আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হচ্ছে জুতা। বর্তমানের অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা হল জুতার ব্যবসা আইডিয়া । প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকার জুতা বিক্রি হয়ে থাকে। আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিবছর অনেক জোড়া জুতার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
অনেকেই রয়েছেন যারা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্য আদর্শ এবং লাভজনক একটি ব্যবসা হল জুতার ব্যবসা। জুতার ব্যবসা সাধারণত দু’ভাবে করা হয়ে থাকে যেমন: ব্র্যান্ডের জুতা ও নন-ব্র্যান্ডের জুতার বিজনেস।
আপনি যদি ব্র্যান্ডের জুতার বিজনেস করতে চান তাহলে আপনার থেকে একটু বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ ব্রান্ডের জুতার দাম তুলনামূলক একটু বেশি। অন্যদিকে আপনি যদি নন-ব্র্যান্ডের জুতার বিজনেস করতে চান তাহলে আপনি স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে লাভজনক জুতার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
যারা নতুন নতুন ব্যবসা করার আইডিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের জুতার ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি আদর্শ একটি আর্টিকেল হবে।
আমরা এই আর্টিকেলে জুতার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে যদি পড়ে থাকেন তাহলে জুতার বিজনেস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও ধারণা পাবেন যা আপনাকে আপনার জুতার ব্যবসায় সফলতা পেতে সাহায্য করবে ।
তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আমাদের জুতার ব্যবসা আর্টিকেলটি।
কিভাবে জুতার ব্যবসা শুরু করবেন?
আমরা জানি যে কোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সে ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং সে ব্যবসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন। কারণ আপনি যদি পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার পক্ষে বেশি দিন ব্যবসা করা সম্ভব হবে না ।
সেজন্য যেকোন ব্যবসা শুরু করার পূর্বে একটি সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জুতার ব্যবসার ক্ষেত্রেও আপনাকে সঠিক বাজার বিশ্লেষণ এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
আমরা জানি জুতা এমন একটি পণ্য যা আমাদের সকলের প্রয়োজন। যেমন ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল বয়সের নারী পুরুষের প্রয়োজন হয় এই জুতা।
তাই আপনি জুতার ব্যবসা শুরু করার পূর্বে কাদেরকে নিয়ে জুতার বিজনেস শুরু করবেন তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা প্রয়োজন।
আপনার জুতার দোকানটি পুরুষের জুতার দোকান হবে? নাকি বাচ্চাদের ও মেয়েদের জুতার দোকান হবে ?
সবগুলো বিবেচনা করে আপনাকে জুতার দোকান ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। তবে বর্তমান সময়ে দেখা যায় একটি দোকানে সাধারণত ছেলে-মেয়ে উভয়ের জুতা পাওয়া যায়। যাতে করে কোনো কাস্টমার দোকান থেকে ফেরত না আসে সেদিক বিবেচনা করে বিক্রেতারা সকল প্রকারের জুতা দোকানে রাখে।
জুতা সাধারনত দুই প্রকারের হয়ে থাকে । যেমন :
১/ ব্র্যান্ডের জুতা
২/ নন ব্র্যান্ডের জুতা
এখন আপনি কি ধরনের জুতা নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন থাকে তাহলে আপনি ব্রান্ডের জুতা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
আবার আপনার কাছে যদি তেমন মূলধন না থাকে বিনিয়োগ করার মতো তাহলে আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে নন-ব্র্যান্ডের জুতাগুলোর ব্যবসা করতে পারেন।
জুতার ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধন এর প্রয়োজন হয়?
আমরা জানি সব ব্যবসা শুরু করার জন্য মূলধন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যত বেশি মূলধন বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ততবেশি মুনাফা করার সম্ভাবনা থাকে।
ঠিক জুতার ব্যবসা ক্ষেত্রেও আপনি যত বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে পারবেন ততবেশি জুতার ব্যবসা থেকে মুনাফা করার সম্ভাবনা থাকে। নির্দিষ্ট করে বলা যায়না কোন ব্যবসায় কত টাকা মূলধন প্রয়োজন হতে পারে।
তবে সাধারণত আপনি যদি ছোট পরিসরে জুতার বিজনেসটি শুরু করতে চান তাহলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে জুতার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন থাকে তাহলে আপনি ৩-৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
যা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে চান।
আরো পড়ুন :- ফুচকা ব্যবসার আইডিয়া ।
জুতার ব্যবসার জন্য সঠিক স্থান নির্ধারণ করা
জুতার বিজনেস করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জুতার দোকান তৈরি করে ব্যবসা করতে হবে। তাই আপনাকে এমন স্থানে দোকান নির্বাচন করতে হবে যে স্থানে মানুষের লোকসমাগম বেশি এবং জনবহুল এলাকা রয়েছে সেই সব স্থানে যদি জুতার বিজনেসের দোকান তৈরি করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে।
অথবা আপনার এরিয়াতে হাট-বাজার বা মার্কেটের আশেপাশে যদি জুতার ব্যবসার জন্য একটি জায়গা নির্বাচন করতে পারেন তাহলে বেচাবিক্রি যেমন ভালো হবে তেমন মুনাফাও বেশি হবে।
সেজন্য হাট বাজার, মার্কেট, অথবা লোক সমাগম বেশি আছে এসব জায়গা যেকোন ব্যবসার জন্য আদর্শ পূর্ণ একটি জায়গা । এসব স্থানে যে কোন ব্যবসা বেচাবিক্রি ভালো হয় কারণ বিভিন্ন মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এই সকল স্থানে।
জুতার ব্যবসার জন্য কত বড় জায়গার প্রয়োজন?
আপনি যদি জুতার ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি দোকান তৈরি করে জুতার বিজনেস পরিচালনা করতে হবে। এবং জুতার ব্যবসার জন্য কত বড় জায়গা প্রয়োজন তা বলা মুশকিল।
কারণ আপনার মূলধনের উপর নির্ভর করে আপনি কত বড় করে জুতার বিজনেস করতে চান। আপনার হাতে যদি তেমন বেশি মূলধন না থাকে তাহলে আপনি ছোটখাটো করে একটি জুতার বিজনেস করতে পারেন। আবার অন্যদিকে আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন থাকে তাহলে আপনি বড় করে জুতার ব্যবসা শুরু করতে পারেন যা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর।
তবে সাধারণত আপনি যদি মোটামুটি মানের জুতার ব্যবসা করার জন্য ১০/১৫ ফিটের একটি জায়গা নির্বাচন করে বিজনেসটি শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনার ব্যবসার প্রসারতা বৃদ্ধি পেলে তখন দোকানটি পুনরায় বড় করে ব্যবসা বাড়াতে পারেন।
আরো পড়ুন :- বেকারি ব্যবসা শুরু করার নিয়ম ।
জুতার দোকান ডেকোরেশন কেমন হওয়া উচিত?
যেকোনো ব্যবসার জন্য ডেকারেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি আপনার দোকানটিকে যত সুন্দর করে ডেকোরেশন করবেন ততবেশি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। দোকানের ভিতর – বাহিরে সুন্দর করে ডেকারেশন করতে পারলে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।
তাই আপনি জুতার ব্যবসা বলুন কিংবা অন্য যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে ডেকোরেশন অনেক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সেজন্য আপনার দোকানটিকে সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হবে এবং দোকানের ভিতরে বাহিরে পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দোকানের ভেতর কাস্টমার যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন দোকানের ভিতর হিবিজিবি করে চেয়ার-টেবিল রাখা যাবে না । তাহলে গ্রাহকরা বিরক্তবোধ করবে।
জুতার দোকানে সুন্দর করে আলোকসজ্জা করবেন এবং বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা গুলোকে ডিসপ্লে করে সাজিয়ে রাখবেন। যাতে করে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। বাহির থেকে সুন্দর করে ডেকারেশন ও আলোকসজ্জা করতে পারলে রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় আপনার দোকানের উপর নজর পড়বে সকল মানুষের।
জুতার ব্যবসার জন্য কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন হয়?
আপনি বৈধভাবে যে কোন ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত বৈধ কিছু লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এবং সকল প্রকার আইনি জটিলতা থেকে বাচঁতে হলে আপনাকে অবশ্যই সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
জুতার ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সগুলো নিম্নরূপ:
- ট্রেড লাইসেন্স
- টিন সার্টিফিকেট
- ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন
- দোকানের দলিল ও আইনি কাগজপত্র ইত্যাদি
এই সকল লাইসেন্সগুলো আপনি যদি শহরে ব্যবসা করতে চান তাহলে সিটি কর্পোরেশন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা আপনি যদি গ্রামে ব্যবসা করতে চান তাহলে উপজেলা পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
জুতার পাইকারি বাজার এর অবস্থান ২০২২
আপনি যেকোন ব্যবসা শুরু করতে চান না কেন সর্বপ্রথম আপনাকে পাইকারি বাজার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কেননা পাইকারি বাজারগুলো থেকে আপনি যেকোনো পণ্য অল্প দামে ক্রয় করতে পারবেন। আপনি যত বেশি কম দামে ক্রয় করে বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি মুনাফা করতে পারবেন ।
আরো পড়ুন :- ইট ভাটার ব্যবসা যেভাবে শুরু করবেন ?
ঢাকার পাইকারি জুতার মার্কেট এর ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার
- রবিন সুজ :৫৩, ঢাকা ট্রেড সেন্টার(২য় তলা) গুলিস্তান, ঢাকা-১০০০ ইমু নাম্বার-০১৯১২৭ ৯৪৩৯৩,০১৭০৭৫৬৪৬৭৭
- নাফিসা সুজ:১৭ নং সোয়ারিঘাট রোড,চকবাজার ,ঢাকা -১২১১। এখানে সকল প্রকার চামড়ার জুতা, বার্মিজ জুতা পাইকারি বিক্রয় করা হয়। মোবাইল নাম্বার:০১৭১৭৮৮৪১৯৮ /০১৬৭৭৩৪৯৩০৭
- স্টার লিবার্টি সুজ:১০৬, ঢাকা ট্রেড সেন্টার (২য় তলা)সাবেক বঙ্গ বাজার, গুলিস্থান, ঢাকা-১০০০। মোবাইল নাম্বার:০১৭২৪৩৫৫৭২২
অনলাইনে জুতার ব্যবসা ২০২২
আপনি চাইলে অনলাইনে মাধ্যমে জুতার ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা সব ধরনের কাজকর্ম ঘরে বসে করতে পারি। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশসহ প্রায় প্রতিটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অফিস-আদালত চলে এসেছিল অনলাইনকে ঘিরে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন মানের নামিদামি ব্র্যান্ডের জুতা কালেকশন করে সেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
অনলাইনে জুতার ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন হবে?
অনলাইনে জুতার ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কিছু ডিভাইস ও মাধ্যম।
সেগুলো নিম্নরূপ:
- আপনার একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে ।
- ইন্টারনেট সংযোগ দরকার হবে ।
- ফেসবুক পেইজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল ।
- অথবা আপনি চাইলে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন ।
আপনি চাইলে এগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে জুতার ব্যবসা করে আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কেননা অনলাইনে ব্যবসা করলে সারা বাংলাদেশের মানুষজনে আপনার কাস্টমার হবে।
যা আপনি অফলাইনের মাধ্যমে সুযোগটি পাবেন না কেননা অফলাইনে ব্যবসা করলে আপনার এরিয়ার আশেপাশে মানুষজনই কাস্টমার থাকবে।
জুতার ব্যবসায় লাভ কেমন ?
আমরা সবাই জানি যে জুতা আমাদের দৈনন্দিন এর সঙ্গী। বর্তমানে ছোট থেকে বড় সকল শ্রেণীর মানুষজন জুতা ব্যবহার করে থাকেন।
দিন যাওয়ার সাথে সাথে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন অনেক বেশি জুতা ব্যবহার করে থাকেন। বলা যায় জুতা একটি চাহিদা যোগ্য পণ্য চাইলেই যে কেউ এই ব্যবসাটি করে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি পাইকারি দামে জুতা ক্রয় করতে পারেন তাহলে যে কোন ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি করে কমপক্ষে ২৫/৩৫ শতাংশ কমিশন পাবেন। নন-ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে কমিশনের হার আরো অনেক বেশী হয়ে থাকে দেখা যায় একজোড়া জুতা বিক্রি করলে অর্ধেকের অর্ধেক মুনাফা করা সম্ভব।
তাই আপনি যদি মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত জুতা বিক্রি করতে পারেন তাহলে অনায়াসে মাসে ৩০/৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এবং যত বেশি জুতা বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি মুনাফা করতে পারবেন।
আরো পড়ুন :- টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসায় করে মাসে আয় লাখটাকা ।
জুতার বিক্রি বাড়ানোর উপায়
আপনি যদি আপনার দোকানের বেচাবিক্রি ভালো করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কাস্টমারের বা গ্রাহকদের চাহিদা কেমন তা সম্পর্কে। এবং আপনার দোকানে নিত্যনতুন ডিজাইনের ছোট মা মনি থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এবং বয়স্কদের কালেকশন রাখতে হবে।
এবং নিত্যনতুন ডিজাইনের ও ব্র্যান্ডের জুতাগুলো সুন্দর করে ডিসপ্লে করে কাস্টমারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে । তাছাড়া দোকানে বিক্রি করার কিছু উপায় রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে পারলে আপনার দোকানে যেকোনো কাস্টমার যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে।
পণ্য বিক্রির উপায়গুলো দেখে নেয়া যাক:
- অতিরিক্ত দাম না দেওয়া ।
- কাস্টমারদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা ।
- দোকানের ভেতর নিত্যনতুন ডিজাইনের জুতা রাখা ।
- মাঝে মাঝে কাস্টমারদের ডিসকাউন্ট দেওয়া ।
- বিক্রি শেষে সুন্দর ব্যাগে কাস্টমারদের জুতা বুঝে দেওয়া ।
এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলে আপনার দোকানে অবশ্যই কাস্টমাররা জুতা
ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এবং পরবর্তীতেও আসার সম্ভাবনা থাকবে। আপনি যত বেশি কাস্টমারদের মন জয় করতে পারবেন তত বিক্রি ভালো হবে ।
আরো পড়ুন :– ব্রয়লার মুরগির খামার ব্যবসা করার নিয়ম ।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন:
উত্তর: বার্মিজ জুতা সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকার মধ্যে পাইকারি দামে পাওয়া যাবে।
উত্তর: ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনি যেকোন ব্রান্ডের ছোট পরিসরে ডিলারশিপ পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে টাকার পরিমান একটু বেশি হলে ভালো হয়।
উত্তর: আপনি যদি বাটা জুতার ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে বাটা জুতার ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া আপনি চাইলে বাটা কোম্পানির যেকোনো ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ করলে ডিলারশিপ নিতে পারবেন।
উত্তর: নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে সাধারণত আপনি ১ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে জুতার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি তার চেয়েও বেশি মূলধন বিনিয়োগ করার মত ক্ষমতা থাকে তাহলে আরো বড় করে ব্যবসা শুরু করলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।
বাংলাদেশের সেরা ৫টি জুতা কোম্পানির নাম হল: ১ /বাটা জুতা ২/এপেক্স জুতা ৩/লোটো জুতা ৪/পান্ডা জুতা ৫/গাম্বল জুতা বার্মিজ জুতার পাইকারি দাম কত ?
জুতার ডিলারশিপ নিতে কত টাকা মূলধন প্রয়োজন?
বাটা জুতার ডিলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়?
জুতার ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন প্রয়োজন?
সেরা পাঁচটি জুতার কোম্পানির নাম?
পরিশেষে – Finally
বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ছিল জুতার ব্যবসা নিয়ে। আর্টিকেলটির কোন অংশ আপনাদের ভাল লেগেছে সেটি কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না ।
আপনারা কোন ধরনের আর্টিকেল চান? সেটিও আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করব সেই বিষয়ে সুন্দর করে আলোচনা করার জন্য।
সর্বোপরি এতক্ষণ সময় ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদেরও উপকৃত করবেন । এবং ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুকে ।