মুদি দোকানের আইটেম তালিকা – মুদি দোকানের ব্যবসা ২০২২

আপনি কি মাঝারি অথবা বৃহৎ আকারে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন ? তাহলে আপনার জন্য মুদি দোকানের ব্যবসা অথবা মুদি দোকানের আইটেম নিয়ে ব্যবসা শুরু করা আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা হবে। 

 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যদিনকার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পণ্য সামগ্রী গুলোই হচ্ছে মুদি পণ্য সামগ্রী। চাল, ডাল ,আটা, ময়দা ,আলু ,পিয়াজ, রসুন ,তেল ,লবন ইত্যাদি পণ্যগুলো আমাদের প্রতিদিন প্রয়োজন হয়ে থাকে।

 

এবং এই মুদি পণ্যগুলোর অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে ।এবং মুদি ব্যবসায়ে লভ্যাংশের হার অনেক বেশি। যেমন আপনি প্রতি ১০০  টাকা বিক্রি করে সর্বনিম্ন ২০/১৫  টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ শতকরা  ১৫ থেকে ২০ পার্সেন্ট কমপক্ষে মুনাফা করা যায়।

 

তবে মুদি দোকানের ব্যবসা লাভজনক একটি ব্যবসা সত্ত্বেও আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি ব্যাবসায় লস করতে পারেন।

 

Table of Contents

মুদি ব্যবসায় সর্তকতা:

 

  • কোন প্রকার বাকি লেনদেন করা যাবে না।[ বেশিরভাগ মুদি ব্যবসায়ীরা বাকি দেওয়ার কারণেই দেউলিয়া হয়ে  যায় তাই অল্প বিক্রি হলেও তা নগদে/ক্যাশে বিক্রি করার চেষ্টা করুন ]
  • প্রতিদিন কি কি মুদি পণ্যগুলো বিক্রি করছেন তার হিসাব একটি খাতায় টুকে রাখুন। এবং পণ্যগুলোর পাশে তার দামটিও লিখে রাখবেন।
  • অবশ্যই প্রতিদিন বেচাকেনা শেষে আপনার ব্যবসার ক্যাশ মিলাতে ভুলবেন না।
  • যেসব মুদি পণ্যগুলোতে লাভের হার কম সেই পণ্যগুলো আলাদা করার চেষ্টা করুন।
  • দোকানে যদি ভালো বিক্রি হয়ে না থাকে তাহলে সপ্তাহে যে কোন একটি দিন কাস্টমারদের ছাড় বা ডিসকাউন্টে পণ্য দিতে পারেন ।
  • গ্রাহকদের সাথে অবশ্যই সদাচরণ করতে হবে। এবং নিয়মিত যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
  • পুরাতন কাস্টমারদের ধরে রাখতে হবে এবং নতুন নতুন কাস্টমার দোকানে আনার চেষ্টা করতে হবে।
  • কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সংগ্রহ করতে হবে। এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে বেশি টাকা বিনিয়োগ না করাই উত্তম। 

 

বন্ধুরা উপরে আমরা মুদিপণ্য কাকে বলে তার সম্পর্কে জেনেছি।

মূলত যেসব প্রতিষ্ঠান বা দোকানে চাল, ডাল, আটা ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ,মসলা, চিনি,  তেল,লবণ, ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করে তাদেরকেই মুদি দোকান বলা হয়।

 

মুদি ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যা আপনি পৃথিবীর সর্বত্রই করতে পারবেন। এই ধরনের পণ্য সামগ্রী গুলোর পৃথিবীর সব জায়গায় চাহিদা রয়েছে। এবং মুদির দোকানগুলোতে সবসময়ই কাস্টমারদের ভিড় জমে থাকে।

 

যাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন রয়েছে বিনিয়োগ করার মত তারা চাইলে মুদি দোকানের ব্যবসাটি বৃহৎ আকারে শুরু করতে পারেন।

 

এবং যাদের কাছে বড় কোন ব্যবসা করার জন্য তেমন বেশি মূলধন নেই। তারা চাইলেই অল্প কিছু মূলধন বিনিয়োগ করে মাঝারি মানের এই মুদি দোকানের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

 

মুদি দোকানের ব্যবসা অন্য সব ব্যবসার তুলনায় তেমন কোন অতিরিক্ত ঝুঁকি নেই বলেই দিন দিন এই ব্যবসার প্রতি সবার আগ্রহ বেড়ে চলছে। 

 

মুদি দোকানের আইটেম তালিকা, ওজন পরিমাপের সঠিক কৌশল, পণ্য সামগ্রী সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, টাকা পয়সা সঠিকভাবে হিসাব রাখার মত দক্ষতা , সততা, পরিশ্রম ও লেগে থাকার মত ধৈর্য থাকলেই যে কেউ চাইলে মুদি দোকানের ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।

 

মুদি দোকানের ব্যবসাটি গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে।

 

তবে বিশেষ করে হাট-বাজার এবং যেখানে মানুষের লোকসমাগম রয়েছে এমন স্থানে মুদি দোকান ব্যবসাটি শুরু করা আদর্শ ।

 

মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধন এর প্রয়োজন?

 

একটি মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করতে নির্দিষ্ট কত টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে তা বলা মুশকিল। এর কারণ হচ্ছে আপনি কত বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তা সম্পর্কে আপনি ভালো জানবেন।

 

তারপরও আনুমানিক একটি মাঝারি মানের মুদি ব্যবসার দোকান চালু করতে হলে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। যা স্থান ও  ক্ষেত্রবিশেষে মূলধনের এর পরিমান আরো কম বেশি হতে পারে।

 

সতর্কতাঃ মুদি ব্যবসায়ে কোনভাবে বাকিতে মাল বিক্রি করা যাবে না। আপনি যদি আপনার মুদি ব্যবসার দোকানে শুরুতেই বাকির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করেন তাহলে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই আপনাকে ব্যবসাটি গুটিয়ে নিতে হবে।

 

কিভাবে একটি  মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু  করবেন?

 

মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সঠিক একটি ব্যবসায়িক প্লান এবং উপযুক্ত একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। 

 

তবে বিশেষ করে আপনি যদি শহর বা গ্রামের হাটবাজারগুলোর মধ্যে মুদি দোকানের আইটেমগুলো নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে আপনি অল্পদিনেই ব্যবসায় সফলতার ছোঁয়া পাবেন।

 

উপযুক্ত একটি  স্থানে দোকান ভাড়া নেওয়ার পর দোকান থেকে মুদি দোকানের আইটেম তালিকাগুলো সাজানোর ব্যবস্থা করতে হবে । এর জন্য মুদি দোকানটিকে সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করতে হবে।

 

বিভিন্ন ধরনের রেক , চেয়ার – টেবিল , ক্যাশ বাক্স ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার মুদি দোকানকে  ডেকারেশন করতে হবে। 

 

আরো পড়ুন,,

 

জমিদারের সাথে চুক্তি

 

মুদি দোকানের ব্যবসার  জন্য যে স্থানটি আপনি নির্বাচন করছেন সে জায়গার মালিকের সাথে অবশ্যই লিখিতভাবে চুক্তি করতে হবে।

 

বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায় যখন একজন ব্যবসায়ী দিনরাত পরিশ্রম করে একটি দোকানকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে আসে তখন কিছু খারাপ জমিদার ব্যবসায়ীদের সাথে দুর্ব্যবহার  শুরু করে।

 

তাই নানান ধরনের ষড়যন্ত্র আপনার পেছনে আসতে পারে যদি না আপনি সঠিকভাবে জমিদারের সাথে পূর্বেই লিখিত চুক্তি না করেন। তাই অবশ্যই জমিদারের সাথে লিখিত একটি চুক্তিনামা করতে হবে যাতে করে জমিদার আপনার সাথে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে না পারে। 

 

মুদি দোকানের ডেকোরেশন

 

বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থে এখানে বেশকিছু মুদি দোকানের ডেকোরেশন এর ছবি দেওয়া হল আপনারা আপনাদের মুদি দোকানটিকে এধরনের ডেকারেশন করে সাজাতে পারেন। 

 

 

 মুদি দোকানের আইটেম তালিকা

 

বন্ধুরা আপনাদের সাথে এতক্ষণ যাবত মুদি দোকানের ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছে। 

 

এখন আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের সাথে মুদি দোকানের আইটেম তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

 

একটি মুদি দোকানে বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকে । 

 

যেমন: ব্রান্ডের মুদি আইটেম তালিকা ও  উৎপাদিত মুদি আইটেম তালিকা,  দুগ্ধজাতীয় মুদি আইটেম তালিকা, নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি আইটেম তালিকা ইত্যাদি।

 

তাহলে চলুন এবার দেখে নেয়া যাক সবগুলো মুদি দোকানের আইটেম তালিকা সমূহ :

 

ব্রান্ডের মুদি দোকানের আইটেম তালিকা

 

এই ধরনের ব্র্যান্ডের মুদি দোকানের আইটেম তালিকাগুলো বিভিন্ন নামিদামি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেমন: স্কয়ার গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপ, কিষোয়ান গ্রুপ, পুষ্টি গ্রুপ, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো মুদি দোকানের পণ্যগুলো সরবরাহ করে থাকে।

 

রান্নার পণ্য সামগ্রী

চাল, ডাল, সোয়াবিন তেল, আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন,  মসলা, লবণ,  দুধ, চিনি চা পাতা, ইত্যাদি। 

 

বেকারি পণ্য সামগ্রী

 

কেক, বিস্কুট, কুকিজ, পাউরুটি, বন, ড্রাই  বিস্কুট, ইত্যাদি

 

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বর্ধনের পণ্য সামগ্রী

 

সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট, ব্রাশ, সেনেটারী, ন্যাপকিন, লোশন, নারিকেল তেল, সরিষার তেল, হ্যান্ডওয়াশ, স্যাভলন, টিস্যু, ইত্যাদি।

 

পানীয় পণ্য সামগ্রী

কোলড্রিংস, আইসক্রিম, মিনারেল ওয়াটার, তরল দুধ, কফি ইত্যাদি।

উৎপাদিত   মুদি আইটেমের তালিকা সমূহ:

 

কিছু উৎপাদিত  ,মুদি আইটেম তালিকা হল: চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা, লবণ, চিড়া, তেজপাতা, দারচিনি, এলাচি, মুড়ি ইত্যাদি।

 

দুধ জাতীয় মুদি আইটেম তালিকা:

 

তরল দুধ,  পটের দুধ, প্যাকেটের গুড়া দুধ, লাচ্ছি জুস, দই ইত্যাদি। 

 

নিত্যদিনকার প্রয়োজনীয় মুদি আইটেম তালিকা:

খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, মার্কার, ব্যাটারি চার্জার, বাচ্চাদের খেলনা, বিভিন্ন ধরনের চকলেট, বৈদ্যুতিক বাতি,  থালা বাসন  ঘষামাজার  জালি, গাম, ব্লেড, রেজার, লাইটার, সিগারেট, খাবার স্যালাইন, চিপস, ইত্যাদি। 

 

কনফেকশনারী আইটেম তালিকা: 

 

বন্ধুরা চলুন এবার কিছু কনফেকশনারী আইটেমগুলোর তালিকা দেখে দেখে নেয়া যাক।

 

বিস্কুট, রুটি, ড্রাই কেক, সফট কেক, ডায়াবেটিস খাবার, জেলি, আইসক্রিম, গরম কফি, নুডুলস, পাস্তা, টোস্ট  ওয়েফার, পাউরুটি, ইত্যাদি। 

 

মুদি দোকানের আইটেম ছবি

মুদি দোকানে শত  শত আইটেম ও প্রোডাক্ট রয়েছে । নিচে মুদি দোকানের আইটেমের কিছু ছবি দেওয়া হলো ।

মুদি দোকানের আইটেম ছবি
মুদি দোকানের আইটেম ছবি

 

মুদি দোকানের ক্যাশ মেমো

 

যখন কোন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হয় তখন সে পণ্যের যাবতীয় বিবরণ যেমন: পণ্যের পরিমাণ, পণ্যের ওজন, পণ্যের মূল্য ইত্যাদি একটি পেজে লিখে দিতে হয় এবং এটিকেই মূলত ক্যাশমেমো বলা হয়ে থাকে। 

 

বর্তমানে প্রত্যেকটি ব্যবসার জন্য ক্যাশ মেমো প্রস্তুত করা হয়ে থাকে এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্যাশমেমো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

 

ক্যাশমেমো হল কাস্টমার এবং দোকানদারের বৈধ একটি পণ্যের ডকুমেন্টস ও লেনদেন প্রমাণসরূপ।

 

আরো পড়ুন,,

 

আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি ক্যাশ মেমোর ছবি নিচে দেয়া হল। 

 

মুদি দোকানের ক্যাশ মেমো
মুদি দোকানের ক্যাশ মেমো

 

মুদি দোকানের ক্যাশ মেমোর ছবি
মুদি দোকানের ক্যাশ মেমোর ছবি

মুদি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স

মুদি দোকান আপনি যদি বৃহৎ আকারে করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক ধরনের লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

 

এবং আপনি যদি মাঝারি আকারে মুদি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে একটি লাইসেন্স সংগ্রহ করলেই আপনি  মুদি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন সেটি হল ট্রেড লাইসেন্স।

 

ট্রেড লাইসেন্স আপনি সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা  কিংবা জেলা পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। 

 

মুদি দোকানের নাম

 

মুদি দোকানের জন্য শত শত নাম রয়েছে আপনি আপনার পছন্দের যে কোন নাম দিয়ে আপনার মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। 

 

যেকোনো কমন নাম ব্যবহার না করে আপনি আপনার পছন্দমত একটি ইউনিক নাম ব্যবহার করলে আপনার ব্যবসাকে পরবর্তীতে ব্র্যান্ডে পরিণত করতে পারবেন।

 

 এর পরেও কিছু জনপ্রিয় মুদি দোকানের নাম নিচে দেয়া হলো: 

 

  • জনতার কল্যাণ মুদি ভান্ডার
  • বিসমিল্লাহ স্টোর
  • ইত্যাদি স্টোর
  • স্বপ্ন মুদি ভান্ডার
  • মুদি ভান্ডার
  • সদাগর মুদি ভান্ডার
  • মুসলিম মুদি ভান্ডার
  • মুদি বন্ধু
  • স্বাগতম মুদি ভান্ডার
  • অনন্য মুদি দোকান
  • একতা  মুদি ঘর
  • ক্লাসিক গ্রোসারি ইত্যাদি

 

 অনলাইনে মুদি ব্যবসা ২০২২

বর্তমানে সবকিছুই অনলাইনে নিজেদের প্রচার-প্রচারণার ও প্রসারতা বৃদ্ধি করার জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। দেখা যায় মুদি পণ্যগুলোও এখন অনলাইনের মাধ্যমে অনেক ভালই বিক্রি হচ্ছে।

 

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে Chaldal.com প্রতিষ্ঠানটি সকল মুদি দোকানের আইটেমগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

 

তারা তাদের মোবাইল অ্যাপস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাস্টমারদের থেকে অর্ডার  গ্রহণ করে পরবর্তীতে পণ্যগুলো বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে।

 

তাই আপনি যদি অনলাইনে মুদি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম একটি ওযেবসাইট এর প্রয়োজন হবে। যেখানে কাস্টমাররা আপনার পণ্যের দাম দেখার পাশাপাশি সেগুলো অর্ডার করতে পারবে।

 

অনলাইনে মুদি ব্যবসা শুরু করতে হলে যা প্রয়োজন হবে নিম্নরূপ:

 

  • একটি ওয়েবসাইট ।
  • ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত একটি কম্পিউটার ।
  • ফেসবুক পেজ ।

 

এই কয়েকটি জিনিস হলেই আপনি অনলাইনে আপনার মুদি দোকানের পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজে ।

পাইকারি মুদির ব্যবসা ২০২২

 

বন্ধুরা আপনাদের কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন তাকে বিনিয়োগ করার মত তাহলে আপনি পাইকারি মুদির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

বিভিন্ন মুদি পণ্য উৎপাদিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ডিলারশিপ নিয়ে তাদের পণ্যগুলো খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করতে পারেন।

 

কিভাবে একটি ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন।

 

ডিলারশিপ নেওয়ার পর আপনি একজন সেলসম্যান এর মাধ্যমে মুদি দোকানগুলো থেকে অর্ডার দিয়ে আসতে পারেন।

 

আরো পড়ুন ,,

 

এবং পরবর্তীতে অর্ডার অনুযায়ী দোকানগুলোতে সামগ্রীগুলো পৌঁছে দিতে পারেন আর এই ভাবেই আপনি পাইকারি মুদির ব্যবসা খুব সুন্দর ভাবে করতে পারবেন।

পরিশেষে 

 

বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের সাথে কিভাবে একটি মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করা যায়? কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হতে পারে? 

 

মুদি দোকান ব্যবসার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো কি কি এবং মুদি দোকানের আইটেম তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

 

মুদি দোকানের ব্যবসা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করবেন । এবং নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন ধন্যবাদ।

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

2 thoughts on “মুদি দোকানের আইটেম তালিকা – মুদি দোকানের ব্যবসা ২০২৩”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *