কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে A to Z বিস্তারিত জানুন

সূচনা : আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলের আপনাদের সাথে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম ,এবং একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাইসেন্স ও জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ।

 

এছাড়াও রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা, গজ কাপড়ের ব্যবসা,  থান কাপড়ের ব্যবসা, শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা, ছিট কাপড়ের ব্যবসা, থ্রি পিস কাপড়ের ব্যবসা, গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা, এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা ইত্যাদি সম্পর্কে আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করব ।

 

তাই  আজকের  কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন ।

 

কাপড়ের ব্যবসা করে দ্রুত লাভবান হওয়ার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে অবশ্যই জনবহুল স্থানে কাপড়ের দোকান দিতে হবে ।  এবং আপনাকে নিয়মিত নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড় সংগ্রহে রাখতে হবে ।  

 

এছাড়াও কাপড়ের ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করার দক্ষতা, ধৈর্য ও সৃজনশীলতার । 

 

Table of Contents

কাপড়ের ব্যবসা করতে চাই

 

আপনাদের মধ্যে অনেকেই কাপড়ের ব্যবসা করতে চাই বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন ।   আপনাদেরকে উদ্দেশ্য করেই  আজকে কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে লিখতে বসে গেলাম ।  

 

আজকের আমাদের এই “ কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম  “ আর্টিকেলে দেওয়া সকল তথ্যসমূহ ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ।

 

আমরা তথ্যগুলোর সত্যতা যাচাই করে আমাদের আর্টিকেলে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি ।  তাই আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে A to Z  সকল তথ্য পাবেন ।

 

আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।  যার ফলে আর্টিকেলটি একটু দীর্ঘ হতে পারে ।  তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে যদি আপনার কষ্ট হয় সেক্ষেত্রে আপনি উপরে দেওয়া Table of Content ফলো করতে পারেন ।

 

কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করব ?

 

কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম – কানুন অনুসরণ করতে হবে ।  অন্যথায় আপনি আগোছালোভাবে কাপড় ব্যবসা শুরু করলে অল্পদিনেই ব্যর্থ হয়ে যাবেন । 

 

কাপড়ের ব্যবসা অনেক বড় একটি ব্যবসার ক্যাটাগরি তাই আপনাকে কাপড় নিয়ে ব্যবসা করতে হলে সর্বপ্রথম এর ধরন নির্বাচন করতে হবে ।  

 

অর্থাৎ আপনি কি ধরনের কাপড় নিয়ে আপনার কাপড়ের ব্যবসাটি শুরু করতে চান তা সিলেক্ট করুন ।  

 

যেমন :  ছেলেদের কাপড় , মেয়েদের কাপড়,   বাচ্চাদের কাপড় ,  অথবা শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা,  থ্রি পিস কাপড়ের ব্যবসা , টি-শার্টের ব্যবসা ইত্যাদি

 

কাপড়ের ধরন নির্বাচন করার পরে আপনার কাজ হবে একটি জনবহুল স্থানে দোকান খোজাঁ  ।  

 

জনবহুল স্থানে আপনার কাপড়ের দোকানটি স্থাপন করতে পারলে আপনি দ্রুত আপনার ব্যবসাটিকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতে পারবেন ।

 

এরপর আপনাকে আপনার পুঁজি  এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী চিন্তা করতে হবে আপনি কি খুচরা কাপড়ের ব্যবসা করবেন নাকি পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা করবেন ?

 

এছাড়াও আপনি যে এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন চিন্তা করছেন সেখানে কি ধরনের কাপড়ের চাহিদা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করুন । 

 

যদি দেখেন সে এরিয়াতে ধনী লোকের বেশি বসবাস তাহলে আপনি দামি কাপড়ের কালেকশন রাখতে পারেন । 

 

অন্যথায় আপনি যদি গরিব মানুষ বসবাস করে এমন এরিয়ায় দামি  কাপড় নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।

 

এছাড়াও সে এরিয়াতে কোন ধরনের মানুষ বেশি রয়েছে তাও বিশ্লেষণ করুন ।  

 

যেমন :  ছেলে বেশি নাকি মেয়ে বেশি, অথবা তরুণ বেশি নাকি বৃদ্ধ মানুষ বেশি ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে আপনাকে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় সংগ্রহ করতে হবে ।

 

আপনি যদি সঠিকভাবে বাজার বিশ্লেষণ করতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনি লাভজনক একটি কাপড়ের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন ।

 

কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি

 

কাপড়ের ব্যবসা যে অত্যন্ত লাভজনক এবং চাহিদাপূর্ণ একটি ব্যবসা তা নির্দিষ্ট করে বলার প্রয়োজন নেই ।  বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে সারাবিশ্বে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ।  

 

এবং বাংলাদেশ সরকার এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আয় করছে ।

 

গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলোর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এবং এই গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের লেনদেন করছে । 

 

আরো পড়ুন,,

 

এবং বাংলাদেশের যতগুলো গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা প্রত্যেকেই এখন কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন । 

 

কয়েকটি কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া ২০২২ 

 

বন্ধুরা এখন আপনাদের সাথে কয়েকটি কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব ।  

 

আজকের “ কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম “ আর্টিকেলের উপরের অংশে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি কিভাবে একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করবেন ?  

 

এবং শুরু করার পূর্বে কিভাবে বাজার বিশ্লেষণ করা যায় তা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে ।

 

তাহলে এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়াসমূহ :

 

১/ রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

 

বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি কাপড়ের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কাপড় ক্রয় করে আপনি রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন ।  

 

যেমন : চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে পাইকারি দামে কাপড় ক্রয় করা যায় ।  আপনি যদি একটি দোকান দিয়ে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি এইসব পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি দামে কাপড় ক্রয় করে আপনার দোকানে খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন ।

 

সেক্ষেত্রে আপনাকে ন্যূনতম ৩ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে এই রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে হবে । 

 

তবে রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম এর ক্ষেত্রে সঠিক বাজার বিশ্লেষণ আপনার ব্যবসায় দ্রুত সফলতা এনে দিতে সাহায্য করবে ।  

 

আপনার দোকান যে এলাকায় অবস্থিত সেখানের মানুষের রুচিবোধ ও  আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কাপড় কালেকশনে রাখতে পারেন ।

২/ গজ কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

কাপড়ের ব্যবসার মধ্যে গজ কাপড়ের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া ।  আমাদের মধ্যে অনেকেই গজ কাপড় ক্রয় করে তা সেলাই এর মাধ্যমে পরিধান করে থাকি । 

 

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইউনিফর্ম পোশাক তৈরি করতে গজ কাপড়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে ।

 

 

যার ফলে এই গজ কাপড়ের চাহিদা আমাদের বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে রয়েছে ।  গজ কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে বাজারের মধ্যে ছোট্ট একটি দোকান বা স্টোর হলেই হবে ।

 

গজ কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে কত পুঁজি দরকার ?

 

বাজারের মধ্যে একটি গজ কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে ন্যূনতম ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে । আমাদের দেওয়া পরিমাণটি শুধু একটি ধারণামাত্র ।

 

তবে আপনি গজ কাপড়ের ব্যবসা কখন শুরু করছেন এবং কোথায় শুরু করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার ব্যবসার মূলধন ও পুঁজির পরিমাণ । 

 

এই গজ কাপড়ের ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করার  সম্ভাবনা রয়েছে । তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উৎসব, ঈদ, পূজা এর সময় কাপড় বিক্রি অনেকগুণ বেড়ে যায় ।  

 

৩/ থান কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

বন্ধুরা থান কাপড় এবং গজ কাপড় মূলত একই ধরনের কাপড়কে বুঝায়  ।  অনেকে গজ কাপড়কে থান কাপড় নামে চিনে থাকে । 

 

থান কাপড় ক্রয় করার পর গ্রাহককে বিভিন্ন টেইলার্স এর কাছে যেতে হয় । এবং টেইলার্স এর মাধ্যমে এই থান কাপড় দিয়ে বিভিন্ন জামা তৈরি করা হয় ।

 

থান কাপড় বা গজ কাপড় এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে । একটু উপরেই আপনাদের সাথে গজ কাপড় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।  

 

উপরের অংশটুকু পড়লে জানতে পারবেন একটি থান কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে কি পরিমাণ মূলধন ও পুঁজির প্রয়োজন হতে পারে ।

 

আমাদের বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক থান কাপড় ও গজ কাপড় ক্রয় করে থাকে ।  

 

নারীদেরকে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় ক্রয় করে জামা তৈরি করতে লক্ষ করা যায় । বিপরীতে পুরুষরা রেডিমেড তৈরিকৃত পোশাকগুলোয় অধিক পড়ে থাকে । 

 

৪/ শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

শাড়ি আমাদের বাংলাদেশ এবং ভারতসহ পুরো এই উপমহাদেশের নারীদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী পোশাক । শাড়ি সাধারণত লম্বা এবং সেলাইবিহীন কাপড়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে । আমরা দেখতে পায় একটি শাড়ি প্রায়  ১৮ ফুট থেকে শুরু করে ২১ পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

 

শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম আপনি অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি উপায়ে করতে পারবেন ।  বর্তমানে  বাংলাদেশের অনেক তরুণী অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ি ব্যবসা করছে  ।  

 

দোকান দিয়ে শাড়ি ব্যবসা করতে চাইলে সে এলাকার বাজার বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি । যেহেতু শাড়ি শুধুমাত্র ১৪ বছরের উপরের নারীদের পোশাক তাই আপনাকে আপনার এরিয়ার বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে ।  

 

 

যেমন :  সে এরিয়াতে কি পরিমান এই বয়সী নারী রয়েছে সে তথ্য জেনে নিন । এবং সে এরিয়ার নারী বা মহিলারা শাড়ি পরিধান করে কিনা তার সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করুন ।  

 

তারপরেই সেই এলাকায় শাড়ি ব্যবসা করার জন্য আপনি দোকান দিতে পারেন ।

 

অন্যদিকে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে শাড়ীর ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবকে ব্যবহার করতে পারেন ।  

 

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেক তরুণীরা ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে শাড়ি বিক্রি করছে ।

 

৫/ ছিট কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম

 

বন্ধুরা উপরে আপনাদের সাথে গজ কাপড় এবং থান  কাপড় নিয়ে আলোচনা করেছি ।   গজ কাপড় , থান কাপড় ও  সিট কাপড়ের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই । 

 

এই কাপড়গুলো আপনি বাজার থেকে ক্রয় করে টেইলার্স এর মাধ্যমে আপনাকে জামা তৈরি করে নিতে হবে । তবে সিট কাপড় বলতে বুঝায় আপনার একটি জামার জন্য যতটুকু কাপড় প্রয়োজন তা সেটা কারে থাকে ।  

 

উদাহরণস্বরূপ :  একটি পাঞ্জাবি সেলাই করতে চান তখন আপনি বাজার থেকে একটি পাঞ্জাবি তৈরীর জন্য এক সেট কাপড় ক্রয় করে নিয়ে আসতে পারেন ।  এবং এই এক সেট কাপড়কেই সিট কাপড় হিসেবে ধরা হয়।

 

এবং এই সিট কাপড়ের ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।  প্রায় সময় সিট কাপড়গুলোর সাথে জামাটি দেখতে কেমন হবে তার ডিজাইনটিও দেয়া থাকে ।

 

একটি সিট কাপড়ের ব্যবসা করতে আপনার ন্যূনতম প্রায় ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা মূলধন এর প্রয়োজন হবে ।

 

৬/ থ্রি পিস কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

থ্রি পিস কাপড়ের ব্যবসাও অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া ।  সাধারণত থ্রি পিস কাপড় বলতে বুঝায় জামা, ওড়না এবং পাইজামার সেটকে  । 

 

এই থ্রি পিস কাপড়গুলো বাজার থেকে ক্রয় করার পর গ্রাহককে বিভিন্ন দর্জি ও টেইলার্সের নিকট শরণাপন্ন হতে হয় । এবং টেইলার্স এর সাহায্যে জামা ওড়না ও পায়জামাগুলোকে সেলাই করে নিতে হয় ।

 

গজ কাপড় , থান কাপড় , সিট কাপড়ের মত থ্রি পিস কাপড়ের ও প্রচুর চাহিদা আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে ।  বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে আপনি থ্রি পিসের কাপড় ক্রয় করে এনে তা খুচরা দামে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে পারেন ।

 

আপনি যদি স্বল্প মূলধন বা অল্প পুজিতে একটি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে চান সে ক্ষেত্রে থ্রি পিস কাপড়ের  ব্যবসা আপনার জন্য একটি উপযুক্ত ব্যবসা হবে ।  

 

 

এর কারণ হচ্ছে থ্রি পিস কাপড়গুলো তুলনামূলক সস্তা দামে পাওয়া যায় ।

 

এরপরও  আপনি যদি একটি দোকানের মাধ্যমে থ্রি পিস কাপড়ের ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার কমপক্ষে প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে । 

 

৭/ বাচ্চাদের কাপড়ের ব্যবসা

 

ছোট বাচ্চাদের কাপড়ের ব্যবসার আইডিয়াও অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ।  আপনি শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদের কাপড় নিয়েও ব্যবসা করতে পারেন ।  

 

বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের থেকে বাচ্চাদের কাপড় ক্রয় করে খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন ।

 

ছোট বাচ্চাদের কাপড়গুলো তুলনামূলক সস্তা হওয়ার কারণে এতে আপনার মূলধনের পরিমাণও  কম প্রয়োজন হবে ।

 

৮/ গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

গার্মেন্টসের কাপড়ের ব্যবসা বলতে বুঝায় গার্মেন্টসে তৈরিকৃত কাপড়গুলো ক্রয় করে তা খুচরা দামে গ্রাহকের নিকট বিক্রি করা ।  

 

গার্মেন্টসে বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি হয়ে থাকে আপনি সে কাপড়গুলো পাইকারি দামে ক্রয় করে বিভিন্ন খুচরা প্রতিষ্ঠানগুলো বা কাস্টমারের নিকট বিক্রি করতে পারেন । 

 

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা বেশি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে । গার্মেন্টস থেকে সরাসরি  কাপড় ক্রয় করে ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে বেশি পরিমাণ কাপড় ক্রয় করতে হবে ।

 

যার ফলে আপনার প্রয়োজন হবে অধিক মূলধন বা পুজিঁর । এছাড়াও গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করতে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে । 

 

৯/ এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

এক্সপোর্ট ( Export )  একটি ইংরেজী শব্দ যার  অর্থ হচ্ছে রপ্তানি করা ।   অর্থাৎ আপনি বাইরের দেশে কাপড় রপ্তানী করে এই এক্সপোর্ট কাপড়ের  ব্যবসাটি করবেন ।  

 

এই ধরনের ব্যবসা সাধারণত বৃহৎ আকারের হয়ে থাকে ।  এবং গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলোই এই ধরনের এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা করে থাকে ।

 

গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো দামের জন্য বিভিন্ন উন্নত দেশে কাপড়গুলো রপ্তানি করে থাকে ।   তারা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের আপডেট ডিজাইনের উপর পোশাক তৈরি করে বিদেশে রপ্তানী করে থাকে ।

 

আপনার কাছে যদি গার্মেন্টস শিল্প সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এই এক্সপোর্ট কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন । 

 

কাপড়ের ডিলারশীপ ব্যবসা ২০২২

 

অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর মত আপনিও চাইলে কাপড় এর ডিলারশিপ ব্যবসা করতে পারেন ।  বিভিন্ন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সাথে পার্টনার হয়ে আপনি এই কাপড়ের ডিলারশিপ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন ।

 

ডিলারশিপ ব্যবসা বলতে বুঝায় কোম্পানির একজন প্রতিনিধি ও এজেন্ট হিসেবে কোন একটি নির্দিষ্ট এরিয়াতে কাজ করা । 

 

ডিলারশিপ ব্যবসা কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে জানতে আমাদের ডিলারশিপ আইডিয়া এই আর্টিকেলটি পড়ুন । 

 

আজকের আর্টিকেলের উপরে দেওয়া আইডিয়াগুলোর তুলনায় কাপড়ের ডিলারশিপ ব্যবসা করতে আপনার অনেক বেশি মূলধন এর প্রয়োজন হবে । 

 

পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা অত্যন্ত লাভবান একটি ব্যবসার আইডিয়া । পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কোন দোকান নিয়ে বাজারে বসতে হবে না ।  

 

আপনি বিভিন্ন গার্মেন্টস শিল্প থেকে বাল্ক বা অধিক পরিমাণে অল্প দামে কাপড় ক্রয় করে নিয়ে তা খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করতে পারেন ।

 

এক্ষেত্রে আপনার সাথে খুচরা বিক্রেতার সম্পর্ক হবে ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ী অর্থাৎ ( B2B ) ।

 

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাবুরহাট, ইসলামপুর, ও চকবাজারে পাইকারি কাপড় পাওয়া যায় ।  অন্যদিকে বাংলাদেশের বাণিজ্য রাজধানী চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর মার্কেটগুলোতে পাইকারি মূল্যে কাপড় পাওয়া যায় ।

 

তাই আপনি যদি পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা করতে চান এই ধরনের স্থানে আপনার পাইকারি দোকানটি স্থাপন করুন । এবং নিয়মিত নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড় সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন । 

 

যা যা প্রয়োজন কাপড়ের ব্যবসা করতে : 

  • বিজনেস রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ।
  • ক্ষেত্রবিশেষে ব্যাংক একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে ।
  • ব্যবসার নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে হবে ।
  • যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি এর প্রয়োজন হবে
  • সঠিক স্থানে দোকানে স্থাপন করতে হবে ।
  • কাপড় ব্যবসায় সফলতার জন্য নিয়মিত শেখার আগ্রহ থাকতে হবে
  • যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে । 

ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা ২০২২

 

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে উপরের অংশে কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে অনেক আলোচনা করা হয়েছে ।  

 

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা করা যায় । বিশেষ করে নারী ও মহিলারা জানতে চেয়েছেন কিভাবে ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা করা যায় ।

 

তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের এই অংশে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলো । আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন ।   

 

কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে একটি কাপড়ের ব্যবসা গড়ে তুলবেন তার সম্পর্কে জানতে নিচের অংশটি পড়ুন । এবং ঘরোয়া ব্যবসা সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের ” ঘরোয়া ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি পড়ুন ।

 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম ২০২২

 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসায় আপনি নানা উপায় অবলম্বন করে শুরু করতে পারবেন ।  যেমন :  ফেইসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ইত্যাদির মাধ্যমে অনলাইনে আপনার কাপড় গুলো বিক্রি করতে পারবেন । 

 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম এর মধ্যে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক ।  যেহেতু ফেসবুকে প্রচুর মানুষ রয়েছে তাই এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব । তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করা যায় ।

 

ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম ২০২২

 

ফেসবুকের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ থাকতে হবে । আপনি ফ্রিতেই একটি ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ তৈরি করে নিতে পারেন । 

 

এবং ফেসবুক পেজে আপনার পণ্য সামগ্রীগুলো নিয়ে পোস্ট, ভিডিও  করে প্রচারণা করতে পারেন । এছাড়াও ফেসবুকের চমৎকার একটি ফিচার লাইভ অপশনটিকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন ।

 

বাংলাদেশের অনেক তরুণীরা ইতিমধ্যে এই ফেসবুক লাইভ অপশনটিকে কাজে লাগিয়ে ভালো কাপড়ের ব্যবসা করছে । 

 

পরিশেষে – Conclusions

 

বন্ধুরা আজকের আমাদের কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে একটি কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছে । 

 

এবং কাপড়ের ব্যবসার কয়েকটি লাভজনক আইডিয়া ও আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে ।

 

আমাদের আজকের এই কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে ফেসবুক – টুইটারে শেয়ার করতে পারেন । এবং নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট Goafta.com  ভিজিট করুন ।

 

By MD Imran hossan

২০১৯ সাল থেকে যুক্ত আছি এই টেকনোলজির দুনিয়ার সাথে । যদিও আমার পড়াশোনা ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে । ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে দেওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে লিখালিখি ও ব্লগিং সেক্টর এর সাথে যুক্ত আছি । নিজের জ্ঞান কে অন্যদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছি Goafta.com ওয়েবসাইট । স্বপ্ন দেখছি একটি বিশ্বস্ত ব্যবসায়িক ব্লগ গড়ে তোলার । এবং নিজে যতটুকু জানি তা সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার , তাতে যদি কারো শস্য পরিমাণও উপকার হয় তাতেই আমার প্রশান্তি |

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *