বায়িং হাউজ কি কিভাবে বায়িং হাউজ ব্যবসা করবেন

বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হল বায়িং হাউজ ব্যবসা। আমাদের বাংলাদেশের অনেকেই আছেন যারা বায়িং হাউজ ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখেন । কিন্তু সঠিক ধারণা এবং জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই এই Buying House ব্যবসাটি করতে পারছে না। 

 

আপনি যদি গার্মেন্টস বায়িং হাউজের ব্যবসাটি করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

 

বায়িং হাউজ কি ?  

 

কিভাবে গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করবেন ? 

 

বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে ? 

 

Buying হাউজ ব্যবসা করার  জন্য কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়?  ইত্যাদি 

 

Buying House ব্যবসা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিষয় আমরা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

 

আশা রাখি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে যারা Buying House ব্যবসা করতে চান তারা উপকৃত হবেন এবং পাশাপাশি Buying House ব্যবসা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ধারণা পাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক মূল আলোচনা। 

 

Table of Contents

বায়িং হাউজ কি ? What is Buying a House ?

 

ইংরেজি Buying শব্দের অর্থ হলো কেনা বা ক্রয় করা , অন্যদিকে House  শব্দের অর্থ হলো ঘর। সম্পূর্ণ  বায়িং হাউজ অর্থ হলো কেনাকাটা বা ক্রয় করার ঘর। 

 

বায়িং হাউজ হচ্ছে এক প্রকার তৃতীয় মাধ্যম যারা মূলত ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সম্পর্ক তৈরি করে এবং পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে তা ক্রেতার নিকট হস্তান্তর করে। 

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ কি ? What is Garment Buying House?

 

আমরা জানি বায়িং হাউজ বলতে বুঝায় কেনাকাটার ঘর । এখন প্রশ্ন হতে পারে বায়িং হাউজে কি ক্রয় করে ? আসলে Buying House মূলত অর্ডার ক্রয় করে।

 

বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে এই Buying হাউজগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ করে কিংবা বায়িং হাউস বৈদেশিক কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করে।

 

পরবর্তীতে Buying House বিদেশি কোম্পানিগুলোর নিকট থেকে নেওয়া অর্ডারগুলো দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্টানকে প্রদান করে।

 

তবে ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন Buying House এর নিজস্ব গার্মেন্টস থাকে আবার অনেক Buying House এর নিজস্ব গার্মেন্টস থাকেনা। ফলে বায়িং হাউজগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টসকে তা কমিশনের মাধ্যমে প্রদান করে। 

 

মার্চেন্ডাইজিং কি ? What is merchandising?

 

আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন বায়িং হাউজ কি এবং কাকে বলে। এবং আরেকটি বিষয় জানতে হবে যে মার্চেন্ডাইজিং কি মার্চেন্ডাইজিং কাকে বলে?

 

সাধারণত যারা বায়িং হাউস জাতীয় ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকে তাদের এককথায় মার্চেন্ডাইজার বলা হয়। এবং এই ধরনের ব্যবসা কে মার্চেন্ডাইজিং ব্যবসাও বলা হয়।

 

এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই। যত বেশি অভিজ্ঞতা বা এই ব্যবসা গুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকবে ততবেশি ব্যবসা করে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তাই আপনি বা আমি কেউই নিজেকে মার্চেন্ডাইজার হিসেবে দাবী করতে পারবোনা যতক্ষণ না পর্যন্ত ব্যবসা সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ধারণা বা দক্ষতা না থাকে। 

 

এখন আপনি যদি একজন সফল বায়িং হাউজ ব্যবসায়ী অথবা মার্চেন্ডাইজার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশকিছু দক্ষতা ও জ্ঞান রাখতে হবে। 

 

আরো পড়ুন : ঘর মোছার মপ তৈরীর ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা কিভাবে করা যায় ? How to do garment buying house business?

 

বর্তমান সময়ের কয়েকটি স্মার্ট ব্যবসার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বায়িং হাউজ ব্যবসা। এবং এই ব্যবসাটি দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। গার্মেন্টস Buying হাউজ ব্যবসা করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন গার্মেন্টস Buying House ব্যবসাটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে ।

 

বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং প্রতিনিয়ত এই ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করছে। 

 

তবে Garments Buying House ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে অনেক অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্য ধরে ব্যবসা করার মন মানসিকতা তৈরি করতে হবে পাশাপাশি এই ব্যবসায় অনেক বুদ্ধি ও কলাকৌশলের প্রয়োজন পড়ে। 

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করার জন্য যা যা জানা প্রয়োজন ?

 

ইংরেজি ভাষা এবং দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান

 

আমরা জানি বায়িং হাউজ এর মূল কাজ হচ্ছে বৈদেশিক বায়ার খোঁজা। বৈদেশিক বলতে বিভিন্ন দেশকে বোঝানো হয়েছে। এখন আপনি যদি ইংরেজি বা অন্যান্য জাপানি, চাইনিজ ভাষা না জানেন তাহলে কিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।

 

বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন দেশের ভাষা সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে । সুতরাং আপনি যদি বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে পারদর্শী হন তাহলে বিভিন্ন দেশের বায়ারকে খুব সহজে ম্যানেজ করে ফেলতে পারবেন।

 

এবং পাশাপাশি বৈদেশিক সংস্কৃতি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হবে। ধরুন আপনি ইউরোপের দেশে ব্যবসা করার চিন্তা করলেন এখন ইউরোপের শীতকাল আর আমাদের বাংলাদেশের শীতকাল এক হয় না। 

 

কারণ আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে অনেকগুণ বেশি শীত ইউরোপের দেশগুলোতে পড়ে তাই আপনি যখন শীতের কাপড় তৈরি করবেন তখন অবশ্যই ওই দেশের শীতের তীব্রতার উপর নির্ভর করে পোশাকগুলো তৈরি করতে হবে।

 

আরো পড়ুন : কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।

 

তাছাড়া বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি রয়েছে যে দেশে যে সংস্কৃতি রয়েছে সে সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনি খুব সহজে ব্যবসা করতে পারবেন এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করতে পারবেন। 

 

বায়িং হাউজ কোর্স – Buying House Course

 

আপনি যদি Buying House ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন কিন্তু Buying House ব্যবসা সম্পর্কে যদি আপনার ধারনা না থাকে তাহলে এই ব্যবসা করতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে বায়িং হাউজ সম্পর্কে কোর্স করতে হবে। 

 

বাংলাদেশে অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা Buying House সম্পর্কে কোর্স করিয়ে থাকে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট একটি কোর্স ফি দিয়ে যেকোনো সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বায়িং হাউজ কোর্স করতে পারেন।

 

মার্চেন্ডাইজিং কোর্স – Merchandising Course

 

সাধারণত বায়িং হাউজের মূল কাজ হলো মার্চেন্ডাইজিং করা। বিভিন্ন বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্ডার নিয়ে সে মোতাবেক পোশাকের মান ও বায়ারের চাহিদা মত পোশাকগুলো তৈরি হয়েছে কিনা দেখা হল মার্চেন্ডাইজিং। প্রাথমিকভাবে আপনার নিজের এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী। কারণ হলো প্রথম বর্ডার এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বায়ার পাওয়া বা ধরে রাখার নিশ্চয়তা রয়েছে। 

 

সেজন্য আপনাকে মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। যদি মার্চেন্ডাইজিং বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান না থাকে তাহলে Buying House ব্যবসাটি করতে পারবেন না।

 

মার্চেন্ডাইজিং কোর্স করে আপনি অনেক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন ফলে Buying House ব্যবসা করতে আপনার সুবিধা হবে।

 

মার্চেন্ডাইজিং এর ওপর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অনেক কোর্স রয়েছে আপনি চাইলে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে মার্চেন্ডাইজিং কোর্স করে বায়িং হাউজ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

 

বর্তমানে মার্চেন্ডাইজিং কোর্স এর দুটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠা হল:

 

  • BKMEA (iArt)
  • BGMEA (BUFT)

 

তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন মেয়াদের মার্চেন্ডাইজিং কোর্স রয়েছে । আপনার যেহেতু চাকরি করার কোন উদ্দেশ্য নেই তাই আপনি স্বল্প মেয়াদী যেকোনো একটি কোর্স করতে পারেন। 

 

মার্চেন্ডাইজিং কোর্সের মাধ্যমে আপনি টেক্সটাইলের বিস্তারিত ধারণা জানতে পারবেন । এছাড়া উৎপাদন ও বিপণন এর সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। 

 

অভিজ্ঞতা অর্জন

 

প্রত্যেক কাজের জন্য অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে যেকোন কাজে সফল হওয়া সম্ভব না । 

 

যদিও কাজ করতে করতে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায় তবে বুদ্ধিমানের কাজ হল বায়িং হাউজের ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের সাথে মেশা ও বিভিন্ন বিষয় জানা ।

 

প্রয়োজনে কোনো বায়িং হাউসে কিছুদিনের জন্য চাকরি করা। 

 

আরো পড়ুন : ১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ।

 

কঠোর পরিশ্রমে হওয়া

 

কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোন কাজেই যেমন সফলতা পাওয়া সম্ভব না তেমনি বায়িং হাউজ ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে কঠোর পরিশ্রমই সফলতার শিখরে নিয়ে যাবে। 

 

ব্যবসা শুরু থেকেই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে আপনি যত বেশি কঠোর পরিশ্রম করবে ততো দ্রুত আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে। 

 

বায়িং হাউজ ব্যবসা ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। একটা প্রবাদ আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে?

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা শুরু করতে আপনার যে সকল জিনিসপত্রগুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো নিম্নরূপ: 

 

ট্রেড লাইসেন্স -Trade license

 

বাংলাদেশে যেকোন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত বৈধ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করতে হবে।

 

অফিস ঘর – office room

 

বায়িং হাউজ ব্যবসার জন্য আপনার একটি অফিসের প্রয়োজন হবে। কেননা বিজিএমই সনদ নেওয়ার সময় আপনাকে একটি অফিসে দেখাতে হবে । সুতরাং ছোট-বড় যে কোন সাইজের একটি অফিস ভাড়া নিতে হবে অথবা তৈরি করতে হবে। অফিস নেওয়ার সময় অবশ্যই চুক্তি করে নিবেন।

কর্মচারী নিয়োগ – Recruitment of employees

 

যেহেতু Buying House এর সব কাজ নিজের পক্ষে একা করা সম্ভব হবে না । তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন অভিজ্ঞ পরিশ্রমী ও সৎ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার জন্য।

 

আরো পড়ুন : ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরীর ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে ।

 

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে ? How much money does it take to do a garment buying house business?

 

নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল যে গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগতে পারে। তবে আপনি সাধারণত ছোট পরিসরে গার্মেন্টস Buying House ব্যবসা করতে চাইলে ৩-৫ লক্ষ টাকা মূলধন লাগবে।

 

আবার একটু বড় পরিসরে করতে চাইলে ৫-১০ লক্ষ টাকার মতো বা আরও বেশি মূলধন লাগতে পারে। সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে যে আপনি কত টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসাটি শুরু করতে চান। 

 

BGMEA এর সদস্যপদ কিভাবে পাওয়া যায়?

 

বিজিএমই হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টসের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্য পদ থাকলে আপনার জন্য গার্মেন্টস বায়ার খোঁজা অনেক বেশি সহজ হবে।

 

এই লিংক থেকে সদস্যপদ হওয়ার ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে পারেন। অ্যাসোসিয়েট মেম্বারশিপ হতে হলে আপনার খরচ হবে ৫৫ হাজার টাকা এবং বাৎসরিক ফি বাবদ খরচ হবে ২৫  হাজার টাকা মোট আপনাকে ৮০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। [ এটি যেকোন সময় পরিবর্তনও হতে পারে ]

 

সঙ্গে যা যা যুক্ত করতে হবে তা উক্ত ফর্মে পেয়ে যাবেন । তারপরেও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা কিছু উল্লেখ করছি:

  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • ট্রেড লাইসেন্স ফটোকপি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র/  পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • টিন সার্টিফিকেট এর ফটোকপি
  • অংশীদারি দলিলের ফটোকপি
  • বিনিয়োগ বোর্ডের পারমিশন
  • Buying House অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র ইত্যাদি

 

এই সকল কাগজপত্রগুলো দিয়ে আবেদন করা হলে বিজিএমএ আপনার সবকিছু তদন্ত করে যাচাই-বাছাই করে সনদপত্র প্রদান করবে ।

 

বায়িং হাউজে চাকরি পাওয়ার উপায় ? How to get a job in the buying house?

 

বায়িং হাউসে চাকরি করার জন্য অনেক তরুণ-তরুণী গ্রাজুয়েশন শেষ করে বায়িং হাউসে একটি চাকরির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আপনি যদি মূলধনের অভাবে Buying House ব্যবসা করতে না পারেন তাহলে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি বায়িং হাউজে চাকরি করতে পারবেন। 

 

এতে করে আপনার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কেননা বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মচারীদের হ্যান্ডসাম বেতন প্রদান করে থাকে কোম্পানিগুলো।

 

আরো পড়ুন : টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করুন ।

 

প্রতিটি Buying House কোম্পানিগুলোতে অনেক বেশি কর্মচারী প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে ।

 

বায়িং হাউসে যেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরি পেতে পারেন সেগুলো হলো:

  • মার্চেন্ডাইজিং এবং সোর্চিং
  • একাউন্টিং
  • কুয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট
  • এস আর
  • শপিং ডিপার্টমেন্ট
  • ডিজাইন ডিপার্টমেন্ট
  • মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট
  • ক্যাড ডিপার্টমেন্ট
  • মার্চেন্ডাইজার ইত্যাদি

 

উপরিউক্ত ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে যদি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কোন ডিপার্টমেন্ট পড়ে থাকে তাহলে আপনি সেখানে আবেদন করতে পারেন যেকোনো বায়িং হাউজে ।

 

বায়িং হাউজে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা কি ? What is the eligibility to get a job in the buying house?

 

একটি বায়িং হাউজ কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য একজন চাকরি প্রত্যাশীকে অনেক ধরনের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। উপরে উল্লেখিত যে সকল ডিপার্টমেন্টগুলো রয়েছে সে সকল ডিপার্টমেন্ট অনুযায়ী আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি আপনি যেকোন Buying House কোম্পানিতে আবেদন করতে পারেন। 

 

সাধারণত প্রতিটা গার্মেন্টস buying House কোম্পানিতে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করা ছেলে মেয়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন দক্ষতা যেমন : ভালো কম্পিউটার চালানো ও স্পোকেন ইংলিশর উপর দক্ষতা রয়েছে এমন ছেলেমেয়েদের প্রয়োজন পড়ে ও অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ।

 

এছাড়া চাকরি করার জন্য মার্চেন্ডাইজার কোর্স অথবা বায়িং হাউজ কোর্স করা থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং Buying House কোম্পানিগুলো অন্যান্য চাকরি প্রত্যাশীদের চেয়ে আপনাকে বেশি গুরুত্ব দেবে।

 

বায়িং হাউজে চাকরির বেতন কত ? How much is the job salary in the buying house?

 

বায়িং হাউজে চাকরি করার আগে প্রতিটি চাকরি প্রত্যাশীদের একটি কমন প্রশ্ন থাকে যে বায়িং হাউসে চাকরির বেতন কেমন?

 

প্রতিটা বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর মত Buying House কোম্পানিগুলোর দক্ষ ও অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার হতে পারলে আপনার মাসে বেতন হবে ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার উপরে হবে ।

 

আরো পড়ুন : ১১টি সেরা স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া ।

 

আবার বায়িং হাউসে ন্যূনতম বেতন স্কেল হল ২০  হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা। এখন আপনি কী ধরনের পোস্টে কাজ করছেন এবং কি কাজ করছেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার বেতন কেমন হবে। 

জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন সমূহ

বায়িং হাউজ কাকে বলে ?

উত্তর: যেখানে কেনাবেচার কাজ করা হয় তাকেই বায়িং হাউজ বলে।

বায়িং হাউজ জব পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন লাগে?

উত্তর: উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক পাস হলে ভালো হয়।

বায়িং হাউজ চাকরির বেতন কেমন?

উত্তর:সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন হতে পারে যোগ্যতা অনুযায়ী।

গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে?

উত্তর: ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে আপনি গার্মেন্টস বায়িং হাউজ ব্যবসা করতে পারেন।

বায়িং হাউজ চাকরি পাওয়ার উপায় কি?

উত্তর: বায়িং হাউজ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন রয়েছে এবং গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে থাকলে সবচেয়ে ভালো হয় বাই হাউসে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে।

বায়িং হাউস ব্যবসায় লাভ কেমন?

উত্তর: মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকার বেশিও বায়িং হাউজ ব্যবসা করে ইনকাম করা সম্ভব।

পরিশেষে – Finally

 

আজকের বায়িং হাউজের ব্যবসা আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আশা করি এই সম্পর্কে বিস্তারিত অসংখ্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।

 

আজকের আর্টিকেলটির কোন বিষয় আপনাকে বায়িং হাউজ ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করবে বলে মনে হয় তা নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । অথবা আপনার নিজস্ব কোনো মতামতও জানাতে পারেন ।

 

এছাড়াও নিয়মিত এইধরনের ব্যবসায়িক লেখা বা আর্টিকেল পড়তে চোখ রাখুন আমাদের সাইটের উপর । এবং ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ । 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *