লস ছাড়া ব্যবসা অথবা কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসা আমরা সবাই করতে চাই । কিন্তু লাভজনক সকল ব্যবসায় মোটামুটি ঝুঁকির উপস্থিতি রয়েছে । আমরা সবাই জানি যে ব্যবসায় ঝুঁকি যত বেশি সে ব্যবসায় লাভও তত বেশি ।
এরপরও আপনারা অনেকেই রিকুয়েস্ট করেছেন লস ছাড়া ব্যবসা করা যায় এমন কিছু আইডিয়া দেওয়ার জন্য । বিশেষ করে আপনাদের অনুরোধেই আজকের লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি প্রকাশ করা হলো ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : বর্তমান ব্যবসার বাজারে এমন কোন ব্যবসা নেই যেখানে একেবারে লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই । তবে আমরা আজকের আর্টিকেলে যে ব্যবসার তালিকাগুলো শেয়ার করেছি তা তুলনামূলক অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে অনেকটা নিরাপদ এবং তেমন বড় কোনো লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।
আপনি একটু পরিশ্রম করলেই নিম্মোক্ত ব্যবসাগুলো থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি নিজের ব্যবসাকে লস থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন ।
লস ছাড়া ব্যবসা কি ? What is business without loss?
লস ছাড়া ব্যবসা বলতে মূলত বুঝায় যে ব্যবসাতে লাভ এর তুলনায় ঝুঁকি অনেক গুণ কম । অর্থাৎ লস ছাড়া ব্যবসাগুলো হলো আপনি প্রায় কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই অনেক বেশি পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন ।
আমি অনেকগুলো লাভজনক লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া অনেক বিশ্লেষণ করার পর আপনাদের জন্য খুঁজে পেলাম । তাই যারা এতদিন ধরে লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়ার খোজঁ করছিলেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত সহায়ক ও উপকারী হতে যাচ্ছে ।
কেন লস ছাড়া ব্যবসা করবেন ?
লস ছাড়া ব্যবসা কেন করবেন এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে আপনার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক ব্যবসা করার মত সাহস এবং বিনিয়োগ নেই । তাই আপনি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন ।
যাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন নেই ব্যবসা শুরু করার তারা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ হওয়া বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়তে পারেন ।
লস ছাড়া ব্যবসার ১০টি আইডিয়া – 10 business ideas without loss.
আপনাদের সুবিধার্থে আজকে ১০টি বাছাইকৃত লস ছাড়া ব্যবসার লিস্ট করা হলো । যারা এই ধরনের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছিলেন তারা আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
১/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা – Affiliate Marketing Business

লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা । অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা বলতে বুঝায় অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী ও সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রমোশন করে বা প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়া । এবং সেই পণ্য বা সেবা বিক্রির বিপরীতে কমিশন অর্জন করাকেই আফিলিয়েট মারকেটিং বলে ।
বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সারা বিশ্বে একটি ট্রেন্ডিং ব্যবসা হিসেবে রূপ ধারণ করেছে । বিশেষ করে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সারাবিশ্বে প্রচুর সাড়া ফেলে দিয়েছে ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি প্রয়োজন ?
- একটি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ।
- একটি প্রফেশনাল অ্যাফিলিয়েট ব্লগ সাইট ।
- এবং ধৈর্য
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী ও সেবা নিয়ে রিভিউ লিখতে পারেন । এবং আপনার সেই রিভিউ পড়ার মাধ্যমে কেউ যদি সেই পণ্যটি ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনি সেই প্রোডাক্ট থেকে কমিশন লাভ করবেন ।
অনেকক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি ইউটিউব , ফেইসবুক , ইনস্টাগ্রাম , টুইটার , লিঙ্কডইন এই ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করেও করতে পারবেন ।
তবে বড় বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্লগ স্টোর বা ব্লগ ওয়েবসাইট দেখাতে হবে ।
আরো পড়ুন : ১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ।
২/ ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং ব্যবসা – Blogging business on YouTube and Facebook

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং করে ব্যবসা করা ।
ব্লগিং কি এই সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না । বর্তমানে কমবেশি সবাই পরিচিত ব্লগিং শব্দটার সাথে ।
আপনি ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও পাবলিশ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং এটিকে ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন ।
বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী এই ফেইসবুক এবং ইউটিউব প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করছে ।
ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে কি কি উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায় ?
ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আপনি নানান ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন যেমন:
- ফেইসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে ।
- ব্র্যান্ড কলাবরেশন করে ।
- সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার মাধ্যমে ।
- প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে ।
- প্রমোশন করে দেওয়ার মাধ্যমে ।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ।
- ডোনেশন নেওয়ার মাধ্যমে ।
ইত্যাদি আরও নানান উপায় অবলম্বন করে আপনি ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার শর্ত :
ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন করতে হলে আপনার পেইজে কমপক্ষে ১০হাজার ফেইসবুক ফলোয়ার এবং প্রায় ৬লক্ষ ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকতে হবে । তাহলেই আপনি ফেসবুক পেজকে মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন ।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার শর্ত :
একটি ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করতে আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে ১হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪হাজার ঘন্টা ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকতে হবে ।
ইউটিউবের এই শর্ত পূরণ করতে পারলেই আপনি একটি চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেইসবুক পেইজ খোলা সম্পূর্ণ ফ্রি । তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় ইউটিউব এবং ফেসবুক ব্যবসা করা লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক আইডিয়া । এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে কমেন্ট করে জানান আমাদের ।
আরো পড়ুন : ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরীর ব্যবসা ।
৩/ কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা – Content writing business
কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা হল আজকের বর্তমান সময়ের অন্যতম লাভজনক লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া । কনটেন্ট রাইটিং করে কেমন ইনকাম করা যেতে পারে তা বুঝার সুবিধার্তে একটি স্কিন শর্ট দেওয়া হলে । [ যা আপওয়ার্ক থেকে নেওয়া হলো ]

আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন অথবা লেখালেখি করা যদি আপনার পছন্দের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং কাজটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন ।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজে একজন লেখক হয়ে বিভিন্ন লিখা ও আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন । এবং এর বিপরীতে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করতে পারেন ।
লোকাল মার্কেট এর পাশাপাশি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতেও কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । তবে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে ।
এছাড়াও আপনি বাংলাতে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন । এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ।
কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন ?
- ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে ।
- এসইও অপটিমাইজ আর্টিকেল লেখার উপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে ।
- ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে ।
- নিয়মিত কাজ করার মত ধৈর্য ও একাগ্রতা গড়ে তুলতে হবে ।
বাংলাতে একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে আপনি প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন । অন্যদিকে আপনি ইংরেজিতে একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে প্রায় ৫০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন ।
তবে নির্দিষ্ট কি পরিমান ইনকাম আপনি করতে পারবেন তার সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে আপনার লেখার মানের উপর । আপনার লেখার কোয়ালিটি যত ভালো হবে আপনার আর্টিকেল এর দাম তত বেশি হবে ।
আপনি যদি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আমি মনে করি কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা আপনার জন্য উপযুক্ত একটি আইডিয়া ।
বিশেষ করে আপনি যদি একজন গৃহিণী অথবা শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসাটি আপনার জন্য পারফেক্ট একটি ব্যবসা ।
আরো পড়ুন : দৈনিক ইনকাম করার ১৩টি ব্যবসা ।
৪/ অনলাইন কনসালটেন্ট – Online Consultant

কনসালটেন্ট ( Consultant ) এটি একটি ইংরেজী শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে পরামর্শকারী । আপনি একটি কনসালটেন্ট ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । এটিকে একদম বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া বলা যেতে পারে ।
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে একজন কনসালটেন্ট হিসেবে ফার্ম গড়ে তুলতে পারেন ।
উদাহরণস্বরূপ : আপনি একজন ওয়েব ডেভলপার অথবা ওয়েবসাইট তৈরীর কাজে একজন দক্ষ ব্যক্তি । সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য কি ধরনের ওয়েবসাইট প্রয়োজন হতে পারে ? ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে ?
কি ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে ? ইত্যাদি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন । এবং এর বিপরীতে আপনি সার্ভিস চার্জ ধার্য করতে পারেন ।
এবং এই কাজটি করার জন্য আপনার কোন ধরনের অফিসের প্রয়োজন হবে না । আপনি বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে কনসালটেন্ট এর ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ।
অনলাইন কনসালটেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন ?
- ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ।
- কনসালটেন্ট বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হওয়া ।
- একটি কনসালটেন্ট ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেখানে রিলেটেড টপিক নিয়ে আলোচনা করা ।
- প্রচারণার জন্য ফেইসবুক , ইউটিউব চ্যানেলকে ব্যবহার করা ।
৫/ কোচিং সেন্টার এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি – Coaching centers and selling courses online

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো কোচিং সেন্টার বিজনেস এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা ।
আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন অথবা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সম্পর্কে দক্ষ ট্রেইনার হয়ে থাকেন তাহলে কোচিং সেন্টার করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন । এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তেমন লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।
এছাড়াও আপনি অনলাইনে কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন । বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার কোর্স , গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স , ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স , ওয়েব ডিজাইন কোর্স এই ধরনের লাইভ লাইভ ক্লাস বা রেকডিং ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন ।
এবং এই ব্যবসায় একেবারেই লস নেই তা পরিষ্কারভাবে বলা যায় । শুধু আপনাকে পরিশ্রম ও ধৈর্যের সাথে কাজ করে যেতে হবে ।
৬/ ঠিকাদারি ব্যবসা – contracting business

বর্তমানে লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসা হল ঠিকাদারির ব্যবসা । এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অনেক কম লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে অল্পদিনেই আপনি সফল একটি ঠিকাদারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন ।
ঠিকাদারি ব্যবসা হল মূলত কোন ছোট – বড় বিল্ডিং,সেতু,কলকারখানা,রাস্তা-ঘাট বা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে সেগুলোর কাজ সঠিকভাবে শেষ করাকে ঠিকাদারি ব্যবসা বলে।
আপনি কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য বিভিন্ন কর্মী ভাড়া করে নিয়ে আসবেন । সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজের পকেট থেকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই আপনি মালিক থেকে টাকা নিয়ে দায়বদ্ধতার সাথে কর্মীদের পরিচালনা এবং কাজটি সম্পন্ন করে দিতে পারবেন ।
এভাবেই আপনি কোন ধরনের লোক ছাড়া ঠিকাদারি ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন । ঠিকাদারি ব্যবসাটি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমিউনিকেশনে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হয় ।
ঠিকাদারী ব্যবসায় যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আপনাকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক থেকে শুরু করে ছোটখাটো বিভিন্ন কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে । তাই যোগাযোগ দক্ষতা যার যত বেশি ভালো সে ঠিকাদারী ব্যবসায় দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবে ।
আরো পড়ুন : মাত্র ২হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করুন ।
৭/ ডিলারশিপ ব্যবসা – Dealership business

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে সবচেয়ে সেরা আইডিয়া হলো ডিলারশিপ ব্যবসা । এই ব্যবসায় একেবারেই কোন ধরনের লস নেই তা পরিষ্কারভাবে বলা যায় । এর কারণ হচ্ছে এই ব্যবসায় পণ্য সামগ্রী পচেঁ যাওয়া বা অবিক্রীত থেকে গেলেও তা আপনি কোম্পানিকে ফেরত দিতে পারবেন ।
তাই কোন ধরনের দুশ্চিন্তা ছাড়াই আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন । ডিলারশিপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন অথবা একটি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে কি ধরনের লাইসেন্স প্রয়োজন ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে আমাদের ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
ডিলারশি ব্যবসাকে লস ছাড়া ব্যবসার জনক বলা যেতে পারে । { মজা করলাম কিন্তু কথা সত্য }
৮/ লন্ড্রী , আয়রন এবং ওয়াস সার্ভিস ব্যবসা – Laundry, Iron and Wash Service Business
লন্ড্রি, আয়রন এবং কাপড় ওয়াশ করার সার্ভিস ব্যবসা বর্তমানে অত্যন্ত প্রফিটেবল একটি ব্যবসার আইডিয়া । এবং এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ।
এর প্রধান কারণ এই ব্যবসায় আপনাকে অধিক মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়না । আপনি একটি জনবহুল স্থানে দোকান নিয়ে লন্ড্রী , আয়রন এবং কাপড় ওয়াশের ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
এছাড়াও আপনার কাছে যদি দোকান নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কাপড় সংগ্রহ করতে পারেন এবং আপনার বাসাতেই লন্ড্রী, আয়রন এবং ওয়াসের কাজগুলো সেরে নিতে পারেন ।
৯/ ফটোগ্রাফীর ব্যবসা – The business of photography

ফটোগ্রাফি বা ফটো তোলা যদি আপনার শখের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই কাজটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন । একটি ভাল মানের ক্যামেরার মাধ্যমে ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে ।
ফটোগ্রাফির ব্যবসাটি যে একটি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া তা পরিষ্কারভাবেই বলা যায় । কারণ এই ব্যবসায় তেমন বেশি মূলধন বিনিয়োগ করা প্রয়োজন হয় না ।
আপনি একটি ভাল মানের ক্যামেরা কেনার মাধ্যমেই ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ।
বিভিন্ন বিয়ে- শাদী , কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ও সাংবাদিকদের ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করে ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারেন ।
এছাড়াও ক্যামেরা ভাড়া দিয়েও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
১০/ স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা – Smartphone repair business

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা দারুন একটি উপায় । বর্তমানে আমাদের সবার হাতেই বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন রয়েছে ।
যোগাযোগের জন্য বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হয়ে উঠেছে । তবে এইধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে নানান সময় সমস্যা দেখা দেয় ।
যার ফলে এই স্মার্টফোনগুলোতে মেরামতের প্রয়োজন হয় । তাই আপনি অল্প কিছু টাকা পুঁজি খাটিয়ে স্মার্টফোনের কাজ শিখে নিতে পারেন এবং এই ধরনের সার্ভিস দিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।
আরো পড়ুন : ১০টি সেরা ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট ব্যবসাল আইডিয়া ।
কোথায় থেকে স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শিখবো ?
প্রতিটি জেলায় এবং শহরে এই ধরনের স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শেখানো হয় । এছাড়াও স্মার্টফোন মেরামতের দোকানগুলোতে সহকারি হিসেবে কাজ করে এই ধরনের কাজগুলো শেখা যেতে পারে ।
তবে আপনি যদি চট্টগ্রামে বসবাস করে থাকেন সেক্ষেত্রে বিশ্বাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর দ্বারস্থ হতে পারেন । এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ সফলতার সাথে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শিখিয়ে আসছে ।
বিশ্বাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ঠিকানা : চট্টগ্রাম নিউমার্কেটের রয়েল প্লাজা ৩য় তলা । মোবাইল নাম্বার : 01617718059 ।
পরিশেষে – Finally
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে লস ছাড়া ব্যবসা করা যায় এমন দশটি ব্যবসার আইডিয়ার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল ।
আজকের লেখার কোন আইডিয়াটি আপনাদের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । এবং ভবিষ্যতে আপনারা কি ধরনের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে চান তা কমেন্ট করে জানাবেন ।
এছাড়াও ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কিত কোন ধরনের সার্ভিস প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে । আমাদের লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে । ফলো করুন আমাদের ফেসবুকে ধন্যবাদ ।