আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন । অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে বর্তমান সময়ের লাভজনক কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাই বন্ধুরা আপনারা যদি ছোট ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে একটি ছোট বিজনেস শুরু করা যায় ?
কিছু লাভজনক ছোট ব্যবসার আইডিয়া , ছোট বিজনেস শুরু করতে কত টাকা মূলধন লাগে ? ইত্যাদি বিস্তারিত বিষয়সমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করবো আমাদের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে।
তাই আপনারা যদি ছোট বিজনেস করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। আশা করা যায় আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আইডিয়া পাবেন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের মূল আলোচনা ছোট ব্যবসার বিষয়সমূহ ।
কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করবেন ?
বাজারে অনেক ধরনের ছোট ব্যবসা রয়েছে । তার মধ্যে আপনি কি ধরনের ছোট ব্যবসা শুরু করবেন তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনার যে বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে আপনি সেটার উপর ভিত্তি করে যেকোনো একটি ছোট বিজনেস শুরু করতে পারেন।
আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে বর্তমান সময়ের সেরা ১০টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের শেয়ার করব।
এখান থেকে যে কোন একটি আপনি চাইলে আপনার এরিয়া বা এলাকাতে শুরু করে দিতে পারেন । ছোট বিজনেস শুরু করতে তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন পড়ে না।
আপনি চাইলে স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে যেকোনো একটি ছোট বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।
বর্তমানে এই ধরনের হাজার হাজার ছোট ব্যবসা রয়েছে এবং অনেকেই প্রতিনিয়ত এইধরনের ছোট ছোট বিজনেস করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছে ।
তাই যেকোনো একটি ছোট ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই সে ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষতা এবং ধারণা অর্জন করতে হবে।
পাশাপাশি সেই ব্যবসার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। এবং সঠিকভাবে সে ব্যবসায় নিয়ে বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে ।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে অনেকেই ছোট ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন আপনিও চাইলে আপনার মন মত যেকোনো একটি ছোট ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ছোট বিজনেস করার জন্য অনেক আইডিয়া রয়েছে। যেকোনো একটি ছোট ব্যবসার আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনিও স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
তাহলে চলুন দেখে আসি বর্তমান সময়ের বেশকিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে । যাতে করে আপনিও এই আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বর্তমান সময়ের বেশকিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া নিম্নরূপ :
১/ টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা – T-shirt printing business
একটা সময় ছিল মানুষ মার্কেটে গিয়ে যেকোনো ধরনের টি শার্ট ক্রয় করতো। কিন্তু বর্তমানে আগের মত মানুষ মার্কেটে গিয়ে যেমন তেমন টি-শার্ট ক্রয় করে না।
সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে। তাই এখন দেখা যায় মানুষ নিত্যনতুন ডিজাইনের টি-শার্ট পরিধান করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।
এবং পাশাপাশি টি শার্ট প্রিন্টিং এর ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে । নিত্যনতুন ডিজাইনের টি-শার্টের চাহিদার পাশাপাশি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার চাহিদাও।
আপনি চাইলে এই টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ছোট ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে। কেননা টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না।
আপনি চাইলে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেই টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন।
আমাদের চারপাশে বর্তমান সময়ে প্রিন্টিং টি শার্ট বা নিত্য নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট এর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যায় । মার্কেটে গেলে শুধু দেখা যায় প্রিন্টিং টি শার্ট এর সমাহার।
তাই আপনি অল্প কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে এই ছোট ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি বর্তমান সময়ে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্টিত হয়েছে ।
আপনি পাইকারি মার্কেট থেকে এক রঙের বিভিন্ন কালো , সাদা , গোলাপি এই ধরনের কিছু টি শার্ট ক্রয় করে নিয়ে আসতে পারেন । এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং প্রিন্টিং করে টি-শার্টগুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন ।
এক্ষেত্রে আপনার একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন থাকলেই আপনি খুব সহজে এই লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন ।
একটি টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হতে পারে । তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনি কিধরনের এবং কেমন কোয়ালিটির মেশিন নিচ্ছেন তার উপর । বাজারে অনেক দামী প্রিন্টিং মেশিনও রয়েছে ।
তাই টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন ক্রয় করার পূর্বে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে ক্রয় করবেন ।
২/ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার – Computer Training Center
বর্তমান আধুনিক যুগ হলো মূলত তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে কম্পিউটার ব্যবহারের চাহিদা।
আমাদের বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা কম্পিউটার শিখতে ব্যাপক আগ্রহী । তাই আপনি যদি কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।
যেমন ধরুন, আপনি অফিস ম্যানেজমেন্ট বা এমএস ওয়ার্ড ( Ms word ) ,এমএস এক্সেল ( Ms Excel ), পাওয়ারপয়েন্ট ( Powerpoint ), ইত্যাদি এই কাজগুলো যদি ভালো পারেন তাহলে ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কেননা এই কাজগুলো শেখার জন্য বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েরা ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করছে।
এর পাশাপাশি যদি আপনি কম্পিউটারের বা অনলাইনের কিছু কাজ সম্পর্কে দক্ষ হয়ে থাকেন ।
যেমন ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইন ( Graphic design ) , ডিজিটাল মার্কেটিং ( Digital Marketing ) , ওয়েব ডিজাইন ( Web Design ), ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ( Web Development ) , এসইও ( SEO ) ইত্যাদি কাজগুলো সম্পর্কে যদি আপনার ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই কোর্সগুলো করিয়েও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আমাদের বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা বর্তমান সময়ে চাকরির পিছনে সময় নষ্ট না করে নিজেরা উদ্যোক্তা হতে স্বচ্ছন্দবোধ করে । পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাছে স্বাধীনতা থাকায় তারা এই কাজের পিছনে ছুটছে ।
তাই এই ধরনের কাজ গুলো শিখানোর মাধ্যমে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না।
শুধু আপনার ৪ থেকে ৫টি কম্পিউটার থাকলেই আপনি এই ধরনের ট্রেনিং সেন্টার খুলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৩/ মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার – Mobile Servicing Centre
বর্তমান সময়ে দেখা যায় ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে বৃদ্ধ লোকেরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে। এবং আমাদের বাংলাদেশ মোবাইল ফোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে মোবাইল ফোন সার্ভিসিং ব্যবসাটির চাহিদাও।
তাই আপনি যদি ছোট ব্যবসা করতে চান তাহলে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ের অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে এই মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা।
কেননা আমাদের মোবাইল ফোনের কোনো না কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা ছুটে যায় বিভিন্ন মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে ।
আপনি চাইলে মোবাইল সার্ভিসিং এর উপর ৩ থেকে ৬ মাসের একটি কোর্স বা ট্রেনিং করে এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন ।
মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার পাশাপাশি আপনি চাইলে মোবাইলে ইজিলোড ব্যবসা করতে পারেন ।
এবং মোবাইলের যাবতীয় এক্সোসরিজ যেমন: চার্জার, কেবল, ব্যাটারি, কভার, ইয়ারফোন, প্রোডাকশন গ্লাস ইত্যাদি যাবতীয় সরঞ্জামগুলো বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন।
মোবাইল সার্ভিসিং দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেসব স্থানে লোকসমাগম রয়েছে সেসব স্থানে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাটি শুরু করার।
স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে ছোট ব্যবসা হিসেবে আপনি মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাটি শুরু করে দিন । আমাদের আশেপাশে এই ব্যবসাটি করে ইতিমধ্যে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন ।
৪/ ফলের জুসের দোকান – Fruit juice shop
ফলের জুসের ব্যবসাটিও বর্তমান সময়ে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে। কেননা আমরা গরমকাল আসলে দেখতে পাই মানুষের ঠান্ডা জুস খাওয়ার ব্যাপক আগ্রহ বেড়ে যায়।
বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অথবা বাস স্টেশন – রেল স্টেশন এর আশেপাশে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ফলের জুসের দোকান।
ফলের জুসের ব্যবসাটি মূলত সিজনাল একটি ব্যবসা । কারণ শীতকালে তেমন জুসের চাহিদা থাকে না। তবে গরমকালে জুসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আপনি চাইলে ছোট ব্যবসা হিসেবে বিভিন্ন ফলের জুস তৈরি করে এই ছোট ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।
বর্তমান সময়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হলো ফলের জুসের ব্যবসা । আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস বিক্রি করতে পারেন যেমন: আমের, পেঁপের, তরমুজের, কমলার, মুসাম্বি ইত্যাদি অনেক ধরনের ফল রয়েছে যেগুলো দিয়ে আপনি জুস তৈরি করে আপনার দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি এই ব্যবসাটি স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন।তাই ছোট ব্যবসায় হিসেবে আমি মনে করি ফলের জুসের দোকান ব্যবসাটি আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা হবে।
৫/ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ব্যবসা – Graphics Design
বর্তমান সময়ের অত্যন্ত লাভজনক এবং চাহিদাযোগ্য একটি ব্যবসা হল গ্রাফিক ডিজাইনের ব্যবসা। গ্রাফিক ডিজাইনে প্রচুর চাহিদা রয়েছে আমাদের জন্য।
কেননা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পোস্টার, ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, দাওয়াত কার্ড ইত্যাদি graphic-designer দ্বারা করা হয়ে থাকে।
তাই এই ব্যবসার চাহিদা দিন দিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিয়ের কার্ড এবং বিভিন্ন নির্বাচনের পোষ্টার – ব্যানারগুলোও তৈরী করে থাকে এই গ্রাফিক ডিজাইনাররা ।
আরো পড়ুন ,,,
এখন আপনি যদি দুই থেকে তিন মাস সময় দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন কাজটি শিখে নিজেকে রপ্ত করতে পারেন তাহলে আপনি দুইটি উপায়ে গ্রাফিক ডিজাইন কাজটি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
যেমন : আপনি অফলাইন ও অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইনে আর্ন্তজাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ব্যাপক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ রয়েছে ।
তাই ছোট ব্যবসা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য সৃজনশীল একটি কাজ।
আপনি যত বেশি সৃজনশীলভাবে এবং নতুন নতুন ডিজাইন এর কাজ করতে পারবেন ততবেশি গ্রাফিক ডিজাইন এই সেক্টরে থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
৬/ টেলারিং এর ছোট ব্যবসা – Small business of tailoring
বর্তমান সময়ের আরও একটি লাভজনক ব্যবসা হলো টেইলারিং ব্যবসা। আমরা প্রাচীনকাল থেকেই জামা কাপড় পরিধান করে থাকি আমাদের লজ্জাস্থান আবরণ করার জন্য।
এই জামা কাপড়গুলো আমরা প্রায় সময় নিজেরা নিজেদের মতো তৈরি করে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এবং জামা কাপড় তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় একজন দর্জির।
তাই দর্জির বা টেলারিং ব্যবসার চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান সময়ে সবাই নিজেদের পছন্দমতো জামা কাপড় তৈরি করে পরিধান করতে ব্যাপক আগ্রহী ।
আরো পড়ুন,,
তাই আপনার বাড়ির মধ্যে আপনি চাইলে টেইলারিং ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন ।
টেইলারিং ব্যবসা সম্পর্কে যদি আপনার পূর্বের কোন ধারণা বা অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে আপনি দুই থেকে তিন মাসের একটি টেইলারিং কোর্স করে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারেন ।
টেলারিং ব্যবসাটি আপনি খুব সহজে করতে পারবেন এবং টেইলারিং ব্যবসা শুরু করতে আপনার তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না ।
আপনি অল্প মূলধন বিনিয়োগ করে টেইলারিং ব্যবসায় করতে পারবেন। বর্তমানে লাভজনক ব্যবসায়গুলোর মধ্যে রয়েছে টেইলারিং ব্যবসা।
৭/ ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবসা – YouTube channel business
আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আমরা ইউটিউবে গিয়ে সে বিষয়টি সার্চ করে থাকি । এবং ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ইউটিউব থেকে এখন শিখার আগ্রহ প্রকাশ করছে ।
ইউটিউবিং করে আমাদের বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে চাকুরিজীবিরাও পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করছে।
তাই আপনার যদি কোন বিষয়ের উপর স্পেশাল দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সেটির উপর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনেকেই ইউটিউব থেকে বর্তমানে খুব ভালো অর্থ আয় করছে ।
তাই আপনিও চাইলে আপনার অবসর সময়টুকু কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কিভাবে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে হয় সেই বিষয়ের উপর ইউটিউবে গিয়ে সার্চ দিলে এই ধরনের অনেক ভিডিও পাবেন। এবং সেখান থেকে শিখে নিয়ে আপনি শুরু করে দিন একটি ইউটিউব বিজনেস।
৮/ কোচিং সেন্টার বিজনেস – Coaching Centre
আপনি যদি গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরির জন্য ঘোরাঘুরি করছেন অথবা বেকার অবস্থায় রয়েছেন এমন হয় । তাহলে আপনার জন্য দারুন একটি আইডিয়া হবে কোচিং সেন্টার বিজনেস। কোচিং সেন্টার দিয়ে আমাদের দেশের অনেক তরুণ-তরুণী স্বাবলম্বী হয়েছে।
আপনিও চাইলে আপনার এলাকাতে কোচিং সেন্টার স্থাপন করে একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। আপনি আপনার জুনিয়র ব্যাচের স্টুডেন্টদের পড়ানোর মাধ্যমে কোচিং সেন্টারটি শুরু করতে পারেন।
গ্রামগঞ্জ কিংবা শহর বলুন সবখানেই কোচিং সেন্টারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।কেননা একজন প্রাইভেট টিউটর রাখতে গেলে অভিভাবকদের গুনতে হয় মাস শেষে মোটা অংকের টাকা।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার এলাকা অথবা এরিয়াতে একটি কোচিং সেন্টার স্থাপন করতে পারেন । এবং সেখানে তাদের মাসিক ফি যদি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা রাখেন তাহলে দেখবেন স্টুডেন্টদের অভাব হবে না।
আপনি প্রতিমাসে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এই কোচিং সেন্টার বিজনেস করে। আজকাল একটি কোচিং সেন্টার বিজনেস শুরু করতে আপনার তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন হবে না।
সামান্য মূলধন বিনিয়োগ করে আপনি কোচিং সেন্টার বিজনেসটি শুরু করতে পারবেন। তাই আপনার যদি ইংরেজি ,গণিত , বিজ্ঞান বিষয় সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকে তাহলে ছোট ব্যবসা আইডিয়া হিসেবে কোচিং সেন্টার বিজনেসটি আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা হবে ।
৯/ ট্রাভেল এজেন্সি – Travel agency
বর্তমান সময়ে দেখা যায় ছোট-বড় এবং বৃদ্ধরাও পর্যন্ত ভ্রমণ পিপাসু হয়ে উঠেছে। দেখা যায় মানুষ প্রতিনিয়ত কোন না কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন। যার ফলে এই ট্রাভেল এজেন্সির ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন আপনি চাইলে ট্রাভেল এজেন্সি বিজনেস শুরু করতে পারেন। ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার তেমন বেশি মূলধন প্রয়োজন পড়বে না।
আপনি লোকজনদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য টিকেট ক্রয় করে দিবেন এবং সেখান থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন।
বর্তমানে এই ধরনের ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । কেননা মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিভাবে যাবে তা নিয়ে অবগত নয় এবং লোকজনের টিকেট সংগ্রহ নিয়েও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় ।
তাই আপনি এই সমস্যার সমাধান করে দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আপনি বিভিন্ন ট্রাভেলার বাসগুলোর মালিকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে টিকেট ক্রয় করে দিবেন এবং সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন।
১০/ টি স্টল ছোট ব্যবসা – Tea stall
আমাদের বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষ চা পান করে থাকে এবং এই চা পান না করলে তাদের দিনকাল কাটেই নাহ । আমাদের চারপাশে এই ধরনের অনেক মানুষ রয়েছে যারা ভাত না খেয়ে থাকতে পারবে কিন্তু চা পান না করে থাকতে পারবে না।
আমরা আমাদের হাট-বাজারগুলোতে রাস্তার অলিতে-গলিতে শতশত চায়ের দোকান দেখতে চাই। বিশেষ করে বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, মার্কেট ইত্যাদি এই সব জায়গাতে চায়ের দোকান বেশ লক্ষণীয়।
আপনি এসব স্থানে চাইলে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে চায়ের দোকান বা একটি টি-স্টল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন । আপনার জন্য চায়ের দোকান ব্যবসাটি ছোট ব্যবসা হিসেবে ব্যাপক লাভজনক একটি ব্যবসা হবে ।
চায়ের দোকান প্রতিষ্ঠা করার সময় আপনার একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে । যে সকল স্থানে লোকসমাগম বেশি রয়েছে সে সকল স্থানে চায়ের দোকান দিলে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
ছোট ব্যবসার জন্য লোন – Loans for small businesses
আমাদের বাংলাদেশে অনেক সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ছোট বড় ব্যবসার জন্য ঋণ বা লোন দিয়ে থাকে।
এখন আপনি চাইলে যেকোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ছোট ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারবেন।
বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের ছোট ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বেশি ঋণ দেয় বা লোন দেয় এমন একটি ব্যাংক হলো ব্রাক ব্যাংক।
আমাদের দেশের উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য ব্যাপক অবদান রেখেছে এই ব্রাক ব্যাংক।
ব্রাক ব্যাংক থেকে সহজেই আপনি ছোট বিজনেস কিংবা বড় ব্যবসা বলুন যে কোন ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারবেন ।
আপনি আপনার সুবিধামত যেকোনো সরকারি – বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ছোট ব্যবসার জন্য লোন নিতে পারবেন।
ব্রাক ব্যাংক থেকে লোন নিতে তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না । খুব সহজেই ব্রাক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া যায়।
অল্প পুজিঁতে ছোট ব্যবসা ২০২২ – Small business with little capital
আমাদের বাংলাদেশ অল্প পুজিতে অনেক ছোট ব্যবসা রয়েছে । আর্টিকেলের উপরে যে ব্যবসাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি তার সবকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া । যা আপনি অল্প পুজিঁ বিনিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারবেন ।
এবং এই ব্যবসাগুলো করে অনেকেই নিজেদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন । আমাদের চারপাশে এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে ।
তাই আপনিও শুরু করে দিন এই ব্যবসাগুলো এবং নিজেকে বেকারের অভিশাপ থেকে রক্ষা করে একজন স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলুন।
অল্প পুজিঁতে গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২২
গ্রামে লাভজনক ব্যবসার অসংখ্য আইডিয়া রয়েছে। আপনি যেকোনো একটি আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে সুন্দরভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
উপরে আমি যে দশটি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে সে ব্যবসাগুলো গ্রামে করতে পারেন। এবং গ্রামে খুব সুন্দরভাবে এই ব্যবসাগুলো আপনি পরিচালনা করতে পারবেন।
কেননা শহরে এই ব্যবসাগুলো করতে হলে আপনাকে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
গ্রামের ব্যবসাগুলো আপনি অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেই শুরু করতে পারবেন তাই লাভজনক ব্যবসা হিসেবে উপরের যেকোন একটি ব্যবসায় আপনি আপনার গ্রামে শুরু করে দিন ।
পরিশেষে – Conclusions
বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি ছোট ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে।
কিভাবে আপনি ছোট বিজনেস শুরু করবেন? ছোট বিজনেস করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়? এবং বর্তমান সময়ের সেরা ১০টি ছোট ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি কিভাবে আপনি ছোট ব্যবসার জন্য লোন নিবেন ।
আমাদের আজকের এই ছোট ব্যবসা আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করবেন ।
এবং এই ধরনের নতুন নতুন ব্যবসা ও চাকরি সংক্রান্ত নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ