রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা বা খাবার হোটেলের ব্যবসা বর্তমানে অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া হয়ে উঠেছে । করোনার কারণে ২০২০ – ২০২১  সালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয় ।  কিন্তু বর্তমানে মহামারী পরিবেশ শান্ত হওয়ার কারণে হোটেল ব্যবসায় আবারো সুদিন ফিরেছে । 

 

Table of Contents

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা প্রধানত তিন ভাবে করা যায় ।

 

১/ কুইক সার্ভিস রেস্টুরেন্ট ব্যবসা [  যাকে আমরা অনেকেই ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসা বলে থাকি  ]

 

২/ ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা [  যা অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে  ]

 

৩/ ফুল টাইম সার্ভিস রেস্টুরেন্ট ব্যবসা 

 

আজকের আর্টিকেলে আমরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করা থেকে কিভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সফলতা অর্জন করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ।  

 

আজকের তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আপনার হোটেল ব্যবসার উদ্যোগটিকে সফল করতে অনেকটা সহযোগিতা করবে ।

 

তাই মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন ।

 

রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ শব্দের অর্থ কি?

 

রেস্তোরাঁ শব্দটি ফরাসি রেস্তোরাঁর শব্দ থেকে এসেছে ।  এটির অর্থ হচ্ছে পুণঃসংরক্ষণ বা পুণঃস্থাপন । রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হলেন শেফ বা বাবুর্চী ।

 

এর কারণ হচ্ছে বাবুর্চির হাতের জাদুতেই তৈরি হয় রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু সকল খাবার ।  খাবার যদি সুস্বাদু না হয় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় লাভবান হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই ।  তাই একজন দক্ষ বাবুর্চি নিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি ।

 

চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কিভাবে একটি হোটেল ব্যবসায় শুরু করা যায় ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা

 

রেস্টুরেন্টের ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হলো সঠিক একটি পরিকল্পনা তৈরি করা ।  শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা যে গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয় ।  যেকোনো কাজের জন্যই পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

 

বলা হয়ে থাকে সঠিক একটি পরিকল্পনা একটি কাজের ৬০% কাজ সম্পন্ন করে থাকে । অর্থাৎ আপনি যদি একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি সেই কাজের  ৬০% কাজ শেষ করে ফেলেছেন ধরে নিতে পারেন ।

 

রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসার জন্য কি পরিমান মূলধন প্রয়োজন হতে পারে ? কী কী খরচ রয়েছে ? কোথায় হোটেল ব্যবসায়টি শুরু করা যায় ? রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ধরন কেমন হবে অনলাইন নাকি অফলাইন ?

 

আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসার আয়তন কত বড় হবে ?  কি পরিমান কর্মী আপনার রেস্টুরেন্টে থাকবে ?  কতগুলো খাবার মেনু আপনার রেস্টুরেন্টে রাখবেন ? 

 

কিভাবে রেস্টুরেন্টটিকে ডেকোরেশন বা ডিজাইন করবেন ? কাদেরকে টার্গেট করে খাবারের মেনু সাজাবেন ?

 

কিভাবে রেস্টুরেন্টের মধ্যে সুন্দর ও পরিপাটি একটি পরিবেশ তৈরি করা যায় ?  কাস্টমার থেকে কিভাবে ফিডব্যাক নিবেন ?  ইত্যাদি সবকিছু আপনাকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই পরিকল্পনা করে নিতে হবে । 

 

আপনি যত স্বচ্ছভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরী করতে পারবেন ততো আপনার পরিকল্পনাটি শক্তিশালী হবে ।  এবং পরবর্তীতে আপনি খুব সহজেই আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন ।

 

এছাড়াও হোটেল ব্যবসায় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয় যা অনেকটা ঝামেলাযুক্ত কাজ । 

 

তাই সঠিক পরিকল্পনা করে যদি না এগোনো যায় সেক্ষেত্রে এইসব পরিস্থিতিতে মনোবল হারাতে পারেন ।

 

তাই শুরুতে একটু সময় নিয়ে সঠিকভাবে ( A – Z )  হোটেল ব্যবসার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন  ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সকল খরচ হিসাব করুন

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করার পর আপনাকে হোটেল ব্যবসার খরচ হিসাব করতে হবে । 

 

শুরুতে হোটেল ব্যবসায়টির জন্য কি কি জিনিসপত্র ক্রয় করতে হবে ?  হোটেল ব্যবসায় কতজন কর্মী নিয়োগ করবেন তার উপর নির্ভর করে খরচ বের করুন । 

 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন খরচ কত হতে পারে তা বের করুন । অর্থ্যাৎ একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কী কী খরচ হতে পারে তার একটি মোট অ্যামাউন্ট বের করুন ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পুজি সংগ্রহ করুন

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার খরচ বের করার পর পুঁজি সংগ্রহ করুন । খরচ পূর্বেই বের করে ফেলার কারণে কি পরিমাণ পুঁজি আপনার প্রয়োজন হবে তা সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন ।

 

অনেকেই আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন ?

 

কিন্তু এর কোন সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় ।  এর কারণ আপনি কোন স্থানে ,  কি পরিমান কর্মী নিয়ে , কতগুলো খাবার মেনু নিয়ে হোটেল ব্যবসায় শুরু করছেন তা সম্পূর্ণ আপনি ভালো জানবেন । 

 

তাই খরচ বের করার পর সে অনুযায়ী মূলধন সংগ্রহ করুন । 

 

কিভাবে মূলধন সংগ্রহ করা যায় ?

 

মূলধন  বা পুজিঁ আপনি বিভিন্ন উপায়ে সংগ্রহ করতে পারবেন । যেমন :  নিজস্ব তহবিল ,  ব্যাংক ঋণ , মহাজন’ থেকে ঋণ , বন্ধুবান্ধব –  আত্মীয়-স্বজন থেকে ঋণ নিয়ে আপনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য মূলধন সংগ্রহ করতে পারেন ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান বা জায়গা নির্বাচন করুন

 

মূলধন সংগ্রহ করার পর রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য একটি সঠিক স্থান বা জায়গা নির্বাচন করুন ।  হোটেল ব্যবসার জন্য একটি সঠিক স্থান বা জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

 

বিশেষ করে বাজার , জনবহুল বা পর্যটন এলাকায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উপযুক্ত স্থান । এছাড়াও লক্ষ্য করতে হবে সে জায়গায় কি পরিমান রেস্টুরেন্ট রয়েছে ।  সবচেয়ে ভালো হয় সে জায়গায় যদি কোন ভালো রেস্টুরেন্ট না থাকে ।

 

তাহলে বিনা প্রতিযোগিতায় আপনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি করে যেতে পারবেন ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার লাইসেন্সগুলো তৈরী ও সংগ্রহ করুন

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করতে হলে আপনার ব্যবসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স তৈরি ও সংগ্রহ করতে হবে ।  যেমন :  ট্রেড লাইসেন্স ,  ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র , বিএসটিআই সনদ , কারখানা সনদ , ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন , এবং রেস্তুরা পরিচালনা লাইসেন্স ইত্যাদি  নিতে হয় ।

 

এই ধরনের লাইসেন্সগুলো তৈরি করে দেওয়ার জন্য অনেক দেশে বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করে থাকে । 

 

যাদের সাহায্যে সহজেই লাইসেন্সগুলো তৈরি করে নেওয়া যায় ।  কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো এজেন্সি প্রতিষ্ঠান নেই তবে আমাদের বাংলাদেশে দালাল রয়েছে ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করুন 

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বা কাজ । দক্ষ বাবুর্চি এবং খাবার পরিবেশন করার জন্য দক্ষ ওয়েটার আপনাকে নিয়োগ করতে হবে ।

 

বাবুর্চি যদি ভাল হয় এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে পারে তাহলে আপনার রেস্টুরেন্ট বা হোটেল ব্যবসায় সহজেই দ্রুত প্রসারিত হবে ।  

 

খাবারের গুণগত মান এবং খাবার যদি কর্মীরা সঠিকভাবে কাস্টমারদের পরিবেশন করতে পারে তাহলে দ্রুত হয় আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উন্নতি হবে ।

 

এছাড়াও কিছুদিন পর পর আপনার রেস্টুরেন্টের কর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ট্রেনিং দিতে পারেন ।  

 

কিভাবে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন করতে হয় ?  কোন ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হলে আন্তরিকতার সাথে কিভাবে দুঃখ প্রকাশ করতে হয় এসব বিষয়গুলো ট্রেনিং এর মাধ্যমে শিখিয়ে কর্মীদের দক্ষ করা যেতে পারে ।

 

রেস্টুরেন্টের খাবারের নাম এবং মেনু ডিজাইন করুন

 

আপনার রেস্টুরেন্টের জন্য একটি ইউনিক এবং সুন্দর নাম সিলেক্ট করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।  রেস্টুরেন্টের সম্পর্কিত আকর্ষণীয় একটি নাম নির্বাচন করুন । 

 

এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।  ক্লাউড কিচেন হোটেল ব্যবসার জন্য আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে ।

 

এবং আমরা সবাই জানি একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে থাকে প্রধানত হোস্টিং ও ডোমেইন এর মাধ্যমে ।

 

আপনার রেস্টুরেন্টের নামে একটি ডোমেইন ক্রয় করতে হবে । এবং সেই ডোমেইনে ওয়েবসাইট তৈরি করে খাবার মেনুগুলোর প্রচারণা করা যেতে পারে ।

 

এছাড়াও আপনার রেস্টুরেন্টে কি ধরনের মেনু থাকবে তা সিলেক্ট করুন ।  শুরুর দিকে একাধিক খাবার মেন্যুতে যুক্ত না করে কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার মেন্যুতে যুক্ত করুন ।

 

এর জন্য বাজার বিশ্লেষণ করুন । আপনার সে এলাকায় কোন ধরনের খাবারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে তা বাজার বিশ্লেষণ করে বের করার চেষ্টা করুন । 

 

এরপর সিদ্ধান্ত নিন আপনার রেস্টুরেন্টে ফাস্টফুড ,  ইতালিয়ান , ইন্ডিয়ান ,  চাইনিজ  নাকি থাই ফুড বিক্রি করবেন । 

 

অন্যদিকে দেশী ফুড , ভাত , বিরিয়ানি এইসব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ।

 

রেস্টুরেন্টের জন্য সুন্দর – পরিপাটি পরিবেশ তৈরী করুন

 

রেস্টুরেন্টের জন্য সুন্দর ও  পরিপাটি পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।  এর জন্য কর্মীদেরকে পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে । 

 

বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রচুর অভাব দেখা যায় । তাই সুন্দর পরিপাটি পরিবেশ নিশ্চয়তা করার জন্য নিজেকে উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে । 

 

প্রয়োজনে আপনি রান্নাঘরের কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করতে পারেন । সবজি কাচাঁমালগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করেই তবে ব্যবহার করুন ।

 

আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা  লাটে উঠবে । তাই পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে আপনাকে শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে ।

 

রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন ডিজাইন

 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন ডিজাইন দেখেই যেন অনুমান করতে পারে আপনার রেস্টুরেন্টের মান কি রকম ।  তাই রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র ডিজাইন সুন্দরভাবে ডেকোরশন করতে হবে ।

 

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।  তারা আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী ভালো একটি ডিজাইন প্রোভাইড করতে পারবে  । 

 

আপনাদের সুবিধার্থে রেস্টুরেন্টের কিছু ডেকোরেশন ডিজাইন বা ছবি দেওয়া হল :

 

রেস্টুরেন্টের মার্কেটিং করুন

 

উপরের সবকিছুই ভালোভাবে করলেন কিন্তু রেস্টুরেন্টের বা আপনার খাবারের প্রচার প্রচারণা ও মার্কেটিং যদি সঠিকভাবে না করেন তাহলে কাঙ্খিত রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হবে নাহ ।

 

তবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার অন্যতম আকর্ষণ ও মূলমন্ত্র হচ্ছে সুস্বাদু ও মজাদার খাবার ।  মানুষ যদি আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার পছন্দ করে থাকে তাহলে তারাই মুখে মুখে আপনার রেস্টুরেন্টের প্রচারণা করে দিবে ।

 

আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার একজনের কাছে যদি পছন্দ হয় তখন সে তার পরিচিতজনকে বলবে এভাবেই আপনার রেস্টুরেন্টের মার্কেটিং হয়ে যাবে । 

 

এরপরও আপনাকে আপনার রেস্টুরেন্টের নিয়মিত মার্কেটিং করে যেতে হবে ।  মার্কেটিং করার জন্য আপনার প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে ।  

 

বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন :  ফেইসবুক , ইউটিউব , টুইটার , ইন্সট্রাগ্রাম ইত্যাদিতে আপনার হোটেল ব্যবসার প্রচারণা চালাতে পারেন ।

 

এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে থাকেন তাহলে তো আপনাকে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রচুর নজর রাখতে হবে ।

 

সবচেয়ে ভালো হয় আপনার রেস্টুরেন্টের যদি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে ।  ওয়েবসাইটে আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের খাবার তালিকা গুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন । রেস্টুরেন্টের জন্য আর্কষণীয় website তৈরী করতে যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে ।

 

এছাড়াও সোশল  মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো দ্রুত কাস্টমার  পেতে অনেকটাই সাহায্য করে । আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের মেনুটি দিয়ে ফেইসবুক বুষ্টিং করতে পারেন  তাহলে দ্রুত অনেক কাস্টোমার এর নিকট পৌঁছাতে পারবেন ।

 

এছাড়াও হোটেল ব্যবসার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হচ্ছে গুগল ম্যাপ  অথবা Google My Business এর মধ্যে নিজের রেস্টুরেন্ট ব্যবসারটিকে লিস্টিং করা ।  

 

অনেকেই আপনার রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানার পর ভিজিট করতে চাইবে তাই ম্যাপে যদি আপনার রেস্টুরেন্ট এর অবস্থান লিস্টিং করা থাকে তাহলে তারা সহজেই আপনার ঠিকানা খুঁজে পাবে । 

 

এছাড়াও হেল্প লাইনের জন্য একজন কর্মী রাখতে পারেন যিনি কাস্টমারের বিভিন্ন ধরনের  সাহায্য সহযোগিতা এবং অভিযোগগুলো শুনে থাকবে ।

 

কাস্টমার থেকে রিভিউ নিন

 

কাস্টমার থেকে রিভিউ নেওয়া রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ ।   কাস্টমারের ভালো খারাপ যেকোনো একটি রিভিউ আপনার ব্যবসার দিকে উন্নতি করতে সাহায্য করবে ।

 

এছাড়াও আপনি যদি ক্লাউড কিচেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে থাকেন সেক্ষেত্রে কাস্টমার রিভিউ আপনার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে । 

 

এর কারণ কাস্টমাররা রিভিউ দেখে সিদান্ত নিবে আপনার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করবে নাকি করবে নাহ ।

 

রেস্টুরেন্ট ব্যবসা কেমন লাভ ?

অনান্য ব্যবসার মতো রেস্টুরেন্ট ব্যবসাও অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা । সঠিকভাবে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে দ্রুতই লাখপতি – কোটিপতি হয়ে যাওয়া সম্ভব ।

 

যা আমরা বিশ্ববিখ্যাত kfc কে লক্ষ করলেই দেখতে পারি । যিনি ৬০বছর বয়সে গিয়ে একদম ছোট পরিসরে মাত্র ১০০ পাউন্ড দিয়ে তার রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং ৮৮ বয়সে গিয়ে তিনি বিলিওনার হয়ে যান । 

 

অর্থ্যাৎ মাত্র ১০০ পাউন্ড দিয়ে ব্যবসা শুরু করেই তিনি ১৮বছরের মধ্যে বিলিওনার ওয়ে গিয়েছিলেন । তাই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় যদি ভালো সার্ভিস ও সুস্বাদু খাবার প্রোভাইড করা যায় তাহলে রাতারাতিই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন ।

 

আর এখন তোহ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ যেখানে রাতারাতিই সবকিছু ভাইরাল হয়ে যায় । তাই সবসময় চেষ্টা করুন ভালো সার্ভিস ও সুস্বাদু মানের খাবার প্রোভাইড করতে ।

 

রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাবেন বলেছি তারমানে এই নয় যে আপনি খারাপ সার্ভিস প্রোভাইড করে লাখপতি হয়ে যাবেন । রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ও প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় ।

 

রেস্টুরেন্টের সুন্দর নাম

আপনাদের সুবিদার্থে কিছু রেস্টুরেন্টের নামের তালিকা দেওয়া হলো যা আপনাদের রেস্টুরেন্টর জন্য নাম সিলেক্ট করতে সাহায্য করবে ।

 

  1. Cafe Plus
  2. Yummy Express
  3. 19Candles
  4. Food Island
  5. Whispering
  6. Hungry Dragon
  7. Shake Me
  8. Sun of a Bun
  9. 21 & Cup
  10. Moon Wok
  11. Drink and Dive
  12. Eat your Heart Out
  13. Thai & Mighty
  14. Jamaica Mi krazy
  15. Egg Slut
  16. Gochew Grill
  17. Mr. & Mrs Bun
  18. Odd Duck
  19. Toro Toro
  20. The Pink Door

 

পরিশেষে – Conclusions

 

আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্ট নিয়ে কথা বলেছি । 

 

আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা জানাতে পারেন আমাদের কমেন্ট করে । এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সম্পর্কে আপনার আগ্রহের কথাও আমাদের জানাতে পারেন ।

 

পরবর্তীতে কি ধরনের ব্যবসার আইডিয়া পেতে চান তাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *