১০টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । আপনাদের মধ্যে অনেক রয়েছেন যাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি রয়েছে কিন্তু কি ব্যবসা করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না । তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক হেল্পফুল হবে ।

 

আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে পাইকারি ব্যবসা কি এবং কয়েকটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব । 

 

তাই আপনি যদি একটি পাইকারি ব্যবসা করতে চান অথবা পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন ।

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া আজকের আর্টিকেলটি ।

 

পাইকারি ব্যবসায় কি ?

 

পাইকারি ব্যবসা বলতে সাধারণত বুঝায় সরাসরি কোনো উৎপাদক এর কাছ থেকে পণ্যদ্রব্য ক্রয় করা এবং তা বাজারের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করা ।  

 

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনশীল শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কৃষক থেকে পণ্য সামগ্রী অধিকহারে ক্রয় করে সংগ্রহ করে ।  এবং পরবর্তীতে তা তারা খুচরা বিক্রেতাদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করা থাকে ।

 

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিটুবি ( B2B ) সিস্টেমে বাজারে ব্যবসা করে থাকে অর্থাৎ ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী (Business to Business ) । 

 

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার পার্থক্য

 

যেহেতু বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে পাইকারি ব্যবসা নিয়ে কথা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই খুচরা ব্যবসা নিয়েও আপনাদের সাথে টুকিটাকি আলোচনা করতে হয় । মূলত পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে ব্যবসা করে থাকে ।

 

তারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল । পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান ও কৃষক থেকে অধিক হারে পণ্য ক্রয় করে তা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে ।  এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের নিকট এই পণ্যগুলো পৌঁছে দিয়ে থাকে ।

 

তাহলে বন্ধুরা এখন আশা করি বুঝতে পেরেছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ের মধ্যকার পার্থক্য ।  সাধারণ  অর্থে পাইকারি ব্যবসায়ীরা অধিকহারে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কৃষক থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে ।  এবং তা পরবর্তীতে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকে ।  অন্যদিকে,,

 

খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের থেকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে তা ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিয়ে থাকে । 

 

কয়েকটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

এখন চলুন দেখে নেয়া যাক কয়েকটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ।  আমরা অনেকে আছি যাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ মূলধন ও পুঁজি রয়েছে ।  কিন্তু সঠিক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে না পাওয়ার কারণে সেই পুঁজিগুলো বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না । 

 

তাই আজকের এই অংশে আমি আপনাদেরকে কয়েকটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দিব । 

 

যে পাইকারি ব্যবসাগুলো ইতিমধ্যে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত । তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াগুলো ।

 

১/ পাইকারি মুদি ব্যবসা

 

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রফিটেবল ও লাভজনক একটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে এই পাইকারি মুদি মালের ব্যবসা আইডিয়া ।  আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে অধিক ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীগুলোই হচ্ছে এই মুদিপণ্য । যেমন :  চাল, ডাল, মসলা, তেল, আধা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু ইত্যাদি হলো মুদি সামগ্রী ।

 

এবং এই মুদি মালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।  তাই আপনি যদি এই মুদি সামগ্রী নিয়ে একটি পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন সেক্ষেত্রে দ্রুত একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন । 

 

তবে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় মুদিপন্য সামগ্রিতে লভ্যাংশ ও লাভের পরিমাণ কিছুটা কম হয়ে থাকে ।

 

তবে এর প্রচুর চাহিদার কারণে আপনি অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় পণ্য সামগ্রীগুলো বেশি বিক্রি করতে পারবেন । যার ফলে দিন শেষে  আপনার মোট আয় বেশি হয়ে থাকবে ।  একটা প্রবাদ রয়েছে যে “  বেশি বিক্রি মানেই বেশি লাভ “ ।  

 

তাই প্রতিটি পণ্য থেকে তেমন বেশি লাভ না হলেও অতিরিক্ত বিক্রির কারণে দিনশেষে ভালোই লাভ হয়ে থাকে । 

 

একটি মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে আপনার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা এর মত মূলধন প্রয়োজন হতে পারে ।  তবে কি পরিমাণ মূলধন আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করছে আপনি কি পরিমাণ মুদি সামগ্রী আপনার প্রতিষ্ঠানে তুলছেন ।

 

পাইকারি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সব সময় কম মূল্যে পণ্য সামগ্রীগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে ।  অধিক দামে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করার উদ্দেশ্য রেখে যদি তা মজুদ করে রাখা হয় তাহলে পরবর্তীতে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।

 

 এছাড়াও পণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে বৈধভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা করতে হবে ।  তাহলেই দীর্ঘদিন মুদি পণ্য সামগ্রী নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করে যেতে পারবেন ।  

 

আপনি যদি সিটি করপোরেশন এলাকায় এই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে  ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স  করে নিতে হবে ।

 

অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে মুদি পণ্যের পাইকারি ব্যবসাটি এমন স্থানে স্থাপন করার জন্য যেখানে বাজার বা যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে ।

 

মুদি পণ্যের আইটেম নিয়ে ব্যবসায় শুরু করতে আমাদের বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়ুন । 

 

কয়েকটি জনপ্রিয় মুদি পাইকারি বাজার

 

ঢাকা পাইকারি বাজার : শ্যামবাজার , কারওয়ানবাজার , ঠাটারিবাজার , চকবাজার । অন্যদিকে ,

 

চট্টগ্রাম পাইকারি বাজার : রেয়াজউদ্দিন পাইকারি বাজার , খাতুনগন্জ ।

 

খুলনা পাইকারি বাজার : বড় বাজার , রুপসা পাইকারি বাজার , খুলনা পাইকারি কাচাঁবাজার ।

 

২/ পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা

 

আমাদের বাংলাদেশে যে কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া অন্যতম ।  কাপড় আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য সামগ্রী এটি আমরা আমাদের শরীর ও লজ্জাস্থান আবরণের জন্য ব্যবহার করে থাকি ।

 

কাপড় ও বস্ত্র আমাদের মৌলিক একটি অধিকার । যার ফলে এর রয়েছে বাজারে ব্যাপক চাহিদা ।  এছাড়াও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পে সারাবিশ্বে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ।  

 

তাই বাংলাদেশের মতো গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে জয়জয়কার একটি দেশে কাপড়ের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া শুরু করা যেমন সহজসাধ্য তেমন লাভজনকও বটে ।

 

এর কারণ বাংলাদেশের রয়েছে প্রচুর দক্ষ গার্মেন্টসকর্মী এবং কাপড়ের সহজলভ্যতা ।  তাই আপনি যদি এই কাপড় নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে সহজেই এটি শুরু করতে পারবেন ।

 

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস শিল্প থেকে আপনি সুন্দর ও চাহিদাপূর্ণ মানের ডিজাইন অনুযায়ী কাপড় ক্রয় করে নিতে পারেন । পরবর্তীতে তা বাজারের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করতে পারেন ।

 

কাপড়ের এই ব্যবসাটি করার ক্ষেত্রে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতা খুবই প্রয়োজন হবে ।  এই  স্কিলটি আপনাকে কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যাপক সাহায্য করবে ।  এর কারণ বিভিন্ন গার্মেন্টস ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়মিত সমন্বয় ও যোগাযোগ করার জন্য কমিউনিকেশন স্কিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

 

এছাড়াও পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা করার জন্য আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ও নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে । এবং অবশ্যই আপনার একটি অফিস বা স্টোর থাকতে হবে ।

 

তাহলেই আপনি বিভিন্ন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সাথে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন । তবে এই ব্যবসার শুরুতেই অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ না করে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যান ।

 

৩/ সিগারেটের পাইকারি ব্যবসা

 

সিগারেটের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াটিও বর্তমানে অন্যতম লাভজনক একটি ব্যাবসা আইডিয়া হয়ে উঠেছে ।  সিগারেট একটি নেশাদ্রব্য পণ্য হয়ে থাকলেও আপনি যদি একজন ব্যবসায়ীর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে এটি আপনার জন্য একটি লাভজনক প্রোডাক্ট তা বলা যায় । 

 

সিগারেট একটি নিষিদ্ধ ও নেশাদ্রব্য পণ্য হয়ে থাকলেও এর রয়েছে প্রচুর চাহিদা । তাই আপনি এই  সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক সিগারেটের পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।

 

বাংলাদেশে বিশেষ করে প্রতিবছর বাজেট পেশ হওয়ার সময় আমরা লক্ষ্য করে থাকি সিগারেটের মূল্য  বৃদ্ধি পেতে । তাই আপনি একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে এই সময়ে সিগারেট মজুদ করে রাখতে পারেন ।  এবং বাজেটের পরবর্তী সময়ে তা দ্রুত বিক্রি করে অধিক লাভবান হতে পারেন ।

 

তাই আপনার হাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি থাকে এবং আপনি যদি একটি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতে থাকেন সেক্ষেত্রে সিগারেট পণ্য নিয়ে আপনি পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।

 

৪/ ঘড়ির পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

ঘড়ির পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াও আমাদের বাংলাদেশ একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া । এটির পূর্বেও প্রচুর চাহিদা যেমন ছিল বর্তমানেও তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । স্মার্ট ফোন – মোবাইল ফোন এর সহায়তায় বর্তমানে মানুষ সময় জানতে পারলেও ঘড়ির চাহিদা কিন্তু তেমনটা কমেনি ।

 

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট ঘড়ি বাজারে চলে এসেছে । যার মাধ্যমে আপনি সময় দেখার পাশাপাশি কল করা ও বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন । এছাড়াও বর্তমানে তরুণরা বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল ঘড়ি পড়ে নিজেদের স্টাইলিশ করে রাখতে পছন্দ করে ।

 

যার ফলে এর চাহিদা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে । আপনি এই ঘড়ির ব্যবসা দুটি উপায় অবলম্বন করে বাজারে পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন ।  

 

যেমন :  ব্র্যান্ডের পাইকারি ব্যবসা, নন-ব্র্যান্ডের পাইকারি মানের ব্যবসা ।

 

আপনি যদি এমন কোনো এরিয়ায় আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান যেখানে মানুষজনের ক্রয় – ক্ষমতা ও ইনকাম ভালো সেক্ষেত্রে আপনি সেখানে একটি ব্র্যান্ডের পাইকারি ঘড়ির ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।

 

আবার আপনি যদি বাজার বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারেন যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দুর্বল সেক্ষেত্রে আপনি নন ব্র্যান্ডের ঘড়ি নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন । 

 

৫/ টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

আজকের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে উপরেই কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । কাপড়ের ব্যবসার মধ্যে আরও একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হলো টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা ।

 

টি-শার্ট এই পোশাকটি বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি পোশাক হয়ে উঠেছে । যার ফলে রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক টি-শার্টের পাইকারি বিজনেস গড়ে তুলতে পারেন ।

 

আমরা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় সাধারণত শার্ট ও পাঞ্জাবি পরিধান করে থাকি কিন্তু দৈনন্দিন প্রতিদিনকার সময়ে আমরা বেশিরভাগ টি-শার্ট পরিধান করে থাকি । 

 

এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশটি নাতিশীতোষ্ণ দেশ হওয়ার কারণে এদেশে গরমকালে প্রচুর গরম পড়ে থাকে  এবং বছরের বেশিরভাগ সময়ই গরমকাল থাকে ।  এবং টি-শার্ট গরমকালের জন্য একটি আরামদায়ক পোশাক ।

 

তাই আপনি এই সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক টি-শার্টের বিজনেস গড়ে তুলতে পারেন । এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের এক কালারের টিশার্ট ক্রয় করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় লেখা ও ছবি প্রিন্টিং করেও তা বিক্রি করতে পারেন ।

 

ইতিমধ্যে এই টি-শার্ট এর বিজনেস আমাদের বাংলাদেশে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে ।  তাই আপনি যদি ধৈর্য, একাগ্রতা ও সৃজনশীলতার প্রয়োগ ঘটিয়ে আপনার ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি দ্রুতই লাভজনক একটা অবস্থানে পৌঁছে যেতে পারবেন ।

 

৬/ চা পাতার পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

আমাদের বাঙালিদের কাছে চা অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি পানীয় । যার ফলে এই চায়ের যেমন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তেমনি চা পাতারও প্রচুর চাহিদা রয়েছে । এর কারণ হচ্ছে চা তৈরি করার প্রধান একটি উপাদান হচ্ছে চা পাতা । 

যার ফলে বর্তমানে চা পাতার পাইকারি ব্যবসা আইডিয়াটি একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে আমাদের সমাজে গড়ে উঠেছে ।

 

আমাদের বাংলাদেশের ৫০ শতাংশেরও বেশি চায়ের যোগান দিয়ে থাকে সিলেট অঞ্চল ।  সিলেটকে বলা হয়ে থাকে চা পাতার রাজধানী ।  

 

তাই আপনি যদি সিলেট থেকে ভালো মানের চা পাতা সংগ্রহ করতে পারেন সেক্ষেত্রে দ্রুত একটি লাভজনক চা পাতার পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন ।

 

চা পাতার ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যদি ভাল মানের চা পাতা সাপ্লাই করা যায় সেক্ষেত্রে এই ব্যবসায় রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মতো সম্ভাবনা তৈরি হয় ।

 

তাই শুরুতে সময় নিয়ে চা পাতার সাইজ ও মান নিয়ে বিশ্লেষণ করুন । পরবর্তীতে চা পাতা অধিক হারে ক্রয় করে নিন এবং খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করুন ।

 

৭/ মাছের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

আমাদের বাঙ্গালীদের প্রধান দুটি খাবার হচ্ছে মাছ ও ভাত ।  যার ফলে আমরা বাঙালিরা সারা বিশ্বের কাছে মাছে ভাতে বাঙালি নামে পরিচিত । তাই আমাদের বাংলাদেশে রয়েছে মাছের প্রচুর চাহিদা এবং যোগান । কিন্তু যোগাযোগের জটিলতার কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মাছের যোগান পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না ।

 

তাই আপনি চাইলে গ্রামের বিভিন্ন মাছের খামার থেকে মাছ অধিকহারে ক্রয় করে তা শহরে বাজারগুলোতে সাপ্লাই করতে পারেন ।  যদি এই ধরনের প্রক্রিয়ায় আপনি একটি মাছের পাইকারি ব্যবসা করে তুলতে পারেন সেক্ষেত্রে অল্পদিনেই অধিক অর্থের মালিক হয়ে যেতে পারবেন ।

 

এই ব্যবসাটি সফলভাবে পরিচালনার জন্য আপনাকে নিয়মিত মাছের খামারিদের ও শহরের মাছ বাজারগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে । তাহলেই আপনি একটি অলাভজনক মাছের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া করে তুলতে পারবেন । 

 

৮/ কসমেটিকস প্রোডাক্টের পাইকারি ব্যবসা

 

বর্তমানে আমরা মুদি পণ্যসামগ্রীর মত প্রতিদিন নানান ধরনের কসমেটিক পণ্য সামগ্রীও ব্যবহার করে থাকি । তাই একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কসমেটিকস পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসা গড়ে তোলা বা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াও একটি লাভজনক চিন্তাভাবনা ।

 

তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন ভালো ভালো ব্র্যান্ডেড কোম্পানির পাইকারি কসমেটিকস পণ্য নিয়ে ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । এবং পরবর্তীতে তা বাজারে বিভিন্ন ধরনের খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারেন । 

 

সাধারণত একটি কসমেটিক পণ্যের পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে আপনার ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে । তবে তা নির্ভর করছে আপনি কি পরিমাণ মালামাল আপনার ব্যবসায় তুলবেন তার উপর । 

 

অবশ্যই শুরুর দিকে বাজার বিশ্লেষণ করেন অল্প পরিমাণ পণ্য সামগ্রী তোলার চেষ্টা করবেন ।

 

পরবর্তীতে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী আস্তে আস্তে মালের পরিমাণ বাড়াতে থাকবেন । 

 

৯/ স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা

 

স্টেশনারি পণ্য সামগ্রী এর পাইকারি ব্যবসাও আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে । এই ব্যবসাটি আমাদের বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে একটি দিকে অনেকটাই এগিয়ে ।  এবং তা হল এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় লভ্যাংশের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায় ।

 

বিভিন্ন গবেষণায় ও সার্ভেতে দেখা গিয়েছে এই স্টেশনারি ব্যবসাতে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ পাওয়া যায় । এছাড়া এই ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসার মতো পণ্য সামগ্রী পচেঁ যাওয়ার ঝুঁকিও তেমন নেই ।

 

তাই আপনার হাতে যদি কোন পরিমাণ পুঁজি থাকে ব্যবসা করার জন্য এবং আপনি নিশ্চিন্তে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন । 

 

আরো পড়ুন : ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।

 

১০/ চালের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

 

আজকের আর্টিকেলের একটু উপরেই আপনাকে বলেছিলাম আমরা বাঙালিরা সারাবিশ্বে মাছে – ভাতে বাঙালি নামে পরিচিত । এবং ধান ও চাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাতে পরিণত হয় ।  এবং এর প্রচুর চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে ।  

 

বাংলাদেশের এত পরিমান চাহিদা রয়েছে যা বাংলাদেশে মেটাতে না পেরে বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে আমদানি করে নিয়ে আসতে হয় ।

 

তাই আপনি যদি এই চালের পাইকারি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন তাহলে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাক্তাই এলাকায় চালের পাইকারি ব্যবসার রয়েছে ।

 

চালের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আপনি চট্টগ্রামের চাকতাই এলাকা পরিদর্শন করে আসতে পারেন ।  তাহলে আপনি চালের পাইকারি ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আরো পরিস্কার ধারনা পাবেন । 

 

আরো পড়ুন : ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরির ব্যবসা শুরু করুন ।

 

পরিশেষে – Finally

বন্ধুরা আজকের এই পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে পাইকারি ব্যবসা কিপাইকারি ব্যবসা ও খুচরা ব্যবসার মধ্যকার পার্থক্য ,  কয়েকটি আমাদের বাংলাদেশের লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । 

 

তাই বন্ধুরা আজকের আমাদের এই পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকলে আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন ।  

 

এবং নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্যটি জানাতে পারেন আজকের কোন আইডিয়াটি আপনার কাছে ভালো লাগলো । এবং নিয়মিত ব্লগ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেইজ ফলো করুন ।

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *