বর্তমানে অনেকে আছেন যারা ব্যবসা করতে আগ্রহী কিন্তু মূলধন বা পুঁজির অভাবে ব্যবসা শুরু করার সাহস পাচ্ছে না। এবং অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন বিনা পুঁজিতে কি ব্যবসা করা সম্ভব? তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই অবশ্যই বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। এবং বর্তমানে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করা যায় এমন ১০টি লাভজনক আইডিয়া নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।
যারা মূলধন বা পুঁজির অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না অথবা যারা বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য ।
আশা করা যায় আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে দারুন দারুন কিছু বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করা যায় এমন কিছু আইডিয়া পাবেন। তাহলে শুরু করা যাক আমাদের মূল আলোচনা।
১/ বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হল – ড্রপশিপিং
একটি বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হল ড্রপশিপিং ব্যবসা। ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি আপনার অনলাইন স্টোর এর মাধ্যমে অন্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী গ্রাহকদের সামনে প্রমোট করে থাকবেন । এবং গ্রাহকগণ যখন পণ্যসামগ্রীগুলো পছন্দ করে সেটি ক্রয় করার জন্য অর্ডার কনফার্ম করবে তখন আপনি সেই অর্ডার কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিবেন । এবং কোম্পানি গ্রাহকের কাছে পণ্য সামগ্রীগুলো পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় আপনার লাভ হচ্ছে কোম্পানির নির্দিষ্ট দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য সামগ্রীগুলো গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা যায়। যেমন: কোম্পানির একটি শার্টের নির্দিষ্ট দাম হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এবং আপনি সেই শার্ট গ্রাহকের কাছে বিক্রি করলেন ৫৫০ টাকা আপনি কোম্পানিকে ৪০০ টাকা পরিশোধ করলেন। বাকি ১৫০ টাকা আপনার লাভ ।
এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি নিজের ওয়েবসাইট । তবে আপনি পন্য পণ্যগুলো প্রমোট করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে সেগুলোতে একটি অনলাইন স্টোর খুলেও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার অনলাইন স্টোরের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে ।
২/ ই-বুক রাইটিং – E-book writing
আপনার যদি লেখালিখিতে পারদর্শিতা থাকে অথবা আপনার যদি লেখালেখি করা পছন্দের কাজ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই পছন্দের কাজটাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ । তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সবকিছু বর্তমানে ইন্টারনেট ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন সকল কার্যক্রমগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করে থাকি।
যেমন: পড়াশোনা থেকে শুরু করে অনলাইনে ডাক্তার দেখানো, অফিসের কাজকর্ম করা, আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা ইত্যাদি সকল কাজকর্ম করে থাকি।
এবং মানুষজনদের ব্যস্ত জীবনে বাস্তবিক বই পড়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই মানুষ প্রতিনিয়ত দিনদিন ই-বুক এর প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে।
আপনার যেকোন একটি বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা ও দক্ষতা যদি থাকে যেমন: বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, বিজ্ঞান ও গবেষণা, ইসলামিক, ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ে লিখে অনলাইনে বুক রাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বর্তমানে অ্যামাজনসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি আপনার তৈরিকৃত ই-বুকটি পাবলিশ করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ই-বুক লেখা খুবই সহজ আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে আপনার লেখাগুলো লিখে তারপর সেই লেখাটিকে পিডিএফ বানিয়ে নিবেন তাহলেই হল। ই-বুক এর ক্ষেত্রে প্রকাশনা সংক্রান্ত কোন ঝামেলা নেই আপনি যখন ইচ্ছে ই-বুক লিখে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : ৭টি ২০০০ টাকার ব্যবসায় আইডিয়া ।
৩/ কন্টেন্ট রাইটিং – Content writing
অনলাইন থেকে আয় করার অন্যতম বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হলো কনটেন্ট রাইটিং। আপনার যদি লেখালেখি করতে পছন্দ হয় আপনি চাইলে পছন্দের এই কাজটাকে কাজে লাগিয়ে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং হলো কোন কোম্পানির পণ্য – সামগ্রীর রিভিউ লিখা অথবা কোন ওয়েবসাইটের জন্য তাদের কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কিছু লেখাকে কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়।
আমরা বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গেলে দেখতে পাই যে কনটেন্ট রাইটিংয়ের ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে। বাংলার পাশাপাশি যদি আপনি ইংরেজিতে ভালো পারদর্শী হন তাহলে আপনি অনেকগুণ বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে কনটেন্ট রাইটিং হলো সবচাইতে দারুন একটি আইডিয়া । এখানে আপনার কোন প্রকার মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গিয়ে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট লিখে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : গাড়ি পার্টসের ব্যবসা করার আইডিয়া ।
৪/ ব্লগিং – Blogging
বর্তমানে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আইডিয়া হল ব্লগিং করা।
ব্লগিং দুই প্রকার যেমন:
১/ ভিডিও ব্লগিং ও
২/লিখালিখি করে ব্লগিং
ভিডিও ব্লগিং :
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন: ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে প্রকাশ করাকে ভিডিও ব্লগিং বলে।
লিখা লিখি করে ব্লগিং:
নিজের একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা সম্পর্কে রিভিউ লিখে ব্লগিং করা অথবা বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে আর্টিকেল পাবলিশ করাকে লেখালেখি করে ব্লগিং বলে।
আপনি চাইলে এখান থেকে যেকোন একটি শুরু করতে পারেন অথবা চাইলেই দুটোই একসাথে শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ব্লগিং করে সারা বিশ্বের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে আমাদের বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরাও স্বাবলম্বী হয়েছেন। নামমাত্র টাকা খরচ করে আপনি ব্লগিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনি যে এখন আমাদের লিখাটি পড়ছেন সেটিও একটি ব্লগিং । আমরা ব্যবসায়িক , প্রযুক্তি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখালিখি করছি এবং অর্থ আয় করছি ।
৫/ ইউটিউব – YouTube
বর্তমানে ভিডিও কনটেন্ট এর জন্য জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট হল ইউটিউব। ইউটিউবে আমরা আমাদের অবসর সময়গুলো অযথা নষ্ট করে থাকি।
আপনি চাইলে আপনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
যেমন: আপনার যে বিষয়ের উপর দক্ষতা রয়েছে আপনি চাইলে সে বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে সেগুলো আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
যেকোনো বিষয় যেমন: আপনি যদি পড়াশোনা অবস্থায় থাকেন তাহলে বাংলা, ইংরেজি, গনিত ,বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন অধ্যায় ভিত্তিক আলোচনা করে সেগুলো পাবলিশ করতে পারেন ।
অথবা আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে সে বিষয়ের উপর আলোচনা করে সেগুলো ইউটিউবে পাবলিশ করতে পারেন।
আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আপনাকে টাকা দিবে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে কি কি প্রয়োজন?
- আপনার একটি স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে ।
- একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হবে ।
- ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে ।
- ইউটিউব চ্যানেলে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে এবং
- ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করতে হবে ।
আরো পড়ুন : ১০টি বিদেশি ব্যবসার আইডিয়া ।
৬/ ফেইসবুক – Facebook
বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেইসবুক । ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিউজ ইত্যাদি পেয়ে থাকি।
বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করছে। আপনিও চাইলে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে শত শত ডলার আয় করতে পারবেন।
আপনি আপনার ফেসবুক পেজে বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবাগুলো প্রমোট করে টাকা আয় করতে পারেন। অথবা বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও, ট্রাভেলিং ভিডিও, উপদেশ মূলক ভিডিও, ইত্যাদি পাবলিশ করে ও অর্থ আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করতে কি কি প্রয়োজন?
- ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য সর্বপ্রথম একটি স্মার্টফোন প্রয়োজন ।
- একটি ফেসবুক পেজ প্রয়োজন হবে ।
- পেজে ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে ।
- ৬ লক্ষ মিনিট ওয়াচ টাইম পূরণ করতে হবে দুই মাসের মধ্যে ।
- ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশন করতে হবে ।
৭/ অনলাইন কনসালটেন্ট – Online Consultant
বর্তমানে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে অধিক পরিচিত অনলাইন কনসালটেন্ট। এই কাজটি করে অনেকেই ভালো অর্থ উপার্জন করছে। বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর বা টপিকের উপর পরামর্শ দিয়ে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করছে।
আপনার যে বিষয়ের উপর দক্ষতা রয়েছে আপনি চাইলে সেই বিষয়ের উপর মানুষজনকে পরামর্শ দিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন।
যেমন: আপনি খেলাধুলা সম্পর্কে ভাল জানেন , ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে ভালো জানে, ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা রয়েছে, পড়াশোনা বিষয় ভালো জ্ঞান রয়েছে ,
আইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে , বিনিয়োগে ভালো ধারণা রয়েছে , অর্থের সঠিক বিনিয়োগ করার দক্ষতা রয়েছে , স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে ইত্যাদি এইসব বিষয়ে মানুষকে সঠিক পরামর্শ ও প্ল্যান করে দিয়ে অর্থ আয় করতে পারবেন।
আপনি প্রথমে নামমাত্র টাকার বিনিময় শুরু করুন এবং যখন গ্রাহকরা আপনার পরামর্শ সুন্দরভাবে গ্রহণ করবে তখন নির্দিষ্ট একটি সার্ভিস ফ্রী ধার্য করতে পারেন।
আরো পড়ুন : ফুচকা ব্যবসা করে মাসে লক্ষটাকা আয় ।
৮/ সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার – Social media influencer
আপনার যদি অধিক ফলোয়ার যুক্ত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থাকে যেমন: ফেইসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম. টুইটার একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রীগুলো প্রমোট করার মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
অথবা আপনার একাউন্টে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের যেকোনো পণ্যগুলো প্রমোশনাল কনটেন্ট হিসাবে পাবলিশ করতে পারেন।
তাই আপনার যদি অধিক ফলোয়ারযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সের হিসেবে কাজ করতে পারেন । এবং এখান থেকে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসাটি করে আপনি ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন ।
৯/ অনলাইন কোর্স – Online courses
বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হলো অনলাইন কোর্স বিক্রি । বর্তমানে সব শ্রেণীর মানুষজন অনলাইন থেকে শেখার আগ্রহ দেখাচ্ছে । পড়াশোনা থেকে শুরু করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ অথবা কর্পোরেট অফিসের কাজ ইত্যাদি সবকিছু অনলাইন থেকে শিখতে মানুষজন অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে।
তাই আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেমন: আপনার যদি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে অথবা ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন ।
তাহলে সেই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে কোর্স আকারে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : বেকারি ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।
১০/ আফিলিয়েট মারকেটিং – Affiliate Marketing
আপনি অন্য কোম্পানির প্রতিষ্ঠানের পণ্য সামগ্রী অথবা সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বা আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রিভিউ লিখে এফিলিয়েট করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ইউটিউব, ফেসবুক , ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে যেকোন কোম্পানির পণ্য প্রচার বা প্রমোট করতে পারেন এবং সেখান থেকে কেউ যদি আপনার প্রমোট করা পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে সেই কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটি কমিশন প্রদান করবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজন অনেক বেশি ভিজিটর সম্পন্ন একটি ওয়েবসাইট অথবা আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার যুক্ত একটি একাউন্ট ।
কারণ যত মানুষ আপনার প্রমোট করা পণ্যটি বা সেবাটি ক্রয় করবে ততবেশি আপনি কমিশন পাবেন। বর্তমানে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন : টি – শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করার নিয়ম ।
পরিশেষে – Finally
বন্ধুরা আজকে বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আর্টিকেলে সবিস্তার আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের এই আর্টিকেলের কোন অংশটি আপনাদের ভাল লেগেছে তা কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না ।
এবং পরবর্তীতে আপনারা কি ধরনের আর্টিকেল পেতে চান তা আমাদের জানাতে পারেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব লেখার জন্য।
বন্ধুরা বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার যে ১০টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনারা চাইলে যেকোনো একটি ব্যবসায় করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে থাকলে আশা করা যায় বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসায় গড়ে দ্রুতই নিজেকে সাবলম্বী গড়ে তুলতে পারবেন । আমাদের এই ওয়েবসাইটে স্লোগান হচ্ছে তরুণদের মাঝে উদোক্ততার বীজ বপন করে দেওয়া ।
ভালো লাগলে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এবং উপভোগ করুন নানান ধরনের ব্যবসায়িক আইডিয়া । এছাড়াও ফলো করুন আমাদের ফেসবুকে ।