বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে অল্প পুজিতে অনেক ধরনের লাভজনক ব্যবসা রয়েছে।তারমধ্যে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হলো চা পাতার ব্যবসা ।আপনি চাইলে চা পাতার ব্যবসাটি আপনার বাসায় থেকেও করতে পারবেন।
আমাদের বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী এবং কর্মচারী কর্মজীবীরা চা পাতার ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। অনেকেই চা পাতার ব্যবসা করে ভালো সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও চাইলে চা পাতার ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।
চা পাতার ব্যবসার আইডিয়া
আপনি যদি কোন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতে থাকেন তাহলে আপনাকে আমি পরামর্শ দিব চা পাতার ব্যবসার আইডিয়া ।এই চা পাতার ব্যবসার আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। বর্তমানে চা পাতার ব্যবসা আইডিয়া অত্যন্ত দারুণ একটি আইডিয়া হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
আপনি কিভাবে চা পাতার ব্যবসা শুরু করবেন? চা পাতার ব্যবসা করার জন্য কি কি প্রয়োজন পড়ে? চা পাতার ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন এর প্রয়োজন হবে?
চা পাতা ব্যবসায় কিভাবে ডিলেরশিপ নিবেন? এবং বাংলাদেশের বেশকিছু স্বনামধন্য চা কোম্পানীর পরিচিতিসহ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে চা পাতা ব্যবসার সকল প্রকার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আপনি যদি চা পাতার ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আশা করা যায় আমাদের আজকের চা পাতার ব্যবসা এই আর্টিকেলটি পড়ে চা পাতার ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও দারুন কিছু আইডিয়া খুঁজে পাবেন।
তাই বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
চা পাতার পরিচিতি
চা একটি প্রাচীন পানীয়। চায়ের প্রথম প্রচলন শুরু হয়েছিল চীন দেশে আজ থেকে বহু বছর পূর্বে। এবং ধীরে ধীরে চীন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বহুল পরিচিত একটি পানীয়তে পরিণত হয়েছে । তার মধ্যে থেমে নেই আমাদের বাংলাদেশও।
সকল বয়সের মানুষ এই চা পান করে থাকে শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ এর বাহিরে নয়। বলতে গেলে আমাদের বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৯০% মানুষ চা পান করে থাকে।
তাই বুঝাই যায় চায়ের কেমন চাহিদা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না খেলে যেন পুরা দিনই কাটেনা।
চা পাতার নাম সমূহ
চা পাতার ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই চা পাতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। সাধারণত চায়ের পাতা দেখতে এক রকম হলেও এর কুড়ি থেকে বিভিন্ন রকমের চা তৈরি করা হয়ে থাকে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু চা পাতার নাম হল নিম্নরূপ:
১/ ব্ল্যাক টি
২/ গ্রিন টি
৩/ হোয়াইট টি ইত্যাদি
তাছাড়া আরও অনেক ধরনের চা পাতা যোগ করে নতুন নতুন কয়েক রকম চা বানানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে লেবু চা, গুড়ের চা, ঝাল চা ইত্যাদি।
চা পাতার গ্রেড চেনার উপায়
চা পাতার গ্রেড কথাটি শুনে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন কোয়ালিটি নিয়ে । তবে এখানে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটা কথা বলতে চাই ভালো মানের চা পাতার দাম সব সময় বেশি আর খারাপ চা পাতার দাম সব সময় কম।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে আসলেই বড় দানার চা পাতা ভালো নাকি ছোট দানার চা পাতা ভালো ? এর উত্তর হলো যে চা পাতার দানাগুলো সব এক মাপের সেগুলো ভালো চা পাতা ।
চা পাতার সাইজ
চা পাতা অনেক ধরনের রয়েছে মোটা থেকে পাতলা পাউডারের মত হয়ে থাকে। এর গুরুত্ব নির্ভর করে এটি কোন গ্রেডের চা পাতা সেটির উপর। পাশাপাশি নির্ভর করে চা পাতা কোন অঞ্চলে উৎপন্ন হয়েছে তার উপরও।
আপনাদের চেনার সুবিধার্থে চা পাতার কিছু গ্রেডের নাম নিচে দেওয়া হল:
- বিওপি
- জিবিওপি
- ওএফ
- পিএফ
- আরডি
- ডাস্ট
- সিডি/ডাস্ট
চা পাতার মান
যারা নতুন চা পাতার ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন । তাদের জন্য প্রথমে ভালো মানের চা পাতা পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে বেশি দামে নিম্নমানের চা পাতা সাপ্লাই দিয়ে থাকে ।
ফলে যারা অনলাইন থেকে চা পাতা ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করতে চাই তারা লসের সম্মুখীন হয়।
তাই যারা প্রথমবারের মতো চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই যাদের নিকট থেকে চা পাতা ক্রয় করবেন তার সবকিছু দেখেশুনে যাচাই-বাছাই করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গিয়ে ঘুরে আসবেন।
চা পাতার ব্যবসা করতে যা প্রয়োজন :
আমরা সকলে জানি যে চা পাতা সম্পন্ন বাংলাদেশ সরকারের নিকট নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। তাই আপনি যদি চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সরকারি নিয়ম নীতি অনুযায়ী চলতে হবে।
আপনি চা পাতার ব্যবসা করার চিন্তা-ভাবনা করলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ চা বোর্ড থেকে একটি লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। যে লাইসেন্সটির মাধ্যমে আপনি চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন,,,
চা পাতার ব্যবসা লাইসেন্স নিতে যা প্রয়োজন:
চা পাতার ব্যবসার লাইসেন্স পেতে গেলে বাংলাদেশ চা বোর্ডে আপনাকে অনেক মূল্যবান কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে এবং সেগুলো নিম্নরূপ :
১/ব্যাবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স
২/ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি
৩/ পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪/ দোকানের ঠিকানা
৫/ গোডাউনের ঠিকানা
৬/ একটি মোবাইল নাম্বার
৭/ একটি ইমেইল এড্রেস
৮/ আপনার স্বাক্ষর সহ ২৫ শ টাকার একটি খাম
এই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো দিয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আপনাকে একটি ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
আরো পড়ুন,,,
বাংলাদেশ চা বোর্ড যদি আপনার সকল কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে পায় তাহলে বাংলাদেশ চা বোর্ড আপনাকে একটি লাইসেন্স প্রদান করবে যা প্রতিবছর রিনিউ করতে হবে।
চা পাতার হোলসেল ব্যবসা করতে আপনার যা প্রয়োজন তা নিম্নরূপ:
আপনি যদি চা পাতার হোলসেল ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে বাংলাদেশ চা বোর্ড থেকে সেগুলো হলো যেমন:
১/ বিডার লাইসেন্স
২/ ব্লেন্ডিং লাইসেন্স
৩/ ব্রোকার লাইসেন্স
৪/ আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স
৫/ বিএসটিআই লাইসেন্স এবং ট্রেডমার্ক নিতে হবে
বাংলাদেশ চা বোর্ড থেকে সর্বমোট ৬ টি লাইসেন্স প্রদান করে থাকে চা পাতা ব্যবসায়ীদের কাছে। এবং এই ব্যাপারে শুরুতে আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে পরবর্তীতে যাতে কোনো ধরনের ঝামেলা পোহাতে না হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড থেকে প্রথমে আপনি খুচরা ও পাইকারী লাইসেন্স নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নিকট থেকে চা পাতা ক্রয় করে বিক্রি করতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা প্রসার বৃদ্ধি হলে শপ লাইসেন্স নিয়ে নিজেই একটি চা কোম্পানি খুলতে পারবেন।
চা পাতার পাইকারি বাজার কোথায়?
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে চা পাতার পাইকারি বাজার রয়েছে। তবে বিশেষ করে চা পাতার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা এই তিন অঞ্চলে চা পাতার পাইকারি বড় বাজার লক্ষ্য করা যায়।
তাই আপনি যে অঞ্চলে চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে চান না কেন আপনাকে অবশ্যই চা পাতার পাইকারি বাজার কোথায় রয়েছে তা জানতে হবে ।
এবং চা পাতার পাইকারি বাজার কোথায় সে ঠিকানা জানতে হবে।
আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আপনাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম – সিলেট এই তিন অঞ্চলের চা পাতার পাইকারি ব্যবসার তালিকা ও ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি আপনাদের সুবিধার্থে ।
সিলেট চা পাতার পাইকারি বাজার এবং বেশকিছু ব্যবসায়ীদের ঠিকানা:
- দোকানের নাম : মেগা টি (Mega Tea) ;ঠিকানা :১১ আলী কমপ্লেস মহাজন পতি রোড ,সিলেট,৩১০০ মোবাইল নাম্বার :০১৭১৩৩৯২৪৬৪
- দোকানের নাম: সোহান টি কোম্পানি (Suhan Tea Company) ঠিকানা : করিমউদ্দিন মার্কেট ,বন্দর বাজার পয়েন্ট ,সিলেট ৩১০০ ,মোবাইল নাম্বার :০১৭৬০৮৭৭৯৫৩
- দোকানের নাম: এম/এস ফাতেমা ট্রেডাস (M/S Fatema Traders) ঠিকানা :৯ দরগা গেট.সিলেট ,মোবাইল নাম্বার :০১৭৩৯৫০০১০৪
- দোকানের নাম: মেসার্স হক টি এন্ড ট্রেডিং ,ঠিকানা : মহাজন পতি রোড, সিলেট ৩১০০ ,মোবাইল নাম্বার :০১৭১৫৫৪৩৩০৭
- দোকানের নাম: ন্যাশনাল টি কর্পোরেশন ( National Tea Corporation) ঠিকানা : ৬১ দরগা গেট ,সিলেট ৩১০০; মোবাইল নাম্বার : ০১৭১১৩৪৩৩৭০
(এই দোকান গুলোর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ।নাম্বার এবং ঠিকানা গুলো অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা )
ঢাকার চা পাতার পাইকারি বাজার এবং বেশকিছু ব্যবসায়ীদের ঠিকানা :
আপনি যদি ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি ঢাকা থেকে চা পাতা ক্রয় করতে চান । তাহলে আপনি ঢাকায় থেকেও চা পাতা ক্রয় করতে পারবেন।
এর কারণ ঢাকাই আপনি অনেক ধরনের টি হাউস পাবেন। ঢাকায় টি হাউসে আপনি খুব সহজেই ভালো মানের পাইকারি দামে চা পাতা ক্রয় করতে পারবেন।
চা পাতার পাইকারি বাজার ঢাকা:
- কামনা টি হাউজ (KAMONA TEA HOUSE):79/80,হাজী ওসমান গনি রোড, আলুবাজার ,ঢাকা ১০০০; মোবাইল:০১৭৭৮১৪২৬০০
- রংধনু টি ব্রান্ড (Rongdhanu Tea Brand): 34/36 নন্দলাল দত্ত লেন ,ঢাকা ;মোবাইল:০১৩২০৪২০১৮৯
- এম এস মোস্তাকিম এন্টারপ্রাইজ (M/S Mustakim Enterprise): 77/3,মোস্তাকিম মেনশন ,মৌলভীবাজার ,ঢাকা ১১০০/ মোবাইল:০১৭১১৬১৯৮৯৮
- চা ঘর (CHA Ghor):হাউজ ৬,ফ্ল্যাট ৭,কল্যাণপুর হাউজিং স্টেট,ঢাকা ১২০৭;মোবাইল :০১৬৭৩৩৭৫৫৯৪
- ইস্পাহানি অল সেলস সেন্টার ইন ঢাকা (Ispahani all sales center in Dhaka);
শপ নাম্বার ১-২,৭৯, সৌদিয়া সুপার মার্কেট কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ ,ফার্মগেট ঢাকা ১২১৫;মোবাইল :০১৯৩৭৯০০১১৩
(এই দোকান গুলোর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ।নাম্বার এবং ঠিকানা গুলো অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা )
চা পাতার পাইকারি বাজার চট্টগ্রাম:
আপনি যদি চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে থাকেন। এবং চট্টগ্রামে বসে যদি আপনি চা পাতার ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি চাইলে সেখান থেকে পাইকারি দামে চা পাতা ক্রয় করতে পারবেন।
আপনি প্রায় সব ধরনের চা পাতা চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারগুলোতে পেয়ে যাবেন।
চট্টগ্রামের চা পাতার পাইকারি বাজার এবং বেশকিছু ব্যবসায়ীদের ঠিকানা :
- এ .রাশেদ টি হাউজ ( A. Rashed Tea House) 475 নাম্বার কর্ণফুলী মার্কেট চৌমুহনী ,শেখ মুজিব রোড ,চট্টগ্রাম ৪১০০ ; মোবাইল :০১৬৭০৩৪৩৮৫৮
- নিউ বাংলাদেশ টি হাউজ (New Bangladesh Tea House);203,খাতুনগন্জ রোড,চট্টগ্রাম ;মোবাইল: ০১৮৬৭৫১৯৩৮৫
- কাজী টি এন্ড ট্রেডিং (Kazi Tea and Trading) 268/1, গ্রাউন্ড ফ্লোর, তাসিন সেন্টার ,খাতুনগন্জ রোড ,কোতোয়ালি ,চট্টগ্রাম ৪১০০।মোবাইল :০১৮৭৮৯০১০৪৫
- সাথী টি হাউজ (shathi tea house); কমার্স কলেজ গেট ,চট্টগ্রাম ৪২১৭;মোবাইল :০১৯০৫৭৮৬৪৫০
- ক্লোন টি হাউজ (clone tea house);324, গ্রাউন্ড ফ্লোর কর্ণফুলী মার্কেট ,শেখ মুজিব রোড.চৌমুহনী ,চট্টগ্রাম ৪১০০ ;মোবাইল :০১৭১২৬২৪০৪৯
( এই দোকান গুলোর সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। নাম্বার ও ঠিকানা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা)
চা পাতার খুচরা দাম ২০২২
বাংলাদেশের বর্তমান বাজারে সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যদ্রব্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুধ, চিনি, চা পাতা, তেল, চাউল, ডাল ইত্যাদি সব পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এই বছর ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন এক কেজি ভালো মানের চা পাতার ক্রয় করতে গেলে আপনাকে গুনতে হবে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
এক কেজি চা পাতার খুচরা দাম বর্তমানে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং গুণগত মান ভেদে আরো বেশি হতে পারে।
চা পাতার পাইকারি দাম ২০২২
বিভিন্ন ধরনের চা পাতা রয়েছে এবং চা পাতার গুনগতমান ভেদে বিভিন্ন রকমের পাইকারি দাম ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করে থাকে।
যেমন : এক কেজি ভালো মানের চা পাতার পাইকারি দামে ক্রয় করতে হলে আপনাকে গুনতে হবে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এবং গুণগত মান বেদে ৫/১০ টাকা বাড়তে পারে কেজিপ্রতি।
তাই বলা যায় ১ কেজি পাইকারি চা পাতার দাম হতে পারে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত।
চা পাতার সাইজ গ্রেড ভেদে দাম কম বেশি হতে পারে।
পাইকারি দামে যদি চা পাতা ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে ৫০কেজি চা পাতা কিনতে হবে ।
চা পাতার পাইকারি দাম ২০২২
চা পাতার নাম | চা পাতার সাইজ | পাইকারি মূল্য ( প্রতি কেজি ) |
---|---|---|
স্বর্ণলী | পিএফ ক্যাটাগরি | ২৮০ টাকা কেজি |
পাতা কুড়িঁ | পিএফ ক্যাটাগরি | ২৭০ টাকা কেজি |
নতুন কুড়িঁ | পিএফ ক্যাটাগারি | ২৯০ টাকা কেজি |
ধান সিড়ি | ডাস্ট ক্যাটাগরি | ৩১০ টাকা কেজি |
সকাল সন্ধ্যা | যে কোন ক্যাটাগরি | ২২০ টাকা কেজি |
দাম পরিবর্তনশীল তাই যেকোনো সময় চা পাতার দাম আমাদের দেওয়া দামের চেয়ে বেশি – কম হতে পারে ।
এছাড়াও চা পাতার ব্যবসা করার জন্য আপনি চা পাতার ডিলারশীপ নিতে পারেন । ডিলারশীপ নিলে সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার এরিয়াতে একাই ব্যবসা করে যেতে পারবেন । সে এরিয়াতে সে নিদিষ্ট কোম্পানির চা পাতা অন্যকেউ বিক্রি করতে পারবে নাহ ।
এছড়াও ডিলারশীপ নিলে অল্প টাকাতেই অনেক প্রোডাক্ট পাওয়া যায় বা বাকিতে মাল নেওয়া যায় যা পরবর্তীতে মাল বিক্রি করে পরিশোধ করার সুযোগ থাকে ।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় বেশকিছু চা কোম্পানি
আমাদের বাংলাদেশ বেশ কিছু জনপ্রিয় চা কোম্পানি রয়েছে। এবং সেই চা কোম্পানিগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ চা পাতা বাজারজাত করে আসছে আমাদের দেশে। আর্টিকেলের এই অংশে আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু চা কোম্পানি নিয়ে আলোচনা করব।
১/ ইস্পাহানি চা কোম্পানি
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চা কোম্পানি হলো ইস্পাহানি চা কোম্পানি। ইস্পাহানি চা কোম্পানি অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশে তাদের সুনামের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে । এবং বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলাতে স্পাহানি চা পাতা ভালোই চলে।
ইস্পাহানি চা পাতার অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। যে কেউ চাইলেই ইস্পাহানি চা কোম্পানি সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কমিশন এজেন্ট অথবা ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা করতে পারে।
আরো পড়ুন,,
২/ সিলন চা কোম্পানি
বাংলাদেশে আরও একটি জনপ্রিয় চা কোম্পানি হলো সিলন চা কোম্পানি। সিলন চা কোম্পানি আবুল খায়ের গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
আবুল খায়ের গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি অনেকদিন যাবত সিলন চা বাজারজাত করে আসছে । বাংলাদেশে সিলন চা পাতা বলতে গেলে সব জায়গাতেই সমান তালে চাহিদা রয়েছে।
তাই যে কেউ সিলন চা পাতার ডিলারশিপ অথবা কমিশন এজেন্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সিলন চা পাতার জনপ্রিয়তা অনেকদিন যাবত রয়েছে।
৩/ নাম্বার ওয়ান চা কোম্পানি
মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হল নাম্বার ওয়ান চা কোম্পানি। বর্তমানে নাম্বার ওয়ান চা পাতার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ।
নাম্বার ওয়ান চা পাতা সুনামের সাথে অনেকদিন যাবত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে চা পাতা বাজারজাত করে আসছে।
আরো পড়ুন,,
যে কেউ চাইলে নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় ডিলারশিপ অথবা কমিশন এজেন্ট হিসেবে নাম্বার ওয়ান চা পাতা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
৪/ তাজা চা কোম্পানি
তাজা চা কোম্পানি এটি হলো ইউনিলিভার গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এরা দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে তাজা চা পাতা বাজারজাত করে আসছে।
বাংলাদেশের সকল চা পাতা কোম্পানি থেকে তাজা চা কোম্পানি চা পাতা সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে। কারণ তাদের চা পাতার গুণগত মান অনেক ভালো।
যে কেউ চাইলে তাজা চা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কমিশন এজেন্ট অথবা ডিলারশিপ নিয়ে চা পাতার লাভজনক ব্যবসা কি শুরু করে দিতে পারেন।
৫/ ফিনলে চা কোম্পানি
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রাচীন একটি চা কোম্পানি হলো ফিনলে চা কোম্পানি। ফিনলে চা কোম্পানি বহু বছর যাবৎ বাংলাদেশে চা পাতা বাজারজাত করে আসছে সুনামের সাথে। তাদের চা পাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে ।
যে কেউ চাইলে ফিনলে চা কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কমিশন এজেন্ট অথবা ডিলারশিপ নিয়ে লাভজনক চা পাতার ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন যে কোন জেলাতে।
কারণ প্রতিটি জেলাতে ফিনলে চা পাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।
ইস্পাহানি চা পাতার ডিলার
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চা পাতার ব্রান্ড হলো ইস্পাহানি চা পাতা। কেউ যদি ইস্পাহানি চা পাতার ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে তাকে সর্বপ্রথম ইস্পাহানি কোম্পানির হেড অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
এবং পরবর্তীতে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে চুক্তির ভিত্তিতে ইস্পাহানি চা পাতার ডিলারশিপ নিতে পারবে।
তবে ইস্পাহানি চা পাতার ডিলার নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
আপনি যে জেলাতে অথবা এরিয়াতে ডিলারশিপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন সে এরিয়াতে একই কোম্পানির পূর্বের কোন ডিলার রয়েছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে।
কেননা এক জায়গায় দুইজন ডিলার ব্যবসা করতে পারবে না।
তাজা চা পাতার পাইকারি দাম ২০২২
বাংলাদেশের সকল চা কোম্পানি থেকে তাজা চা কোম্পানির চা পাতা গুলো সব চাইতে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে। যেহেতু খুচরা বিক্রি করতে হয় দাম দিয়ে, সেহেতু পাইকারি ক্রয় করতে গেলেও বেশি দামে ক্রয় করতে হয় অন্যান্য চা পাতার তুলনায় ।
বর্তমানে ১০০ গ্রাম তাজা চা পাতার প্যাকেট খুচরা বিক্রয় করা হয় প্রায় ৭০ টাকায় । এবং এই ১০০ গ্রাম তাজা চা পাতার প্যাকেট পাইকারি ক্রয় করতে আপনাকে গুনতে হবে কমপক্ষে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা।
ঠিক এক কেজি তাজা চা পাতার প্যাকেট পাইকারি ক্রয় করতে হবে প্রায় ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা মধ্যে।
পরিশেষে
বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম চা পাতার ব্যবসা সম্পর্কে। কিভাবে আপনি চা পাতার ব্যবসা শুরু করবেন? চা পাতার পাইকারি মূল্য কত? চা পাতার খুচরা দাম কত ?
বাংলাদেশের স্বনামধন্য কিছু চা কোম্পানি? ইস্পাহানি চা কোম্পানির ডিলার? তাজা চা পাতার পাইকারি দাম?
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পাইকারি বাজার কোথায় রয়েছে ।
এবং কিছু ব্যবসায়ীদের ঠিকানাসহ বিস্তারিত এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করা যায় আমাদের আজকের চা পাতার ব্যবসা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে আপনি উপকৃত হবেন।
এবং আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং নতুন নতুন ব্যবসা ও চাকরি সংক্রান্ত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে নজরে রাখুন ধন্যবাদ।
প্রশ্ন – উত্তর পর্ব
চা পাতার ডিলার হতে চাই
যে চা পাতা কোম্পানীর ডিলার নিতে চান তাদের কোনো এজেন্ট ইতিমধ্যে আপনার এলাকায় রয়েছে কিনা যাচাই করে দেখুন কারণ একের অধিক ডিলার কোম্পানী একই স্থানে প্রোভাইড করে নাহ । এবং ডিলারশীপ নিতে হলে ডিলারশীপ চুক্তি করতে হয় কোম্পানীর সাথে ।
কত কেজি চা পাতা ক্রয় করলে পাইকারি মূল্য ধরা হয় ?
সর্বনিম্ন ৫০ কেজি চা পাতা ক্রয় করলে পাইকারি মূল্য ধরা হয় ।
আরো পড়ুন …