পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি

পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি : বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের মালামাল ও সম্পদের নিরাপত্তা, অপরাধ প্রতিরোধ দমনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকা। মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেডিশনাল চরিত্রে অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। শুধু আইন পালন আর অপরাধ প্রতিরোধ দমনে নয় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ পুলিশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি ? পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে কি ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন এবং বেতন কত, পদোন্নতি কেমন ? ইত্যাদি অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি? চাকরি পেতে যোগ্যতা কেমন? বেতন কত, পদোন্নতি কি রকম রয়েছে ইত্যাদি সকল প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। 

 

তাহলে চলুন সম্পন্ন আর্টিকেলটি একনজরে দেখে আসি:

 

কনস্টেবল কি ? what is constable ?

কনস্টেবল হল বাংলাদেশ পুলিশের সর্বনিম্ন পদবী এবং বিশেষ পদ। সহজ ভাষায় বলা হয় পুলিশের প্রহরী এবং পাহারাওয়ালা। বিশেষ কিছু কাজের জন্য প্রতিবছর কনস্টেবল পদে হাজার হাজার নিয়োগ দিয়ে থাকে।

 

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি ?

একজন পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ হল চুরি-ডাকাতি রোধ,দাঙ্গা হামলা প্রতিরোধ, সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ধরনের জনসভা নির্বাচনী দায়িত্বে অংশগ্রহণ করে নিরাপত্তা বজায় রাখা। তাছাড়া আইন-শৃংখলার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পাসপোট ভেরিফিকেশন, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি কাজগুলো পুলিশ কনস্টেবল করে থাকে। 

 

পুলিশ কনস্টেবলের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা কি? পুলিশের চাকরির যোগ্যতা ?

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। 

বয়স সীমা: সাধারণ বয়স সীমা ১৮-২০ বছর। তবে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে আরও বয়স বেশি হতে পারে।

উচ্চতা: সাধারণ উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। তবে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে আরো কম হতে পারে।

 জাতীয়তা: অবশ্যই পাত্রীকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

 বৈবাহিক অবস্থা:নিয়োগ প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।

 

মেয়েদের পুলিশ হওয়ার যোগ্যতা: 

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি অথবা এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫০ পেয়ে  উত্তীর্ণ হতে হবে।

বয়স সীমা: সাধারণ বয়স সীমা ১৮-২০ বছর তবে মুক্তিযুদ্ধ সহ বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে আরো বয়স বেশি হলেও সমস্যা নেই।

উচ্চতা: সাধারণ উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। 

জাতীয়তা: নিয়োগ প্রার্থীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হতে হবে।

বৈবাহিক অবস্থা: অবশ্যই প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে। 

 

পুলিশের চাকরির জন্য কত টাকা লাগে? 

বর্তমানে পুলিশের চাকরি যেন সোনার হরিণ এর চেয়েও বেশি দামী। এর মূল কারণ হলো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বেতন ভাতা সহ নানান ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় পুলিশের চাকরিতে। সেজন্য আমরা প্রায়ই দেখি যে পুলিশের চাকরির জন্য মানুষ অনেক আগ্রহ প্রকাশ করছে। 

সরকারিভাবে পুলিশের চাকরির জন্য কোন ধরনের টাকার প্রয়োজন হয় না সকল যোগ্যতা এবং পুলিশের যে কোয়ালিফিকেশন রয়েছে সেগুলোতে উত্তীর্ণ হলে চাকরি পেয়ে যাবেন।

তবে বর্তমানে কিছু অসাধু চক্র রয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে মানুষকে পুলিশের চাকরি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা অসাধু কাজ কাজগুলো টাকার বিনিময় করে থাকে। যেমন কারো থেকে ৫ লক্ষ টাকা, কারো থেকে ৭ লক্ষ টাকা এমনকি কারো থেকে ১০ লক্ষ টাকার বেশিও নিয়ে থাকে।

টাকা দিয়ে যারা পুলিশের চাকরি দিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং দেশবিরোধী কাজ করে থাকে। তাই কেউ টাকা দিয়ে বা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনার যোগ্যতা থাকলে আপনি এমনিতেই পুলিশের চাকরি পাবেন। 

 

পুলিশ কনস্টেবল এর মাসিক বেতন কত?ও বিভিন্ন ভাতা কত?

বাংলাদেশ পুলিশের সর্বনিম্ন পদবী হল কনস্টেবল। সরকারি ১৭  তম গ্রেড এ ৩য় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানের পর তারা নিম্নলিখিত বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন।

  • মূল বেতন=৯০০০ টাকা 
  •  চিকিৎসা ভাতা=১৫০০ টাকা
  • ঝুঁকি ভাতা=১৫০০ টাকা
  •  বাসা ভাড়া= এখানে অবিবাহিত হলে মূল বেতনের ২০  শতাংশ পাবেন এবং বিবাহিত হলে মূল বেতনের ৪০  শতাংশ পাবেন ।তাছাড়া কর্মস্থলে সব পরিবার একসাথে থাকলে ৪৫-৬৫  শতাংশ পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক বাসাপাড়া পেয়ে যাবেন। 
  • অস্ত্রভাতা= ১০০ টাকা
  • ধোলাইভাতা ও চুলকাটা=৩০০ টাকা
  • টিফিন ভাতা =২০০ টাকা

 

➡️একজন পুলিশ কনস্টেবল চাকরিতে যোগদানের পর প্রাথমিকভাবে সাধারণত  ১৪,৪০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। 

 

পুলিশ কনস্টেবল এর ডিউটি কত ঘন্টা? 

পুলিশ কনস্টেবল এর ডিউটি মূলত ৬-৮ ঘন্টা হয়ে থাকে। মূলত একজন কনস্টেবলকে দুই ঘণ্টা করে শিফট ভিত্তিক ডিউটি করতে হয়। একসাথে তিন জনকে ২ ঘণ্টা করে ডিউটি দেওয়া হয়। অর্থাৎ অর্থাৎ প্রথমজন ২ ঘন্টা ডিউটি করল তারপর অন্যজন ২ ঘন্টা ডিউটি করবে এভাবে তাদের ডিউটি চলতে থাকে। 

  • First Sentry -সকাল ৮-১০টা 
  • Second Sentry-সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা
  • Third Sentry-দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা

 

এভাবে একজন পুলিশ কনস্টেবলের ডিউটি চলতে থাকে।

 

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ ২০২৩

বন্ধুরা এখনও পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাই নাই। যদি  বাংলাদেশ পুলিশ ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার চেষ্টা করব। 

 

পরিশেষে 

বন্ধুরা পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে আমাদের আজকে আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্ট বক্সে জানাবেন। পরবর্তীতে কি ধরনের আর্টিকেল পেতে চান এবং আপনাদের কাছে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব উত্তর দেওয়ার জন্য। নিয়মিত আপডেট পেতে ফলো করুন ফেসবুকে ধন্যবাদ। 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *