যবসা করার জন্য ১০টি বর্তমান সময়ের সেরা স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই ।
যেইসব ব্যবসাগুলো বর্তমানে ইতিমধ্যে আমাদের সমাজে স্মার্ট ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিতি পেয়েছে । এছাড়াও নিচে দেওয়া প্রত্যেকটি স্মার্ট ব্যবসাগুলো আগামী দিনগুলোতে খুব ভালোভাবে ব্যবসা করবে ।
তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক আজকের সেরা ১০টি ব্যবসার আইডিয়া ।
১/ ব্লগিং – Blogging
বর্তমানে স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যবসার আইডিয়া হল ব্লগিং ব্যবসা । আপনি হয়তো ধারণা করতে পারছেননা ব্লগিং ব্যবসা কতটা লাভজনক একটি ব্যবসা হয়ে উঠেছে ।
প্রতিদিন শত শত কোটিবার মানুষ গুগলে বিভিন্ন বিষয় লিখে সার্চ করছে । Oberlo.com এর তথ্য মতে প্রতিদিন গুগোলে প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন বার বিভিন্ন জিনিস সার্চ করা হচ্ছে । আমরা জানি ১বিলিয়ন সমান ১০০কোটি । তাহলে ৮.৫ বিলিয়ন মানে ৮শত ৫০কোটি ।
সংখ্যাটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবতা কিন্তু সত্য । এখন ছোট-বড় সকলেই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে । বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য এখন সবাই ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হচ্ছে ।
তাই ব্লগিং ব্যবসার জন্য তৈরি হয়েছে বিশাল এক সম্ভাবনা । ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে কোটি কোটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গিয়েছে । এবং প্রতিনিয়ত নানান ধরনের সাইট তৈরী হচ্ছে ।
তাই আপনি যদি লেখালিখির কাজ পছন্দ করে থাকেন সেক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন । পরবর্তীতে ব্লগটিকে মনিটাইজ করে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন ।
একটি ওয়েবসাইট থেকে নানা উপায়ে ইনকাম করা যায় যেমন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, মনিটাইজেশন করে , ব্র্যান্ড কলাবরেশন করে , পণ্য বিক্রি করে সহ আরো ইত্যাদি উপায়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন ।
২/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – Affiliate Marketing
স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসা হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এই ব্যবসার সৃষ্টি হয়েছে ।
আফিলিয়েট মারকেটিং বলতে মূলত বুঝায় অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়া এবং বিক্রির বিপরীতে কমিশন লাভ করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাটি আপনি একদম অল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন ?
- একটি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ।
- একটি ব্লগ ওয়েবসাইট ।
- এসইও অপটিমাইজ আর্টিকেল লেখার দক্ষতা ।
- ওয়েবসাইটকে মার্কেটিং করা ।
- বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া । ইত্যাদি
এই কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন ।
এই ব্যবসাটি আপনি পার্টটাইম এবং ফুলটাইমার হিসেবেও করতে পারবেন । আপনি আপনার অবসর সময়ে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ লিখে আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে ।
৩/ ফ্রিল্যান্সিং – Freelancing
ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে বর্তমানে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া হয়ে উঠেছে । আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭লক্ষ ৫০হাজার তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং কাজ করছে ।
ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে অন্য কারো কাজ করে দেওয়াকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে । বিভিন্ন ধরনের স্কিলফুল কাজ শিখে ঘরে বসে ফ্রীলান্সিং করা যেতে পারে ।
বর্তমান সময়ের কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ হল :
- ওয়েব ডিজাইন এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট
- মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ওয়ার্ডপ্রেস
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- কনটেন্ট রাইটিং
- বিজনেস কনসালটেন্ট
- ডাটা এন্ট্রিসহ ইত্যাদি কাজ বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ।
এই ধরনের স্কিলফুল কাজগুলো শিখে বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
বর্তমানের কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেস হলো : ফাইবার ডটকম , ফ্রিল্যান্সার ডটকম , আপওয়ার্ক ডটকম ইত্যাদি ।
৪/ ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা – Fast food business
আপনার ফাস্টফুড দোকানের খাবার যদি সুস্বাদু হয়ে থাকে তাহলে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে আপনার খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য ছুটে আসবে ।
৩ থেকে ৫ ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে আপনি আপনার ফাস্টফুড দোকানে বিক্রি করতে পারেন । এছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ফাস্টফুড খাবার বিক্রি করতে পারেন । বর্তমানে বাংলাদেশে ফুড পান্ডা ফাস্টফুড খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করছে ।
আপনি ফুড পান্ডায় আপনার রেস্টুরেন্টকে তালিকাভুক্ত করে কাস্টমার থেকে অর্ডার নিতে পারেন । পরবর্তীতে খাবার তৈরি করে ফুড পান্ডার মাধ্যমে ডেলিভারি দিতে পারেন ।
ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ? ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা শুরু করার জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন , এই ব্যবসা শুরু করতে কেমন মূলধনের প্রয়োজন হতে পারে ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের ফাস্টফুড ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটিতে ।
৫/ কুরিয়ার সার্ভিসের স্মার্ট ব্যবসা – Courier service business
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় কি তা সম্পর্কে আলাদা করে বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না ।
এরপরও সাধারণ অর্থে যদি বলি তাহলে কুরিয়ার সার্ভিস হল এমন একটি সার্ভিস ব্যবসা যারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ও ডকুমেন্টস একে – অপরের নিকট পৌঁছে দিয়ে থাকে ।
আপনিও এই ধরনের একটি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিসগুলো রয়েছে তারা পার্সেল পৌঁছে দিতে অনেক সময় নেয় ।
এর প্রধান কারণ হচ্ছে অধিক পরিমাণ অর্ডারের কারণে । তাই আপনি শুধুমাত্র আপনার এলাকার জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।
বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর পণ্যগুলো আপনি আপনার এলাকায় ডেলিভারি করে দিতে পারেন । এবং এতে করে আপনি সার্ভিস চার্জ কম রাখতে পারবেন এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে পারবেন ।
এভাবে আপনি যদি অল্পকিছুদিন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন ।
কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন , কি পরিমাণ মূলধন এর প্রয়োজন হতে পারে ইত্যাদি জানতে আমাদের কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা আর্টিকেলটি পড়ুন ।
৬/ কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা – Content writing
ইন্টারনেটে বর্তমানে কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং এইসব ওয়েবসাইটগুলোর জন্যে প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হাজার হাজার আর্টিকেলের ।
তাই আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন অথবা লেখালেখি ভালো করতে পারেন তাহলে কনটেন্ট রাইটিং কাজটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন ।
বিভিন্ন ব্লগিং, আফিলিয়েট মার্কেটিং ও ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন । বিশেষ করে আপনি যদি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস ফাইবার , আপওয়ার্ক , ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোতে এই ধরনের প্রচুর কাজ পাওয়া যায় ।
কনটেন্ট রাইটিং স্মার্ট ব্যবসাটি করতে হলে যা যা প্রয়োজন হবে :
- ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার ।
- এসইও অপটিমাইজ আর্টিকেল লেখার দক্ষতা ।
- ইংরেজিতে পারদর্শিতা ।
- ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন করার দক্ষতা
- বিশ্লেষণ দক্ষতা
উপরের এই উপকরণ এবং দক্ষতা গুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া কনটেন্ট রাইটিং কাজটি করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন ।
আরো পড়ুন : আমাদের সাইটে আপনার লেখা প্রকাশ করে জিতে নিন ৫০টাকা নগদে ।
৭/ অনলাইনে টিচিং করানো ও কোর্স বিক্রি করা
বর্তমানে স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসা হল অনলাইন টিচিং অথবা অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা । আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হয়ে থাকেন বা ট্রেইনার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে এই সার্ভিস দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন ।
ইতিমধ্যে অনেক দক্ষ ট্রেইনার ও প্রশিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করে ব্যবসা করছে ।
বাংলাদেশ অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করে ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল : টেন মিনিট স্কুল । এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্কিলফুল কোর্স করিয়ে নিয়মিত ব্যবসা করে যাচ্ছে ।
আপনিও চাইলে টেন মিনিট স্কুলের একজন ট্রেইনার হিসেবে যুক্ত হয়ে কোর্স বিক্রি করতে পারেন । তবে সেক্ষেত্রে টেন মিনিট স্কুল কিছু কমিশন চার্জ করতে পারে । অন্যদিকে,
আপনি যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে কোর্স বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ক্রেডিটটা আপনি একাই পাবেন । তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে মার্কেটিং করার জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে ।
কিন্তু আপনি যদি কোয়ালিটি ফুল কোর্স তৈরি করতে পারেন এক্ষেত্রে দ্রুতই ছাত্রছাত্রীরা আপনার কোর্সে এনরোল করবে ।
আপনার অনলাইনে কোর্স বিক্রির স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়াটিকে বাস্তবে রূপ দিতে ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে । আমরা আপনাকে স্বল্পমূল্যে একটি কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইট তৈরি করে দেবো ।
৮/ টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা – T-shirt printing business
পাইকারি বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের এক কালারের টি-শার্ট ক্রয় করে এনে আকর্ষণীয় নানান ধরনের ছবি ও লিখা টি-শার্টে প্রিন্ট করে বিক্রি করতে পারেন ।
বর্তমানে টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার জন্য আপনার একটি হিট মেশিনের প্রয়োজন হবে ।
কিভাবে একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করা যায় এবং কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হতে পারে অথবা টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
৯/ ইকর্মাস ব্যবসা – eCommerce business
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে অন্যতম সেরা একটি স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া হলো ই-কমার্স ব্যবসা বাণিজ্য । অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী ও সেবা বিক্রি করাকে ই-কমার্স ব্যবসা বলে ।
আপনার কাছে যদি কোন আকর্ষণীয় পণ্য সামগ্রী থাকে তাহলে তা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন ।
ই-কমার্স ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন ?
- ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার প্রয়োজন ।
- একটি অনলাইন স্টোর ওয়েবসাইট প্রয়োজন ।
- কিছু নিজস্ব পণ্য সামগ্রী প্রয়োজন ।
- ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন
- ই কমার্স ব্যবসা হিসাবে নিবন্ধন করা।
- পণ্যের মার্কেটিং করা ।
আপনি যদি প্রফেশনালভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে । তবে শুরুর দিকে আপনি একটি ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারেন ।
কিন্তু আইনি জটিলতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এবং ই-কমার্স ব্যবসা হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে ।
১০/ ইউটিউব / ফেসবুক সামাজিক মাধ্যম দিয়ে ব্যবসা
বর্তমান সময়ের অন্যতম আরো একটি স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া হলো ফেইসবুক এবং ইউটিউবে ব্লগিং করা । ফেইসবুক এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহার করে আপনি চাইলে একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।
ফেসবুকে একটি পেইজ খোলার মাধ্যমে সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন । ঠিক তেমনটা ইউটিউবের ক্ষেত্রেও । আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
তবে ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য তাদের শর্ত পূরণ করতে হবে । যেমন: ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন করতে হলে আপনার পেইজে অবশ্যই ১০হাজার ফলোয়ার এবং ৬লক্ষ মিনিট ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকতে হবে । অন্যদিকে,
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে আয় করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে ১হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে ।
এছাড়াও একটি ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরও নানান উপায়ে ব্যবসা করতে পারবেন যেমন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং , ব্র্যান্ড প্রমোশন ও কলাবরেশন , প্রোডাক্ট বিক্রি , ওয়েবসাইট ট্রাফিক নেওয়া ইত্যাদি ।
আরো পড়ুন : ১০টি সেরা লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া ।
পরিশেষে – Finally
আজকের স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে ১০টি দারুন আইডিয়া বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো ।
আজকের লেখায় আপনার কাছে কোন আইডিয়াটি ভালো লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।
এছাড়াও আর্টিকেলটি ভালো লাগলো শেয়ার করতে পারেন ফেইসবুক – টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
আগামীতে কি ধরনের ব্যবসায়িক আইডিয়া পেতে চান তাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমাদের । আমরা চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী লেখা প্রকাশ করার ।