রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বা খাবার হোটেলের ব্যবসা বর্তমানে অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া হয়ে উঠেছে । করোনার কারণে ২০২০ – ২০২১ সালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয় । কিন্তু বর্তমানে মহামারী পরিবেশ শান্ত হওয়ার কারণে হোটেল ব্যবসায় আবারো সুদিন ফিরেছে ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা প্রধানত তিন ভাবে করা যায় ।
১/ কুইক সার্ভিস রেস্টুরেন্ট ব্যবসা [ যাকে আমরা অনেকেই ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা বলে থাকি ]
২/ ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা [ যা অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে ]
৩/ ফুল টাইম সার্ভিস রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
আজকের আর্টিকেলে আমরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করা থেকে কিভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সফলতা অর্জন করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ।
আজকের তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার হোটেল ব্যবসার উদ্যোগটিকে সফল করতে অনেকটা সহযোগিতা করবে ।
তাই মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন ।
রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ শব্দের অর্থ কি?
রেস্তোরাঁ শব্দটি ফরাসি রেস্তোরাঁর শব্দ থেকে এসেছে । এটির অর্থ হচ্ছে পুণঃসংরক্ষণ বা পুণঃস্থাপন । রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হলেন শেফ বা বাবুর্চী ।
এর কারণ হচ্ছে বাবুর্চির হাতের জাদুতেই তৈরি হয় রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু সকল খাবার । খাবার যদি সুস্বাদু না হয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় লাভবান হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । তাই একজন দক্ষ বাবুর্চি নিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি ।
চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কিভাবে একটি হোটেল ব্যবসায় শুরু করা যায় ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো সঠিক একটি পরিকল্পনা তৈরি করা । শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা যে গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয় । যেকোনো কাজের জন্যই পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
বলা হয়ে থাকে সঠিক একটি পরিকল্পনা একটি কাজের ৬০% কাজ সম্পন্ন করে থাকে । অর্থাৎ আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি সেই কাজের ৬০% কাজ শেষ করে ফেলেছেন ধরে নিতে পারেন ।
রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসার জন্য কি পরিমান মূলধন প্রয়োজন হতে পারে ? কী কী খরচ রয়েছে ? কোথায় হোটেল ব্যবসায়টি শুরু করা যায় ? রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ধরন কেমন হবে অনলাইন নাকি অফলাইন ?
আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসার আয়তন কত বড় হবে ? কি পরিমান কর্মী আপনার রেস্টুরেন্টে থাকবে ? কতগুলো খাবার মেনু আপনার রেস্টুরেন্টে রাখবেন ?
কিভাবে রেস্টুরেন্টটিকে ডেকোরেশন বা ডিজাইন করবেন ? কাদেরকে টার্গেট করে খাবারের মেনু সাজাবেন ?
কিভাবে রেস্টুরেন্টের মধ্যে সুন্দর ও পরিপাটি একটি পরিবেশ তৈরি করা যায় ? কাস্টমার থেকে কিভাবে ফিডব্যাক নিবেন ? ইত্যাদি সবকিছু আপনাকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই পরিকল্পনা করে নিতে হবে ।
আপনি যত স্বচ্ছভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরী করতে পারবেন ততো আপনার পরিকল্পনাটি শক্তিশালী হবে । এবং পরবর্তীতে আপনি খুব সহজেই আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ।
এছাড়াও হোটেল ব্যবসায় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয় যা অনেকটা ঝামেলাযুক্ত কাজ ।
তাই সঠিক পরিকল্পনা করে যদি না এগোনো যায় সেক্ষেত্রে এইসব পরিস্থিতিতে মনোবল হারাতে পারেন ।
তাই শুরুতে একটু সময় নিয়ে সঠিকভাবে ( A – Z ) হোটেল ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সকল খরচ হিসাব করুন
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করার পর আপনাকে হোটেল ব্যবসার খরচ হিসাব করতে হবে ।
শুরুতে হোটেল ব্যবসায়টির জন্য কি কি জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে ? হোটেল ব্যবসায় কতজন কর্মী নিয়োগ করবেন তার উপর নির্ভর করে খরচ বের করুন ।
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন খরচ কত হতে পারে তা বের করুন । অর্থ্যাৎ একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কী কী খরচ হতে পারে তার একটি মোট অ্যামাউন্ট বের করুন ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পুজি সংগ্রহ করুন
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার খরচ বের করার পর পুঁজি সংগ্রহ করুন । খরচ পূর্বেই বের করে ফেলার কারণে কি পরিমাণ পুঁজি আপনার প্রয়োজন হবে তা সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন ।
অনেকেই আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন ?
কিন্তু এর কোন সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় । এর কারণ আপনি কোন স্থানে , কি পরিমান কর্মী নিয়ে , কতগুলো খাবার মেনু নিয়ে হোটেল ব্যবসায় শুরু করছেন তা সম্পূর্ণ আপনি ভালো জানবেন ।
তাই খরচ বের করার পর সে অনুযায়ী মূলধন সংগ্রহ করুন ।
কিভাবে মূলধন সংগ্রহ করা যায় ?
মূলধন বা পুজিঁ আপনি বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করতে পারবেন । যেমন : নিজস্ব তহবিল , ব্যাংক ঋণ , মহাজন’ থেকে ঋণ , বন্ধুবান্ধব – আত্মীয়-স্বজন থেকে ঋণ নিয়ে আপনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য মূলধন সংগ্রহ করতে পারেন ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান বা জায়গা নির্বাচন করুন
মূলধন সংগ্রহ করার পর রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য একটি সঠিক স্থান বা জায়গা নির্বাচন করুন । হোটেল ব্যবসার জন্য একটি সঠিক স্থান বা জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
বিশেষ করে বাজার , জনবহুল বা পর্যটন এলাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উপযুক্ত স্থান । এছাড়াও লক্ষ্য করতে হবে সে জায়গায় কি পরিমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে । সবচেয়ে ভালো হয় সে জায়গায় যদি কোন ভালো রেস্টুরেন্ট না থাকে ।
তাহলে বিনা প্রতিযোগিতায় আপনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি করে যেতে পারবেন ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার লাইসেন্সগুলো তৈরী ও সংগ্রহ করুন
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে হলে আপনার ব্যবসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স তৈরি ও সংগ্রহ করতে হবে । যেমন : ট্রেড লাইসেন্স , ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র , বিএসটিআই সনদ , কারখানা সনদ , ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন , এবং রেস্তুরা পরিচালনা লাইসেন্স ইত্যাদি নিতে হয় ।
এই ধরনের লাইসেন্সগুলো তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনেক দেশে বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করে থাকে ।
যাদের সাহায্যে সহজেই লাইসেন্সগুলো তৈরি করে নেওয়া যায় । কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো এজেন্সি প্রতিষ্ঠান নেই তবে আমাদের বাংলাদেশে দালাল রয়েছে ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করুন
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বা কাজ । দক্ষ বাবুর্চি এবং খাবার পরিবেশন করার জন্য দক্ষ ওয়েটার আপনাকে নিয়োগ করতে হবে ।
বাবুর্চি যদি ভাল হয় এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে পারে তাহলে আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসায় সহজেই দ্রুত প্রসারিত হবে ।
খাবারের গুণগত মান এবং খাবার যদি কর্মীরা সঠিকভাবে কাস্টমারদের পরিবেশন করতে পারে তাহলে দ্রুত হয় আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উন্নতি হবে ।
এছাড়াও কিছুদিন পর পর আপনার রেস্টুরেন্টের কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ট্রেনিং দিতে পারেন ।
কিভাবে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে হয় ? কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হলে আন্তরিকতার সাথে কিভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে হয় এসব বিষয়গুলো ট্রেনিং এর মাধ্যমে শিখিয়ে কর্মীদের দক্ষ করা যেতে পারে ।
রেস্টুরেন্টের খাবারের নাম এবং মেনু ডিজাইন করুন
আপনার রেস্টুরেন্টের জন্য একটি ইউনিক এবং সুন্দর নাম সিলেক্ট করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । রেস্টুরেন্টের সম্পর্কিত আকর্ষণীয় একটি নাম নির্বাচন করুন ।
এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ । ক্লাউড কিচেন হোটেল ব্যবসার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে ।
এবং আমরা সবাই জানি একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে থাকে প্রধানত হোস্টিং ও ডোমেইন এর মাধ্যমে ।
আপনার রেস্টুরেন্টের নামে একটি ডোমেইন ক্রয় করতে হবে । এবং সেই ডোমেইনে ওয়েবসাইট তৈরি করে খাবার মেনুগুলোর প্রচারণা করা যেতে পারে ।
এছাড়াও আপনার রেস্টুরেন্টে কি ধরনের মেনু থাকবে তা সিলেক্ট করুন । শুরুর দিকে একাধিক খাবার মেন্যুতে যুক্ত না করে কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার মেন্যুতে যুক্ত করুন ।
এর জন্য বাজার বিশ্লেষণ করুন । আপনার সে এলাকায় কোন ধরনের খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে তা বাজার বিশ্লেষণ করে বের করার চেষ্টা করুন ।
এরপর সিদ্ধান্ত নিন আপনার রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুড , ইতালিয়ান , ইন্ডিয়ান , চাইনিজ নাকি থাই ফুড বিক্রি করবেন ।
অন্যদিকে দেশী ফুড , ভাত , বিরিয়ানি এইসব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ।
রেস্টুরেন্টের জন্য সুন্দর – পরিপাটি পরিবেশ তৈরী করুন
রেস্টুরেন্টের জন্য সুন্দর ও পরিপাটি পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এর জন্য কর্মীদেরকে পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে ।
বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রচুর অভাব দেখা যায় । তাই সুন্দর পরিপাটি পরিবেশ নিশ্চয়তা করার জন্য নিজেকে উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে ।
প্রয়োজনে আপনি রান্নাঘরের কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করতে পারেন । সবজি কাচাঁমালগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করেই তবে ব্যবহার করুন ।
আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা লাটে উঠবে । তাই পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে আপনাকে শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে ।
রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন ডিজাইন
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন ডিজাইন দেখেই যেন অনুমান করতে পারে আপনার রেস্টুরেন্টের মান কি রকম । তাই রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র ডিজাইন সুন্দরভাবে ডেকোরশন করতে হবে ।
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । তারা আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী ভালো একটি ডিজাইন প্রোভাইড করতে পারবে ।
আপনাদের সুবিধার্থে রেস্টুরেন্টের কিছু ডেকোরেশন ডিজাইন বা ছবি দেওয়া হল :
রেস্টুরেন্টের মার্কেটিং করুন
উপরের সবকিছুই ভালোভাবে করলেন কিন্তু রেস্টুরেন্টের বা আপনার খাবারের প্রচার প্রচারণা ও মার্কেটিং যদি সঠিকভাবে না করেন তাহলে কাঙ্খিত রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হবে নাহ ।
তবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার অন্যতম আকর্ষণ ও মূলমন্ত্র হচ্ছে সুস্বাদু ও মজাদার খাবার । মানুষ যদি আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার পছন্দ করে থাকে তাহলে তারাই মুখে মুখে আপনার রেস্টুরেন্টের প্রচারণা করে দিবে ।
আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার একজনের কাছে যদি পছন্দ হয় তখন সে তার পরিচিতজনকে বলবে এভাবেই আপনার রেস্টুরেন্টের মার্কেটিং হয়ে যাবে ।
এরপরও আপনাকে আপনার রেস্টুরেন্টের নিয়মিত মার্কেটিং করে যেতে হবে । মার্কেটিং করার জন্য আপনার প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে ।
বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন : ফেইসবুক , ইউটিউব , টুইটার , ইন্সট্রাগ্রাম ইত্যাদিতে আপনার হোটেল ব্যবসার প্রচারণা চালাতে পারেন ।
এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে থাকেন তাহলে তো আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রচুর নজর রাখতে হবে ।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনার রেস্টুরেন্টের যদি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে । ওয়েবসাইটে আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার তালিকা গুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন । রেস্টুরেন্টের জন্য আর্কষণীয় website তৈরী করতে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে ।
এছাড়াও সোশল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো দ্রুত কাস্টমার পেতে অনেকটাই সাহায্য করে । আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের মেনুটি দিয়ে ফেইসবুক বুষ্টিং করতে পারেন তাহলে দ্রুত অনেক কাস্টোমার এর নিকট পৌঁছাতে পারবেন ।
এছাড়াও হোটেল ব্যবসার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে গুগল ম্যাপ অথবা Google My Business এর মধ্যে নিজের রেস্টুরেন্ট ব্যবসারটিকে লিস্টিং করা ।
অনেকেই আপনার রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানার পর ভিজিট করতে চাইবে তাই ম্যাপে যদি আপনার রেস্টুরেন্ট এর অবস্থান লিস্টিং করা থাকে তাহলে তারা সহজেই আপনার ঠিকানা খুঁজে পাবে ।
এছাড়াও হেল্প লাইনের জন্য একজন কর্মী রাখতে পারেন যিনি কাস্টমারের বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা এবং অভিযোগগুলো শুনে থাকবে ।
কাস্টমার থেকে রিভিউ নিন
কাস্টমার থেকে রিভিউ নেওয়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ । কাস্টমারের ভালো খারাপ যেকোনো একটি রিভিউ আপনার ব্যবসার দিকে উন্নতি করতে সাহায্য করবে ।
এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে থাকেন সেক্ষেত্রে কাস্টমার রিভিউ আপনার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।
এর কারণ কাস্টমাররা রিভিউ দেখে সিদান্ত নিবে আপনার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করবে নাকি করবে নাহ ।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসা কেমন লাভ ?
অনান্য ব্যবসার মতো রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা । সঠিকভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে দ্রুতই লাখপতি – কোটিপতি হয়ে যাওয়া সম্ভব ।
যা আমরা বিশ্ববিখ্যাত kfc কে লক্ষ করলেই দেখতে পারি । যিনি ৬০বছর বয়সে গিয়ে একদম ছোট পরিসরে মাত্র ১০০ পাউন্ড দিয়ে তার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং ৮৮ বয়সে গিয়ে তিনি বিলিওনার হয়ে যান ।
অর্থ্যাৎ মাত্র ১০০ পাউন্ড দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই তিনি ১৮বছরের মধ্যে বিলিওনার ওয়ে গিয়েছিলেন । তাই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় যদি ভালো সার্ভিস ও সুস্বাদু খাবার প্রোভাইড করা যায় তাহলে রাতারাতিই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন ।
আর এখন তোহ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ যেখানে রাতারাতিই সবকিছু ভাইরাল হয়ে যায় । তাই সবসময় চেষ্টা করুন ভালো সার্ভিস ও সুস্বাদু মানের খাবার প্রোভাইড করতে ।
রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাবেন বলেছি তারমানে এই নয় যে আপনি খারাপ সার্ভিস প্রোভাইড করে লাখপতি হয়ে যাবেন । রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ও প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় ।
রেস্টুরেন্টের সুন্দর নাম
আপনাদের সুবিদার্থে কিছু রেস্টুরেন্টের নামের তালিকা দেওয়া হলো যা আপনাদের রেস্টুরেন্টর জন্য নাম সিলেক্ট করতে সাহায্য করবে ।
- Cafe Plus
- Yummy Express
- 19Candles
- Food Island
- Whispering
- Hungry Dragon
- Shake Me
- Sun of a Bun
- 21 & Cup
- Moon Wok
- Drink and Dive
- Eat your Heart Out
- Thai & Mighty
- Jamaica Mi krazy
- Egg Slut
- Gochew Grill
- Mr. & Mrs Bun
- Odd Duck
- Toro Toro
- The Pink Door
পরিশেষে – Conclusions
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছি ।
আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট করে । এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সম্পর্কে আপনার আগ্রহের কথাও আমাদের জানাতে পারেন ।
পরবর্তীতে কি ধরনের ব্যবসার আইডিয়া পেতে চান তাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।