আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
বর্তমানে শহরের মানুষের মতো গ্রামের মানুষেরও রুচির পরিবর্তন হয়েছে। যেমন শহরের লোকজন এর মত গ্রামের মানুষগুলো ব্যবসা করতে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।
আগের দিনের মতো এখন কৃষিকাজ করতে চায়না গ্রামের অনেক মানুষ। তাই তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা বেশ কয়েকটি গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করব। যে ব্যবসাগুলো করে গ্রামের মধ্যে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন যেকেউ।
বন্ধুরা যারা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক হবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারবেন গ্রামের ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও ধারণা।
আমাদের আজকের গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পরলে আশা করা যায় আপনি সুন্দর একটি আইডিয়া পাবেন গ্রামের ব্যবসা সম্পর্কে।
তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেয়া যাক বর্তমান সময়ের লাভজনক কিছু গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত –
আপনি কেন গ্রামে ব্যবসা করবেন?
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে একটি চাকরির আশায় ঘোরাফেরা করছেন অথবা অনেকেই রয়েছেন বেকার অবস্থায়। তাই তাদের জন্য দারুণ একটি উপায় হবে অর্থ উপার্জন করার জন্য গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া।
বর্তমানে গ্রামে অনেক লোক ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত অনেক শিক্ষিত যুবক শহর থেকে পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে। কেননা একটি চাকরি পেতে অনেক কষ্ট করতে হয় এবং চাকরির বাজার দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যার ফলে শহরের শিক্ষিত যুবকরা নিজ গ্রামে এসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনায় মনোযোগ দিচ্ছে । এবং দিনশেষে তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
তাই মনে করি বেকার অবস্থায় ঘুরাফেরা না করে গ্রামের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ও স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন যে কেউ ।
সেরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে গ্রামে ব্যবসা করার অনেক আইডিয়া রয়েছে। এবং অনেকেই অনেক ধরনের ব্যবসা করে গ্রামের মধ্যে স্বাবলম্বী ও কোটিপতি হয়েছেন এই ধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
এখন আপনি যদি গ্রামের মধ্যে কিছু সেরা ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বেশ কিছু নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন।
যে আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি গ্রামের মধ্যে দারুন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন।
তাহলে চলুন বর্তমান সময়ে ২০২২ সালের গ্রামের লাভজনক দশটি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:
১০টি গ্রামে লাভজনক ব্যবসা ২০২২
এখানে ১০টি সফল গ্রামে লাভজন ব্যবসাকে তালিকাভুক্ত করা হলো যেসব ব্যবসা ইতিমধ্যে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হিসাবে পরিচিত ।
১/ গ্রামে কাঁচামালের ব্যবসা
আমরা প্রায় সময় শহরের হাট-বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি ইত্যাদি দেখতে পাই। এই ধরনের শাকসবজিগুলোর বড় যোগান কিন্তু আসে গ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত-খামার থেকে ।
শহরের শাক-সবজির ব্যবসায়ীরা গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ক্রয় করে সেগুলো শহরে নিয়ে গিয়ে ভালো দামে বিক্রি করে।
শহরে কাঁচামাল – শাকসবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এখন আপনি চাইলে গ্রামের বিভিন্ন কৃষক থেকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ক্রয় করে সেগুলো শহরে বাজারজাত করতে পারবেন।
গ্রামের লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে আমি মনে করি সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো কাঁচামালের ব্যবসা। এই কাঁচামালের ব্যবসা করে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন ।
কেননা শহরের কোথাও তেমন কাঁচামাল তথা শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা বিভিন্ন কল – কারখানা এবং বড় বড় দালান কোঠা কারণে।
তাই বেশিরভাগ শাকসবজি উৎপাদন করা হয় গ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত খামারে। এখন আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে সেগুলো শহরে ভালো মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।
এই ব্যবসা আপনি স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেও শুরু করতে পারবেন। গ্রামে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে কাঁচামালের ব্যবসাটি করে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন প্রতিমাসে।
তাই গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে কাঁচামালের ব্যবসাটি আপনার জন্য দারুন ও অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হবে।
২/গ্রামে ফার্মেসির ব্যবসা
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত হয়েছে ফার্মেসি ব্যবসা। কারণ গ্রামে ফার্মেসি ব্যবসার অনেক চাহিদা লক্ষ করা যায়। শহরের মত যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ও উপযুক্ত স্থানের কারণে গ্রামে তেমন ফার্মেসি ব্যবসা লক্ষ করা যায় না।
এবং গ্রামের মানুষদের অনেক দূর দূরান্ত দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ ও চিকিৎসা নিতে হয়। তাছাড়া গ্রামে খুব কম ফার্মেসি রয়েছে সেজন্য গ্রামের মানুষদের অনেক কষ্ট করতে হয় যদি তাদের কোন অসুখ হয়।
এখন আপনি হয়তো ভাবছেন যে কিভাবে ফার্মেসির ব্যবসা শুরু করবেন? বা আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি তো সায়েন্সের স্টুডেন্ট নয়? তাহলে কিভাবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করব?
চিন্তার কোন কারণ নেই বাংলাদেশ এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান।
আপনি সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৩ থেকে ৬ মাসের একটি ফার্মেসি কোর্স নিয়ে আপনার গ্রামের মধ্যে শুরু করে দিতে পারেন বর্তমান সময়ের সেরা লাভজনক ব্যবসা ফার্মেসি ব্যবসাটি।
গ্রামে ফার্মেসির ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে যে কাগজপত্রগুলো সেসব নিম্নরূপ:
- মেডিকেল সার্টিফিকেট ।
- ওষুধ লাইসেন্স ।
- ট্রেড লাইসেন্স ।
- ব্যবসার জন্য একটি দোকান ।
- মূলধন ।
উপরোক্ত এই কাগজপত্রগুলো যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
গ্রামে ফার্মেসি ব্যবসা করলে যেমন আপনি লাভবান হবেন তেমন গ্রামের লোকজনগুলোও লাভবান হবে। কেননা ফার্মেসির দোকান খুঁজতে গ্রামের লোকদের আর দূর-দূরান্তে ছুটে যেতে হবে না।
ফার্মেসির ব্যবসা শুরু করার সময় একটি বিষয় গুরুত্বসহকারে মাথায় রাখতে হবে যে যে সকল স্থানে মানুষের আনাগোনা রয়েছে এবং লোকসমাগম আছে ও মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা রয়েছে সেসব স্থানে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার চিন্তা করতে হবে।
যার ফলে আপনি ভালো বিক্রি করতে পারবেন এবং যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন ফার্মেসি ব্যবসা থেকে।
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে আমি মনে করি সবচেয়ে সেরা একটি আইডিয়া হবে ফার্মেসির ব্যবসা। ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ফার্মেসি ব্যবসা আর্টিকেলটি পড়ুন ।
৩/ রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
বর্তমান সময়ে দেখা যায় ব্যাপক হারে শহরের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বেড়ে উঠেছে ফাস্টফুড খাবারের চাহিদা । সেই সাথে দেখা যায় গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারের যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।
বর্তমানে গ্রামের মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়েছে তাই দেখা যায় গ্রামের মানুষের রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বেড়ে উঠছে।
তাই আপনি যদি গ্রামে ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ এবং দারুন একটি ব্যবসা। কেননা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে বর্তমানে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন এই ধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মধ্যে ভালো মুনাফা করা সম্ভব এবং খুব সহজে বিনিয়োগকৃত মূলধন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়ে ওঠে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে।
যাদের হাতে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা রয়েছে এবং যারা গ্রামে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্য আদর্শ এবং অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।
আপনি গ্রামে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারেন অত্যন্ত লাভজনক রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি।
রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার রেস্টুরেন্টের একটি ইউনিক নাম, রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন, এবং জনবল নিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারেন গ্রামের লাভজনক এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।
প্রতিটি ব্যবসার মতো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ও জনবহুল এলাকায় এবং যেসব স্থানে মানুষের আনাগোনা বেশি সেসব স্থানে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এবং যেসব স্থানে পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সেসব স্থানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিতে পারলে আপনার জন্য অনেক বেশি ভালো হবে।
কারন সেসব জায়গায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ও বিভিন্ন জায়গা থেকে নিত্যনতুন মানুষ আসে তাই আপনার ব্যবসা অনেক ভালো বিক্রি হবে । আপনি প্রতিমাসে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন।
৪/ স্টক ব্যবসা ২০২২
বর্তমান সময়ের আরও একটি লাভজনক ব্যবসা হলো স্টক ব্যবসা । স্টক ব্যবসা করে অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন খুব সহজে। গ্রামে আপনি এই লাভজনক ব্যবসাটি খুব সহজে শুরু করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে সব পণ্য-দ্রব্যের মূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চলতি বছর চালডাল-তেল- চিনি- আটা – ময়দা ইত্যাদি বলতে গেলে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম খুব অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলছে।
আপনি চাইলে গ্রামে বিভিন্ন পণ্য দ্রব্য স্টক করে ব্যবসা করতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে সেই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলে তখন তা বাজারে বিক্রি করে দিবেন।
আপনি চাইলে গ্রামে যেকোন একটি নির্দিষ্ট পণ্য দিয়ে স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি হয়তো ভাবছেন যে গ্রামে স্টক ব্যবসা করতে গেলে কত টাকার প্রয়োজন বা মূলধন প্রয়োজন হবে?
আপনি সর্বনিম্ন ৫০০০০ টাকা দিয়ে স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন গ্রামে। গ্রামে সিজনের সময় কৃষকদের নিকট থেকে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্যদ্রব্য যেমন: ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, সুপারি, নারিকেল ইত্যাদি পণ্যদ্রব্যগুলো সস্তায় ক্রয় করতে পারেন ।
এবং পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করে ভালো লাভবান হতে পারবেন।
কেননা সিজনের সময় যেকোনো পণ্য খুব সস্তায় ক্রয় করতে পারবেন কৃষকদের কাছ থেকে ।
এবং তা পরবর্তীতে হাটবাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা বা পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি গ্রামে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে স্টক ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন এবং স্টক ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে এই ক্ষেত্রে একটি সতর্কবার্তা হল যে পণ্যদ্রব্যগুলো খুব সহজে পচে যায় বা পচনশীল পণ্যদ্রব্য হওয়ার কারণে বেশিদিন স্টক করা যায় না । সে ক্ষেত্রে এই ধরনের পচনশীল পণ্য স্টক না করাই ভালো।
আর যেকোনো পণ্য দ্রব্য ক্রয় করার সময় অবশ্যই কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি ক্রয় করবেন। কেননা বাজারে অনেক প্রতারক রয়েছে যারা সিন্ডিকেট করে দাম অতিরিক্ত বাড়িয়ে ফেলে ।
৫/ মোবাইল সার্ভিসিং বিজনেস
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ডিজিটাল যুগে ছোট-বড় ও বয়স্ক সবার হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। যত বেশি মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়ছে ততবেশি মোবাইল সার্ভিসিং এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যাচ্ছে।
আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটির কোন সমস্যা হলেই আমরা ছুটে যাই মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে।
বর্তমান সময়ে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ব্যবসাটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসার মধ্যে রূপান্তরিত হয়েছে ।
এখন আপনি যদি গ্রামে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য দারুণ এবং আদর্শ একটি ব্যবসা হবে মোবাইল সার্ভিসিং বিজনেস।
মোবাইল সার্ভিসিং এর বিজনেস সম্পর্কে আপনার যদি পূর্বের কোন ধারনা না থাকে তাহলে আপনি ৩ থেকে ৬ মাসের একটি মোবাইল সার্ভিসিং কোর্স শিখে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন আপনার গ্রামে।
মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসার পাশাপাশি আপনি মোবাইলের যাবতীয় এক্সেসরিজ যেমন : ব্যাটারি, কভার, কেবল, ইয়ারফোন, চার্জার, প্রটেকশন গ্লাস, ইত্যাদি মোবাইলের যাবতীয় এক্সোসরিজগুলো বিক্রি করে আপনি আরো বাড়তি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হবে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা যার বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় রয়েছে।
৬/ গ্রামে হাঁস মুরগি পালন
গ্রামের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত এবং আদর্শ একটি ব্যবসা হল হাঁস মুরগি খামারের ব্যবসাটি ।এর মূল কারণ হলো গ্রামে পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রয়েছে হাঁস মুরগি পালনের জন্য।
আমরা প্রায় সময় দেখি গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে হাঁস – মুরগি পালন করে এবং এটি তারা মূলত তাদের চাহিদার জন্য পালন করে থাকে।
তবে এই হাঁস-মুরগি পালন কাজটিকে ব্যবসায়িক ভাবে চিন্তা করলে গ্রামে এই ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় দেখতে পায় শহরের শিক্ষিত যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে গ্রামে এসে হাঁস-মুরগী পালন করে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই ধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যারা গ্রামে হাঁস-মুরগী পালন করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে এবং নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণ করছে।
এখন আপনি যদি গ্রামে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতে থাকেন তাহলে আমি আপনাকে প্রথমেই বলব হাঁস-মুরগি পালন এই ব্যবসাটি বর্তমানে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে।
শহরে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশি হাঁস মুরগির। আপনি গ্রামে হাঁস – মুরগি পালন করে তা পরবর্তীতে শহরে অথবা আপনার গ্রামের হাট – বাজারে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে হাঁস-মুরগী পালন এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন গ্রামে। তাই বেকার অবস্থায় ঘুরাফেরা না করে হাঁস-মুরগী পালন এই ব্যবসাটি শুরু করে দিন আপনার গ্রামে।
৭/ টি-শার্ট প্রিন্টিং বিজনেস
বর্তমান সময়ে শহরের মানুষের মতো গ্রামের মানুষদের রুচি পরিবর্তন হয়েছে। একসময় দেখা যেত মার্কেটে গিয়ে যেকোনো ধরনের একটি টি-শার্ট ক্রয় করে পরিধান করতো।
কিন্তু এখন আর সেরকম একটা দেখা যায় না। শহরের মত তাল মিলিয়ে গ্রামের লোকজনও বিভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্ট পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তাই গ্রামেও লক্ষ্য করা যায় টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা। আপনি যদি গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা হবে টি শার্ট প্রিন্টিং বিজনেস।
টি শার্ট প্রিন্টিং বিজনেস করে আমাদের বাংলাদেশের অনেক তরুণ-তরুণী স্বাবলম্বী হয়েছেন। আপনিও চাইলে গ্রামে অল্প মূলধন বিনিয়োগ করে টি-শার্ট প্রিন্টিং বিজনেস শুরু করে দিতে পারেন।
আরো পড়ুন,,
শহরের বিভিন্ন মার্কেট থেকে পাইকারি দরে এক রঙের যেমন: কালো কালার, সাদা কালার, রঙিন কালার, সবুজ কালার ইত্যাদি এক কালারের টি-শার্ট ক্রয় করে এনে সেখানে বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন ডিজাইন ও লিখা দিয়ে সেগুলোকে ভালদামে বিক্রি করতে পারবেন।
দেখা যায় আজকাল ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন উক্তি, বিভিন্ন সফল ব্যক্তিদের ছবি, ও বিভিন্ন মোটিভেশনাল লেখা প্রিন্ট করে টি শার্ট পড়তে আগ্রহী ।
এখন আপনি এই লাভজনক টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসাটি গ্রামের মধ্যে শুরু করে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।
টি শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা করতে অবশ্যই একটি টি শার্ট প্রিন্টিং মেশিন প্রয়োজন হবে । বাজারে বিভিন্ন রকেমর প্রিন্টিং মেশিন পাওয়া যায় ।
৮/ কোচিং সেন্টার
আপনি যদি গ্রাজুয়েশন শেষ করে চাকরির জন্য ঘোরাফেরা করছেন অথবা বেকার অবস্থায় রয়েছেন এমন হয় তাহলে আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা হবে কোচিং সেন্টার ব্যবসা ।
কেননা একজন পার্সোনাল প্রাইভেট টিউটর রাখতে গেলে অভিবাবকদের মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় প্রতিমাসে।
অন্যদিকে একজন স্টুডেন্ট প্রতিমাসে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করে অনায়াসে কোচিংয়ে পড়াশোনা করতে পারে।
এখন আপনি যদি গণিত, ইংলিশ, বিজ্ঞান ইত্যাদি এই সাবজেক্টগুলোতে ভালো পারদর্শী হন তাহলে আপনার জুনিয়র ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোচিং করিয়ে প্রতিমাসে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
একটি কোচিং সেন্টার স্থাপন করতে আপনার তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন হবে না । আপনি স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করেই একটি কোচিং সেন্টার স্থাপন করতে পারবেন।
১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি সুন্দর একটি কোচিং সেন্টার স্থাপন করতে পারবেন । এবং সেই কোচিং সেন্টারে নিয়মিত স্টুডেন্ট পড়াতে পারবেন।
যেমন সকালে কিছু সংখ্যক স্টুডেন্টকে পড়ালেন, বিকালে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে কিছুসংখ্যক স্টুডেন্টকে পড়ালেন, ও সন্ধ্যায় কিছুসংখ্যক স্টুডেন্টকে পড়াতে পারবেন।
এইক্ষেত্রে দেখা যায় দৈনিক তিনটি ব্যাচের মাধ্যমে অনেক স্টুডেন্ট পড়াতে পারবেন। যত বেশি স্টুডেন্ট পড়াতে পারবেন তত বেশি আপনার আয় হবে।
৯/ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার
বর্তমানে কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ শিখতে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। ছোট থেকে বড় সবাই কম্পিউটার শিখতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিখছে।
এখন আপনার যদি কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকে বা দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি আপনার গ্রামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন প্রতিমাসে।
যেমন : কম্পিউটারের অফিস ম্যানেজমেন্ট কাজ, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, ইত্যাদি অনেক ধরনের কাজ রয়েছে।
আর এই ধরনের কাজ গুলো শেখার প্রতি বর্তমানের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বড়রাও পর্যন্ত অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছে।
আপনি আপনার গ্রামের মধ্যে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনার গ্রামের হাট-বাজারের অথবা যেসব স্থানে মানুষের আনাগোনা বেশি রয়েছে এসব স্থানে ছোট্ট একটি রুম নিয়ে চার থেকে পাঁচটি কম্পিউটার বসিয়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণগুলো করিয়ে মাস শেষে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করতে আপনার তেমন বেশি মূলধনের প্রয়োজন হবে না। সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই লাভজনক ব্যবসাটি গ্রামের মধ্যে গড়ে তুলতে পারবেন।
১০/ দুধের সাপ্লাই ব্যবসা
বর্তমান সময়ে আরও একটি লাভজনক গ্রামের ব্যবসা হল দুধের সাপ্লাই ব্যবসা। আপনি যদি গ্রামের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত একটি লাভজনক ব্যবসা হবে দুধের সাপ্লাই ব্যবসা।
এবং এই ব্যবসাটি যদি আপনি শহরে করতে পারেন তাহলে তো আর কথাই নেই। কেননা শহরে দুধের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়।
কারণ গ্রাম গঞ্জের মত শহরে তেমন কোনো গাভী গরু পালার সুযোগ-সুবিধা নেই । সেজন্য দেখা যায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে অনেক মানুষ শহরে দুধ বিক্রি করতে যাই।
আমরা জানি গ্রামগঞ্জে অনেক বেশি গরু – ছাগল ও গবাদি পশু লালন পালন করা হয়। এবং গ্রামে গাভী গরু পালন করার চাহিদা দিনদিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন আপনি চাইলে গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে কম খরচে পাইকারি দামে দুধ ক্রয় করে সেগুলো শহরে বাজারজাত করতে পারেন।
দেখা যায় আপনি গ্রাম থেকে এক কেজি গরুর দুধ কিনতে করতে পারবেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে এবং সে এক কেজি দুধ শহরে বিক্রি করতে পারবেন কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দিয়ে।
অর্থাৎ আপনি দ্বিগুণ লাভ করতে পারবেন দুধের সাপ্লাই ব্যবসা করে। তাই আপনি যদি গ্রামে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন । তাহলে আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা হবে দুধের সাপ্লাই ব্যবসা ।
গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি দরে দুধ ক্রয় করে সেগুলো শহরে বাজারজাত করা।
আপনি স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে এই দুধের সাপ্লাই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । বর্তমান সময়ের অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিণত হয়েছে দুধের ব্যবসা। সাপ্লাই ব্যবসা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের সাপ্লাই ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।
১১/ গ্রামে অনলাইন ব্যবসা ২০২২
গ্রামে অনলাইন ব্যবসা শুনে অনেকে হয়তো একটু অবাক হয়েছেন কিন্তু সত্যি হচ্ছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের গ্রামগুলোও উন্নত হচ্ছে এবং অনলাইনের ছোয়াঁ গ্রামেও লেগেছে ।
তাই আপনিও চাইলে গ্রামে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন ।
তবে গ্রামে বসে অনলাইন ব্যবসা করার পূর্বে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার গ্রামে ইন্টারনেট কানেকশন এসেছে কিনা । আপনি যেহুতু আমার আর্টিকেলটি পড়ছেন তাই আমি ধরেই নিতে পারি আপনার গ্রামে ইন্টারনেট রয়েছে ।
কয়েকটি লাভজনক গ্রামে অনলাইন ব্যবসা ২০২২
- ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্লগিং ব্যবসায়
- ইউটিউব চ্যানেল খুলে ব্যবসা
- ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসা
- কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস ব্যবসা
- ওয়েবসাইট তৈরী এবং ওয়েবসাইট বিক্রির ব্যবসা
- অনলাইনে টিকিট বুকিং করার ব্যবসা
- গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবসা
- এসইও বিজনেস
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা
- ভিডিও এডিটিং সার্ভিস অথবা ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা
গ্রামে ক্ষুদ্র ব্যবসা ২০২২
বর্তমান সময়ে গ্রামে ব্যবসা করার অনেক দারুন দারুন এবং লাভজনক আইডিয়া রয়েছে। এবং বর্তমান সময়ে দেখা যায় গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
উপরোক্ত যে দশটি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছি আপনি চাইলে গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসা হিসেবে এই ব্যবসাগুলো থেকে যে কোন একটি ব্যবসা বেছে নিয়ে গ্রামে শুরু করে দিতে পারেন ।
শহরে ব্যবসার আইডিয়া ২০২২
শহরে ব্যবসা করার অনেক আইডিয়া রয়েছে। আপনি চাইলে বেশি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন অথবা স্বল্প মূলধন বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে।
বিশেষ করে আপনি যদি গ্রাম থেকে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ক্রয় করে শহরে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
অথবা গ্রাম থেকে যেকোনো ধরনের পশু পাখি বা গবাদি পশু ক্রয় করে যেমন: হাঁস, মুরগি ,কবুতর ইত্যাদি এগুলো শহরে বিক্রি করতে পারলে আপনি দ্বিগুণ মুনাফা করতে পারবেন।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া ২০২২
বর্তমান সময়ে অনেকগুলো ছোট ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে আপনাদের বর্তমান সময়ের সেরা দশটি গ্রামের লাভজনক ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেছি। মূলত এই ব্যবসাগুলো ছোট ব্যবসার অধীনে রয়েছে।
এখন আপনি চাইলে এই দশটি ব্যবসার আইডিয়া থেকে যে কোন একটি আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে শুরু করে দিতে পারেন গ্রামের ছোট ব্যবসা ।
হালাল ব্যবসার আইডিয়া ২০২২
ব্যবসা একটি পবিত্র পেশা। তাই দয়া করে ব্যবসার মধ্যে দুই নম্বর কোন পণ্য সামগ্রী অথবা মানুষজনের ক্ষতি হয় এই ধরনের পণ্য যাতে বিক্রয় করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এবং পাশাপাশি বাজারের সাথে মিল রেখে পণ্য দ্রব্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। অযথা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বন্ধুরা আমরা উপরে যে ব্যবসাগুলো আলোচনা করছি সেই ব্যবসাগুলো নিশ্চিত যে হালাল ব্যবসা হিসেবে রয়েছে। এখন আপনি চাইলে একটি হালাল ব্যবসা কেও হারামে রূপান্তরিত করতে পারেন সেটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে।
মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া ২০২২
বর্তমান সময়ে দেখা যায় পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও ব্যবসা করতে বেশ আগ্রহী । এবং অনেক শিক্ষিত তরুণী ও যুবতী ব্যবসাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।
এবং অনেক বোনেরা ব্যবসা করে সফলতাও অর্জন করছে এই ধরনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
মেয়েদের ব্যবসার অনেক আইডিয়া রয়েছে বিশেষ করে আমরা দেখতে পায় বর্তমানের শিক্ষিত মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেদের সফলভাবে প্রতিষ্টিত করে তুলছে । এবং অনেকে রয়েছেন টেইলারিং ব্যবসা করেও সফলতা অর্জন করেছে।
সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় মেয়েরা ইউটিউবিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
আপনি আপনার স্পেশাল কোন দক্ষতা থাকলে সেটিকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবিং করেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে রান্নার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের অনেক বোন ইউটিউবিং করে ভালো অর্থ উপার্জন করছে।
গ্রামে বসে কি অনলাইনে ব্যবসা করা সম্ভব ?
জ্বি সম্ভব , ইতিমধ্যে আর্টিকেলের মধ্যে দেখিয়েছি কিভাবে এবং কি কি ব্যবসা আপনি গ্রামে বসেই করতে পারবেন ।
গ্রামে ব্যবসা করতে কি লাইসেন্স প্রয়োজন ?
বেশিরভাগ সময় গ্রামে ব্যবসা করতে লাইসেন্স প্রয়োজন হবে নাহ । তবে বড় আকারের কোনো ব্যবসা যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লাইসেন্স যেমন : ট্রেড লাইসেন্স , টিন সার্টিফিকেট , ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি লাইসেন্স তৈরী ও সংগ্রহ করতে হবে ।
পরিশেষে
বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিভাবে গ্রামের ব্যবসা করা যায়? এবং গ্রামের ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধন এর প্রয়োজন পড়ে? গ্রামের লাভজনক কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করবেন এবং এই ধরনের নতুন নতুন নিয়মিত ব্যবসা সংক্রান্ত ও চাকরি সংক্রান্ত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
Very Nice Business Idea
[…] গ্রামের কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া । […]