ফুচকা ব্যবসা :- বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখরোচক একটি খাবারের নাম হল ফুচকা। ৮ থেকে ৮০ সকল বয়সের নারী পুরুষের জনপ্রিয় খাবার হলো ফুচকা। আমাদের বাংলাদেশ ও ভারতের যে কোন রাজ্যে আপনি ভ্রমণ করতে চান না কেন রাস্তাঘাটে অলিতে গলিতে সবচেয়ে বেশি চোখের সামনে আসবে ফুচকার দোকান।
বর্তমানে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসায় ও চাহিদাপূর্ণ একটি বাসায় রূপান্তরিত হয়েছে ফুচকা ব্যবসা। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে যে কেউ অনায়াসে ফুচকা ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
যারা মূলধনের অভাবে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা করতে পারছেন না তারা চাইলে অযথা বেকার অবস্থায় বসে না থেকে অল্প মূলধন বিনিয়োগ করে ফুচকা ব্যবসা করতে পারেন।
বর্তমানে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি খাবারের রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা প্রায়ই দেখি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির গেটের সামনে ফুচকার দোকান রয়েছে। এবং ফুচকার দোকানে বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে।
আমাদেরকে অনেকেই বলেছিলেন যে অল্প পুঁজি দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? অথবা অল্প পুঁজির কোনো ব্যবসায়িক আইডিয়া থাকলে জানানোর জন্য । তাই আমরা আপনাদের জন্য অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি।
যারা অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করছেন আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অত্যন্ত লাভজনক এই ব্যবসার বিস্তারিত ধারণা ও আইডিয়া পাবেন ।
তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ফুচকা ব্যবসা।
ফুচকা তৈরির ব্যবসায় কত টাকা মূলধন লাগে?
আমি আর্টিকেল এর শুরুতেই বলেছি যে ফুচকা ব্যবসা একটি অল্প পুঁজির ব্যবসা। তবে আপনি চাইলে এই ব্যবসাটিকে অনেক বড় সড় করেও ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাটি যদি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে আপনি প্রতিদিন ২ – ৫ হাজার টাকা খরচ করেও করতে পারবেন।
২- ৫ হাজার টাকা খরচ করে ফুচকা তৈরির প্রয়োজনীয় সকল কাঁচামাল ক্রয় করে ফুচকা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
পরবর্তীতে যখন আপনার ব্যবসার প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে তখন বড় করে করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অটোমেটিক ফুচকা তৈরি করার মেশিন ক্রয় করতে হবে। এটি ক্রয় করতে আপনার খরচ হতে পারে ৫০ – ৭০ হাজার টাকা মত।
তবে যারা মূলধন এর অভাবে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না তাদের একটি কথাই বলবো ছোট করে এই ফুচকা ব্যবসাটি শুরু করুন এবং পরবর্তীতে ব্যবসার চাহিদা ও প্রসার বৃদ্ধি হলে তখন যাবতীয় মেশিন ক্রয় করে বড় করে ফুচকা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুন : বেকারি ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।
ফুচকা তৈরীর ব্যবসায় কি কি কাঁচামাল লাগে?
আপনি যদি ফুচকা তৈরি ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফুচকা তৈরি করার জন্য বেশকিছু কাঁচামাল ক্রয় করতে হবে। যাবতীয় কাঁচামাল ক্রয় করার পর আপনাকে ফুচকা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে হবে।
ফুচকা তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামালগুলো হলো নিম্নরুপ:
- আঠা
- ময়দা
- সুজি
- সোয়াবিন তেল
- তেতুল
- আলু
- মটর
- ছোলা
- পেঁয়াজ
- বিভিন্ন প্রকারের মসলা
- কাঁচা মরিচ
- লাল মরিচ ইত্যাদি
ফুচকা তৈরীর কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায় ?
ফুচকা তৈরির ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সকল প্রকার কাঁচামাল স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে হবে। আপনি যত অল্প দামে কাঁচামালগুলো ক্রয় করতে পারবেন ততবেশি ফুচকা ব্যবসায় মুনাফা করতে পারবেন।
তাই ফুচকা তৈরীর সকল প্রকার কাঁচামালগুলো এমন দোকান থেকে ক্রয় করতে হবে যে দোকানে অল্প টাকায় কাঁচামাল বিক্রয় করা হয়। আপনার এরিয়ার আশেপাশে যদি কোন পাইকারি মুদি দোকান থেকে থাকে তাহলে সে দোকান থেকে যাবতীয় কাঁচামাল ক্রয় করতে পারেন।
আবার আপনার ফুচকা ব্যবসা যদি বড় হয়ে যায় তখন আপনি চাইলে বড় কোন হোলসেল বাজার থেকে ফুচকা তৈরির সকল কাঁচামালগুলো একদম স্বল্প দামে ক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু বেশি পরিমাণে কাঁচামাল ক্রয় করতে হবে।
আরো পড়ুন : রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় করার নিয়ম ।
ফুচকা বানানোর মেশিন এর দাম কত?
যখন ফুচকা তৈরীর ব্যবসাটি বড় আকারে করতে চাইবেন তখন একজন ব্যবসায়ীর হাতে ফুচকা তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যাবে এবং সেই পরিমাণে মজুরিও বেড়ে যাবে। বর্তমানে বাজারে ফুচকা তৈরি বিভিন্ন মেশিন রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি ফুচকা তৈরি করা সম্ভব।
মেশিনের মাধ্যমে যদি ফুচকা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার বেশি শ্রমিকের কোন প্রয়োজন হবে না । ফুচকা তৈরি করার জন্য সাধারণত দুটি অটোমেটিক মেশিনের প্রয়োজন সেগুলো হলো:
- ময়দা মিক্সার ফুচকা মেশিন (২৫-৩৫ হাজার টাকার মধ্যে দাম)
- ফুচকা মেকিং ফুচকা মেশিন (৫০-৬০ হাজার টাকার মধ্যে দাম)
ফুচকা তৈরীর মেশিন কোথায় পাওয়া যায়?
আপনি যদি বড় আকারের ফুচকা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে ভালো ফুচকা তৈরীর মেশিন ক্রয় করতে হবে। স্বল্প দামে ভালো মানের মেশিন ক্রয় করতে হবে। বর্তমানে ফুচকা তৈরি সকল মেশিনগুলো আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমেও ক্রয় করতে পারেন ।
আমাদের বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অনলাইন প্লাটফর্ম দারাজ এবং ইন্টারন্যাশনাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ও ইন্ডিয়ামার্ট থেকে ক্রয় করতে পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি কোনো ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি থেকে সরাসরি গিয়ে যাবতীয় মেশিনগুলো ক্রয় করতে পারেন।
ফুচকা ব্যবসা করতে কত বড় জায়গার প্রয়োজন?
আপনি যদি ছোট পরিসরে ফুচকা তৈরীর ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার রান্নাঘরই যথেষ্ট হবে। তবে আপনি যদি একটু বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ফুচকাগুলো তৈরি করে এবং পরবর্তীতে শুকানোর জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন হয়। ৮/১০ ফিটের একটি জায়গা হলে আপনি অনায়াসে ফুচকা তৈরির ব্যবসাটি সুন্দরভাবে করতে পারবেন।
আবার আপনি যদি আরো বড় করে ফুচকা তৈরীর ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে একটি কারখানা তৈরি করতে হবে। কারণ যাবতীয় সকল মেশিনপত্র কারখানাতে রাখতে হবে এবং ফুচকা তৈরির পর প্যাকেজিং শুকানো ইত্যাদি কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রাখতে হবে ।
আরো পড়ুন : কাচাঁমালের ব্যবসা করার আইডিয়া ।
কিভাবে ফুচকা তৈরি করা হয়?
ফুচকা তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ। আপনি যদি কোনো ফুচকা ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে কিছু সময় দিয়ে দেখতে পারেন তারা কিভাবে ফুচকা তৈরি করে তাহলে আপনিও দেখাদেখির মাধ্যমে শিখে ফেলতে পারবেন কিভাবে ফুচকা তৈরি করা হয় তা।
কিভাবে সহজে ফুচকা তৈরি করা যায় চলুন দেখে নেই সেই সকল প্রক্রিয়াগুলো:
- প্রথমে আপনি যে পরিমাণ ফুচকা তৈরি করবেন তার সমপরিমাণ ময়দা ও সুজি একটা পাত্রে ঢেলে নিতে হবে ।
- এরপর ময়দাতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভালো করে মাখতে হবে ।
- ময়দাকে শক্ত মিশ্রণ করে তৈরি করতে হবে ।
- তারপর ময়দাকে ছোট ছোট আকারে কেটে নিয়ে বেলতে হবে।
- তারপর গোলাকৃতি করে ময়দাগুলোকে তেলের মধ্যে ভেজে নিতে হবে ।
তবে আপনি যদি মেশিনের সাহায্যে ফুচকা তৈরি করতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ছয় হাজারের বেশি ফুচকা তৈরি করতে পারবেন। বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০-৬০ হাজার ফুচকা প্রয়োজন হয়। তাই আপনি বেশি পরিমাণে ফুচকা তৈরি করে পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেটওয়ার্কে সাপ্লাই দিতে পারবেন।
ফুচকা তৈরির ব্যবসা করতে কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়?
যেকোন ব্যবসা করতে গেলে সরকার কর্তৃক বৈধ লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যদি ছোট পরিসরে ফুচকা ব্যবসা করতে চান তাহলে তেমন কোনো লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না।
যেমন আপনি যদি ফুটপাতে , রাস্তা ঘাটে , মেলাই, অথবা বাজারে ফুচকা ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার কোনো লাইসেন্স এর প্রয়োজন হবে না ।
কিন্তু আপনি যদি বড়সড়ো করে ফুচকা ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার থেকে সরকার কর্তৃক বৈধ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
ফুচকা ব্যবসায় আধুনিক মার্কেটিং কিভাবে করা যায়?
আপনি যেকোন ব্যবসা করেন না কেন ব্যবসায় যদি মার্কেটিং বা প্রচার-প্রচারণা না থাকে তাহলে সেই ব্যবসায় বেশি মুনাফা করা সম্ভব হবে না। তাই আপনি যদি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার ব্যবসায় এর মার্কেটিং বা প্রচার প্রচারণা করতে পারেন তাহলে ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা করা সম্ভব।
আধুনিক মারকেটিং বলতে বোঝানো হয়েছে ফুচকার রেস্টুরেন্ট এবং অনলাইনে বিক্রির পদ্ধতিকে মূলত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি অনলাইন কেন্দ্রিক ফুচকা ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি ফুচকা ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণের মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
- আপনি একাধিক স্থানে গিয়ে বিভিন্ন বড়োবড়ো রেস্টুরেন্ট এর সাথে কথা বলে সেই রেস্টুরেন্টের ভিতরে একটি ফুচকার স্টল বসাতে পারেন। আবার আপনি চাইলে একটু বেশি পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে নিজেই শুধুমাত্র ফুচকার রেস্টুরেন্ট খুলতে পারেন যেখানে বিভিন্ন ধরনের আইটেমের ফুচকা বিক্রি করবেন।
- তাছাড়া আপনি বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ফুচকার পার্মানেন্ট স্টল বসাতে পারেন। আপনার ফুচকার দোকানটি সুন্দর করে ভিতর – বাহিরে ডেকোরেশন করতে পারলে মানুষের আকর্ষণ বাড়বে আপনার দোকানের প্রতি।
- এছাড়াও আপনি চাইলে বাসস্ট্যান্ডের পাশে, রেল স্টেশনের পাশে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর আশে পাশে বিভিন্ন ছোট ছোট ফুচকার স্টল বসিয়ে ভালো বিক্রি করতে পারবেন।
- তাছাড়া আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফুচকার প্যাকেট তৈরি করে হোম ডেলিভারি দিয়ে ফুচকা ব্যবসা করতে পারেন।
ফুচকা তৈরীর ব্যবসায় লাভ কেমন?
প্রতিটি ব্যবসায় লাভের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি ব্যাবসায় কত টাকা মূলধন বিনিয়োগ করছেন এবং কি পরিমাণ পণ্য বিক্রি করছেন তার ওপর।
ফুচকার ব্যবসার ক্ষেত্রেও একি কথা অর্থাৎ ফুচকা ব্যবসার মধ্যে আপনি যত বেশি বিনিয়োগ করবেন ততো বেশি পরিমাণে বিক্রি করতে পারলে তবেই বেশি পরিমাণে মুনাফা করা সম্ভব।
ফুচকা ব্যবসায় ৩০ – ৪০ শতাংশ মুনাফা করা সম্ভব। আপনি যদি মাসে ২-৩ লক্ষ টাকার ফুচকা বিক্রি করতে পারেন তাহলে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৬০ -৯০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে ফুচকা ব্যবসায় লাভের পরিমাণ কেমন।
আরো পড়ুন : ফাস্টফুড খাবারের ব্যবসায় শুরু করার নিয়ম ।
ফুচকা ব্যবসা সতর্কতাঃ কি কি ?
ফুচকা তৈরির ব্যবসা যেমন লাভজনক একটি ব্যবসা তেমন আপনি চাইলে খুব অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং এই ব্যবসাটি যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন অন্যথায় তেমন বেশি মুনাফা করা সম্ভব হবে না।
ফুচকা ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
- ফুচকা ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে অন্যথায় লসের সম্মুখীন হতে হবে।
- ফুচকা বিক্রি বেশি হয় বিকাল থেকে সন্ধ্যায়। তাই আপনাকে সময় নির্ধারণ করে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।
- সাধারণত ছেলে – মেয়ে উভয়েই ফুচকা পছন্দ করে তাকে তবে বিশেষ করে মেয়েরা একটু বেশি ফুচকা খেয়ে থাকে তাই এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে মেয়েদের সংখ্যা বেশি।
- ফুচকার দোকানের আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কাস্টমারদের সাথে সুন্দর ব্যবহার বজায় রাখতে হবে।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন :
ফুচকা ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে?
উত্তর: ফুচকা তৈরির ব্যবসা আপনি মাত্র ২-৩ হাজার টাকা দিয়েই ফুচকা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ।
ফুচকা কত ধরনের হয়ে থাকে ?
উত্তর: বর্তমানে ২০-৩০ ধরনের ফুচকা পাওয়া যায়।
ফুচকা তৈরীর ব্যবসায় লাভ কেমন ?
উত্তর: একজন খুচরা ব্যবসায়ী মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার অধিক আয় করতে পারবে।
ফুচকা তৈরীর মেশিন এর দাম কত ?
উত্তর: ফুচকা তৈরীর মেশিন এর দাম ৫০-৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
ফুচকা ব্যবসা করতে কত বড় জায়গার প্রয়োজন হয় ?
উত্তর: ফুচকা তৈরির ব্যবসা আপনি চাইলে আপনার রান্না ঘরেও শুরু করতে পারেন। তবে যাবতীয় মাল সামানা রাখার জন্য ন্যূনতম ১০/১৫ ফুটের একটি জায়গা হলে চলে।
পরিশেষে – Finally
আমাদের আজকের ফুচকা তৈরীর ব্যবসায় আর্টিকেলটিতে আমরা দেখিয়েছি কিভাবে একটিফুচকা ব্যবসা শুরু করা যায় । আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন নাহ ।
এবং ফুচকা ব্যবসায় সম্পর্কে আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন । আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করবো আপনাদের সাহায্য করতে ধন্যবাদ ।
[…] ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে আমাদের ফুচকা ব্যবসা আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন […]