লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া

লস ছাড়া ব্যবসা অথবা কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়া ব্যবসা আমরা সবাই করতে চাই । কিন্তু লাভজনক সকল ব্যবসায় মোটামুটি ঝুঁকির উপস্থিতি রয়েছে ।  আমরা সবাই জানি যে ব্যবসায় ঝুঁকি যত বেশি সে ব্যবসায় লাভও তত বেশি । 

 

এরপরও আপনারা অনেকেই রিকুয়েস্ট করেছেন লস ছাড়া ব্যবসা করা যায় এমন কিছু আইডিয়া দেওয়ার জন্য ।  বিশেষ করে আপনাদের অনুরোধেই আজকের লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি প্রকাশ করা হলো ।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্য :  বর্তমান ব্যবসার বাজারে এমন কোন ব্যবসা নেই যেখানে একেবারে লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই । তবে আমরা আজকের আর্টিকেলে যে ব্যবসার তালিকাগুলো শেয়ার করেছি তা তুলনামূলক অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে অনেকটা নিরাপদ এবং তেমন বড় কোনো লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।

 

আপনি একটু পরিশ্রম করলেই নিম্মোক্ত ব্যবসাগুলো থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি নিজের ব্যবসাকে লস থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন ।

 

Table of Contents

লস ছাড়া ব্যবসা কি ? What is business without loss?

 

লস ছাড়া ব্যবসা বলতে মূলত বুঝায় যে ব্যবসাতে লাভ এর তুলনায় ঝুঁকি অনেক গুণ কম ।  অর্থাৎ লস ছাড়া ব্যবসাগুলো হলো আপনি প্রায় কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই অনেক বেশি পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন ।

 

আমি অনেকগুলো লাভজনক লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া অনেক বিশ্লেষণ করার পর আপনাদের জন্য খুঁজে পেলাম ।  তাই যারা এতদিন ধরে লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়ার খোজঁ করছিলেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত সহায়ক ও উপকারী হতে যাচ্ছে ।

 

কেন লস ছাড়া ব্যবসা করবেন ?

 

লস ছাড়া ব্যবসা কেন করবেন এই প্রশ্নের উত্তর হতে পারে আপনার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক ব্যবসা করার মত সাহস এবং বিনিয়োগ নেই ।  তাই আপনি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন ।

 

যাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন নেই ব্যবসা শুরু করার তারা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ হওয়া বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়তে পারেন । 

 

লস ছাড়া ব্যবসার ১০টি আইডিয়া – 10 business ideas without loss.

 

আপনাদের সুবিধার্থে আজকে ১০টি বাছাইকৃত লস ছাড়া ব্যবসার লিস্ট করা হলো ।  যারা এই ধরনের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছিলেন তারা আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

 

১/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা – Affiliate Marketing Business

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা

 

লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা ।  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা বলতে বুঝায় অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী ও সেবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রমোশন করে বা প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়া । এবং সেই পণ্য বা সেবা বিক্রির বিপরীতে কমিশন অর্জন করাকেই আফিলিয়েট মারকেটিং বলে ।

 

বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সারা বিশ্বে একটি ট্রেন্ডিং ব্যবসা হিসেবে রূপ ধারণ করেছে ।  বিশেষ করে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সারাবিশ্বে প্রচুর সাড়া ফেলে দিয়েছে । 

 

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি প্রয়োজন ?

 

  •  একটি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ।
  •  একটি প্রফেশনাল অ্যাফিলিয়েট ব্লগ সাইট ।
  •  এবং ধৈর্য

 

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী ও সেবা নিয়ে রিভিউ লিখতে পারেন । এবং আপনার সেই রিভিউ পড়ার মাধ্যমে কেউ যদি সেই পণ্যটি ক্রয় করে সেক্ষেত্রে আপনি সেই প্রোডাক্ট থেকে কমিশন লাভ করবেন ।

 

অনেকক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি ইউটিউব ,  ফেইসবুক ,  ইনস্টাগ্রাম ,  টুইটার ,  লিঙ্কডইন এই ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করেও করতে পারবেন ।

 

তবে বড় বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি ব্লগ স্টোর বা ব্লগ ওয়েবসাইট দেখাতে হবে । 

 

আরো পড়ুন : ১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ।

 

২/ ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং ব্যবসা – Blogging business on YouTube and Facebook

ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং ব্যবসা
ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং ব্যবসা

 

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো ইউটিউব এবং ফেসবুকে ব্লগিং করে ব্যবসা করা ।

 

ব্লগিং কি এই সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না ।   বর্তমানে কমবেশি সবাই পরিচিত ব্লগিং শব্দটার সাথে ।

 

আপনি ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে ভিডিও পাবলিশ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং এটিকে ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন ।

 

বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী এই ফেইসবুক এবং ইউটিউব প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করছে ।

 

 ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে কি কি উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায় ?

 

 ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আপনি নানান ভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবেন যেমন: 

  • ফেইসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করে ।
  • ব্র্যান্ড কলাবরেশন করে ।
  • সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার মাধ্যমে ।
  • প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে ।
  • প্রমোশন করে দেওয়ার মাধ্যমে ।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ।
  • ডোনেশন নেওয়ার মাধ্যমে ।

 

ইত্যাদি আরও নানান উপায় অবলম্বন করে আপনি ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন করার শর্ত : 

 

ফেইসবুক পেজ মনিটাইজেশন করতে হলে আপনার পেইজে কমপক্ষে ১০হাজার ফেইসবুক ফলোয়ার এবং প্রায় ৬লক্ষ ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকতে হবে । তাহলেই আপনি ফেসবুক পেজকে মনিটাইজেশন করে ইনকাম করতে পারবেন । 

 

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করার শর্ত : 

 

একটি ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন অন করতে আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে ১হাজার  সাবস্ক্রাইবার এবং ৪হাজার ঘন্টা ভিডিও ওয়াচ টাইম থাকতে হবে ।

 

ইউটিউবের এই শর্ত পূরণ করতে পারলেই আপনি একটি চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেইসবুক পেইজ খোলা সম্পূর্ণ ফ্রি । তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় ইউটিউব এবং ফেসবুক ব্যবসা করা লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক আইডিয়া । এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে কমেন্ট করে জানান আমাদের ।

 

আরো পড়ুন : ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরীর ব্যবসা ।

 

৩/ কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা – Content writing business

 

কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা হল আজকের বর্তমান সময়ের অন্যতম লাভজনক লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া ।  কনটেন্ট রাইটিং করে কেমন ইনকাম করা যেতে পারে তা বুঝার সুবিধার্তে একটি স্কিন শর্ট দেওয়া হলে । [ যা আপওয়ার্ক থেকে নেওয়া হলো  ]

কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা
কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা

 

আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন অথবা লেখালেখি করা যদি আপনার পছন্দের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং কাজটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন ।

 

বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজে একজন লেখক হয়ে বিভিন্ন লিখা ও আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন ।  এবং এর বিপরীতে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করতে পারেন ।

 

লোকাল মার্কেট এর পাশাপাশি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতেও কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর প্রচুর কাজ পাওয়া যায় ।  তবে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে ।

 

এছাড়াও আপনি বাংলাতে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন ।  এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন বাংলা ব্লগ ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে । 

 

কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন ? 

 

  • ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে ।
  • এসইও অপটিমাইজ আর্টিকেল লেখার উপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে ।
  • ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে ।
  • নিয়মিত কাজ করার মত ধৈর্য ও একাগ্রতা গড়ে তুলতে হবে ।

 

বাংলাতে একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে আপনি প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন । অন্যদিকে আপনি ইংরেজিতে একটি ১০০০ শব্দের  আর্টিকেল লিখে প্রায় ৫০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন ।

 

তবে নির্দিষ্ট কি পরিমান ইনকাম আপনি করতে পারবেন তার সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে আপনার লেখার মানের উপর ।  আপনার লেখার কোয়ালিটি যত ভালো হবে আপনার আর্টিকেল এর দাম তত বেশি হবে ।

 

আপনি যদি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আমি মনে করি কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা আপনার জন্য উপযুক্ত একটি আইডিয়া ।  

 

বিশেষ করে আপনি যদি একজন গৃহিণী অথবা শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসাটি আপনার জন্য পারফেক্ট একটি ব্যবসা । 

 

আরো পড়ুন : দৈনিক ইনকাম করার ১৩টি ব্যবসা ।

 

৪/ অনলাইন কনসালটেন্ট – Online Consultant

অনলাইন কনসালটেন্ট
অনলাইন কনসালটেন্ট

 

কনসালটেন্ট ( Consultant ) এটি একটি ইংরেজী শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে পরামর্শকারী ।  আপনি একটি কনসালটেন্ট ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।  এটিকে একদম বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া বলা যেতে পারে ।

 

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে একজন কনসালটেন্ট হিসেবে ফার্ম গড়ে তুলতে পারেন । 

 

উদাহরণস্বরূপ :  আপনি একজন ওয়েব ডেভলপার অথবা ওয়েবসাইট তৈরীর কাজে একজন দক্ষ ব্যক্তি ।  সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য কি ধরনের ওয়েবসাইট প্রয়োজন হতে পারে ? ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হতে পারে ? 

 

কি ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে ?  ইত্যাদি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন ।  এবং এর বিপরীতে আপনি সার্ভিস চার্জ ধার্য করতে পারেন ।

 

এবং এই কাজটি করার জন্য আপনার কোন ধরনের অফিসের  প্রয়োজন হবে না । আপনি বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে কনসালটেন্ট এর ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ।

 

অনলাইন কনসালটেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কি  কি প্রয়োজন ?

 

  • ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ।
  • কনসালটেন্ট বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হওয়া । 
  • একটি কনসালটেন্ট ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেখানে রিলেটেড টপিক নিয়ে আলোচনা করা ।
  •  প্রচারণার জন্য ফেইসবুক , ইউটিউব চ্যানেলকে ব্যবহার করা । 

 

৫/ কোচিং সেন্টার এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি – Coaching centers and selling courses online

কোচিং সেন্টার এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি
কোচিং সেন্টার এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি

 

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো কোচিং সেন্টার বিজনেস এবং অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা । 

 

আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন অথবা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সম্পর্কে দক্ষ ট্রেইনার হয়ে থাকেন তাহলে কোচিং সেন্টার করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন ।  এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তেমন লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।

 

এছাড়াও আপনি অনলাইনে কোর্স তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন ।  বিশেষ করে  ইংরেজি শিক্ষার কোর্স ,   গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স ,  ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ,  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স ,  ওয়েব ডিজাইন কোর্স এই ধরনের লাইভ লাইভ ক্লাস বা রেকডিং ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন ।

 

এবং এই ব্যবসায় একেবারেই লস নেই তা পরিষ্কারভাবে বলা যায় ।  শুধু আপনাকে পরিশ্রম ও ধৈর্যের সাথে কাজ করে যেতে হবে । 

 

৬/ ঠিকাদারি ব্যবসা – contracting business

ঠিকাদারি ব্যবসা
ঠিকাদারি ব্যবসা

 

বর্তমানে লস ছাড়া ব্যবসার মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসা হল ঠিকাদারির ব্যবসা । এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অনেক কম লস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।

 

আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে অল্পদিনেই আপনি সফল একটি ঠিকাদারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন ।

 

ঠিকাদারি ব্যবসা হল মূলত কোন ছোট – বড় বিল্ডিং,সেতু,কলকারখানা,রাস্তা-ঘাট বা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে সেগুলোর কাজ সঠিকভাবে শেষ করাকে ঠিকাদারি ব্যবসা বলে। 

 

আপনি কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য বিভিন্ন কর্মী ভাড়া করে নিয়ে আসবেন ।  সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজের পকেট থেকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই আপনি মালিক থেকে টাকা নিয়ে দায়বদ্ধতার সাথে কর্মীদের পরিচালনা এবং কাজটি সম্পন্ন করে দিতে পারবেন । 

 

এভাবেই আপনি কোন ধরনের লোক ছাড়া ঠিকাদারি ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন ।  ঠিকাদারি ব্যবসাটি  দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমিউনিকেশনে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হয় ।

 

ঠিকাদারী ব্যবসায় যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।  আপনাকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক থেকে শুরু করে ছোটখাটো বিভিন্ন কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে ।  তাই যোগাযোগ দক্ষতা যার যত বেশি ভালো সে ঠিকাদারী ব্যবসায় দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবে । 

 

আরো পড়ুন : মাত্র ২হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা করুন ।

 

৭/ ডিলারশিপ ব্যবসা – Dealership business

ডিলারশিপ ব্যবসা
ডিলারশিপ ব্যবসা

 

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে সবচেয়ে সেরা আইডিয়া হলো ডিলারশিপ ব্যবসা । এই ব্যবসায় একেবারেই কোন ধরনের লস নেই তা পরিষ্কারভাবে বলা যায় ।  এর কারণ হচ্ছে এই ব্যবসায় পণ্য সামগ্রী পচেঁ যাওয়া বা অবিক্রীত থেকে গেলেও তা আপনি কোম্পানিকে ফেরত দিতে পারবেন ।

 

তাই কোন ধরনের দুশ্চিন্তা ছাড়াই আপনি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।  ডিলারশিপ ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন অথবা একটি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে কি ধরনের লাইসেন্স প্রয়োজন ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে আমাদের ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন । 

 

ডিলারশি ব্যবসাকে লস ছাড়া ব্যবসার জনক বলা যেতে পারে । { মজা করলাম কিন্তু কথা সত্য  }

 

৮/ লন্ড্রী , আয়রন এবং ওয়াস সার্ভিস ব্যবসা – Laundry, Iron and Wash Service Business

 

লন্ড্রি, আয়রন এবং কাপড় ওয়াশ করার সার্ভিস ব্যবসা বর্তমানে অত্যন্ত প্রফিটেবল একটি ব্যবসার আইডিয়া । এবং এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ।

 

এর প্রধান কারণ এই ব্যবসায় আপনাকে অধিক মূলধন বিনিয়োগ করতে হয়না ।  আপনি একটি জনবহুল স্থানে দোকান নিয়ে লন্ড্রী ,  আয়রন এবং কাপড় ওয়াশের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । 

 

এছাড়াও আপনার কাছে যদি দোকান নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কাপড় সংগ্রহ করতে পারেন এবং আপনার বাসাতেই লন্ড্রী, আয়রন এবং ওয়াসের কাজগুলো সেরে নিতে পারেন । 

 

৯/ ফটোগ্রাফীর ব্যবসা – The business of photography

ফটোগ্রাফীর ব্যবসা
ফটোগ্রাফীর ব্যবসা

 

ফটোগ্রাফি বা ফটো তোলা যদি আপনার শখের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই কাজটিকে ব্যবসায় রূপান্তর করতে পারেন ।  একটি ভাল মানের ক্যামেরার মাধ্যমে ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে ।

 

ফটোগ্রাফির ব্যবসাটি যে একটি লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়া তা পরিষ্কারভাবেই বলা যায় ।  কারণ এই ব্যবসায় তেমন বেশি মূলধন বিনিয়োগ করা প্রয়োজন হয় না ।

 

আপনি একটি ভাল মানের ক্যামেরা কেনার মাধ্যমেই ফটোগ্রাফির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ।

 

বিভিন্ন বিয়ে- শাদী ,  কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ও সাংবাদিকদের ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করে ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারেন ।

 

এছাড়াও ক্যামেরা ভাড়া দিয়েও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

 

১০/ স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা – Smartphone repair business

স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা
স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা

 

লস ছাড়া ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে স্মার্টফোন মেরামতের ব্যবসা দারুন একটি উপায় ।  বর্তমানে আমাদের সবার হাতেই বিভিন্ন ধরনের স্মার্টফোন রয়েছে ।

 

যোগাযোগের জন্য বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস হয়ে উঠেছে ।  তবে এইধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোতে নানান সময় সমস্যা দেখা দেয় ।

 

যার ফলে এই স্মার্টফোনগুলোতে মেরামতের প্রয়োজন হয় । তাই আপনি অল্প কিছু টাকা পুঁজি খাটিয়ে স্মার্টফোনের কাজ শিখে নিতে পারেন এবং এই ধরনের সার্ভিস দিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।

 

আরো পড়ুন : ১০টি সেরা ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট ব্যবসাল আইডিয়া ।

 

কোথায় থেকে স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শিখবো ?

 

প্রতিটি জেলায় এবং শহরে এই ধরনের স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শেখানো হয় ।  এছাড়াও স্মার্টফোন মেরামতের দোকানগুলোতে সহকারি হিসেবে কাজ করে এই ধরনের কাজগুলো শেখা যেতে পারে ।

 

তবে আপনি যদি চট্টগ্রামে বসবাস করে থাকেন সেক্ষেত্রে বিশ্বাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর দ্বারস্থ হতে পারেন । এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ সফলতার সাথে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শিখিয়ে আসছে ।

 

বিশ্বাস টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ঠিকানা :  চট্টগ্রাম নিউমার্কেটের রয়েল প্লাজা ৩য় তলা ।  মোবাইল নাম্বার :  01617718059 ।

 

পরিশেষে – Finally

 

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটিতে লস ছাড়া ব্যবসা করা যায় এমন দশটি ব্যবসার আইডিয়ার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল ।

 

আজকের লেখার কোন আইডিয়াটি আপনাদের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানান । এবং ভবিষ্যতে আপনারা কি ধরনের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে চান তা কমেন্ট করে জানাবেন ।

 

এছাড়াও ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কিত কোন ধরনের সার্ভিস প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে । আমাদের লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ।  ফলো করুন আমাদের ফেসবুকে ধন্যবাদ । 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *