নতুন ব্যবসার আইডিয়া মানেই হচ্ছে দ্রুত নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলার টেকনিক । এর প্রধান কারণ হচ্ছে নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো সম্পর্কে অন্য উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের তেমন ধারনা থাকে না ।যার ফলে বিনা প্রতিযোগিতায় মার্কেটে একাই ব্যবসা বাণিজ্য করে যাওয়া যায় । এবং ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় । এজন্যই সৃজনশীল উদ্যোক্তারা সবসময় নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়ার খোঁজ করে থাকেন ।
আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে কিছু ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব । যা আপনি একদম অল্প পুজিতে শুরু করতে পারবেন ।
বাংলাদেশে দিন দিন জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এতো বিশাল জনসংখ্যার জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা সত্যিই একটা স্বপ্নের ব্যাপার । জনসংখ্যা অনুযায়ী যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকার কারণে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে ঘুরছে ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন ( আইএলও ) ২০২১ এর তথ্য মতে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি । বিশ্বে বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম ।
তাহলে বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের বেকার সমস্যা কতটা জটিল হয়ে উঠেছে । আমাদের এই goafta ডটকম ওয়েবসাইটটি আমরা মূলত তৈরি করেছি বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য ।
আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুন তরুনীদের মাঝে উদ্যোক্তার বীজ বপন করে দিতে চায় ।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩
১/ ব্লগিং ব্যবসা
২/ অনলাইনে কোচিং / কোর্স ব্যবসা
৩/ খাবার গাড়ি
৪/ ইউটিউব চ্যানেল
৫/ সিসি টিভি ইনস্টল করার ব্যবসা
৬/ জিমনেশিয়াম বা ব্যায়ামাগার
৭/ ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস
৮/ স্মার্টফোন মেরামতে ব্যবসা
৯/ ফুচকা তৈরির ব্যবসা
১০/ ডিটারজেন্ট পাউডারের ব্যবসা
১১/ কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা
১২/ গাড়ির পার্টস বিক্রির ব্যবসা
১৩/ বেকারি পণ্যের ব্যবসা
১৪/ টি – শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
১৫/ বিউটি পার্লারের ব্যবসা
১৬/ ফটোগ্রাফি ব্যবসা
১৭/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
১৮/ ইকর্মাস ব্যবসা
তাহলে চলুন বন্ধুরা আজকের নতুন ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এবং দেখে নেওয়া যাক কোন নতুন ব্যবসার আইডিয়াটি আপনার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা হতে যাচ্ছে ।
১/ ব্লগিং ব্যবসা – Blogging business

ব্লগ হলো এক ধরনের অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যক্তিগত পত্রিকা । একটি ওয়েবসাইটের সাহায্যে সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে একটি ব্লগ পরিচালনা করা যেতে পারে ।
ব্লগিং ব্যবসা হল আজকের আধুনিক সময়ের অন্যতম একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া । ছোট-বড় যে কেউ চাইলেই একটি ইন্টারনেট কানেকশনযুক্ত কম্পিউটার এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং ব্যবসা শুরু করে দিতে পারে ।
ব্লগিং মূলত দুটি উপায় অবলম্বন করে করা যায় যেমন :
? ভিডিও ব্লগিং এবং
? ওয়েবসাইটে লিখালিখি করে ব্লগিং করা ।
ব্লগিং ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যেতে পারে ?
? ব্লগিং ব্যবসা শুরু করতে সর্বপ্রথম একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে অর্থাৎ কি বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করা হবে বা ব্লগটি তৈরি করা হবে তা সিলেক্ট করুন ।
?এরপর সে বিষয়ের সাথে আকর্ষণীয় ও মানানসই হয় এমন একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করুন ।
? আর্টিকেল লিখার জন্য শুরুতে লো কম্পেটিশন কিওয়ার্ডগুলো সিলেক্ট করুন ।
? এরপর সে কি-ওয়ার্ড গুলোর উপরে বিস্তারিতভাবে এসইও ( SEO ) অপটিমাইজড আর্টিকেল লিখুন ।
?আর্টিকেল লিখার পর সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য On Page SEO করুন ।
? এভাবে নিয়মিত কিছু আর্টিকেল পাবলিশ করার পর কিছুদিন পর পর সাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে । এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের রিলেটেড বিভিন্ন ব্লগিং সাইটে গেস্ট পোস্ট করতে পারেন এবং বিপরীতে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক নিতে পারেন ।
ব্লগিং ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধনের প্রয়োজন হতে পারে ?
ব্লগিং শুরু করতে আনুমানিক ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা মূলধনের প্রয়োজন হতে পারে । যদি আপনি ফ্রি রিসোর্স ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন । আপনি যদি একদম স্বল্প দামে ওয়েবসাইট তৈরীর সার্ভিস নিতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন ।
এছাড়াও আপনাকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে । এর জন্য আপনার অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে ।
ব্লগিং ব্যবসা থেকে কেমন ইনকাম হতে পারে ?
একটি ব্লগিং ব্যবসা থেকে আপনি প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন । বিশেষ করে আপনি যদি ইংরেজিতে একটি জনপ্রিয় ব্লগ তৈরী করতে পারেন তাহলে অনায়াসে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব হবে ।
বাংলা ব্লগ সাইটগুলো থেকেও বর্তমানে ভালো অর্থ উপার্জন করা যাচ্ছে ।
২/ অনলাইনে কোচিং এবং কোর্স করানো – Online coaching and courses

বর্তমানে নতুন ব্যবসা আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি ব্যবসা হল অনলাইন কোচিং এবং কোর্স বিক্রির ব্যবসা । বিশেষ করে আপনি যদি একজন ট্রেইনার বা শিক্ষক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।
যেকোনো বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে পারেন । এছাড়াও আপনি সরাসরি লাইভ ক্লাস করার মাধ্যমে অনলাইনে কোচিং করাতে পারেন ।
২০২০ সালের করোনা ভাইরাসের আক্রমনের পর থেকেই মূলত অনলাইন কোচিং ব্যবসার জনপ্রিয়তা পায় । আপনি বিভিন্ন ভিডিও কলিং সফটওয়্যার যেমন : জুম ( zoom ) , স্কাইপ ( skype ) , গুগোল মিটের ( Google meet ) সাহায্যে অনলাইন কোচিং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ।
অনলাইনে কোর্স ও কোচিং করানোর পাশাপাশি আপনি রেকর্ডিং ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করতে পারেন । এবং এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন ।
অনলাইনে বিক্রির কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো :
- ইউডেমি ( Udemy )
- টেন মিনিট স্কুল ( 10 Minute School )
- স্কিল শেয়ার ( Skill share ) ইত্যাদি
অনলাইনে কোচিং ব্যবসা বা কোর্স বিক্রি করতে হলে কি কি প্রয়োজন হবে ?
- ইন্টারনেট কানেকশন
- একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ
- যে বিষয় সম্পর্কে কোর্স তৈরি করতে চান সেই বিষয় সম্পর্কে পারদর্শী হওয়া ।
- অনলাইন কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইটগুলোর শরণাপন্ন হওয়া ।
- ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা । যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো করে বোঝানো যায় ।
৩/ খাবার গাড়ি – Food truck

ফুড ট্রাক বা খাবারের গাড়ির ব্যবসাও একটা নতুন ব্যবসার আইডিয়া । বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড খাবার তৈরি করে একটি ফুড ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করা যেতে পারে ।
মূলত যেসব গাড়িগুলোতে বিভিন্ন ফাস্টফুড খাবার বিক্রি করা হয়ে থাকে সেসব গাড়িগুলোকেই খাবারের গাড়ি বা ফুড ট্রাক বলা হয় ।
এই ধরনের ফুড ট্রাক বা খাবারের গাড়ির ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা । তবে এই ব্যবসা করতে হলে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ থেকে রোড পারমিট নিতে হবে ।
এবং খাবারের গাড়ির ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে হবে ।
এছাড়াও খাবার তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্রসহ একটি ছোট মিনি ট্রাক ক্রয় করতে হবে ।
৪/ ইউটিউব চ্যানেল – YouTube channel

বর্তমানে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন । নতুন ব্যবসা আইডিয়াগুলোর মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল বিজনেস বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হয়ে উঠেছে ।
বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে এই ব্যবসার আইডিয়াটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।
একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার একটি স্মার্টফোন থাকলেই হবে ।
আপনাকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরী এবং সেগুলোকে এডিট করে ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে পাবলিশ করতে হবে ।
নিয়মিত ভিডিও পাবলিশ করার ফলে ধীরে ধীরে আপনার চ্যানেলটি বড় হতে থাকবে । এবং এক সময় আপনি আপনার চ্যানেলটিকে মনিটাইজ করে চ্যানেল থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে , ব্র্যান্ড প্রমোশন করে , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
৫/ সিসি টিভি ইনস্টল করার ব্যবসা – CCTV installation business

সিসিটিভি ইনস্টলেশন ব্যবসাটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া । পূর্বে এই ধরনের কোন ব্যবসা ছিল না মূলত সিসিটিভি আবিষ্কারের পর থেকেই এর চাহিদা বাড়তে থাকে ।
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় , সরকারি- বেসরকারি অফিসসহ বিভিন্ন ছোট – বড় দোকানগুলোতেও এখন সিসিটিভি ব্যবহার করা হয় ।
তবে এই সিসিটিভি ক্যামেরা সেটআপ করার কাজ সবাই জানেনা । আর আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে একটি সিসিটিভি ইনস্টলেশন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টলেশন এর পাশাপাশি আপনি সিসিটিভিসহ এর বিভিন্ন এক্সেসরিজ বিক্রি করতে পারেন । এই ব্যবসা সম্পর্কে অন্যদের তেমন জ্ঞান না থাকার কারণে আপনি একাই এই ব্যবসা করে যেতে পারবেন ।
শুরুর দিকে তেমন অর্ডার না পেলেও ধীরে ধীরে পরিচিতি বাড়ার সাথে সাথে নিয়মিত সিসিটিভি ইনস্টলেশন ( CCTV installation ) করার কাজ পাবেন ।
৬/ জিমনেশিয়াম বা ব্যায়ামাগার – Gymnasium Business

বর্তমানে ছোট-বড় থেকে শুরু করে তরুণ যুবক এবং বয়স্করাও এখন বিভিন্ন জিমনেসিয়ামে গিয়ে ব্যায়াম করে থাকে । অর্থাৎ বর্তমানে সকলেই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক সচেতন ।
পূর্বে মানুষ প্রচুর পরিশ্রম করতো কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে মানুষ এখন অনেকটাই ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে গিয়েছে । মানুষ এখন কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকল কাজ করে ফেলছে ।
চাষাবাদ কাজও মানুষ এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ও মেশিনের সাহায্যে খুব সহজেই করে ফেলছে । যার ফলে অলস শরীরে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হচ্ছে । আর এই কারনেই বিভিন্ন ডাক্তাররা ব্যায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন ।
যার ফলে তৈরি হয়েছে একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ( New business ideas ) । বর্তমানে জিমের ব্যবসা করে অনেকেই প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকায় করছে ।
৭/ ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস – Digital Marketing Business

বর্তমান আধুনিক যুগ হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ তাই এই প্রযুক্তির যুগে যেকোন জিনিসের প্রচার প্রচারণা করতে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নিকট শরণাপন্ন হতে হয় ।
যেমন : এসইও ( seo ) , ফেইসবুক মার্কেটিং ( Facebook Marketing ) , ইউটিউব মার্কেটিং ( YouTube Marketing ) , ইমেইল মার্কেটিংসহ নানান ধরনের উপায় ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় ।
এই ধরনের কাজগুলো শিখে নিজে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস শুরু করতে পারেন । এটি বর্তমান দিনের অন্যতম একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায় । এছাড়াও আপনি একটি নিজস্ব ব্লগ খুলে সেটিকে মার্কেটিং করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন ।
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৭লক্ষ ৫০হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে । তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে । এর কারণ দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে এবং ভবিষ্যতেও এটির প্রচুর চাহিদা থাকবে ।
৮/ স্মার্টফোন মেরামতে নতুন ব্যবসা – Smartphone repair business

আজ থেকে ১০ বছর আগেও স্মার্ট ফোন ছিলনা কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে দিন দিন নানান ধরনের স্মার্টফোন বাজারে আসছে । তবে মানুষজন স্মার্টফোনগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় ডিভাইসগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে ।
এবং এই নষ্ট ডিভাইসগুলোকে মেরামত করার জন্য প্রয়োজন হয় স্মার্টফোন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের ।
আপনি স্মার্টফোন মেরামতের কাজ শিখে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । আনুমানিক ২ থেকে ৩মাস সময় দিয়ে আপনি স্মার্টফোন মেরামতের কাজটি শিখে নিতে পারবেন ।
বর্তমানে একটি স্মার্টফোন মেরামত করে দেওয়ার বিপরীতে ঘরে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নেওয়া হয়ে থাকে । তাই আপনি যদি দৈনিক কয়েকটি স্মার্টফোন সঠিকভাবে মেরামত করে দিতে পারেন তাহলে আপনি প্রতিমাসে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন ।
এই ব্যবসা করার জন্য তেমন বেশি মূলধন এর প্রয়োজন হয় না । স্মার্টফোনের কোন ধরনের পার্টস নষ্ট হয়ে গেলে তা আপনি গ্রাহকের টাকা আয় ক্রয় করে লাগিয়ে দিতে পারেন । এবং সার্ভিস চার্জ নিয়ে আয় করতে পারেন ।
৯/ ফুচকা তৈরির নতুন বিজনেস আইডিয়া – Fuchka making business

বর্তমানে নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ফুচকা তৈরি ব্যবসা ।
ফুচকা আমাদের বাংলাদেশ , ভারত এবং পাকিস্তানের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু খাবার । বিশেষ করে মেয়েদের কাছে এই খাবারটি অনেক জনপ্রিয় ।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে এই ধরনের ফুচকা তৈরীর ব্যবসা প্রচুর লক্ষ্য করা যায় । আপনি একটি ছোট্ট ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে ফুচকা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন ।
অল্প পুজিঁতে ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকলে ফুচকা তৈরীর ব্যবসা আপনার জন্য দারুন একটি আইডিয়া ।
কিভাবে ফুচকা তৈরির ব্যবসা শুরু করবেন অথবা ফুচকা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হয় ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে আমাদের ফুচকা ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১০/ ডিটারজেন্ট পাউডারের ব্যবসা – Detergent powder business

ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করে আপনিও একটি ইউনিক ব্যবসা শুরু করতে পারেন । বাজারের অনেক কোম্পানি ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবসা করলেও এর আকাশচুম্বী চাহিদা থাকার কারণে এই ব্যবসায় প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে ।
কম মূল্যে মোটামুটি ভালো মানের ডিটারজেন্ট পাউডার তৈরি করতে পারলে তা বিক্রি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না ।
বর্তমানে বাজারে যেসব ডিটারজেন্ট পাউডারগুলো রয়েছে তা অনেক ব্যয়বহুল । এর কারণ হচ্ছে তারা সারা দেশব্যাপী ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবসা করছে ।
যার ফলে তাদের প্রচুর মার্কেটিং করার জন্য টাকা খরচ করতে হচ্ছে । কিন্তু আপনি শুধুমাত্র আপনার এলাকাকে টার্গেট করে ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
ফলে আপনি কম মূল্যে ডিটারজেন্ট পাউডার সাপ্লাই দিতে পারবেন । ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন অথবা ডিটারজেন্ট পাউডার কিভাবে তৈরি করবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ডিটারজেন্ট পাউডারের ব্যবসা আর্টিকেলটি পডুন ।
১১/ কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা – Courier service business

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আইডিয়াটি অনেকের কাছে নতুন ব্যবসার আইডিয়া মনে নাও হতে পারে । তবে আপনি এই ব্যবসাটিকে একটু নতুন মাধ্যমে শুরু করতে পারেন ।
আপনি বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগি না হয়ে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারেন ।
বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো শহর ও জেলাগুলোতে সহজে পৌঁছতে পারলেও উপজেলা এবং গ্রামগুলোতে পৌছাতে পারেনা ।
তাই আপনি আপনার এলাকার মধ্যে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন । এতে করে আপনি বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো পার্সেল ( Parcel ) আপনার গ্রামে সহজে পৌঁছে দিতে পারবেন ।
এবং ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠলে এরিয়া বাড়াতে পারেন । এভাবে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাটিকে বড় করে একটি সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন ।
এছাড়াও কিভাবে একটি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে হয় অথবা কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হতে পারে ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে আমাদের কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১২/ গাড়ির পার্টস বিক্রির ব্যবসা – Business of selling car parts

জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে তার সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন গাড়ির সংখ্যাও জ্যামিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছে । যার ফলে গাড়ির পার্টসের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়েছে ।
আপনি গাড়ি তৈরি বিভিন্ন পার্টস সাপ্লাই করে অথবা দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন ।
যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এমন স্থান নির্বাচন করে এই ব্যবসা দিতে হবে ।
গাড়ির পার্টস এর ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গাড়ির পার্টস এর ব্যবসা আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১৩/ বেকারি পণ্যের ব্যবসা – Trading in bakery products

শহরের মানুষদের পাশাপাশি বর্তমানে গ্রামের মানুষদের কাছেও বেকারি পণ্যগুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । মানুষ এখন প্রচুর ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যার ফলে বেকারির তৈরিকৃত নাস্তাগুলোই ক্ষুধা নিবারণের শেষ সম্বল হয়ে উঠেছে ।
গ্রামের বাজারের মধ্যে একটি কক্ষ নিয়ে সেখানে বেকারির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে । অন্যদিকে শহরে হলে উঁচু এবং যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে ।
উঁচু স্থান নির্বাচন করার কারণ হলো বেকারি পণ্যগুলো পানির স্পর্শে সহজেই নষ্ট হয়ে যায় ।
অন্যদিকে যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা ভালো হলে বেকারির পণ্যগুলো সহজেই বিভিন্ন উপজেলা এবং গ্রামগুলোতে সাপ্লাই করা যায় ।
একটি পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে কি কি সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন অথবা কি পরিমাণ মূলধন এর প্রয়োজন হতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বেকারি ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১৪/ টি – শার্ট প্রিন্টিং নতুন ব্যবসা – T-shirt printing business

বর্তমানে নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হচ্ছে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা । টি-শার্ট বিক্রয় ব্যবসা একটি নতুন ব্যবসা না হলেও টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা একটি নতুন ব্যবসা ।
বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে এক কালারের বা রঙয়ের কিছু টি-শার্ট ক্রয় করে এনে সেখানে বিভিন্ন লিখা এবং ছবি প্রিন্ট করে তা বিক্রি করা যেতে পারে ।
বর্তমানে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে । প্রিন্টেড টিশার্টগুলো বর্তমানে কাস্টমারদের নিকট প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
বিভিন্ন ইভেন্টস ( events ) এবং ট্রেন্ডিং বিষয়ের লেখা এবং ছবি টি-শার্টের মধ্যে প্রিন্ট করা যেতে পারে । টি-শার্টে বিভিন্ন ছবি এবং লেখা মূলত বিভিন্ন ধরনের হিট মেশিন এর মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়ে থাকে ।
টি শার্ট প্রিন্ট্রিং ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১৫/ বিউটি পার্লারের ব্যবসা – Beauty parlor business

বর্তমান সময়ের অন্যতম নতুন একটি ব্যবসার আইডিয়া হলো বিউটি পার্লারের ব্যবসা । পূর্বে রূপচর্চা সম্পর্কে মানুষের তেমন আগ্রহ না থাকলেও সময়ের পরিবর্তনের সাথে এবং যুগ আপডেট হওয়ার ফলে সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে ।
মানুষ এখন নিজেদের স্মার্ট , সুদর্শন ও সুন্দরী হিসেবে প্রদর্শন করাতে বিভিন্ন বিউটি পার্লারের শরণাপন্ন হচ্ছে । বিশেষ করে বিভিন্ন বিয়ে , গায়ে হলুদ, সামাজিক উৎসব, কর্পোরেট প্রোগ্রাম ইত্যাদিকে লক্ষ্য করে মানুষ বিউটি পার্লারে যাচ্ছে ।
আপনার এলাকায় যদি কোন ধরনের বিউটি পার্লার প্রতিষ্ঠান না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি বিউটি পার্লারের এই নতুন ব্যবসার আইডিয়াটিকে কাজে লাগাতে পারেন ।
কিভাবে একটি বিউটি পার্লার ব্যবসা শুরু করবেন ? অথবা বিউটি পার্লার ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাইসেন্স ও কি পরিমাণ মূলধন এর প্রয়োজন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিউটি পার্লার ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১৬/ ফটোগ্রাফি ব্যবসা – Photography business

বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য মানুষ এখন প্রচুর কৌতুহলী হয়ে উঠেছে । যার ফলে ফটোগ্রাফির ব্যবসা হয়ে উঠেছে একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।আপনি একটি ভাল মানের ডিএসএলআর ক্যামেরা ( DSLR camera ) ক্রয় করে ফটোগ্রাফি ব্যবসা করতে পারেন ।
বিভিন্ন বিয়ে-শাদী এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রোগ্রামের ছবি ও ভিডিও তুলে দেওয়ার বিপরীতে টাকা আয় করতে পারেন । এছাড়াও স্থানীয় সাংবাদিকের সহকর্মী হিসেবে কাজ করে নিয়মিত টাকা উপার্জন করতে পারবেন ।অফলাইনে এই ধরনের ফটোগ্রাফি কাজগুলো করে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি আপনি অনলাইনেও ফটোগ্রাফির ব্যবসা করতে পারবেন ।
ইন্টারনেটে ফটো ওয়েবসাইট লিখে সার্চ করলে আপনি অনেকগুলো সাইট খুজে পাবেন । যেখানে আপনি আপনার ক্যামেরার ফটোগুলো বিক্রি করতে পারবেন ।
১৭/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – Affiliate Marketing

অনলাইনের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা প্রমোট করে দেওয়ার পাশাপাশি তা বিক্রি করে কমিশন লাভ করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ব্যবসাটিও একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া হয়ে উঠেছে । এই ব্যবসাটি করতে হলে আপনার একটি ইন্টারনেট কানেকশন যুক্ত কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকতে হবে ।
এবং অবশ্যই একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে । যে কোম্পানির পণ্য সামগ্রী নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তা সম্পর্কে নিয়মিত আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে ।
এবং এভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন । কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখুন ।
১৮/ ইকর্মাস ব্যবসা – eCommerce business

নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হল ই-কমার্স বাণিজ্য । ই-কমার্স ব্যবসা শুরু হওয়ার বয়স প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর হয়ে গেলেও এটি অনেকের কাছেই এখনো নতুন ব্যবসা হিসেবে পরিচিত ।বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে এখনও ই-কমার্স বাণিজ্য তেমনটা প্রসারতা পায়নি । তাই আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি ই-কমার্স বাণিজ্য শুরু করতে পারেন ।
শুরুতে কয়েকটি প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে পারেন পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে পারেন । অথবা অ্যামাজন , ওয়ালমার্ট ও দারাজের মতো multi-vendor ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন ।
মাল্টি ভেন্ডর ইকমার্স ব্যবসা বলতে বুঝায় এমন একটি ই-কমার্স শপ যেখানে বিভিন্ন সেলার বা অনলাইন বিক্রেতা তাদের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকে । এবং ওয়েবসাইটের মালিক সেলারদের থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন চার্জ করে থাকে ।
পরিশেষে – Finally
আজকের আর্টিকেলটিতে প্রায় ১৮টি লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়ার সাথে আপনাদের পরিচয় করে দেওয়া হল ।
এখানে উল্লেখিত প্রতিটি ব্যবসায় ইতিমধ্যে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা হিসেবে পরীক্ষিত হয়েছে । তাই আপনি যদি ধৈর্য , একাগ্রতা , সঠিক পরিকল্পনা ও সৃজনশীলতা প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে দ্রুত সফলতা পারবেন ।
আমাদের আজকের নতুন ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটির মধ্য থেকে কোন আইডিয়াটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।
এবং লেখাটি ভালো লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করতে ভুলবেন না । ধন্যবাদ