মিষ্টির দোকানের ব্যবসা করে মাসে আয় ৩০ হাজার

আমাদের বাংলাদেশে মিষ্টির দোকান ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন প্রাচীন আমল থেকে মিষ্টির জন্য অনেক বেশি দেওয়ানা। যার ফলে আমরা প্রায় দেখি কারো বাড়িতে কোন আত্মীয় স্বজন বেড়াতে গেলে সেখানে নাস্তার আইটেমের মধ্যে সর্বপ্রথম স্থান পায় মিষ্টি।

 

বাংলার প্রাচীন আমলের একটি ঐতিহ্য হল জামাই যখন শ্বশুর বাড়িতে যাবে তখন মিষ্টি নিয়ে যেতে হবেই। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন: বিবাহ, জন্মদিন, আকিকা ইত্যাদি বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে মিষ্টি খেয়ে থাকি। 

 

যার ফলে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে মিষ্টির ব্যবসা বা মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে । যারা ব্যবসা করার জন্য চিন্তাভাবনা করছেন তারা চাইলে লাভজনক মিষ্টির ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

 

অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কিভাবে লাভজনক মিষ্টির ব্যবসাটি শুরু করবেন? মিষ্টির ব্যবসা করতে কি কি কাঁচামাল এর প্রয়োজন হয় ? 

 

মিষ্টি বানানোর মেশিনের দাম কত ? মিষ্টির ব্যবসায় মুনাফা কেমন ইত্যাদি সব কিছু নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব । অতএব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। 

 

Table of Contents

মিষ্টির দোকান ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে?

 

আমরা জানি যে কোন ব্যবসা শুরু করতে হলে মূলধন এর প্রয়োজন হয়। তবে কত টাকা মূলধন লাগতে পারে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। কেন না আপনি কত বড় করে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে চান তার উপর। 

 

আপনি যদি ছোট পরিসরে মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ৩-৫ লক্ষ টাকা। আবার আপনি যদি বড় পরিসরে শোরুম আকারে মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে ৫-১০ লক্ষ টাকা। 

 

আবার আপনি যদি মিষ্টি তৈরি করে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি মিষ্টি বিক্রি করতে চান বা পাইকারি মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে মিষ্টি বানানোর মেশিন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয় করতে হবে সেক্ষেত্রে আপনার মূলধন প্রয়োজন হবে ১০-১৫ লক্ষ টাকা বা এর অধিক

 

মিষ্টির ব্যবসা করতে কি কি কাঁচামাল প্রয়োজন হয়?

 

সাধারণত মিষ্টি তৈরি করার জন্য প্রধান কাঁচামাল হিসেবে আপনাকে দুধের ব্যবস্থা করতে হবে।

 

তাছাড়াও মিষ্টি তৈরি করার জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল এর প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো: 

  • দুধ
  • দুধ ছানা
  • ময়দা
  • বেসন
  • বেকিং সোডা
  • খাবার সোডা
  • ফুড কালার
  • চিনি
  • তেল
  • ঘি
  • এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি
  • লবণ
  • আমসত্ত্ব
  • বাদাম
  • চেরি
  • সিলভার পেপার
  • গোল্ড পেপার
  • বাটার পেপার
  • থার্মোকলের বাটি
  • সুগন্ধি ইত্যাদি

 

মিষ্টির ব্যবসার কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায়?

 

মিষ্টি ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। এবং এই কাঁচামালগুলো যত কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন তত বেশি মুনাফা করতে পারবেন মিষ্টির ব্যবসা করে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার এলাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারগুলোতে যোগাযোগ করতে হবে। 

 

আপনি যদি বড় আকারে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সরাসরি আপনার জেলার বৃহৎ পাইকারি বাজারে যোগাযোগ করে সকল প্রকার কাঁচামালগুলো হোলসেল দামে ক্রয় করতে পারবেন। 

 

আপনি যদি ছোট পরিসরে মিষ্টির দোকানের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার এরিয়ার আশেপাশে যেসকল পাইকারি বাজার রয়েছে তাদের কাছে কম মূল্যেই পেয়ে যাবেন।

 

তবে দুধের জন্য আপনার এলাকার গরুর খামারিদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কারণ তাদের থেকে আপনি পাইকারি দামে ক্রয় করতে পারবেন । অথবা যারা দুধের ব্যবসা করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কম দামে ক্রয় করতে পারেন। 

 

আরো পড়ুন : গরুর খামার ব্যবসা করার আইডিয়া ।

 

মিষ্টি বানানোর মেশিনের নাম ও দাম কত ? What is the name and price of the sweet making machine?

 

বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। আধুনিক যুগে মিষ্টি বানানোর অনেক ভালো ভালো মেশিন রয়েছে এবং হাতে মিষ্টি বানানোর চেয়ে মেশিনের মাধ্যমে মিষ্টি খুব সহজে এবং অল্প খরচে বানানো সম্ভব। যেখানে কারিগর বা হাতের মাধ্যমে একদিনে ২০০০ মিষ্টি বানানো যায় সেখানে মেশিনের মাধ্যমে একদিনে ২ লক্ষ বা তার অধিক মিষ্টি বানানো সম্ভব। 

 

বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের মেশিনের দাম রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:

 

  • ফেনাট সুইট মেকিং মেশিন – দাম ১  লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ।

 

  • অটোমেটিক সুইটস মেকিং মেশিন – দাম ২ লক্ষ ২৫  হাজার টাকা থেকে ৩  লক্ষ টাকা পর্যন্ত ।

 

  • কাজু বরফি মেকিং মেশিন – দাম ১  লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭৫  হাজার টাকা পর্যন্ত  ।

 

মিষ্টির দোকান এর জন্য সঠিক স্থান নির্ধারণ করা

 

আপনি যদি মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি আদর্শ স্থান নির্বাচন করতে হবে। আদর্শ স্থান বলতে বোঝানো হয়েছে  যেসব স্থানে মানুষের আনাগোনা বেশি এবং যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে অথবা বিভিন্ন হাট-বাজার মার্কেট, শপিং মল ,বাস স্টেশন, রেল স্টেশন এর আশেপাশের স্থানকে বুঝানো হয়েছে।

 

কারণ এসব জায়গায় সব সময় মানুষের ভিড় জমে থাকে। তাই  যেসব স্থানে মানুষের সব সময় ভীড় রয়েছে সেস্থানে যে কোন ব্যবসা করে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। সেজন্য মিষ্টির দোকানের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে স্থান নির্ধারণ করতে হবে।

 

আরো পড়ুন : মুদি দোকানের আইটেম নিয়ে ব্যবসায় করুন ।

 

মিষ্টির দোকানের সুন্দর নাম নির্বাচন করা

 

যেকোন ব্যবসার জন্য সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনাকে মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করার পূর্বে মিষ্টির দোকানের জন্য সুন্দর একটি নাম নির্বাচন করতে হবে।  

 

দোকানের নামটি যেন অন্যান্য মিষ্টির দোকানের নামের চাইতে আলাদা ও ইউনিক হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। যে ব্যবসার নাম আলাদা ও  ইউনিক হয় সেই নামটি মানুষের মুখে মুখে লেগেই থাকে।

 

আপনাদের সুবিধার্থে বেশ কিছু মিষ্টির দোকানের সুন্দর নাম দেওয়া হল:

  • Bee Sweets
  • Sweets Surprise
  • Sugar Buzz
  • Sweet Symphony
  • World of Sweets
  • Sweet Country
  • Just Sweets
  • Sweets Academy
  • Sweets Corner
  • ETC

 

মিষ্টির দোকানের ডেকোরেশন 

 

আপনি যদি মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে আপনাকে মিষ্টির দোকান সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হবে। কেননা যে কোন দোকানের ডেকোরেশন কাস্টমারদের আকর্ষণ বাড়িয়ে দেই ।

 

সেজন্য মিষ্টির দোকানের ভেতরে যেমন সুন্দর করে লাইটিং করে ডেকারেশন করতে হবে ঠিক তেমন বাহিরেও সুন্দর করে ডেকারেশন করতে হবে। 

 

কারণ আপনার দোকানের সামনে দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষজন চলাফেরা করবে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে আপনার দোকানকে সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হবে। 

 

দোকানের ভিতরে যেমন পরিপাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে বাহিরে ও তেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে সবসময়। দোকান যত বেশি আকর্ষণীয় করে ডেকারেশন করতে পারবেন তত বেশি কাস্টমারদের আগ্রহ বাড়বে। 

 

আরো পড়ুন : ঘর মোছার মপ তৈরি করে ইউনিক ব্যবসা শুরু করুন ।

 

মিষ্টির ব্যবসা করতে কত বড় জায়গার প্রয়োজন হয়?

 

মিষ্টির ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট জায়গার প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যদি ছোট পরিসরের দোকান দিয়ে মিষ্টির ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি ১০/১২ ফুটের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

কিন্তু আপনি যদি মিষ্টি তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার একটু বড় জায়গার প্রয়োজন হবে । ভাই আপনার উপর নির্ভর করে আপনি কি ধরনের মিষ্টির ব্যবসা করতে চান। আপনি কি মিষ্টির দোকান দিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান ? নাকি মিষ্টি তৈরি করে ব্যবসা করতে চান ?

 

মিষ্টির ব্যবসা করতে কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়? 

 

আমরা জানি যে কোন ব্যবসা করতে চাইলে সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত কিছু লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। তাই মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে চাইলেও আপনাকে বেশ কিছু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বৈধ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এবং  লাইসেন্স গুলো সংগ্রহ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে।

 

আপনি আপনার জেলা বা পৌরসভার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্সগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

মিষ্টির ব্যবসার জন্য কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো নিম্নরূপ:

  • ট্রেড লাইসেন্স
  • জিএসটি নাম্বার
  • টিন সার্টিফিকেট
  • অঙ্গীকারনামা ইত্যাদি 

 

 

দক্ষ মিষ্টি তৈরির কারিগর নিয়োগ

 

মিষ্টির ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে মিষ্টি তৈরি করার জন্য একজন দক্ষ কারিগর নিয়োগ দিতে হবে। কারণ একজন মিষ্টির দক্ষ কারিগর পারবে সকল প্রকার মিষ্টি তৈরি করতে। এবং সুন্দর ও ভালো মান ঠিক রেখে মিষ্টি তৈরি করতে পারবে শুধুমাত্র দক্ষ কারিগরগন ।

 

দোকানে মিষ্টির গুণগত মান ঠিক রেখে তৈরি করার জন্য এবং স্বাদের মিষ্টি তৈরি করার জন্য একজন দক্ষ কারিগর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সে জন্য বাড়তি টাকা বেতন দিয়ে হলেও একজন দক্ষ কারিগর নিয়োগ করবেন। যদি আপনি মিষ্টি তৈরি করে ব্যবসা করতে চান।

 

আরো পড়ুন : ১৮টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।

 

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু মিষ্টির নাম 

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জনপ্রিয় মিষ্টি রয়েছে। এবং বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার বিভিন্ন ধরনের বিখ্যাত মিষ্টি রয়েছে। 

 

বিভিন্ন জেলার নাম ও বিখ্যাত মিষ্টির নাম সমূহ: 

  • রংপুরের- হাফসি হালুয়া
  • রাজশাহীর- রসকদম
  • নাটোরের- কাঁচাগোল্লা
  • নাটোরের-  ক্ষীর 
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জের -কালো তিল কদম
  • পাবনার- ইলিশ পেট
  • নেত্রকোনার- বালিশ মিষ্টি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ার- ছানামুখী
  • যশোরের- জামতলার রসগোল্লা
  • খুলনার- মিহিদানা লাড্ডু
  • রাজশাহীর- চমচম
  • ফরিদপুরের- মালা শহর
  • বরিশালের- ঘটিয়া সন্দেশ
  • দিনাজপুরের- ক্ষীর মোহন ইত্যাদি

 

মিষ্টির প্যাকেজিং কিভাবে করা হয়?

 

মিষ্টির প্যাকেজিং করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে মানুষজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মিষ্টিগুলো নিয়ে যায়। যদি আপনি মিষ্টির প্যাকেজিং করার সময় নরমাল কোন কাগজ দিয়ে মিষ্টির প্যাকেট তৈরি করেন তাহলে সেই প্যাকেটগুলো বেশিক্ষণ লাস্টিং করবে না।

 

সেজন্য আপনাকে ভালোমানের কাগজ দিয়ে অথবা প্লাস্টিকের বক্স এর মাধ্যমে মিষ্টির প্যাকেজিং করতে হবে এতে করে অনেকদিন পর্যন্ত মিষ্টি ভালো থাকবে। এবং এক স্থান এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করতেও কোন অসুবিধে হয়না।

 

তাই দোকানের নাম দিয়ে সুন্দর ডিজাইনের প্লাস্টিকের ব্যাগ অথবা ভালো কাগজ দিয়ে মিষ্টির বাক্স তৈরি করুন।  যার ফলে কাস্টমাররা মিষ্টি ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সুন্দর প্যাকেজিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

 

আরো পড়ুন : কসমেটিকস ব্যবসায় শুরু করার নিয়ম ।

 

মিষ্টির মান নির্ণয় করুন 

 

আপনি যদি মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে মিষ্টি এর গুণগত মান ঠিক রেখে ব্যবসা করতে হবে।  কেননা বাজারে নানান ধরনের মিষ্টি বিক্রেতা বিক্রি করে থাকে। আপনি কিভাবে তাদের চেয়ে ভালো মানের মিষ্টি আপনার দোকানে রাখতে পারবেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। অন্য ব্যবসায়ীদের থেকে দামের তুলনায় কম ও আকর্ষণীয় হতে হবে।

 

আপনি কাস্টমারদের যত বেশি ভালো কোয়ালিটির মিষ্টি প্রদান করতে পারবেন তত বেশি আপনার দোকানে সেল হবে। একজন কাস্টমারকে নিয়মিত কাস্টমার বানানোর প্রধান উপায় হচ্ছে কাস্টমারকে ভালো কোয়ালিটির পণ্য প্রদান করা ।সেজন্য আপনাকে আপনার দোকানের মিষ্টি এর গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। 

 

মিষ্টির ব্যবসায় লাভ কেমন?

 

বর্তমানে একজন ছোট মিষ্টি বিক্রেতা প্রতিমাসে কমপক্ষে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। কারণ একজন মিষ্টি বিক্রেতা ৩০-৪০শতাংশ মুনাফা করে থাকে। তাই আপনি যদি বড় পরিসরে মিষ্টির ব্যবসা করেন তাহলে তার চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 

আপনি যদি মাসে ১ লক্ষ টাকার মিষ্টি বিক্রি করতে পারেন সেখানে ২০ হাজার টাকা মুনাফা থাকবে। এখন আপনি প্রতিমাসে যত বেশি ইনকাম করতে পারবেন তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। 

 

আরো পড়ুন : ১০টি দারুন স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া ।

 

জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ

 

মিষ্টির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা পুজি লাগে?

উত্তর: ১-২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ছোট পরিসরে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি বড় পরিসরে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করতে চান তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে আপনি কত টাকা মূলধন বিনিয়োগ করবেন।

মিষ্টির দোকান কোথায় করা যায়?

উত্তর: আপনার এলাকার হাট বাজার, মার্কেট, বাস স্টেশন, রেল স্টেশনসহ ইত্যাদি জমজমাট ও লোকসমাগম জায়গায় মিষ্টির দোকান করা যায়।

মিষ্টি বানানোর মেশিনের দাম কত?

উত্তর: মিষ্টি বানানোর মেশিনের দাম ১ লক্ষ থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

মিষ্টির ব্যবসায় লাভ কেমন?

উত্তর: মিষ্টির ব্যবসায় করে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

পরিশেষে – Finally

 

আজকের মিষ্টির দোকান ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে কিভাবে মিষ্টির ব্যবসায় শুরু করা যায় এবং লাভ কেমন , পুজিঁ কত প্রয়োজন হবে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।

 

মিষ্টির ব্যবসায় সম্পর্কে আপনার কোনো মতামত থাকলে তা নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন । আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করবো আপনাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে ।

 

নিয়মিত এই ধরনের উপকৃত ব্লগ পোষ্ট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটের ওপর এবং সাথে সাথে আপডেট পেতে ফলো করুন ফেসবুকে

By Saifur Rahman Arif

আমি মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান আরিফ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র । ব্যবস্থাপনার একজন ছাত্র হলেও বর্তমানে কিছুদিন যাবৎ আমি অনলাইনে লিখালিখি কাজের সাথে যুক্ত রয়েছি । এবং Goafta.com সাইটটির একজন আর্টিকেল রাইটার হিসাবে কাজ করছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *